আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো ভারতীয় জনজীবনে উপদ্বীপীয় অবস্থানের গুরুত্ব – ভারতের বিস্তার, ক্ষেত্রফল ও জনসংখ্যা সম্পর্কে কী জানো? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারতের অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগের প্রশ্ন। ভারতীয় জনজীবনে উপদ্বীপীয় অবস্থানের গুরুত্ব – ভারতের বিস্তার, ক্ষেত্রফল ও জনসংখ্যা সম্পর্কে কী জানো? আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
ভারতীয় জনজীবনে উপদ্বীপীয় অবস্থানের তিনটি গুরুত্ব লেখো।
- ভারতের তিনদিকে সমুদ্র থাকায় জলপথে ব্যাবসাবাণিজ্যের সুবিধা পাওয়া যায়।
- সমুদ্রের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় নৌবিদ্যায় ও মৎস্যশিকারে ভারত যথেষ্ট উন্নত।
- সমুদ্রবেষ্টিত এই তিনদিক থেকে বহিঃশত্রুর আক্রমণের আশঙ্কাও কম।
- ভারতের উত্তরাংশ এশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। ফলে ভারত এশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। স্থলপথেও প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সহজে যোগাযোগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষা করতে পারে।
ভারতের বিস্তার, ক্ষেত্রফল ও জনসংখ্যা সম্পর্কে কী জানো?
- বিস্তার – উত্তর-দক্ষিণে ভারতের সর্বাধিক বিস্তার প্রায় 3214 কিমি এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় 2933 কিমি।
- আয়তন – ভারতের মোট ক্ষেত্রফল প্রায় 32 লক্ষ 87 হাজার 263 বর্গকিমি (এর মধ্যে প্রায় 43 হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা চিন ও পাকিস্তান কর্তৃক অধিকৃত)। ক্ষেত্রফল অনুসারে ভারতের স্থান পৃথিবীতে সপ্তম — রাশিয়া, কানাডা, চিন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়ার পরে।
- জনসংখ্যা – জনসংখ্যা অনুযায়ী ভারতের স্থান পৃথিবীতে দ্বিতীয়—চিনের পরে। 2011 সালের জনগণনা অনুসারে ভারতের জনসংখ্যা 121 কোটি 1 লক্ষ 93 হাজার 422।
ভারতের উপদ্বীপীয় অবস্থান দেশটির জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অবস্থানের ফলে ভারতে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, এবং সংস্কৃতির সমাহার দেখা যায়। এই বৈচিত্র্য ভারতীয়দের জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলে। কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই প্রভাব স্পষ্ট।
উপদ্বীপীয় অবস্থানের কারণে ভারত বিভিন্ন দেশের সাথে সমুদ্রপথে যুক্ত। এর ফলে দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে।
এই অবস্থানের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, এবং দীর্ঘ উপকূলরেখা রক্ষার জন্য অধিক ব্যয়।
তবে সামগ্রিকভাবে ভারতের উপদ্বীপীয় অবস্থান দেশটির জন্য একটি সম্পদ। এই অবস্থানের সুফল ভারতকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।