আজকের আর্টিকেলে আমরা ভারতের মরুভূমি সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেবো। এই বিষয়টি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগের একটি অংশ।
মরুভূমি হল এমন একটি অঞ্চল যেখানে বৃষ্টিপাত খুব কম হয়, সাধারণত প্রতি বছর ২৫০ মিলিমিটারের কম।
মরুভূমির অবস্থান –
রাজস্থান সমভূমির একেবারে পশ্চিমে বালি, বালিয়াড়ি, পাথর প্রভৃতি দ্বারা গঠিত বৃষ্টিহীন অংশকে বলা হয় মরুস্থলী।
মরুভূমির ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য –
- পরিপূর্ণভাবে বালুময় এই অঞ্চলটি পূর্বে গড়ে 350 মি ও পশ্চিমে 150 মি উঁচু।
- বহু সিফ ও বারখান বালিয়াড়ি এখানে দেখা যায়।
- অনেক ছোটো ছোটো লবণাক্ত হ্রদ বা ধান্দ বা প্লায়া (যেমন – দিদওয়ানা, কুচমান, সারগল) এবং অনেক বড়ো বড়ো লবণাক্ত হ্রদ বা বোলসন (যেমন – সম্বর) এখানে দেখা যায়।
- এই অঞ্চলে অনেক চলমান বালিয়াড়ি বা ধ্রিয়ান দেখা যায়।
- জয়সলমীরের কাছের সমভূমিতে কিছু ছোটো ছোটো পাহাড় দেখতে পাওয়া যায়।
- সুবিস্তৃত বালুকাময় ভূমির মাঝে মাঝে মরূদ্যান দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে খেজুর বা পামজাতীয় গাছের চাষ হয়।
মরুভূমির জলবায়ু –
এখানকার জলবায়ু খুবই চরম প্রকৃতির এবং গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত 12 সেমির কম। এখানকার গড় বার্ষিক উন্নতা প্রায় 40 °সে। রাতে ভূপৃষ্ঠ দ্রুত তাপবিকিরণ করে শীতল হয়ে যাওয়ায় এখানে দৈনিক ও বার্ষিক উয়তার প্রসর সব থেকে বেশি।
ভারতের মরুভূমিগুলি প্রাকৃতিক বিস্ময় এবং সাংস্কৃতিক সম্পদের আধার। এই নির্জন অঞ্চলগুলি আমাদের গ্রহের জৈববৈচিত্র্য এবং প্রতিরোধের একটি অনন্য প্রদর্শন করে।