আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” অধ্যায়ের ‘প্রাণীদের সাড়াপ্রদানের একটি প্রকার হিসেবে গমন‘ বিভাগের রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

গমনের সংজ্ঞা দাও। এর চালিকাশক্তি বা উদ্দেশ্যগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
গমন – যে প্রক্রিয়ায় সাধারণত প্রাণীরা উদ্দীপকের প্রভাবে সাড়া দিয়ে বা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে, তাকে গমন বলে।
গমনের চালিকাশক্তি বা উদ্দেশ্য –
গমনের চালিকাশক্তি তথা উদ্দেশ্যগুলি সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হল।
খাদ্য খোঁজা বা খাদ্যান্বেষণ –
অধিকাংশ উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করতে পারে। তাই উদ্ভিদকে খাদ্যন্বেষণে অন্যত্র গমন করতে হয় না। কিন্তু প্রাণীরা সাধারণত পরভোজী, অর্থাৎ প্রাণীদেরকে খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই প্রাণীকে খাদ্যের সন্ধানে স্থানান্তরে গমন করতে হয়।
খাদকের খাদ্যে পরিণত হওয়া এড়িয়ে চলা বা আত্মরক্ষা –
যেসব জীব নিজেরা খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে না, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খাদ্যের জন্য অপরের ওপর নির্ভরশীল, তাদের খাদক বলে। এক শ্রেণির খাদক অপর শ্রেণির খাদককে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে অগ্রসর হয়। তাই শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচাবার জন্য প্রাণীকে স্থানান্তরে গমন করতে হয়। যেমন – বাঘ শিকারের সময় হরিণকে আক্রমণ করলে, হরিণ অন্যস্থানে গমন করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে।
পরিযান –
পরিবেশগত কারণে প্রাণীরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। একে পরিযান বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি থেকে রক্ষা পেতে, প্রজননের জন্য প্রাণীরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে।
অনুকূল পরিবেশের সন্ধান –
উপযুক্ত মাত্রায় জল, আলো, বাতাস ইত্যাদির জন্য প্রাণীকে স্থানান্তরে গমন করতে হয়। যেমন – বর্ষাকালে পিঁপড়েরা মাটি ছেড়ে ঘরের ভিতর চলে আসে।
নতুন এবং সুরক্ষিত বাসস্থান খুঁজে নেওয়া –
সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য নিরাপদ বাসস্থানের প্রয়োজন হয়। বহুক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বাসস্থানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তখন নতুন বাসস্থানের সন্ধানে গমনের প্রয়োজন হয়। ফলে উপযুক্ত বাসস্থানের জন্য প্রাণীকে স্থানান্তরে গমন করতে হয়।
প্রজননিক কাজের জন্য জীবের একত্রিত হওয়া –
বংশবিস্তারের জন্য প্রাণী ও নিম্নশ্রেণির কিছু উদ্ভিদকে উপযুক্ত প্রজনন স্থান খুঁজে নেওয়ার জন্য বা উপযুক্ত সঙ্গী নির্বাচনের জন্য স্থানান্তরে গমন করতে হয়। যেমন – ইলিশ মাছ সমুদ্রের লবণাক্ত জলে বাস করে। প্রধানত ডিম পাড়ার জন্য এরা নদীর মিঠে জলে আসে।
