আজকের আলোচনার বিষয় ভাঙ্গর ও খাদার। ভূগোলের দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য এই দুটি ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ”-এর “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগে এই প্রশ্নটি বারবার দেখা যায়।
এই ব্লগ পোস্টে আমরা ভাঙ্গর ও খাদারের সংজ্ঞা, তাদের মধ্যে পার্থক্য, এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির টিপস নিয়ে আলোচনা করবো।
উত্তর ভারতের সমভূমি অঞ্চল, বিশেষ করে গঙ্গা সমভূমিতে দুটি প্রধান ধরণের পলিমাটি পাওয়া যায়।
খাদার
নদীর উভয় তীরে নতুন প্লাবনভূমিতে, বিশেষ করে নদীর নিকটবর্তী অঞ্চলে যে নতুন পলি জমা হয় তাকে খাদার বলা হয়।
খাদার এর বৈশিষ্ট্য
- উর্বরতা – বন্যার সময় প্রতি বছর নতুন পলি জমা হওয়ায় খাদার মাটি অত্যন্ত উর্বর।
- পলির পরিমাণ – এই মাটিতে পলির পরিমাণ বেশি থাকে।
- রঙ – খাদার মাটির রঙ ধূসর হয়।
- গঠন – এই মাটির গঠন সূক্ষ্ম হয়।
- জল ধারণ ক্ষমতা – খাদার মাটি আর্দ্রতা ধারণে দক্ষ এবং ভেজা অবস্থায় চটচটে হয়।
ভাঙ্গার
নদী থেকে কিছুটা দূরে উঁচু অঞ্চলে পুরনো জমিতে যে মাটি পাওয়া যায় তাকে ভাঙ্গার বলা হয়।
ভাঙ্গার এর বৈশিষ্ট্য
- চুন-জাতীয় পদার্থ – এই মাটিতে চুন-জাতীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে।
- জল ধারণ ক্ষমতা – ভাঙ্গার মাটির জল ধারণ ক্ষমতা কম।
- রঙ – এই মাটির রঙ গাঢ় হয়।
- উর্বরতা – বালির পরিমাণ বেশি থাকায় ভাঙ্গার মাটির উর্বরতা খাদার মাটির তুলনায় কম।
- গঠ – এই মাটির গঠন স্থূল হয়।
ভাঙ্গর ও খাদারের মধ্যে পার্থক্য
ভাঙ্গর ও খাদারের পার্থক্যগুলি হল —
বিষয় | ভাঙ্গর | খাদার |
প্রকৃতি | প্রাচীন পলি গঠিত অঞ্চল ভাঙ্গর নামে পরিচিত। | নবীন পলি দিয়ে গঠিত ভূমিভাগ খাদার নামে পরিচিত। |
উর্বরতা | এটি প্রাচীন বলে উর্বরতা খাদার থেকে কম। | এই মাটির উর্বরতা বেশি। |
প্লাবন | ভাঙ্গর অঞ্চল উঁচু বলে এখানে প্রতি বছর প্লাবন হয় না। | এটি নীচু ভূমি বলে প্রায় প্রতিবছরই প্লাবিত হয়। |
মাটি ক্ষয় | প্রাচীন পলি গঠিত ভাঙ্গরের মাটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। | এই অঞ্চলে প্রতিবছর নতুন নতুন মাটি সঞ্চিত হয়। |
আজকের আর্টিকেলে, আমরা ভাঙ্গর ও খাদার ধারণা এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করেছি। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য এই বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগে। ভাঙ্গর ও খাদার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে, আপনি পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন।