এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বদ্বীপ অঞ্চলে দেখা যায় কেন?

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কি? অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বদ্বীপ অঞ্চলে দেখা যায় কেন? এই দুটি প্রশ্ন দশম শ্রেণীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও দুটি প্রশ্ন আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

নদী তো জানো, সবসময় বয়ে চলে। কখনো এদিক, কখনো সেদিক। নদী যখন বহু বছর ধরে বয়ে চলে, তখন নদীর ধারে নানা রকমের আকৃতি তৈরি হয়। এর মধ্যে একটা আকৃতি দেখতে অনেকটা ঘোড়ার খুরের মতো। তাই একে বলা হয় অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ।

নদী যখন দীর্ঘদিন ধরে একই পথে বয়ে চলে, তখন নদীর ধারে অনেক পলি জমা হয়। এই পলির কারণে নদীর ধারা ক্রমশ সরু হতে থাকে। এক সময় নদীর ধারার দুটি বাঁক একে অপরের এত কাছে চলে আসে যে নদী পুরোনো খাদ ছেড়ে নতুন খাদে প্রবাহিত হতে শুরু করে। পুরোনো খাদটি তখন জলে ভরে ঘোড়ার খুরের মতো আকৃতি ধারণ করে।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ সৃষ্টির বিভিন্ন পর্যায়

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বদ্বীপ অঞ্চলে দেখা যায় কেন?

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বদ্বীপ অঞ্চলে দেখা যায়, কারণ —

আঁকাবাঁকা নদীবাঁক – দ্বীপ অংশে ভূমিঢালের পরিসর একেবারেই কমে যায়, তাই নদী সামান্য বাধা পেলে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়।

নদীবাঁকে ক্ষয় – বাঁকাপথে নদীর জল কুণ্ডলীর আকারে এগিয়ে যায়। সেজন্য অবতল পাড়ে ক্ষয় এবং উত্তল পাড়ে সঞ্চয় হয়।

নদীবাঁকের বিস্তার – ক্ষয় এবং সঞ্চয়ের জন্য নদীবাঁকের অংশ বাড়তে থাকে।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ গঠন – বাঁক আরও বেড়ে গেলে দুটি বাঁক পরস্পরের কাছে এগিয়ে এলে দুটি বাঁক জোড়া লেগে যায় এবং একসময় মূলনদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ গঠন করে।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কিভাবে সৃষ্টি হয়

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ তৈরি হয় যখন নদীর জলধারা দীর্ঘ সময় ধরে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। নদীর বাঁকের বাইরের অংশে ক্ষয়কার্য বেশি হওয়ায় নদীর ধার ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অন্যদিকে, বাঁকের ভেতরের অংশে পলি জমা হতে থাকে। ফলে নদীর বাঁক ক্রমশ তীব্রতর হয়ে ওঠে।
এক সময় নদীর দুটি বাঁক একে অপরের এত কাছে চলে আসে যে নদীর জল নতুন, সরল পথে প্রবাহিত হতে শুরু করে। পুরোনো, বাঁকা পথটি জলে ভরে ঘোড়ার খুরের মতো আকৃতি ধারণ করে। এই হ্রদকেই অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলা হয়।
আরও পড়ুন, অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে তৈরি হয়?

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ এর বৈশিষ্ট্য কী?

1. ঘোড়ার খুরের মতো (U) আকৃতির
2. মিঠা পানির, কিন্তু পলি বেশি থাকে
3. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের আবাস
4. বন্যার পানি ধরে রাখে ও নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ এর উদাহরণ কী?

মিসিসিপি নদী: মিসিসিপি নদী এবং এর উপনদীগুলিতে অনেক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ রয়েছে। উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, চিকোট লেক (লেক ভিলেজ, আরকানসাস এর নিকটে অবস্থিত) মূলত মিসিসিপি নদীর অংশ ছিল।
অ্যামাজন নদী: অ্যামাজন নদী অববাহিকায়ও অনেক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ রয়েছে।

Share via:

মন্তব্য করুন