ভারতীয় জনজীবনে নদনদীর গুরুত্ব

Rahul

নমস্কার বন্ধুরা! আজকের আলোচনার বিষয় ভারতীয় জনজীবনে নদনদীর গুরুত্ব। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য এই বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের ভারতের জলসম্পদ বিভাগ থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে এই বিষয়ের উপর।

এই ব্লগ পোস্টে আমরা নদনদীর বিভিন্ন দিক থেকে তাদের গুরুত্ব আলোচনা করবো। পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এই বিষয়গুলো মনে রাখলে আপনাদের ভালো ফলাফল করতে সাহায্য হবে।

পার্বত্য এলাকা বা উঁচু কোন ভূমি থেকে উৎপন্ন স্বাভাবিক জলধারা যা ভূমির ঢালকে অনুসরণ করে একটি নির্দিষ্ট খাতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগর, মহাসাগর, নদী, হ্রদ বা অন্যান্য যেকোন জলাশয়ে মিলিত হলে তাকে নদী বলে।

যেমন – ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা, তিস্তা ইত্যাদি।

ভারতীয় জনজীবনে নদনদীর গুরুত্ব

ভারতীয় জনজীবনে নদনদীর গুরুত্ব

ভারতীয় জনজীবনে নদনদীর ভূমিকা অসীম –

  • কৃষিতে – একদিকে নদী অববাহিকায় উর্বর পলিমাটি চাষ-আবাদে উপযুক্ত, অন্যদিকে নদী, জলাশয় পুকুরের জল কৃষিতে জলসেচ করতে ব্যবহৃত হয়।
  • পরিবহণ – দেশের অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহণে এইসব নদনদীর ভূমিকা অপরিসীম। সস্তায় বাণিজ্য করার অন্যতম উপায় জলপথ পরিবহণ।
  • মাছ উৎপাদন – দেশের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটায় অভ্যন্তরীণ জলভাগের মাছ। সুতরাং স্বাদুজলের মাছ সংগ্রহে এইসব জলভাগের ভূমিকা প্রধান।
  • জলবিদ্যুৎ উৎপাদন – পার্বত্য নদীগুলিকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। আবার বহুমুখী নদী উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমেও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে, যা পরিবেশবান্ধব শক্তিও বটে।
  • শিল্প বিকাশ – নদী, খালের জল শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং শিল্পজাতদ্রব্য পরিবহণ ও বাণিজ্যে নদী, খালপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
  • পানীয় হিসেবে – নদীর জলকে পরিশোধন করে পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে নগরায়ণে সুবিধা বাড়ছে।

এ ছাড়া জলভাগ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে, জল সংরক্ষণাগার হিসেবে ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আজকের আর্টিকেলে, আমরা খালের মাধ্যমে ভারতীয় জনজীবনে নদনদীর গুরুত্ব তুলে ধরেছি। এই বিষয়টি দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ”-এর “ভারতের জলসম্পদ” বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।

পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য, খালের মাধ্যমে নদনদীর গুরুত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি।

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।