গমন, চলনের ওপর নির্ভরশীল – ব্যাখ্যা করো। চলন ও গমনের পার্থক্য উল্লেখ করো।
চলনের ওপর গমনের নির্ভরশীলতা –
যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাবে একস্থানে স্থির থেকে তার দেহের কোনো অংশকে সঞ্চালন করে, তাকে চলন বলে। আবার যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তাকে গমন বলে। অর্থাৎ গমনের জন্য প্রাণী চলনের ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু চলন কখনোই গমনের ওপর নির্ভরশীল হয় না।।
চলন ও গমনের পার্থক্য –
বিষয় | চলন | গমন |
জীবের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন | এক্ষেত্রে ঘটে না। | এক্ষেত্রে ঘটে। |
সঞ্চারিত অঙ্গ | কিছু নির্দিষ্ট অঙ্গবিশেষে সীমিত। | সমগ্র দেহ সঞ্চারিত হয়। |
দুই পদ্ধতির পারস্পরিক সম্পর্ক | চলন গমন-নিরপেক্ষ। | গমন চলন-নির্ভর। |
সংশ্লিষ্ট জীব | উদ্ভিদ ও প্রাণী সকল জীবের দেহেই ঘটে। | প্রধানত প্রাণীর দেহে ঘটে। |
অ্যামিবার গমনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলার মধ্যে তুলনা করো।
অথবা, অ্যামিবার গমনে সিউডোপোডিয়ার ভূমিকা বর্ণনা করো। সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলার তুলনা উল্লেখ করো।
অ্যামিবার গমন –
- অ্যামিবার গমনাঙ্গ হল ক্ষণপদ বা সিউডোপোডিয়া। অ্যামিবার গমনের সময় কোশস্থ সাইটোপ্লাজমের ঘনত্ব পরিবর্তনের ফলে কোশের পরিধির দিকে কোশপর্দাসহ সাইটোপ্লাজমের আঙুলের মতো প্রবর্ধক সৃষ্টি হয়। এটিই ক্ষণপদ। অ্যামিবা যেদিকে গমন করতে সচেষ্ট হয়, সেই দিকে ক্ষণপদ তৈরি হয়।
- ওই ক্ষণপদের আঠালো অগ্রভাগকে অ্যামিবা কোনো কঠিন বস্তু বা গমনের মাধ্যম (সাবস্ট্রাটাম) -এর সাথে সংলগ্ন করে।
- দেহের বাকি প্রোটোপ্লাজম এরপর ধীরে ধীরে ক্ষণপদের মধ্যে প্রবাহিত হয়। এর ফলে অ্যামিবার পশ্চাদভাগ গুটিয়ে আসে ও অ্যামিবা গতিপথের দিকে অগ্রসর হয়।
- ক্ষণপদের সাহায্যে অ্যামিবার এইজাতীয় গমনকে অ্যামিবয়েড গমন বলে।

সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলার তুলনা –
বিষয় | সিলিয়া | ফ্ল্যাজেলা |
অবস্থান | সাধারণত কোশের পরিধি বরাবর। | সাধারণত কোশের কোনো এক প্রান্তে অবস্থান করে। |
প্রকৃতি | অপেক্ষাকৃত সরু ও ছোটো হয়। | অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ও মোটা হয়। |
কাজ | গমনে সাহায্য করা ও বিভিন্ন বস্তুকে নির্দিষ্ট দিকে সঞ্চালন করা। | গমনে সাহায্য করা। |
প্যারামেসিয়াম -এর গমনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। প্যারামেসিয়াম ছাড়া অন্যান্য কোন্ কোন্ জীবের দেহে সিলিয়ার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়?
অথবা, সিলিয়ার সাহায্যে প্যারামেসিয়াম কীভাবে গমন করে তা লেখো। প্যারামেসিয়াম ছাড়া অন্যান্য কোন্ কোন্ প্রাণীর দেহে সিলিয়ার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়?
