আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাসের নবম অধ্যায়, ‘ভারত ও সমকালীন বহির্বিশ্ব (খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত)’ অধ্যায়ের কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্যও সহায়ক। কারণ ষষ্ঠ শ্রেণী এবং চাকরির পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আসতে দেখা যায়।
কোন্ কোন্ নদীর মাঝখানে মেসোপটেমিয়া সভ্যতা গড়ে ওঠে?
টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মাঝখানে মেসোপটেমিয়া সভ্যতা গড়ে ওঠে।
মিশর দেশের অবস্থান নির্ণয় করো।
মিশরের উত্তরে ভূমধ্যসাগর, পশ্চিমে সাহারা মরুভূমি, পূর্বদিকে আরব মরুভূমি এবং দক্ষিণে লোহিত সাগর অবস্থিত।
মিশরকে ‘নীলনদের দান’ বলা হয় কেন?
প্রত্যেক বছর নীলনদের বন্যায় দু-পাশের জমি পলিমাটি দ্বারা উর্বর হয়ে ওঠে যা চাষের পক্ষে খুবই ভালো। তাই চাষ ও খাদ্যের প্রয়োজনে প্রাচীন মিশরীয়গণ এখানে বসতি গড়ে তোলে। এজন্য ঐতিহাসিক হেরোডোটাস মিশরকে ‘নীলনদের দান’ বলেছেন।
মিশরের শাসকদের কী বলা হত? তাদের মৃতদেহ রাখার জন্য কী বানানো হত?
মিশরের শাসকদের ফ্যারাও বলা হত। তাদের মৃতদেহ রাখার জন্য পিরামিড বানানো হত।
পিরামিড কোথায় দেখতে পাওয়া যায়? এগুলি কেন গড়ে তোলা হয়? অথবা, পিরামিড কী?
পিরামিড মিশর (বর্তমান ইজিপ্ট) দেশে দেখতে পাওয়া যায়। পিরামিডগুলিতে ফ্যারাও ও তাদের নিকটাত্মীয়দের মমি করে রাখা হত। তাদের বিশ্বাস ছিল মৃত্যুর পরও মানুষের আর একটি জীবন আছে। মিশরবাসী তাই মৃতদেহকে পিরামিডে রাখত।
জেনে রাখো – মিশারের গিজা শহরে অবস্থিত পাথরের মূর্তি। এর মুখায়বটি হল মানুষের আর দেহের বাকি অংশটির আকৃতি হল সিংহের। এটি স্ফিংস নামে পরিচিত।
মমি কী?
প্রাচীনকালে মিশরবাসী শবদেহগুলি ওষুধ মাখিয়ে ও কাপড় জড়িয়ে কবর দিত। এই সংরক্ষিত শবদেহ গুলিকেই বলা হয় মমি।
কারা এবং কী উদ্দেশ্যে পিরামিড বানিয়েছিলেন?
মিশরের শাসক ফ্যারাওরা তাঁদের মৃতদেহ রাখার জন্য পিরামিড বানিয়ে ছিলেন।
মিশরীয়দের মানুষের মৃত্যু সম্পর্কে কী ধারণা ছিল?
মিশরীয়রা বিশ্বাস করত, মৃত্যুর পর আত্মা দেহের মধ্যেই থাকে। তাদের বিশ্বাস ছিল মানুষের মৃত্যুর পর তার সব শেষ হয়ে যায় না। এরপরও তার আর একটি জীবন আছে।
কে, কবে মিশরীয় চিত্রলিপি পাঠোদ্ধার করেন?
1920 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি পণ্ডিত শাঁ পোলিয়ে মিশরীয় লিপি পাঠোদ্ধার করেন।
বিখ্যাত দুজন পারসিক সম্রাটের নাম লেখো।
বিখ্যাত দুজন পারসিক সম্রাট হলেন – কুরুষ ও প্রথম দরায়বৌষ বা দরায়ুষ।
ভারতীয় উপমহাদেশের সভ্যতাগুলির সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার যোগাযোগের দুটি মাধ্যমের উল্লেখ করো।
ভারতীয় উপমহাদেশের সভ্যতাগুলির সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার যোগাযোগের দুটি মাধ্যম হল – ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গিরিপথ ও সমুদ্রপথ।
কোন্ কোন্ নদীর তীরে প্রাচীন চিন সভ্যতা গড়ে ওঠে?
হোয়াংহো ও ইয়াংসিকিয়াং নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠে প্রাচীন চিন সভ্যতা।
গ্রিসের দুজন ঐতিহাসিকের নাম লেখো।
গ্রিসের দুজন ঐতিহাসিকের নাম হল – হেরোডোটাস ও থুকিডাইডিস বা থুকিদিদিস।
সুমেরের লিপি ও মিশরের লিপির মধ্যে পার্থক্য কী?
সুমেরের লিপি ও মিশরের লিপির মধ্যে পার্থক্যগুলি হল –
সুমেরের লিপি | মিশরের লিপি |
সুমেরদের লিপিকে বলা হয় কীলকাকৃতি লিপি। | মিশরের লিপিকে বলা হয় হায়ারোগ্লিফ লিপি। |
এই লিপি লেখা হত মাটির টালির ওপর নলখাগড়ার কলম দিয়ে। | এগুলি মন্দির ও রাজপ্রাসাদের দেয়ালে এবং প্যাপিরাসের ওপর লেখা হত। |
সুমেরদের লিপি দেখতে ছিল তিরের ফলার মতো। | এগুলি ছিল চিত্রলিপি। |
কে, কেন চিনের প্রাচীর তৈরি করেন?
চৌ রাজাদের রাজত্বকালে চিনের সামনে একটি বড়ো বিপদ ছিল হুন জাতির আক্রমণ। তাই দেশের নিরাপত্তার জন্য চৌরাজ শি-হুয়াং-তি চিনের সীমানা বরাবর অনেকগুলি দূর্গ দিয়ে যুক্ত সুদীর্ঘ একটি পাথরের প্রাচীর নির্মাণ করেন।
জেনে রাখো – চিনের প্রাচীর নির্মাণ করেন চৌরাজ শি হুয়াং তি। এই প্রাচীরটি পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম। একমাত্র চাঁদ থেকে এই প্রাচীরকে লক্ষ করা যায়।
কনফুসিয়াস কে ছিলেন? তিনি কী প্রচার করেন?
কনফুসিয়াস ছিলেন চিনের বিখ্যাত দার্শনিক। তিনি প্রচার করেন –
- সৎ জীবনযাপন করো
- ধর্মকর্ম করার জন্য সংসার ত্যাগ করার দরকার নেই
- গুরুজন ও পিতা-মাতাকে ভক্তি করো।
‘পলিস’ বা ‘নগর-রাষ্ট্র’ বলতে কী বোঝায়? দুটি নগর-রাষ্ট্রের নাম লেখো।
পাহাড়ে ঘেরা গ্রিসে অনেকগুলি ছোটো ছোটো রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল। সেগুলিকে বলা হত ‘পলিস’ বা ‘নগর- রাষ্ট্র’। দুটি বিখ্যাত নগর-রাষ্ট্রের নাম হল – এথেন্স ও স্পার্টা।
ব্যাকট্রীয়-গ্রিক শাসক কাদের বলা হত?
বর্তমান আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বা ব্যাকট্রিয়া খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের শেষার্ধে গ্রিক শাসক সেলিউকাসের অধীনস্থ ছিল। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল, গন্ধারের তক্ষশিলা পর্যন্ত ব্যাকট্রিয়ার গ্রিক শাসন ছিল। উপমহাদেশের এই গ্রিক শাসকদের বলা হত ব্যাকট্রীয় গ্রিক বা ইন্দো-গ্রিক শাসক।
জান কি? – প্রাচীন ভারতে গ্রিকদের যবন বলা হত। এই যবন শব্দ থেকেই যবনিকা বা পর্দা কথাটি এসেছে।
স্যাট্রাপ বা ক্ষত্রপ কাদের বলা হত?
অথরা, স্যাট্রাপি বলতে কী বোঝো?
পারসিক হখামনীষীয় শাসকরা প্রদেশ শাসন করার জন্য স্যাট্রাপদের নিয়োগ করতেন, এদেরকেই বলা হত স্যাট্রাপ বা ক্ষত্রপ। এই প্রদেশগুলিকেই পারসিক ভাষায় বলা হত স্যাট্রাপি।
অশোক বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য কোন্ কোন্ দেশে দূত পাঠিয়েছিলেন?
সিরিয়া, মিশর, ম্যাসিডন, সিংহল প্রভৃতি দেশে অশোক বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য দূত পাঠিয়েছিলেন।
পহ্লব কাদের বলা হত?
খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকের গোড়ায় ইরান থেকে পার্থীয়রা। এই উপমহাদেশে চলে আসে। পার্থীয়রাই উপমহাদেশে পহ্লব নামে পরিচিত ছিল। এই বংশের উল্লেখযোগ্য রাজা ছিলেন গন্ডোফারনেস।
পঞ্চম শতকের শেষ ও ষষ্ঠ শতকের গোড়ায় শক্তিশালী হুনদের নেতা কে ছিলেন? তাঁর ছেলের নাম কী?
অথবা, ভারত আক্রমণকারী দুজন তুন নেতার নাম লেখো।
পঞ্চম শতকের শেষ ও ষষ্ঠ শতকের গোড়ায় শক্তিশালী হুনদের নেতা ছিলেন তোরমান। তাঁর ছেলের নাম ছিল মিহিরকুল।
রেশমপথ নাম হয় কেন?
কুষাণ যুগে যে সব পথ দিয়ে বাণিজ্যপণ্য নিয়ে যাওয়া হত সেসব বাণিজ্যিক পণ্যের মধ্যে প্রধান ছিল চিনের রেশম। তাই এই পথকে বলা হয় রেশমপথ।
মৌর্য দরবারে আসা দুজন গ্রিক দূতের নাম কী?
মৌর্য দরবারে আসা দুজন গ্রিক দূত হলেন – মেগাস্থিনিস ও ডায়ামাকাস।
মেগাস্থিনিস কার দূত হিসেবে ভারতে এসেছিলেন? সে সময় ভারতে কোন্ সম্রাট রাজত্ব করতেন?
গ্রিক শাসক সেলিউকাসের দূত হিসেবে মেগাস্থিনিস ভারতে এসেছিলেন। সে সময় ভারতে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য রাজত্ব করতেন।
কোন্ সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের কোন্ দিকে হুন আক্রমণ হয়েছিল? কে এই আক্রমণ প্রতিহত করেন তাঁর পিতার নাম কী?
আনুমানিক 458 খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে হুন আক্রমণ হয়েছিল। এই আক্রমণ প্রতিহত করেন গুপ্তরাজ স্কন্দগুপ্ত। স্কন্দগুপ্তের পিতার নাম প্রথম কুমারগুপ্ত।
জেনে রাখো – ভারতে খুন আক্রমণের সময় গুর্জর বলে একটি জাতি ভারতে আসে। তারাই ভারতের পশ্চিমাংশে গুর্জর বংশ বলে-একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে। এই গুর্জর কথা থেকেই এসেছে গুর্জরা বা গুজরাট শব্দটি।
ইরিথ্রিয়ান সাগর কাকে বলা হত?
ভারত মহাসাগর, লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগরকে প্রাচীন গ্রিক ও রোমান ভূগোলে ইরিথ্রিয়ান সাগর বলা হত।
প্রাচীন ভারতবর্ষের দুটি বন্দরের নাম লেখো।
প্রাচীন ভারতবর্ষের দুটি বন্দরের নাম হল – ভূগুকচ্ছ ও তাম্রলিপ্ত।
হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে কোন্ চিনা বৌদ্ধপন্ডিত ভারতে এসেছিলেন? তিনি কার কাছে পড়াশোনা করেছিলেন?
হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে চিনা বৌদ্ধপণ্ডিত সুয়ান জাং ভারতে এসেছিলেন। তিনি নালন্দা মহাবিহারে পন্ডিত শীলভদ্রের কাছে পড়াশোনা করেছিলেন।
সেক বা শক কাদের বলা হয়?
খ্রিস্টপূর্ব 130 অব্দ নাগাদ মধ্য এশিয়ার যাযাবর গোষ্ঠীর আক্রমণে ব্যাকট্রিয়ার গ্রিক শাসনের সমাপ্তি ঘটে। স্কাইথীয়রা ছিল এই গোষ্ঠীর প্রধান। উপমহাদেশে এরাই সেক বা শক নামে পরিচিত ছিল।
খরোষ্ঠী লিপি – এর দুটি বৈশিষ্ট্য কী?
খরোষ্ঠী লিপি -এর দুটি বৈশিষ্ট্য হল –
- আরামীয় লিপি থেকে এই লিপির সৃষ্টি
- এই লিপি ডানদিক থেকে বামদিকে লেখা হত।
বুদ্ধযশ কে? পড়াশোনা শেষে তিনি কোথায় চলে যান?
বুদ্ধযশ ছিলেন কাশ্মীরি বৌদ্ধ পণ্ডিত। পড়াশোনা শেষে তিনি মধ্য এশিয়ার কাশগড়ে চলে যান।
কুমারজীব কে ছিলেন?
কুমারজীব ছিলেন বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধদর্শনের প্রচারক। তিনি সংস্কৃত ও চিনা উভয় ভাষাতেই পারদর্শী ছিলেন। বৌদ্ধধর্ম বিষয়ক পড়াশোনাতেই তিনি তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন।
ফাসিয়ান কবে ভারতে আসেন? তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম কী?
399 খ্রিস্টাব্দে ফাসিয়ান ভারতে আসেন। তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম ফো-কুয়ো-কি।
ভারতীয় উপমহাদেশের সভ্যতাগুলির সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার যোগাযোগের দুটি মাধ্যম ব্যাখ্যা করো।
ভারতীয় উপমহাদেশের সভ্যতাগুলির সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার যোগাযোগের দুটি মাধ্যম বা উপায় ছিল –
- অর্থনৈতিক সূত্র – এই সূত্রটি ছিল রেশম পথ। এই রেশম পথ ধরেই চিনের রেশম ভারতবর্ষ হয়ে মধ্য এশিয়া হয়ে রোমে পৌঁছাত।
- সাংস্কৃতিক সূত্র – বিদেশি জাতিগুলি (শক, পহ্লব, গ্রিক) ভারতে আসার ফলে ভারতীয়রা তাদের সভ্যতা-সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়। তাদের কাছ থেকে পোশাক, অস্ত্র, জুতো প্রভৃতির ব্যবহার শেখে। যেমন, ভারতীয়রা কুষাণদের কাছ থেকে জোব্বা ও গামবুট পরতে শিখেছিল।
পারসিক সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা এলাকাগুলিতে কোন্ কোন ভাষা ও লিপির প্রচলন ছিল? এই লিপি থেকে কোন ভারতীয় লিপি তৈরি হয়?
পারসিক সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা এলাকাগুলিতে (উত্তর-পশ্চিম অংশ) সাধারণত আরামীয় ভাষা ও লিপি চলত। আরামীয় লিপি থেকে খুব সম্ভবত খরোষ্ঠী লিপি তৈরি। হয়। এই লিপির ব্যবহার করেছিল সম্রাট অশোক।
পার্সিপোলিস নগরীর ধ্বংস ভারতীয় স্থাপত্য শিল্পে কী প্রভাব ফেলেছিল?
অথবা, এই নগরী কে ধ্বংস করেছিলেন? এর ফল কী হয়েছিল?
গ্রিক বীর আলোকজান্ডার পার্সিপোলিস নগরী ধ্বংস করেছিলেন। এর ফলে পারসিক শিল্পীদের অনেকেই বাধ্য হয়ে ভারতবর্ষে চলে আসেন। তাদের হাত ধরেই ভারতে ইন্দো-পারসিক স্থাপত্যশিল্পের উদ্ভব হয়।
মেসোপটেমিয়া নামটি কারা দেয়? এর অর্থ কী?
মেসোপটেমিয়া নামটি দেয় গ্রিকরা (হেরোডোটাস)। এর অর্থ দুই নদীর মধ্যবর্তী দেশ।
প্রাচীন বিশ্বের দুটি সভ্যতার নাম লেখো।
প্রাচীন বিশ্বের দুটি সভ্যতার নাম হল –
- মিশরের মিশরীয় সভ্যতা।
- মেসোপটেমিয়ায় সুমেরীয় সভ্যতা।
মেসোপটেমিয়ায় কোন্ কোন্ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল?
মেসোপটেমিয়ায় গড়ে উঠেছিল সুমেরীয় ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতা।
হায়ারোগ্লিফিক লিপি কী?
প্রাচীন মিশরের লিপিকে বলা হত হায়ারোগ্লিফিক লিপি। এগুলি একধরনের চিত্রলিপি। গ্রিক ভাষায় এর অর্থ পবিত্র লিপি। মিশরীয়রা একটি বিশেষ বস্তু বোঝাতে চিত্র ব্যবহার করত। যেমন, সূর্য বোঝাতে তারা একটি বৃত্ত আঁকত।
নদীমাতৃক সভ্যতা কাকে বলে?
নদীকে কেন্দ্র করে যে সভ্যতা গড়ে ওঠে তাকেই বলে নদীমাতৃক সভ্যতা। প্রাচীনকালে নানা সুযোগসুবিধার কারণে এই সভ্যতাগুলি গড়ে উঠত। যেমনটা গড়ে উঠেছিল মিশরীয় সভ্যতা, হরপ্পা সভ্যতা ইত্যাদি।
পঞ্চম শতকের শেষ ও ষষ্ঠ শতকের গোড়ায় শক্তিশালী হুন নেতা কে ছিলেন? তাঁর ছেলের নাম কী?
পঞ্চম শতকের শেষ ও ষষ্ঠ শতকের গোড়ায় শক্তিশালী হুন নেতা ছিলেন তোরমান। তাঁর ছেলে ছিলেন মিহিরকুল।
কোন্ গুপ্ত সম্রাটকে ‘ভারতের রক্ষাকারী’ বলা হত? কেন?
গুপ্ত সম্রাট স্কন্দগুপ্তকে ভারতের রক্ষাকারী বলা হয়। কারণ তাঁর আমলে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ভারতে বারংবার হুন (তোরমান ও মিহিরকুলের নেতৃত্বে) আক্রমণ হয়। স্কন্দগুপ্ত সাফল্যের সঙ্গে সেই আক্রমণ মোকাবিলা করেন। ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়। এ কারণে তাঁকে ভারতের রক্ষাকারী বলা হয়। তাঁকে এই উপাধি দিয়েছেন ঐতিহাসিক আর সি মজুমদার।
কোন্ সম্রাট উপমহাদেশের বাইরে বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেছিলেন? কোন্ সম্রাটের সময়ে চিনের সঙ্গে দূত বিনিময় হয়েছিল?
সম্রাট অশোক ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেছিলেন। সম্রাট হর্ষবর্ধনের সময় চিনের সঙ্গে কনৌজের দূত বিনিময় হয়।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাসের নবম অধ্যায়, “ভারত ও সমকালীন বহির্বিশ্ব (খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত)” অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সহায়ক হবে, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় আসে। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ!