এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল সমভূমির শ্রেণিবিভাগ করো

ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ”-এর অংশ হিসেবে, ভারতের ভূপ্রকৃতি বিভাগে পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল সমভূমির শ্রেণিবিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য এই অংশটি থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই দুটি সমভূমির বিস্তারিত শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে জানবো।

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল সমভূমির শ্রেণিবিভাগ করো

ভারতের উপকূলীয় অঞ্চল দুটি ভাগে বিভক্ত: পূর্ব উপকূল এবং পশ্চিম উপকূল। এই দুটি উপকূল সমভূমি ভূতাত্ত্বিক গঠন, ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, খনিজ সম্পদ এবং উদ্ভিদ জীবনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পার্থক্য প্রদর্শন করে।

দক্ষিণ ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে, যথাক্রমে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের তীরে অবস্থিত দুটি সংকীর্ণ সমভূমি অঞ্চলকে উপকূলীয় সমভূমি বলা হয়। এই অঞ্চলকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

  • পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি: পূর্বঘাট পর্বতমালা ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত।
  • পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি: পশ্চিমঘাট পর্বতমালা ও আরব সাগরের মধ্যে অবস্থিত।

পূর্ব উপকূল সমভূমি – 

ভারতের পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরের তীরে বিস্তৃত এই সমতল ভূমি পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি নামে পরিচিত। প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং গড়ে ১০০ কিলোমিটার প্রস্থের এই অঞ্চলটি দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।

  • উত্তর সরকার উপকূল
  • করমণ্ডল উপকূল

উত্তর সরকার উপকূল

উত্তর সরকার উপকূলের অবস্থান

উত্তর সরকার উপকূল উত্তরে সুবর্ণরেখা নদীর মোহানা থেকে দক্ষিণে কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপ অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ওড়িশা রাজ্যের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং ‘ওড়িশা উপকূলীয় সমভূমি’ নামে পরিচিত। অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত অংশ ‘অন্ধ্র উপকূলীয় সমভূমি’ নামে পরিচিত।

উত্তর সরকার উপকূলের ভূ-প্রকৃতি

এই সমভূমিটি সমুদ্রতল থেকে উচ্চতায় মাত্র কয়েক মিটার উঁচু এবং পলিমাটি সমৃদ্ধ। এখানে অনেকগুলি নদী বয়ে গেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গোদাবরী, মহানদী, বৈতরণী এবং ব্রাহ্মণী। নদীগুলির পলি পড়ানোর ফলে এই সমভূমি গঠিত হয়েছে।

উত্তর সরকার উপকূলের হ্রদ

পূর্ব উপকূলীয় সমভূমিতে অনেকগুলি মনোরম হ্রদ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • ওড়িশা উপকূলে: চিল্কা হ্রদ (ভারতের বৃহত্তম লবণাক্ত জলের হ্রদ), কোলেরু হ্রদ
  • অন্ধ্র উপকূলে: পুলিকট হ্রদ

এই হ্রদগুলি পর্যটন, মাছ ধরা এবং জলজ জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • উত্তর সরকার উপকূল কৃষিজাত পণ্য, যেমন ধান, পাট, তুলা এবং আখের জন্য বিখ্যাত।
  • এই অঞ্চলটিতে লোহা, ম্যাঙ্গানিজ এবং খনিজ জ্বালানীর মতো খনিজ সম্পদেরও একটি উল্লেখযোগ্য ভাণ্ডার রয়েছে।
  • উত্তর সরকার উপকূল তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্যও পরিচিত। এই অঞ্চলে অনেকগুলি ঐতিহাসিক স্থাপনা, মন্দির এবং মঠ রয়েছে।

করমণ্ডল উপকূল

করমণ্ডল উপকূলের অবস্থান

করমণ্ডল উপকূল ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি বিস্তৃত সমভূমি। এটি উত্তরে কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপ থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অঞ্চলটি ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরির কিছু অংশ জুড়ে অবস্থিত।

করমণ্ডল উপকূলের ভূ-প্রকৃতি

করমণ্ডল উপকূল সমুদ্রতল থেকে কয়েক মিটার উঁচু এবং পলিমাটি সমৃদ্ধ। এখানে বেশ কিছু নদী বয়ে গেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী এবং পালার। নদীগুলির পলি পড়ানোর ফলে এই সমভূমি গঠিত হয়েছে।

আবার রাজ্য অনুসারে পূর্ব উপকূলের সমভূমিকে তিনটি অংশে ভাগ করা যায় –

  • ওড়িশা বা উৎকল উপকূল সমভূমি
  • অন্ধ্র উপকূল সমভূমি
  • তামিলনাড়ু উপকূল সমভূমি

পশ্চিম উপকূল সমভূমি –

ভারতের পশ্চিমে আরব সাগরের তীরে অবস্থিত, পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি নামে পরিচিত একটি সংকীর্ণবন্ধুর উপকূলীয় অঞ্চল। এই সমভূমি প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রস্থ ব্যাপী।

এই বিশাল উপকূলীয় সমভূমিকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়:

  1. গুজরাট উপকূলীয় সমভূমি – কচ্ছের উপসাগর থেকে দমণ ও দিউ পর্যন্ত বিস্তৃত।
  2. কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমি – দমণ ও দিউ থেকে গোকর্ণা পর্যন্ত বিস্তৃত।
  3. কর্ণাটক উপকূলীয় সমভূমি – গোকর্ণা থেকে কুমারকোম পর্যন্ত বিস্তৃত।
  4. মালাবার উপকূলীয় সমভূমি – কুমারকোম থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত।

পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমির বৈশিষ্ট্য

  • সংকীর্ণ – পশ্চিম ঘাট পর্বতমালার কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় এই সমভূমি অত্যন্ত সংকীর্ণ
  • বন্ধুর – নদী-মুখ, বালিয়াড়ি, এবং পলিমাটির সমন্বয়ে গঠিত এই সমভূমি অত্যন্ত সমতল
  • উষ্ণ ও আর্দ্র – আরব সাগরের প্রভাবে এই অঞ্চলের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র
  • নদী-বহুল – অনেক নদী এই সমভূমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নর্মদা, তাপি, মহী, এবং শরবতী।
  • সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ জীববৈচিত্র্য – পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি ঘন বনাঞ্চল এবং সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত।
  • অর্থনৈতিক গুরুত্ব – কৃষি, মৎস্যজীবন, বনায়ন, খনিজ সম্পদ, এবং পর্যটনের জন্য এই অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
  • পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমিতে অবস্থিত কিছু উল্লেখযোগ্য শহর হলো মুম্বাই, গোয়া, মঙ্গালোর, এবং কোচি।
  • এই অঞ্চলে উৎপাদিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফসল হলো নারকেল, ধান, কাজুবাদাম, এবং লবঙ্গ।

গুজরাট উপকূলীয় সমভূমি –

অবস্থান –

গুজরাট উপকূলীয় সমভূমি উত্তরে গুজরাট রাজ্যের কাথিয়াবাড় উপদ্বীপের উপকূল থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে মহারাষ্ট্রের উত্তর সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।

বৈশিষ্ট্য –

  • লবণাক্ত জলাভূমি – এই অঞ্চলের উত্তরে কচ্ছের রণ নামে পরিচিত একটি বিশাল লবণাক্ত জলাভূমি অবস্থিত।
  • পাহাড় – এই অংশে গিরনার এবং গির নামে দুটি পাহাড়ি রেঞ্জ আছে। গিরনার পাহাড়, গোরক্ষনাথ শৃঙ্গ সহ, কাথিয়াবাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
  • উপকূলীয় সমভূমি – এই সমভূমি বালিয়াড়ি, নদী-মুখ, এবং পলিমাটির সমন্বয়ে গঠিত।
  • জলবায়ু – উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য।
  • নদী – নর্মদা, তাপি, মহী, এবং সাবরমতী নদী এই সমভূমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
  • উদ্ভিজ্জ জীববৈচিত্র্য – ঘন বন এবং সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ জীববৈচিত্র্য এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য।
  • অর্থনীতি – কৃষি, মৎস্যজীবন, বনায়ন, খনিজ সম্পদ, এবং পর্যটন এই অঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপ।
  • কচ্ছের রণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় লবণাক্ত জলাভূমিগুলির মধ্যে একটি।
  • গির জাতীয় উদ্যান, এশিয়াটিক সিংহের একমাত্র আবাসস্থল, এই অঞ্চলে অবস্থিত।
  • পোরবন্দর, মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান, এই অঞ্চলে অবস্থিত।
  • দ্বারকা, হিন্দুদের জন্য একটি পবিত্র তীর্থস্থান, এই অঞ্চলে অবস্থিত।
  • গুজরাট উপকূলীয় সমভূমি ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এই অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতি, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, এবং শক্তিশালী অর্থনীতি এটিকে একটি আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে তোলে।

কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমি

কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমি ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত একটি সরু সমভূমি। এটি মহারাষ্ট্রের উত্তর সীমান্ত থেকে শুরু হয়ে গোয়া উপকূল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই অঞ্চলটি পশ্চিম ঘাট পর্বতমালার দ্বারা পূর্ব দিকে সীমাবদ্ধ এবং আরব সাগর দ্বারা পশ্চিম দিকে উন্মুক্ত।

কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমি তার মনোরম সৈকত, ঝর্ণা, এবং মনোরম দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এই অঞ্চলটি তার সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতির জন্যও পরিচিত। এখানে অনেকগুলি প্রাচীন মন্দির, দুর্গ এবং ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে।

কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমি কৃষি, মৎস্যজীবী এবং শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এই অঞ্চলে ধান, নারকেল, আম, এবং কাঁঠালের মতো বিভিন্ন ধরণের ফসল উৎপাদিত হয়। এখানে মাছ ধরা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এবং এটি অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমিতে ইস্পাত, রাসায়নিক এবং টেক্সটাইল সহ বিভিন্ন ধরণের শিল্প রয়েছে।

বৈশিষ্ট্য –

  • কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমি পশ্চিম ঘাট পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত। এই পাহাড়গুলি এই অঞ্চলের আবহাওয়া এবং ভূদৃশ্যকে প্রভাবিত করে।
  • কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমিতে বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তাপী, গোদাবরী এবং কৃষ্ণা। এই নদীগুলি কৃষি সেচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমি ঘন বন, বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন এবং সমৃদ্ধ সমুদ্র জীবনের আবাসস্থল।
  • কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমিতে একটি ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু রয়েছে। গ্রীষ্মকাল গরম এবং আর্দ্র হয়, এবং শীতকাল হালকা এবং শুষ্ক হয়।
  • কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। বেশিরভাগ মানুষ মাছ ধরা, কৃষি এবং পর্যটন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
  • কঙ্কন উপকূলীয় সমভূমির অর্থনীতি মূলত কৃষি, মাছ ধরা এবং পর্যটনের উপর নির্ভরশীল।

কর্ণাটক উপকূলীয় সমভূমি –

কর্ণাটক উপকূলীয় সমভূমি ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক অঞ্চল। এটি উত্তরে গোয়া থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে কর্ণাটকের দক্ষিণ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অঞ্চলটি প্রায় ২২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং গড়ে ৫০ কিলোমিটার চওড়া।

বৈশিষ্ট্য –

  • সমতল ভূমি: কর্ণাটক উপকূলীয় সমভূমি একটি সমতল ভূমি যা পশ্চিম ঘাট পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত।
  • নদী: কর্ণাটক উপকূলীয় সমভূমিতে বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শরাবতী, তুঙ্গা, এবং নেত্রবতী। এই নদীগুলি কৃষি সেচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত: কর্ণাটক উপকূলীয় সমভূমি নারকেল, বাদাম এবং কাঁঠালের গাছের মতো ঘন উষ্ণমণ্ডলীয় বনভূমির আবাসস্থল। এখানে বিভিন্ন ধরণের পাখি, স্তন্যপায়ী এবং সরীসৃপও রয়েছে।
  • জলবায়ু: কর্ণাটক উপকূলীয় সমভূমিতে একটি ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু রয়েছে। গ্রীষ্মকাল গরম এবং আর্দ্র হয়, এবং শীতকাল হালকা এবং শুষ্ক হয়।
  • জনসংখ্যা: কর্ণাটক উপকূলীয় সমভূমি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। বেশিরভাগ মানুষ কৃষি, মাছ ধরা এবং পর্যটন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
  • অর্থনীতি: কর্ণাটক উপকূলীয় সমভূমির অর্থনীতি মূলত কৃষি, মাছ ধরা এবং পর্যটনের উপর নির্ভরশীল।

মালাবার উপকূলীয় সমভূমি

অবস্থান –

মালাবার উপকূলীয় সমভূমি ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত, যা কেরালা রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত।

বৈশিষ্ট্য –

  • ভূপ্রকৃতি: এই অঞ্চলটি পশ্চিম ঘাট পর্বতমালার পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি সমতল ভূমি।
  • জলবায়ু: মালাবার উপকূলীয় সমভূমিতে একটি ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু রয়েছে। এখানে বছরের বেশিরভাগ সময় গরম এবং আর্দ্র থাকে, এবং বৃষ্টিপাত প্রচুর।
  • জলবাহিনী: এই অঞ্চলটি বেশ কয়েকটি নদী ও জলাভূমি দ্বারা বিভক্ত।
  • উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত: মালাবার উপকূলীয় সমভূমি নারকেল, রাবার, চা, লবঙ্গ এবং এলাচের মতো বিভিন্ন ধরণের ফসলের জন্য পরিচিত। এখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীও পাওয়া যায়।
  • জনসংখ্যা: মালাবার উপকূলীয় সমভূমি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা।
  • অর্থনীতি: কৃষি, মাছ ধরা এবং পর্যটন এই অঞ্চলের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল সমভূমি ভূসংস্থান, নদী ব্যবস্থা, জলবায়ু এবং উদ্ভিদ জীবনের ক্ষেত্রে একে অপরের থেকে আলাদা। এই পার্থক্যগুলি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৃষ্টি করে।

Share via:

মন্তব্য করুন