আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাসের ষষ্ঠ অধ্যায়, ‘সাম্রাজ্য বিস্তার ও শাসন (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের প্রথম ভাগ)’ অধ্যায়ের অধ্যায় সারসংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ষষ্ঠ শ্রেণী পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আসতে দেখা যায়।
সাম্রাজ্য কী? সম্রাট কে?
সাম্রাজ্য হল একটি বৃহৎ অঞ্চল। যেমন একটি রাজ্যে কয়েক হাজার জনগণ থাকে তেমনি। কয়েক লক্ষ জনগণ নিয়ে একটি সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। তাহলে বলা যায়, অনেকগুলি রাজ্য জুড়ে তৈরি হয় সাম্রাজ্য। এই সাম্রাজ্য যিনি শাসন করেন তাকে সম্রাট বলা হয়। তাঁর সাম্রাজ্যে তিনিই প্রধান। মহিলা সম্রাটকে সম্রাজ্ঞী বলা হয়। রাজকীয় সম্মানের দিক থেকে সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী হলেন রাজাদেরও উপরে। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে রাজ্য জয় করে রাজারা তাদের অঞ্চল বড়ো করে এই বৃহৎ অঞ্চল পরিণত হয় সাম্রাজ্যে।
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম সাম্রাজ্য তৈরি হল কীভাবে?
তোমাদের আগে জানানো হয়েছে ষোলোটি মহাজনপদের কথা। একটি রাজ্য হল এক-একটি মহাজনপদ। মহাজনপদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল মগধ রাজ্য। এখানে তিনটি রাজবংশ শাসন করত। এই বংশের রাজারা ছিলেন ক্ষমতাবান। তাই মহাজনপদের বেশিরভাগ অঞ্চল তাঁরা অধিকার করে। শেষ পর্যন্ত মগধকে কেন্দ্র করেই ভারতে প্রথম সাম্রাজ্য তৈরি হয়। সেই সাম্রাজ্য হল মৌর্য সাম্রাজ্য।
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের কথা
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ছিলেন মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি চাণক্য নামে এক পণ্ডিতের সাহায্যে শেষ নন্দরাজা ধননন্দকে পরাজিত করে মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। পাটলিপুত্র ছিল চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজধানী।
মৌর্য সম্রাট অশোক
সম্রাট বিন্দুসারের পর তাঁর পুত্র অশোক রাজা হন। বিন্দুসারের সময় মৌর্য সাম্রাজ্যের বিস্তার তেমনভাবে ঘটেনি। সম্রাট অশোকের আমলে মৌর্য সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে। সারাজীবনে তিনি একটিমাত্র যুদ্ধ করেন, তা হল কলিঙ্গ যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ভয়াবহতার পর তিনি যুদ্ধ করা ছেড়ে দিয়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উপগুপ্তের নিকট বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেন। অশোকের আমলে সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে। তাঁর সাম্রাজ্য উত্তরে আফগানিস্তান থেকে দক্ষিণে কর্ণাটক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। অশোকের আমলেও মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র।
সাম্রাজ্য পরিচালনার নানা দিক
অশোক কলিঙ্গ রাজ্য জয় করার পর মৌর্য সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে। সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটানোয় যেমন মৌর্য শাসকরা মনোযোগী ছিলেন ঠিক তেমনি শাসন পরিচালনার ব্যাপারেও তারা যথেষ্ট আগ্রহী ছিলেন। রাজ্যশাসনের সমস্ত ক্ষমতার ঊর্ধ্বে ছিলেন স্বয়ং সম্রাট। বিচারব্যবস্থারও ঊর্ধ্বে থাকতেন সম্রাট নিজেই।
অমাত্য নামে রাজকর্মচারীদের সাহায্যে সম্রাট শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। এ ছাড়া মহামাত্র নামেও বিশেষ একশ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। তবে মৌর্য যুগে মন্ত্রীপরিষদ থাকলেও তাদের পরামর্শ সম্রাট মানতে বাধ্য ছিলেন না।
সাম্রাজ্য পরিচালনার জন্য দরকার ছিল সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনীতে ঘোড়া, রথ, হাতি, নৌকা প্রভৃতি ব্যবহার করা হত। এ ছাড়া ছিল পদাতিক বাহিনী, গুপ্তচর, রাজপুত্র প্রমুখ।