প্যারামেসিয়াম -এর গমন –
- প্যারামেসিয়াম -এর গমনাঙ্গ হল সিলিয়া। সিলিয়াগুলি আণুবীক্ষণিক সূক্ষ্ম সুতোর মতো ও আকারে ছোটো হয়। প্যারামেসিয়াম নামক আদ্যপ্রাণীর দেহের সমগ্রতলে অর্থাৎ সমগ্র কোশের চারপাশে অসংখ্য সিলিয়ার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এদের সিলিয়াগুলি একই সময়ে প্রায় একই দিকে সঞ্চালিত হয়। এর ফলে প্যারামেসিয়াম জলে বা তরল মাধ্যমে সিলিয়া সঞ্চালনের বিপরীত দিকে গমন করে।
- পরবর্তী পর্যায়ে সিলিয়াগুলি আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
- এইভাবে সিলিয়ার পর্যায়ক্রমিক সঞ্চলনের মাধ্যমে প্যারামেসিয়াম অগ্রসর হয়।
- সিলিয়ার সাহায্যে গমনের এই ধরনের পদ্ধতিকে সিলিয়া-নির্ভর গমন বা সিলিয়ারি গমন বলা হয়।

প্যারামেসিয়াম ব্যতীত সিলিয়া-যুক্ত জীব –
প্যারামেসিয়াম ছাড়া অন্যান্য কিছু সিলিয়াযুক্ত জীব ভর্টিসেলা নামক প্রোটোজোয়া, এ ছাড়া বিভিন্ন বহুকোশী প্রাণীর কিছু কোশে সিলিয়া উপস্থিত। যেমন – মানুষের শ্বাসনালীর আবরণী কলাকোশ।
ইউগ্লিনার গমন পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। ইউগ্লিনার সাথে অ্যামিবার গমনের পার্থক্য লেখো।
ইউগ্লিনার গমন পদ্ধতি –
- ইউগ্লিনার গমনাঙ্গ হল ফ্ল্যাজেলা। এগুলি আণুবিক্ষণিক, সূক্ষ্ম তন্তুর মতো, সঞ্চালনে সক্ষম, একক পর্দাবৃত সাইটোপ্লাজমীয় বহিঃবৃদ্ধি। ফ্ল্যাজেলার সুশৃঙ্খল সঞ্চালনের মাধ্যমে সংঘটিত ইউগ্লিনার গমন পদ্ধতিকে ফ্ল্যাজেলা-নির্ভর গমন বা ফ্ল্যাজেলারি গমন বলা হয়।
- ইউগ্লিনা জল বা তরল মাধ্যমে এক, বা একাধিক ফ্ল্যাজেলাকে চাবুকের মতো সঞ্চালনের দ্বারা একস্থান থেকে অন্যস্থানে যায়।
- ফ্ল্যাজেলাটিকে সঞ্চালনের মাধ্যমে জলে সক্রিয় ঘাতের সৃষ্টি হয়। এর প্রত্যাঘাতে ইউগ্লিনা ফ্ল্যাজেলার চলনের বিপরীতে গমন করে।
- ইউগ্লিনার ফ্ল্যাজেলার কাছে উপস্থিত চক্ষুবিন্দু সূর্যালোক অনুভব করে ফ্ল্যাজেলার সঞ্চালনে সাহায্য করে।

ইউগ্লিনার সাথে অ্যামিবার গমনের পার্থক্য –
বিষয় | ইউগ্লিনার গমন | অ্যামিবার গমন |
গমনাঙ্গ | ফ্ল্যাজেলা। | ক্ষণপদ। |
গমনের মাধ্যম | তরল মাধ্যমে গমন করে। | কঠিন কোনো বস্তু বা সাবস্ট্রাটাম-এ আটকে গমন করে। |
গমনের পদ্ধতি | ফ্ল্যাজেলা-নির্ভর গমন। | অ্যামিবয়েড গমন। |
গমন অঙ্গের প্রকৃতি | ফ্ল্যাজেলাগুলির সূক্ষ্ম তন্তুর মতো দীর্ঘ ও মোটা হয়। | ক্ষণপদগুলি সাইটোপ্লাজমের আঙুলের মতো কোশীয় উপবৃদ্ধি। |
চিত্রসহ মাছের গমন পদ্ধতি বর্ণনা করো।
অথবা, চিত্রসহ মাছের সন্তরণ পদ্ধতি সংক্ষেপে লেখো।
অথবা, রুইমাছের গমনে পাখনা ও মায়োটম পেশির ভূমিকা লেখো।
মাছের গমন পদ্ধতি –
- মাছের প্রধান গমনাঙ্গ হল পাখনা। এ ছাড়া মায়োটম পেশি ও পটকা বা সুইম ব্লাডারও গমনে সাহায্য করে।
- পাখনার সাহায্যে মাছ জলে সাঁতার কাটতে পারে। মাছের দেহে সাধারণত সাত প্রকার পাখনা থাকে। এর মধ্যে দুটি জোড় ও তিনটি বিজোড় পাখনা।
- বক্ষপাখনা ও শ্রোণিপাখনা নামক জোড় পাখনার সাহায্যে মাছ জলের মধ্যে ওপরে-নীচে ওঠা-নামা করতে পারে।
- পুচ্ছপাখনা মায়োটম পেশির সংকোচন-প্রসারণকে কাজে লাগিয়ে ক্রমিক আন্দোলন গতি সৃষ্টি করে। যার ফলে প্রবল ঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে মাছ জলের মধ্যে অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় বল সৃষ্টি করে। এর পাশাপাশি পুচ্ছ পাখনা নৌকার হালের মতো মাছকে দিক পরিবর্তনে সহায়তা করে।
- পৃষ্ঠপাখনা ও পায়ুপাখনা মাছকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে এবং জলের মধ্যে মাছের স্থিতাবস্থা বজায় রাখে।
- বেশিরভাগ অস্থিবিশিষ্ট মাছের দেহের পটকা বা বায়ুথলি মাছকে জলের মধ্যে প্লবতা নিয়ন্ত্রণ করে ওপর-নীচে ওঠা-নামা করতে সাহায্য করে।
- পটকায় গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পেলে, মাছের দেহের আপেক্ষিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় ফলে মাছ জলের গভীরে নেমে আসে।
- আবার বিপরীতভাবে পটকায় গ্যাসের পরিমাণ বাড়লে মাছের দেহের আপেক্ষিক গুরুত্ব কমে। ফলে মাছ জলের উপরিতলে উঠে আসে।
- মাছের মেরুদণ্ডের দুই পাশে অবস্থিত ‘V’ আকৃতির মায়োটম পেশিগুলিও মাছের গমনে সাহায্য করে। এই পেশির সংকোচন-প্রসারণের ফলে মাছের দেহে তরঙ্গের মতো আন্দোলন সৃষ্টি হয়। যার ফলে মাছ সামনে এগোতে পারে।

পাখির উড্ডয়নে সহায়ক বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে লেখো।
পাখির উড্ডয়নে সহায়ক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য –
- পাখিরা খেচর প্রাণী। এরা দুই পায়ে হাঁটা-চলা করলেও এদের প্রধান গমন পদ্ধতি হল উড্ডয়ন। উড্ডয়নের জন্য পাখির দেহ মাকু আকৃতির হয়। এইরূপ দেহাকৃতির জন্য এরা বাতাসের ধাক্কা এড়িয়ে সহজেই এগিয়ে যেতে পারে।
- পাখির অস্থিগুলি হালকা, বায়ুপূর্ণ হওয়ার ফলে পাখি সহজেই বাতাসে ভেসে থাকতে পারে।
- এদের ফুসফুসের লাগোয়া বায়ুথলিগুলি বায়ুপূর্ণ হয়ে দেহকে হালকা রাখতে সাহায্য করে। এদের উড্ডয়নের সময় অতিরিক্ত অক্সিজেন এবং শক্তির প্রয়োজন হয়। বায়ুথলিগুলি উড্ডয়নের সময় প্রয়োজনীয় এই অতিরিক্ত অক্সিজেন ও শক্তি সরবরাহ করে থাকে।
- পাখির অগ্রপদ ডানায় রূপান্তরিত হয়েছে। ডানা দুটি সামনের দিকে চওড়া এবং পেছনের দিকে ক্রমশ সরু হয়েছে। ডানার ওপরের তল উত্তল এবং নীচের তল অবতল। এরূপ গঠনের জন্য সহজেই বাতাসের বাধা অতিক্রম করতে পারে।
- পাখির সারা দেহ পালকে আবৃত। পাখির ডানায় 23টি রেমিজেস পালক এবং ল্যাজে 12টি রেস্ট্রিসেস পালক থাকে। এ ছাড়া পালকে বার্ব, বার্বিউল এবং হুক থাকে, যা পালকের একটি তল সৃষ্টি করে থাকে। ডানার পালক উড়তে এবং ল্যাজের পালক দেহের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। এই পালকগুলি থাকায় পাখির দেহ খুবই হালকা হয়।
