আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে বার্খান ও সিফ বালিয়াড়ি কি? বারখান ও সিফ বালিয়াড়ির মধ্যে পার্থক্য দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বার্খান ও সিফ বালিয়াড়ি কি? বারখান ও সিফ বালিয়াড়ির মধ্যে পার্থক্য প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
বার্খান
উষ্ণ মরুভূমিতে, বাতাসের প্রবাহের পথে অর্ধচন্দ্রাকার বালিয়াড়ির সারি দেখা যায়, যাদেরকে বার্খান বলা হয়। ‘বার্খান’ শব্দটি তুর্কি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ “কিরঘিজ স্টেপস অঞ্চলের বালিয়াড়ি”। মরু পর্যটক হেডিন প্রথম এই বালিয়াড়ির নামকরণ করেন।
বার্খান গঠনের সঠিক কারণ এখনও অজানা, তবে ধারণা করা হয় বাতাসের খুব বড় বাধা ছাড়াই এগুলি তৈরি হতে পারে। সমতল ভূমিতেও বার্খান দেখা যায়। কিছু নুড়ি একত্রিত হলে, অথবা বায়ুর গতির তারতম্যে বালি জমা হলে, সেখানে বার্খান গঠিত হতে পারে।
বাতাস বালি বহন করে বার্খানের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বার্খান সাধারণত একা থাকে না, বরং অনেকগুলি একসাথে ‘বালিয়াড়ির শৃঙ্খল’ বা ‘কলােনী’ তৈরি করে।
সিফ বালিয়াড়ি
তীব্র ঘূর্ণিবায়ুর আঘাতে বারবার ভেঙে পড়া বালিয়াড়ি থেকে তৈরি হয় লম্বা ও সংকীর্ণ বালিয়াড়ি, যাকে বলা হয় সিফ বালিয়াড়ি। ‘সিফ’ শব্দটির অর্থ “সোজা তরবারি”, যা আরবী থেকে এসেছে। ভূমিরূপ বিজ্ঞানী বার্গনল্ড এই বালিয়াড়ির নামকরণ করেন।
বার্গনল্ডের মতে, বার্খান বালিয়াড়ির মত একদিক থেকে বায়ুপ্রবাহের পরিবর্তে বিভিন্ন দিক থেকে বায়ুপ্রবাহের ফলে সিফ বালিয়াড়ি তৈরি হয়। যখন বায়ু বালিয়াড়ির সমান্তরালে প্রবাহিত হয় তখন সিফ বালিয়াড়ি দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। বার্গনল্ড আরও মনে করেন, বার্খান বা তীর্যক বালিয়াড়ির রূপান্তর থেকে সিফ বালিয়াড়ি তৈরি হয়।
উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ার সিম্পসন মরুভূমিতে সিফ বালিয়াড়ি দেখা যায়।
আরও পড়ুন – বার্গস্রুন্ড ও ক্রেভাস কি? বার্গস্রুন্ড ও ক্রেভাসের মধ্যে পার্থক্য
বারখান ও সিফ বালিয়াড়ির মধ্যে পার্থক্য
বোরখান ও সিফ বালিয়াড়ির পার্থক্যগুলি হল —
বিষয় | বারখান | সিফ বালিয়াড়ি |
অর্থ | বারখান একটি তুর্কি শব্দ। যার অর্থ কিরঘিজ স্তেপ অঞ্চলের বালিয়াড়ি। | সিফ আরবি শব্দ, যার অর্থ সোজা তরবারি। |
বায়ুর সাথে অবস্থান | এটি বায়ুর গতিপথের সাথে আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠে। | এটি বায়ুর গতিপথের সাথে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠে। |
আকৃতি | এটি দেখতে অর্ধবৃত্তাকার। | এটি দেখতে তরবারির মতো। |
শিরার উপস্থিতি | বারখানের দুই প্রান্তে দুটি শিং-এর মতো শিরা অবস্থান করে। | সিফের প্রান্তভাগে কোনো শিরা থাকে না। |
এই আর্টিকেলে আমরা বার্খান ও সিফ বালিয়াড়ি সম্পর্কে জানলাম। বার্খান বালিয়াড়ি হল বাঁকানো বা ত্রিভুজাকার বালিয়াড়ি, যা মরুভূমিতে বায়ুর প্রভাবে তৈরি হয়। অন্যদিকে, সিফ বালিয়াড়ি হল দীর্ঘ ও সংকীর্ণ বালিয়াড়ি, যা বারবার ভেঙে পড়া বালিয়াড়ি থেকে তৈরি হয়।
দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য বার্খান ও সিফ বালিয়াড়ির মধ্যে পার্থক্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই আর্টিকেলে আপনি যে জ্ঞান অর্জন করেছেন তা আপনাকে পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করবে।