আদর্শ হিমবাহ তৈরির পদ্ধতিটি লেখো

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে আদর্শ হিমবাহ তৈরির পদ্ধতি এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আদর্শ হিমবাহ তৈরির পদ্ধতি প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

আদর্শ হিমবাহ হলো এমন একটি হিমবাহ যা হিমবাহ গঠনের সকল ধাপ ও বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।

আদর্শ হিমবাহ তৈরির পদ্ধতিটি লেখো

আদর্শ হিমবাহের বৈশিষ্ট্য

  • উৎপত্তি স্থল: উচ্চ পর্বতমালার তুষারময় অঞ্চলে এর উৎপত্তি হয়।
  • আকৃতি: উপরের দিকে চওড়া এবং নীচের দিকে সরু হওয়া ‘U’ আকৃতির উপত্যকা।
  • প্রবাহ: হিমবাহের বরফ ধীরে ধীরে নিচের দিকে প্রবাহিত হয়।
  • গ্রাবরেখা: হিমবাহের বরফ পাথর ও ধ্বংসাবশেষ বহন করে যা গ্রাবরেখা তৈরি করে।
  • হিমবাহ হ্রদ: হিমবাহের গলিত জল হিমবাহ হ্রদ তৈরি করে।
  • বরফের গঠন: বরফের বিভিন্ন স্তর ও স্তূপ থাকে।
  • জলবায়ু: হিমবাহ অঞ্চলে শীতল জলবায়ু বিরাজ করে।

আদর্শ হিমবাহ তৈরির পদ্ধতিটি লেখো।

হিমবাহ তৈরির পদ্ধতিটি বেশ জটিল। কয়েকটি ধাপের মধ্যে দিয়ে এই হিমবাহ তৈরি হয়।

  • উর্ধ্বপাতন – এই পদ্ধতিতে বরফ প্রত্যক্ষভাবে জলীয়বাষ্পে পরিণত হয়।
  • পুনর্কেলাসীভবন – ছোটো ছোটো কেলাস ভেঙে বড়ো কেলাসে রূপান্তরের মাধ্যমে তুষার থেকে বরফে পরিণত হয়।
  • গলন – বরফ গলে জল এবং জল জমে পুনরায় বরফে পরিণত হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমেই হিমবাহ গঠনের কাজ সম্পূর্ণ হতে থাকে।
  • রেজেলেশান – চাপের কারণে বরফ গলে জলে পরিণত হয় এবং চাপ হ্রাস পেয়ে আবার বরফ জমাটবাঁধে। এর ফলে বরফের অভ্যন্তরীণ গঠনের পরিবর্তন হয় যা হিমবাহ সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
  • সংবদ্ধতা – আরও বেশি তুষারপাতের কারণে নীচের স্তর ওপরের স্তরের চাপে আরও সংঘবদ্ধ হয়ে কঠিন ও ঘন বরফের সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন – ক্রেভাস ও বার্গস্রুন্ড কীভাবে তৈরি হয়?

আদর্শ হিমবাহ তৈরির পদ্ধতিটি বেশ জটিল হলেও, এটি দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই আর্টিকেলে, আমরা এই পদ্ধতিটি ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি, এবং আমরা আশা করি যে এটি আপনাদের এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - বিষয়সংক্ষেপ

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – বিষয়সংক্ষেপ

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – বিষয়সংক্ষেপ

চৌরিচৌরার ঘটনা কী? অসহযোগ আন্দোলনে চৌরিচৌরা ঘটনার গুরুত্ব

তেলেঙ্গানা আন্দোলন সম্পর্কে টীকা লেখো।