হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা থেকে বাংলার গ্রামীণ সমাজ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থার কোন কোন দিক জানা যায়?

হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা হল ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষার একটি সংবাদপত্র যা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকাটি ১৮৬৫ সালে সীসির কুমার ঘোষ, একজন প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সাংবাদিক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা হিন্দু জাতির উন্নয়ন এবং স্বাধীনতার জন্য একটি উপযোগী মাধ্যম হিসাবে কাজ করে। এটি অধিকাংশ সময় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের উপর কেন্দ্রিত ছিল এবং স্বাধীনতার প্রচার এবং সংগ্রামে অভিনয় করে। এছাড়াও, এই পত্রিকায় সংস্কৃতি, সমাজ, পরিবেশ, রাজনীতি এবং বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটির বিষয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে প্রকাশ করা হতো।

হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা থেকে বাংলার গ্রামীণ সমাজ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থার কোন কোন দিক জানা যায়?

হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা থেকে বাংলার গ্রামীণ সমাজ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থা

হিন্দু প্যাট্রিয়ট নামক বাংলাদেশের একটি পত্রিকা বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বর্তমান অবস্থার উপর প্রতিবেদন প্রদান করে। এর প্রতিবেদন এই গোষ্ঠীদের সমস্যার উজ্জ্বলতা আনে এবং তাদের সঙ্কটগুলির দিকে লক্ষ্য আকর্ষণ করে।

ভূমিকা

উনিশ শতকের সমাজের বিভিন্ন দিকের বর্ণনা পাওয়া যায় সমকালীন সংবাদপত্র থেকে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ নামক ইংরেজি সংবাদপত্র। এটি থেকে গ্রামীণ সমাজ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কথা জানা যায়।

সমাজজীবন

সমাজজীবনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল –

কৃষিকাজ

গ্রামীণ সমাজে জমিদারদের উপস্থিতি থাকলেও কৃষকেরা আউশ ও আমন চাষের মাধ্যমে সারা বছরের খাদ্যশস্য জোগাড় করত। তবে নীলচাষের ব্যাপক প্রসার ঘটলে কৃষকেরা তাদের আউশ জমিতে নীলচাষ করতে বাধ্য হয়।

অলাভজনক নীলচাষ

কৃষকদের কাছে নীলচাষ ছিল অলাভজনক। তাই কৃষকরা নীলচাষে অসম্মতি জানায়। অবশ্য যে কৃষক একবার নীলকর সাহেবের কাছ থেকে নীলচাষের জন্য অগ্রিম অর্থ বা দাদন গ্রহণ করেছিল তাদের নীলচাষ থেকে অব্যাহতি ছিল না। শেষ পর্যন্ত নীলচাষিরা নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।

আদিবাসী বিদ্রোহ

‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ থেকে বাংলার আদিবাসী সমাজের কথা ও সাঁওতাল বিদ্রোহের কথাও জানা যায়। এই পত্রিকার মতে, জোরপূর্বক সাঁওতালদের বেগার খাটানো, অতিরিক্ত খাজনার দাবি ও অর্থনৈতিক শোষণই ছিল সাঁওতাল বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের অবস্থা

উনিশ শতকে খাদ্যশস্যের বদলে অর্থকরী ফসল (যেমন-পাট, তুলা, তৈলবীজ, আখ) চাষ ও তা বিদেশে রফতানির কারণে কৃষিপণ্য ও খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধি পেলে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া শিক্ষিত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়।

উপসংহার

হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় যেভাবে বাংলার সমাজব্যবস্থা প্রতিফলিত হয়েছিল তা মূলত জাতীয়তাবাদীর দৃষ্টিভঙ্গিতে ফুটিয়ে তোলা। এই পত্রিকার বক্তব্যেও ছিল। স্বদেশি মেজাজ।

Share via:

মন্তব্য করুন