এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠ ‘কোনি‘ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না।” – বক্তা কাকে এবং কেন এ কথা বলেছিলেন? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর সঠিক বিশ্লেষণ ও উত্তর জানা অপরিহার্য।
“আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না।” – বক্তা কাকে কেন এ কথা বলেছিলেন?
অথবা, “আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না।” – বক্তা এরূপ উক্তির মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
বক্তা এবং উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহ বিষ্টুচরণ ধরকে উদ্দেশ্য করে আলোচ্য কথাটি বলেছিলেন।
এ কথা বলার কারণ –
- বিষ্টু ধরের বিশালাকৃতি দেহ – ধনী ব্যবসায়ী বিষ্টুচরণ ধর ছিলেন সাড়ে তিন মন ওজনের দেহের মালিক। তাঁর বিশালাকৃতি দেহটি বিচিত্র ভঙ্গিতে মালিশ করাতে দেখে ক্ষিতীশ সিংহ। তাঁকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে হাতি বা হিপোর সঙ্গে তুলনা করেন। এ ছাড়াও বিষ্টুকে চাঁটি মেরে পালানোর কথাও তিনি বলেন।
- শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব – “খাওয়ায় আমার লোভ নেই” বলেও বিষ্টুচরণ তাঁর ডায়েটিং করার যে ফর্দ বলেন, তা শুনে বিদ্রুপের সুরে ক্ষিতীশ সিংহ বলেন “এত কেচ্ছাসাধন করেন!” বিষ্টুচরণ ধরের এই ওজন যে তাঁর হার্টের পক্ষে বিপজ্জনক তা মনে করিয়ে দেন ক্ষিতীশ। তিনি শরীরটাকে চাকর বানানোর কথা বলেন।
- ইচ্ছাশক্তির দ্বারা শরীর পরিচালনা – তিনি বিষ্টুবাবুকে আরও জানান মন বা ইচ্ছাশক্তি দ্বারা শরীরকে পরিচালনা করা প্রয়োজন। সুস্থসবলভাবে বেঁচে থাকতে গেলে নিয়মিত শরীরচর্চা, খাওয়াদাওয়ার যথাযথ পরিমাণ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।
- ক্ষিতীশ সিংহের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা – ক্ষিতীশ সিংহ তাঁর শরীর ও মনের শক্তি দিয়ে বিষ্টুচরণ ধরকে বুঝিয়ে দেন যে তিনি বিষ্টুচরণ ধরের তুলনায় বয়সে বড়ো হওয়া সত্ত্বেও শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে শক্তিশালী। ক্ষিতীশের হাতকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও একচুল নড়াতে পারেন না বিষ্টুচরণ। তখনই ক্ষিতীশ আলোচ্য কথাটি বলেন।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন – “আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না।” – বক্তা কাকে এবং কেন এ কথা বলেছিলেন, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!