- ক্রমাগত ডানা সঞ্চালনের দরকার হওয়ায় পাখির উড্ডয়ন পেশি অত্যন্ত সুগঠিত এবং উন্নত। পেক্টোরালিস মেজর, পেক্টোরালিস মাইনর এবং কোরাকো ব্রাকিয়ালিস ইত্যাদি উড্ডয়ন পেশিগুলি খুব উন্নত এবং এরা বিভিন্নভাবে ডানার সঞ্চালনে সাহায্য করে উড্ডয়নে সহায়তা করে।
মানুষের দ্বিপদ গমন পদ্ধতি বর্ণনা করো।
মানুষের দ্বিপদ গমন পদ্ধতি –
- মানুষের গমন পদ্ধতিকে দ্বিপদ গমন বলে। মানুষের গমনাঙ্গ হল একজোড়া পা হওয়ায় এই গমন দ্বিপদ গমন নামে পরিচিত। পা-সংলগ্ন অস্থি, অস্থিপেশি এবং বিভিন্ন অস্থিসন্ধি একত্রিত হয়ে গমনে সাহায্য করে।
- মানুষের হাঁটার সময়ে দেহের ওপরের অংশ অগ্রগতি লাভ করে এবং পা দুটি ভূমির ওপর অবস্থান করে।
- দেহের ওপরের অংশ অগ্রগতি লাভ করলে দেহকাণ্ড সামনের দিকে পতনের সম্মুখীন হয়। এই পতন রোধ করার জন্য একটি পা, ধরা যাক বাঁ পা সামনের দিকে অগ্রসর হয়। ফলে দেহ এগিয়ে আসে এবং বাঁ পা ভূমি স্পর্শ করে। এইসময়ে ডান পা ভূমি সংলগ্ন থাকে এবং দেহের সম্পূর্ণ ভার বহন করে।
- বাঁ পা ভূমি স্পর্শ করলে ডান পায়ের গোড়ালি উত্তোলিত হয় এবং হাঁটু ভাঁজ হয়। ফলে দেহ সামনের দিকে এগিয়ে আসে। এইসময়ে দেহের ভার বাঁ পায়ের ওপর এসে পড়ে।
- এরপর ডান পায়ের তল ভূমি স্পর্শ করলেই আবার বাঁ পা উঠে আসে। এইভাবে ডান ও বাঁ পায়ের পর্যায়ক্রমিক সঞ্চালনের পুনরাবৃত্তির ঘটতে থাকে। এইরূপ সঞ্চালনের দ্বারাই মানুষের গমন সাধিত হয়।
- এইরকম গমনের সময়ে মানুষের হাত দুটিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। মানুষের দুটি হাত গমনের সময়ের পর্যায়ক্রমে সামনে ও পিছনে আন্দোলিত হয়। মানুষের ডান পা অগ্রসর হওয়ার সময় বাঁ হাত এবং বাঁ পা অগ্রসর হওয়ার সময় ডান হাত প্রসারিত হয়। এইভাবে হাত দুটি দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- এ ছাড়া পশ্চাদমস্তিষ্কে অবস্থিত লঘুমস্তিষ্ক ও অন্তঃকর্ণের অর্ধবৃত্তাকার নালীও মানুষের গমনের সময় দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

মানুষের দ্বিপদ গমন কাকে বলে? গমনের সময় মানবদেহের ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গগুলি সম্বন্ধে আলোচনা করো।
দ্বিপদ গমন –
মানুষের প্রধান গমনাঙ্গ হল দুটি পা। যেহেতু দুটি পা বা পদের ক্রমসঞ্চালনের মাধ্যমে গমন সম্পন্ন হয়, তাই একে দ্বিপদ গমন বলা হয়।
গমনে দেহের ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গের ভূমিকা –
গমনের সময়ে মানবদেহের ভারসাম্য রক্ষাকারী বিভিন্ন অঙ্গের ভূমিকা নীচে আলোচনা করা হল।
হাত –
গমনের সময় হাত দুটি সামনে-পিছনে আন্দোলনের মাধ্যমে দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
লঘুমস্তিষ্ক –
- গমনের সময় হাত ও পায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে।
- দেহভঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করে। ঐচ্ছিক পেশির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পেশিটান বজায় রেখে সাবলীল চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্তঃকর্ণ –
অন্তঃকর্ণের ভেস্টিবুলার যন্ত্র দেহের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্তঃকর্ণের ইউট্রিকল ও অর্ধচন্দ্রাকৃতি নালীর সংযোগস্থলে অ্যাম্পুলাতে সংবেদনশীল রোম থাকে যার সাথে ভেস্টিবুলার স্নায়ু যুক্ত থাকে। দেহ স্থানচ্যুত হলে অর্ধচন্দ্রাকৃতি নালীর এন্ডোলিম্ফে আন্দোলন হয়, যা সংবেদনশীল রোমের সাহায্যে স্নায়ুর মাধ্যমে লঘুমস্তিষ্কে পৌঁছোয় ও দেহের ভারসাম্য রক্ষা পায়।

অস্থিসন্ধির সংজ্ঞা এবং প্রকারভেদগুলি উল্লেখ করো। অচল সন্ধির সঙ্গে সাইনোভিয়াল সন্ধির পার্থক্য লেখো।
অস্থিসন্ধি –
কঙ্কালতন্ত্রের যেসব অংশে দুই বা তার বেশি সংখ্যক অস্থির প্রান্ত পরস্পর যুক্ত হয়, তাকে অস্থিসন্ধি বলা হয়।
অস্থিসন্ধির প্রকারভেদ –
অস্থিসন্ধি-সমূহকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা –
- অচল সন্ধি বা তন্তুময় সন্ধি।
- স্বল্প সচল সন্ধি বা তরুণাস্থিময় সন্ধি।
- সচল সন্ধি বা সাইনোভিয়াল সন্ধি।
অচল সন্ধি ও সাইনোভিয়াল সন্ধির পার্থক্য –
বিষয় | অচল সন্ধি | সচল সন্ধি বা সাইনোভিয়াল সন্ধি |
সঞ্চালনের প্রকৃতি | এই প্রকার সন্ধি অচল প্রকৃতির। | এই প্রকার সন্ধি সচল প্রকৃতির। |
তরুণাস্থির আস্তরণ | অনুপস্থিত। | উপস্থিত (সন্ধিস্থানের ওপরে আর্টিকিউলার তরুণাস্থির আস্তরণ থাকে)। |
সংযোজক বস্তু | কোলাজেন তন্তুর দ্বারা দুটি অস্থি পরস্পর যুক্ত। | লিগামেন্ট -এর মাধ্যমে অস্থি দুটি পরস্পর যুক্ত থাকে। |
প্রকোষ্ঠের উপস্থিতি | কোনো প্রকোষ্ঠ বা ফাঁকা স্থান থাকে না। | সাইনোভিয়াল প্রকোষ্ঠ উপস্থিত। |
সচল বা সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলতে কী বোঝায়? চিত্রসহ এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
অথবা, একটি আদর্শ সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধির চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
সচল বা সাইনোভিয়াল সন্ধি –
যেসব অস্থিসন্ধিতে সংশ্লিষ্ট অস্থিগলি সঞ্চালনশীল অর্থাৎ সহজে বিচলন ঘটে, সেই ধরনের অস্থিসন্ধিকে সচল অস্থিসন্ধি বলে। সাধারণত এই সন্ধিস্থলগুলি সাইনোভিয়াল তরল নামক একপ্রকার তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে, তাই এদের সাইনোভিয়াল সন্ধিও বলা হয়।
সচল বা সাইনোভিয়াল সন্ধির বর্ণনা –
- এইজাতীয় সন্ধিতে সংশ্লিষ্ট অস্থি দুটির প্রান্ত একটি লিগামেন্ট নামক সরু দড়ির মতো অংশ দিয়ে যুক্ত থাকে।
- এই অংশে সাইনোভিয়াল পর্দা নামে একটি পাতলা আবরণ থাকে।
- এই পর্দার অভ্যন্তরে, অস্থির প্রান্ত দুটির মধ্যবর্তী অংশে একটি গহ্বর থাকে যাকে সাইনোভিয়াল গহ্বর (synovial cavity) বলে।
- এই গহ্বর একপ্রকার তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে, যাকে সাইনোভিয়াল তরল (synovial fluid) বলে।
- সাইনোভিয়াল তরলের কাজগুলি হল –
- সংশ্লিষ্ট অস্থির প্রান্তের ঘর্ষণ-জনিত ক্ষয় রোধ করা,
- সংশ্লিষ্ট কলাকোশে পুষ্টিদ্রব্য সরবরাহ করা,
- অস্থি দুটির বিচলনে বা নড়াচড়ায় সহায়তা করা।
- এই সন্ধির প্রান্তে তরুণাস্থির আস্তরণ থাকে, যাকে আর্টিকিউলার তরুণাস্থি বলে।
- সচল সন্ধি নানা প্রকারের হতে পারে। গঠনের ওপর ভিত্তি করে প্রধানত চারপ্রকার সচল সন্ধি দেখা যায় কবজা সন্ধি, বল ও সকেট সন্ধি, কৌণিক সন্ধি ও পিভট সন্ধি।

কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধির অবস্থান, গঠনগত বৈশিষ্ট্য, সঞ্চালন এবং উদাহরণ লেখো।
কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধি –
যে সচল অস্থিসন্ধিতে সংযুক্ত অস্থি দুটির প্রান্ত দরজার কবজার মতো সংলগ্ন থাকে, তাদের কবজা বা কপাট অস্থি-সন্ধি বা হিঞ্জ জয়েন্ট বলা হয়। বিচলনে সক্ষম হওয়ায় কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধিকে সচল অস্থিসন্ধি বা সাইনোভিয়াল জয়েন্ট ও বলা হয়ে থাকে। এখানে প্রশ্নানুযায়ী এই অস্থিসন্ধির অবস্থান, গঠনগত বৈশিষ্ট্য, সঞ্চালন এবং উদাহরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধির অবস্থান –
এই ধরনের সন্ধি কনুইতে এবং হাঁটুতে দেখা যায়। কনুইতে হিউমেরাস ও রেডিয়াস-আলনা অস্থির মধ্যবর্তী অংশে এবং হাঁটুতে ফিমার ও টিবিয়া-ফিবিউলার মধ্যবর্তী অংশে এইজাতীয় অস্থিসন্ধি দেখা যায়।

কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধির গঠনগত বৈশিষ্ট্য –
- এইপ্রকার সন্ধিতে দুটি অস্থির প্রান্ত অনেকটা দরজার কবজার মতো বিন্যস্ত থাকে। এই কারণে একে কবজা সন্ধি বা হিঞ্জ জয়েন্ট বলা হয়।
- এক্ষেত্রে অস্থি কেবলমাত্র একটি অক্ষেই 180° -তে বিচলন করতে সক্ষম হয়।
কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধির সঞ্চালন –
সংশ্লিষ্ট অস্থি দুটি লিগামেন্ট দ্বারা যুক্ত থাকে এবং কেবলমাত্র একটি তল বরাবর বিচলন হয়। অর্থাৎ ফ্লেক্সন এবং এক্সটেনশন দেখা যায়।
কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধির উদাহরণ –
হিউমেরাস ও রেডিও আলনার সংযোগস্থল হল কবজা বা হিঞ্জ সন্ধির উদাহরণ।
বল ও সকেট অস্থিসন্ধির অবস্থান, গঠনগত বৈশিষ্ট্য, সঞ্চালন ও উদাহরণ লেখো।
বল ও সকেট অস্থিসন্ধি –
যে সচল অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোলাকার মস্তক অপর অস্থির কাপের মতো সকেটের মধ্যে সংলগ্ন হয়, তাকে বল ও সকেট সন্ধি বলে। বিচলনের সক্ষম হওয়ায় বল ও সকেট অস্থিসন্ধিকে সচল অস্থিসন্ধি বা সাইনোভিয়াল জয়েন্ট-ও বলা হয়ে থাকে। এখানে প্রশ্নানুযায়ী এই অস্থিসন্ধির অবস্থান, গঠনগত বৈশিষ্ট্য, সঞ্চালন এবং উদাহরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
বল ও সকেট অস্থিসন্ধির অবস্থান –
এইজাতীয় সন্ধি মানুষের কাঁধে ও কোমরে দেখা যায়। কাঁধে হিউমেরাস ও স্ক্যাপুলার মধ্যবর্তী অংশে এবং কোমরে বা নিতম্বে ফিমার ও শ্রোণিচক্রের মধ্যবর্তী অংশে এইজাতীয় অস্থিসন্ধি উপস্থিত।
বল ও সকেট অস্থিসন্ধির গঠনগত বৈশিষ্ট্য –
- এইজাতীয় অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোলাকার প্রান্ত অপর অস্থির খাঁজের মধ্যে অবস্থান করে।
- এই ধরনের গঠন-বিন্যাসের ফলে এই সন্ধিতে অস্থিগুলির সব অক্ষেই বিচলন ঘটতে পারে।

বল ও সকেট অস্থিসন্ধির সঞ্চালন –
এই অস্থিসন্ধিতে সংশ্লিষ্ট দীর্ঘ অস্থি এক্সটেশন, ফ্লেক্সন, অ্যাবডাকশন, অ্যাডাকশন, রোটেশন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার বিচলনে সক্ষম।
বল ও সকেট অস্থিসন্ধির উদাহরণ –
মানুষের শ্রোণিচক্রের অ্যাসিটাবুলাম গহ্বরের মধ্যে ফিমারের মস্তক অংশ প্রবিষ্ট থেকে এই ধরনের বল ও সকেট অস্থিসন্ধি গঠন করে। এক্ষেত্রে ফিমারের মস্তক বলের মতো এবং অ্যাসিটাবুলাম গহ্বর সকেটর মতো আচরণ করে।
মানুষের কঙ্কাল পেশির ক্ষেত্রে উল্লিখিত পেশি ক্রিয়াগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও – (1) ফ্লেক্সন (2) এক্সটেনশন (3) অ্যাবডাকশন (4) অ্যাডাকশন (5) রোটেশন।
মানুষের কয়েকটি কঙ্কাল পেশি ক্রিয়া –
পেশি ক্রিয়ার নাম | পেশির প্রকৃতি | ক্রিয়া | উদাহরণ |
ফ্লেক্সন | ফ্লেক্সর | অস্থিসংলগ্ন পেশিটি সংকুচিত হলে, পরপর অবস্থিত দুটি অস্থি ভাঁজ হয়ে পরস্পরের কাছাকাছি আসে। | বাইসেপস পেশির সংকোচনে কনুই ভাঁজ হয়। |
এক্সটেনশন | এক্সটেনসর | অস্থিসংলগ্ন পেশিটি সংকুচিত হলে, পরপর অবস্থিত দুটি অস্থি পরস্পরের থেকে দূরে সরে যায়। | ট্রাইসেপস পেশির সংকোচনে ভাঁজ করা হাত সোজা হয়। |
অ্যাবডাকশন | অ্যাবডাক্টর | এই অস্থি পেশির ক্রিয়ায় কোনো অঙ্গ দেহের মধ্যবর্তী অক্ষ থেকে দূরে সরে যায়। | ডেলটয়েড পেশির সংকোচন হাতকে দেহাক্ষ থেকে দূরে সরে যেতে সাহায্য করে। |
অ্যাডাকশন | অ্যাডাক্টর | এই অস্থি পেশির ক্রিয়ায় কোনো অঙ্গ দেহের মধ্যবর্তী অক্ষের কাছাকাছি আসে। | ল্যাটিসিমাস ডরসি পেশির সংকোচন হাতকে দেহাক্ষের কাছে নিয়ে আসে। |
রোটেশন | রোটেটর | পেশির ক্রিয়ায় কোনো অঙ্গ বা অস্থি অপর কোনো অঙ্গ বা অস্থির চারপাশে বৃত্তাকারে ঘুরতে পারে। | স্টারনোক্লিডোম্যাসটয়েড পেশি ঘাড়ের ঘূর্ণনে সাহায্য করে। |

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” অধ্যায়ের ‘প্রাণীদের সাড়াপ্রদানের একটি প্রকার হিসেবে গমন‘ বিভাগের রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন