এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “আজাদ কাশ্মীর বলতে কী বোঝো? কাশ্মীর সমস্যা বলতে কী বোঝো?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “আজাদ কাশ্মীর বলতে কী বোঝো? কাশ্মীর সমস্যা বলতে কী বোঝো?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

আজাদ কাশ্মীর বলতে কী বোঝো?
1947 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে পাক হানাদার বাহিনী কাশ্মীর আক্রমন করলে কাশ্মীরের তদানীন্তন মহারাজা হরি সিং আত্মরক্ষার্থে ভারতরাষ্ট্রে যোগদান করেন। এরপরই সামরিক অভিযান চালিয়ে ভারত কাশ্মীরের দুই-তৃতীয়াংশ শত্রু মুক্ত করে এবং জাতিপুঞ্জের হস্তক্ষেপে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়। যুদ্ধবিরতি রেখা বরাবর কাশ্মীর দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘আজাদ কাশ্মীর’ নামে একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
কাশ্মীর সমস্যা বলতে কী বোঝো?
ভারতের স্বাধীনতা আইন পাশ হওয়ার পর দেশীয় রাজ্য কাশ্মীর তার স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রেখেছিল। কিন্তু 1947 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে পাক হানাদার বাহিনী কাশ্মীর আক্রমণ করলে কাশ্মীরের তৎকালীন মহারাজা হরি সিং আত্মরক্ষার্থে, ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন। এরপরই সামরিক অভিযান চালিয়ে ভারত কাশ্মীরের দুই-তৃতীয়াংশ শত্রু মুক্ত করে ও যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়। যুদ্ধবিরতি রেখা বরাবর কাশ্মীর দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘আজাদ কাশ্মীর’ নামে একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এইভাবে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তা ‘কাশ্মীর সমস্যা’ নামে পরিচিত।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
আজাদ কাশ্মীর কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
1947 সালের অক্টোবরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও উপজাতীয় গোষ্ঠী কাশ্মীর আক্রমণ করলে, মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরের দুই-তৃতীয়াংশ মুক্ত করে, কিন্তু জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয় এবং কাশ্মীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত অংশে “আজাদ কাশ্মীর” নামে একটি সরকার গঠিত হয়।
কাশ্মীর সমস্যা কী?
কাশ্মীর সমস্যা হল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে বিরোধ। 1947 সালে ভারতভুক্তির পর পাকিস্তান কাশ্মীর দখলের চেষ্টা করে, ফলে যুদ্ধ হয় এবং কাশ্মীর বিভক্ত হয়ে যায়। এই অমিমাংসিত ইস্যুই “কাশ্মীর সমস্যা” নামে পরিচিত।
কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং কেন ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হন?
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কাশ্মীর আক্রমণ করলে মহারাজা হরি সিং আত্মরক্ষার্থে ভারতের সাহায্য চান এবং 26 অক্টোবর, 1947 সালে ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন।
যুদ্ধবিরতি রেখা (LoC) কী?
1949 সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীরকে বিভক্তকারী সীমানা রেখাকে “যুদ্ধবিরতি রেখা” (Line of Control, LoC) বলা হয়। এটি আজাদ কাশ্মীর ও ভারতীয় কাশ্মীরকে আলাদা করে।
আজাদ কাশ্মীর কি সত্যিই স্বাধীন?
না, আজাদ কাশ্মীর আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, তবে এটি পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র নয়।
কাশ্মীর সমস্যার সমাধান কী হতে পারে?
এই সমস্যার সমাধান এখনও অমিমাংসিত। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা, জাতিসংঘের মধ্যস্থতা বা কাশ্মীরবাসীর মতামত নেওয়ার মতো বিভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে, কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয়নি।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “আজাদ কাশ্মীর বলতে কী বোঝো? কাশ্মীর সমস্যা বলতে কী বোঝো?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “আজাদ কাশ্মীর বলতে কী বোঝো? কাশ্মীর সমস্যা বলতে কী বোঝো?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন