আমার বিরুদ্ধে চার্জগুলো স্পষ্ট করে চিঠিতে বলা নেই। – কে, কখন মন্তব্যটি করেন? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি কী ছিল?

“আমার বিরুদ্ধে চার্জগুলো স্পষ্ট করে চিঠিতে বলা নেই।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “আমার বিরুদ্ধে চার্জগুলো স্পষ্ট করে চিঠিতে বলা নেই।’ -কে, কখন মন্তব্যটি করেন? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি কী ছিল?”এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

উপন্যাসের সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ ওরফে ক্ষিদ্দা জুপিটার সুইমিং ক্লাবের মিটিংয়ে তীব্র আপত্তি জানান। ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্রে বলা হয় যে তিনি একজন সিনিয়র সাঁতারুকে জুনিয়ারদের সামনে অপমান করেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে অনুশীলনে আসতে না পারায় এক জন সাঁতারুর বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে অপমান করে এসেছেন, এবং ক্লাবের কৃতী মহিলা সাঁতারুদের অন্য ক্লাবে চলে যেতে বাধ্য করেছেন। ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয় যে তিনি পুরুষদের মতোই মহিলা সাঁতারুদেরও এক্সারসাইজ করাতে চেয়েছেন, তাদের সাজপোশাক নিয়ে বকাঝকা করেছেন, এমনকি জোর করে তাদের চুলও কেটে দিতে চেয়েছেন।

ক্ষিতীশ এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন এবং বলেন যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। তিনি বলেন যে তিনি সবসময় সাঁতারুদের সর্বোচ্চ স্বার্থে কাজ করেছেন এবং তাদের উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।

মিটিংয়ে উপস্থিত সদস্যরা ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করেন এবং তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন। কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার পর ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়।

আমার বিরুদ্ধে চার্জগুলো স্পষ্ট করে চিঠিতে বলা নেই। - কে, কখন মন্তব্যটি করেন? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি কী ছিল?

“আমার বিরুদ্ধে চার্জগুলো স্পষ্ট করে চিঠিতে বলা নেই।” – কে, কখন মন্তব্যটি করেন? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি কী ছিল?

বক্তা – প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন কোনি উপন্যাসের সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ ওরফে ক্ষিদ্দা।

আলোচ্য মন্তব্যের প্রেক্ষিত – আলোচ্য জুপিটার সুইমিং ক্লাবের মিটিংয়ে সম্পাদক ধীরেন ঘোষ বলেন যে, সেদিনের সভায় বেশি সময় লাগার মতো কিছু নেই, কারণ একমাত্র আলোচ্য বিষয় সাঁতারুদের দেওয়া চিঠি। সেটি আসলে ছিল সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র। সেই চিঠিটি যেহেতু আগে থেকেই সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে, ফলে নতুন করে বিশেষ কিছু বলার নেই। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য এই সময়ে ক্ষিতীশ তীব্র আপত্তি জানান এবং আলোচ্য মন্তব্যটি করেন।

অভিযোগসমূহ – ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে সাঁতারুদের আনা অভিযোগের মূল বিষয়গুলি হল –

  • সিনিয়র সাঁতারুকে অপমান – ক্ষিতীশ একজন সিনিয়র সাঁতারুকে জুনিয়ারদের সামনে অপমান করেছেন।
  • সাঁতারুর বাবাকে অপমান – ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে দশ দিন অনুশীলনে আসতে না পারায় এক জন সাঁতারুর বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে অপমান করে এসেছেন ক্ষিতীশ।
  • কৃতী সাঁতারুদের ক্লাব পরিবর্তন – ক্ষিতীশের জন্যই ক্লাবের কৃতী মহিলা সাঁতারুরা অন্য ক্লাবে চলে গিয়েছে।
  • মহিলা সাঁতারুদের প্রতি চাপসৃষ্টি – ক্ষিতীশ পুরুষদের মতোই মহিলা সাঁতারুদেরও এক্সারসাইজ করাতে চেয়েছেন, সাজপোশাক নিয়ে বকাঝকা করেছেন, এমনকি জোর করে তাদের চুলও কেটে দিতে চেয়েছেন।
  • শেষের কথা – অভিযোগের এই দীর্ঘ তালিকাই সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের বিরুদ্ধে পেশ করা হয়।

আরও পড়ুন, আপনার মন হুকুম করতে জানে না তাই শরীর পারল না। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই উক্তির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে, এটা স্পষ্ট যে ক্ষিতীশ সিংহ, ওরফে ক্ষিদ্দা, জুপিটার সুইমিং ক্লাবের সাঁতার প্রশিক্ষক হিসেবে বেশ কিছু বিতর্কিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সিনিয়র সাঁতারুদের অপমান, অনুশীলনে অনুপস্থিতির জন্য অভিভাবকদের প্রতি অমার্জিত আচরণ, মহিলা সাঁতারুদের প্রশিক্ষণে অযৌক্তিক নিয়ম প্রয়োগ – এই সব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে।

এই ঘটনাগুলি ক্লাবের অনুশীলন পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং বেশ কিছু মূল্যবান সাঁতারুর ক্লাব ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ হয়েছে। ক্ষিতীশের আচরণ ক্লাবের সুনামের জন্য ক্ষতিকর এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তবে, ক্ষিতীশের পক্ষ থেকেও কিছু যুক্তি উপস্থাপন করা যেতে পারে। একজন কঠোর প্রশিক্ষক হিসেবে, তিনি সাঁতারুদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা বের করে আনতে চান। কঠোর পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলা তার প্রশিক্ষণ পদ্ধতির মূল ভিত্তি, এবং তিনি কোন আপস করতে চান না।

তথাপি, কঠোরতা ও শৃঙ্খলার নামে অপমানজনক আচরণ এবং অযৌক্তিক নিয়ম প্রয়োগ করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন সফল প্রশিক্ষকের কেবল সাঁতারুদের শারীরিক দিক উন্নত করার দিকে নজর দেওয়া উচিত নয়, তাদের মানসিক বিকাশ এবং কল্যাণের প্রতিও সমানভাবে মনোযোগী হওয়া উচিত।

ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি সত্য হলে, ক্লাব কর্তৃপক্ষের উচিত তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ক্লাবের সুনাম রক্ষা এবং সকল সাঁতারুর জন্য একটি সুষ্ঠু ও অনুপ্রেরণামূলক পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।

Share via:

মন্তব্য করুন