সাম্রাজ্য পরিচালনার জন্য সম্রাটরা প্রজাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের কর আদায় করতেন। মৌর্যরাই সর্বপ্রথম রাজস্ব ব্যবস্থা ঢেলে সাজান। চাষিরা ফসলের 1/6 ভাগ রাজস্ব হিসাবে দিত। কারিগর, ব্যবসায়ী, বণিক সবার থেকেই মৌর্য সম্রাট কর আদায় করতেন। বলি ও ভাগ দু-রকমের কর সেসময় চালু ছিল। রাজ্যশাসনের ক্ষেত্রে অশোকের ধম্মনীতি বিশেষ কার্যকর ছিল। তিনি সাম্রাজ্যের সর্বত্র ধন্মের বাণী পৌঁছে দেন।
মৌর্য শাসনের শেষ দিক, কুষাণ ও সাতবাহন শাসন
মৌর্য সম্রাট অশোকের মৃত্যুর পরই মৌর্য শাসনের ভিত দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে নানা বিদেশি জাতির পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারতে আগমন ঘটে। খ্রিস্টপূর্ব 187 অব্দ নাগাদ শেষ মৌর্য সম্রাট বৃহদ্রথকে হারিয়ে রাজা হলেন পুষ্যমিত্র শুঙ্গ।
এসময় ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাকট্রিয়ার গ্রিকরা ও শক-পহুবরা শাসন শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত কুষাণদের হাত ধরে মৌর্য সাম্রাজ্যের পর ভারতে আবার দীর্ঘস্থায়ী সাম্রাজ্যের উদ্ভব হয় যা হল কুষাণ সাম্রাজ্য।
কুষাণরা আসলে ছিল মধ্য এশিয়ার একটি যাযাবর জাতি। কুষাণ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রধান কৃতিত্ব ছিল কুজুল কদফিসেস-এর। তিনি কাবুল ও কাশ্মীর দখল করেছিলেন।
কুজুলের পরবর্তী রাজা হন বিম কদফিসেস। তিনিই ভারতে প্রথম সোনার মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন।
কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন বিমের পুত্র প্রথম কনিষ্ক। তিনি দীর্ঘ 23 বছর রাজত্ব করেন। তাঁর শাসক হওয়ার দিন থেকে (78 খ্রিস্টাব্দ) শকাব্দ গণনা শুরু হয়। গঙ্গা উপত্যকার বিরাট এলাকায় তাঁর শাসন ছড়িয়ে পড়েছিল। কুষাণদের প্রধান শাসনকেন্দ্র ছিল ব্যাকট্রিয়া বা বাহিক দেশ। প্রথম কনিষ্কের পরে বাসিষ্ক ও হুবিষ্ক রাজা হন। এরপর কুষাণ শাসনের অবনতি দেখা যায়।
দক্ষিণ ভারতে সাতবাহন সাম্রাজ্যের বিস্তার
মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর দক্ষিণ ভারতে সাতবাহন শাসন শুরু হয়। সাতবাহনদের প্রথম শাসক ছিলেন সিমুক। রাজা প্রথম সাতকর্ণি ছিলেন এই বংশের তৃতীয় রাজা। তাঁর আমলে সাতবাহনদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এসময় সাতবাহনদের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল পশ্চিম ভারতের শক-ক্ষত্রপরা। প্রথমদিকে যুদ্ধে শক শাসক নহপান জিতেছিলেন। কিন্তু সাতবাহনদের হারানো ক্ষমতা ফিরে আসে গৌতমীপুত্র সাতকর্ণির আমলে। শক-ক্ষত্রপদের সঙ্গেও সাতবাহনদের যুদ্ধ হয়েছিল।
ধীরে ধীরে দাক্ষিণাত্যে সাতবাহন শাসন শেষ হয়ে যায়। তার জায়গায় বেশ কয়েকটি ছোটো ছোটো রাজবংশের আবির্ভাব ঘটে।
কুষাণ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যের শাসন পদ্ধতি
কুষাণ সম্রাটরা নিজেদের দেবপুত্র বলে ঘোষণা করতেন। সম্রাট ও দেবতারা একগোত্রীয় বলে বোঝানোর জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হত। কুষাণ আমলে পিতা ও পুত্র একসঙ্গে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। শাসনব্যবস্থার সুবিধার জন্য সাম্রাজ্যকে কতকগুলি প্রদেশে ভাগ করা হত। সেই প্রদেশের শাসককে বলা হত ক্ষত্রপ।
সাতবাহন শাসনব্যবস্থায় প্রধান ভূমিকা ছিল রাজার। তিনি আবার সেনাবাহিনীরও প্রধান ছিলেন। কুষাণদের মতো সাতবাহন শাসকরাও শাসনকার্যের সুবিধার জন্য বড়ো অঞ্চলকে ছোটো ছোটো প্রদেশে ভাগ করেছিলেন। সাতবাহন শাসনে প্রদেশের দায়িত্বে ছিল অমাত্য নামে রাজকর্মচারীরা। এখানে বলি ও ভাগ দু-রকমের কর প্রচলিত ছিল। দুটি আমলেই বাণিজ্যিক উন্নতি ঘটেছিল। এখানে বাণিজ্যিক লেনদেনের ওপরেও কর আদায় করা হত। এ ছাড়াও মৌর্যদের মতোই কুষাণ ও সাতবাহন শাসকরা নুনের ওপরও কর ধার্য করেন।
এসময় রাজতান্ত্রিক শাসনের পাশাপাশি অরাজতান্ত্রিক গোষ্ঠীর শাসনও প্রচলিত ছিল। মধ্য ও পশ্চিম ভারতের কয়েকটি অঞ্চলে অরাজতান্ত্রিক গণসংঘগুলি টিকে ছিল।।
গুপ্ত সাম্রাজ্য
আনুমানিক 319-320 খ্রিস্টাব্দে গুপ্ত শাসন শুরু হয়। গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। তার সময় থেকে গুপ্তাব্দ গণনা শুরু হয়। মধ্যগঙ্গা উপত্যকাকে কেন্দ্র করে তাঁর শাসন শুরু হয়েছিল।
এরপর রাজা হন সমুদ্রগুপ্ত। তিনি ছিলেন গুপ্ত যুগের শ্রেষ্ঠ রাজা। তাঁর আমলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সীমানা বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি উত্তর ভারতের ন-জন শাসক ও দক্ষিণ ভারতের বারো জন, শাসককে পরাজিত করেন। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি করদ রাজ্যে পরিণত করেন।
সমুদ্রগুপ্তের পর তাঁর ছেলে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত রাজা হন। তিনি শক-ক্ষত্রপ শাসকদের যুদ্ধে পরাজিত করে ‘শকারি’ উপাধি নিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পর সম্রাট হন প্রথম কুমারগুপ্ত। তিনি সাম্রাজ্যে নানা রকম মুদ্রা চালু করেন।
এরপর সম্রাট হন স্কন্দগুপ্ত। তিনি হুন আক্রমণ প্রতিহত করেছিলেন তাই তাঁকে ‘ভারত রক্ষাকারী’ বলে অভিহিত করা হয়।
দাক্ষিণাত্যে বাকাটক শাসন প্রতিষ্ঠা
দাক্ষিণাত্যে বাকাটক শাসন শুরু হয় গুপ্ত আমলে। গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের কন্যা প্রভাবতী গুপ্তার সঙ্গে বাকাটক রাজা দ্বিতীয় রুদ্রসেনের বিয়ে হয়। ফলে দুই বংশের যোগসূত্র স্থাপন হয়। দ্বিতীয় রুদ্রসেন মারা যাওয়ার পর প্রভাবতী গুপ্ত শাসনকার্য পরিচালনার ভার নেন।
সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ ভারতে চালুক্য ও পল্লবরাই হয়ে উঠেছিল প্রধান শক্তি।
গুপ্ত ও বাকাটক প্রশাসন
এই সময়ের শাসনব্যবস্থা ছিল রাজতান্ত্রিক। এই শাসনব্যবস্থায় প্রধান ছিলেন স্বয়ং রাজা। তাঁরা নানা উপাধি গ্রহণ করতেন। গুপ্ত সম্রাটরাও নিজেদের দেবতার সঙ্গে তুলনা করতেন।
সম্রাটকে শাসনকার্যে সাহায্য করতেন নানা ধরনের কর্মচারী। গুপ্ত সাম্রাজ্য শাসনকাজের সুবিধার জন্য বেশ কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত ছিল, যাকে বলা হত ভুক্তি। আবার জেলাগুলিকে বলা হত বিষয়। গুপ্ত ও বাকাটক উভয় শাসনেই পুরো শাসনব্যবস্থা কয়েকটি স্তরে বিভক্ত ছিল। জেলা ও গ্রামস্তরের শাসনব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
গুপ্তদের পর উত্তর ভারতের পরিস্থিতি
খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে গুপ্তদের ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকে। এক-একটি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে আঞ্চলিক রাজ্য।
পুষ্যভূতিদের রাজ্য তথা হর্ষবর্ধনের শাসন
গুপ্তদের পর থানেশ্বরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে পুষ্যভূতি বংশের শাসন। প্রভাকরবর্ধনের আমল থেকে এই বংশের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। তাঁর পর রাজা হন তাঁর পুত্র রাজ্যবর্ধন। তিনি শশাঙ্কের হাতে মারা যান, এরপর থানেশ্বর ও কনৌজের রাজা হন প্রভাকরবর্ধনের কনিষ্ঠ পুত্র হর্ষবর্ধন। তাঁর সময় থেকে হর্ষাব্দ গণনা শুরু হয়। তাঁর উপাধি ছিল ‘মগধরাজ’। তিনি সকলোত্তরপথনাথ নামে পরিচিত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ‘শিলাদিত্য’ উপাধি নিয়েছিলেন। অনেক সামরিক অভিযান করেও হর্ষবর্ধন সফল হননি। হর্ষবর্ধনের আমলের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থায় গুপ্ত শাসনের কাঠামো লক্ষ করা যায়। প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি বিষয় বা জেলায় বিভক্ত ছিল। শাসনব্যবস্থার সর্বনিম্নস্তরে ছিল গ্রামগুলি। প্রদেশ – গুলি শাসন করতেন সামন্তরাজা বা রাজার প্রতিনিধি। হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর পুষ্যভূতি বংশের শাসন লোপ পায়।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাসের ষষ্ঠ অধ্যায়, “সাম্রাজ্য বিস্তার ও শাসন (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের প্রথম ভাগ)” অধ্যায়ের অধ্যায় সারসংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় আসে। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ!