এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ভূ-তাপ শক্তি কাকে বলে? এর ব্যবহার লেখো। ভূতাপ শক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলি এবং অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ভূ-তাপ শক্তি কাকে বলে? এর ব্যবহার লেখো। ভূতাপ শক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলি এবং অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ভূ-তাপ শক্তি কাকে বলে? এর ব্যবহার লেখো।
পৃথিবীর অভ্যন্তরে শিলা অত্যন্ত তাপে গলিত অবস্থায় (ম্যাগমা) থাকে। শিলার তেজস্ক্রিয় বিকিরণের থেকে তাপসৃষ্টি হয়। পৃথিবীর কোনো কোনো অঞ্চলে ভূগর্ভে সঞ্চিত ভৌমজল এই তাপের সংস্পর্শে এসে উত্তপ্ত হয় এবং শিলাস্তরের ফাটলের মধ্যে দিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উত্তপ্ত জল ও বাষ্পের ঝর্ণা নির্গত হয়। পৃথিবীর অভ্যন্তরের এই তাপশক্তিকে ভূ-তাপ শক্তি বলে।
এই ভূ-তাপীয় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।
ভূতাপ শক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলি এবং অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।
ভূতাপ শক্তি ব্যবহারের সুবিধা –
- ভূতাপ শক্তির মজুত ভাণ্ডার অফুরন্ত অর্থাৎ বারবার ব্যবহার করা হলে এর ভাণ্ডার ফুরিয়ে যাবে না।
- ভূতাপ শক্তি পরিবেশ বান্ধব।
- ভূতাপ শক্তির সাহায্যে সবসময়ই নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়।
ভূতাপ শক্তি ব্যবহারের অসুবিধা –
- পৃথিবীর সব অঞ্চলেই ভূতাপশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করা সম্ভব নয়।
- বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা ব্যয় সাপেক্ষ।
- ভূতাপ শক্তি উৎপাদনের সময় ভূগর্ভস্থ জল দূষণের আশঙ্কা থাকে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ভূ-তাপ শক্তি কী?
পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকা উত্তপ্ত ম্যাগমা ও শিলাস্তরের তেজস্ক্রিয়তা থেকে উৎপন্ন তাপশক্তিকে ভূ-তাপ শক্তি বলে। এই তাপ ভূগর্ভস্থ জলকে উত্তপ্ত করে, যা বাষ্প বা গরম পানির আকারে ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয়।
ভূ-তাপ শক্তির ব্যবহার কী?
ভূ-তাপ শক্তির ব্যবহার হল –
1. বিদ্যুৎ উৎপাদন।
2. গরম পানির সরবরাহ (হিটিং সিস্টেম)।
3. কৃষিকাজে (গ্রিনহাউস হিটিং)।
4. শিল্পক্ষেত্রে তাপশক্তি সরবরাহ।
ভূ-তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ কীভাবে উৎপন্ন হয়?
1. ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত জল বা বাষ্পকে টারবাইনের মাধ্যমে চালিত করে।
2. টারবাইন জেনারেটরের সাথে যুক্ত থাকে, যা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।
ভূ-তাপ শক্তির সুবিধাগুলো কী কী?
ভূ-তাপ শক্তির সুবিধাগুলো হল –
1. নবায়নযোগ্য শক্তি (অফুরন্ত ভাণ্ডার),
2. পরিবেশবান্ধব (কম কার্বন নিঃসরণ),
3. নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ।
ভূ-তাপ শক্তির অসুবিধাগুলো কী কী?
ভূ-তাপ শক্তির অসুবিধাগুলো হল –
1. সব অঞ্চলে ব্যবহারযোগ্য নয় (শুধু ভূ-তাপীয় অঞ্চলে সম্ভব)।
2. বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ব্যয়বহুল।
3. ভূগর্ভস্থ জল দূষণের সম্ভাবনা।
পৃথিবীর কোন কোন দেশে ভূ-তাপ শক্তি বেশি ব্যবহৃত হয়?
আইসল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র (ক্যালিফোর্নিয়া), ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে ভূ-তাপ শক্তির ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
ভূ-তাপ শক্তি কি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর?
সাধারণত পরিবেশবান্ধব, তবে কিছু ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ থেকে নির্গত গ্যাস (হাইড্রোজেন সালফাইড) ও উত্তপ্ত জল পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ভূ-তাপ শক্তি কাকে বলে? এর ব্যবহার লেখো। ভূতাপ শক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলি এবং অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ভূ-তাপ শক্তি কাকে বলে? এর ব্যবহার লেখো। ভূতাপ শক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলি এবং অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন