নমস্কার বন্ধুরা! আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা সম্পর্কে। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য এই বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের ভারতের জলসম্পদ বিভাগ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা
যে পরিকল্পনার মাধ্যমে উঁচু অঞ্চলে নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে সমগ্র নদী উপত্যকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলসেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, জলপথে পরিবহণ, মাছ চাষ, পানীয় জল সরবরাহ প্রভৃতি বহুবিধ উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় এবং নদী উপত্যকা অঞ্চলের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হয়, তাকে বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা বলে। যেমন – ভারতে দামোদর, শতদ্রু, মহানদী, কৃষ্ণা, গোদাবরী প্রভৃতি নদীর ওপর বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা রূপায়িত হয়েছে।
বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার উদ্দেশ্য
বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার অধীনে নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে জলাধার নির্মাণ করা হয় এবং এর ফলে বহুবিধ উদ্দেশ্য সাধিত হয়, যেমন –
- জলাধার থেকে খাল কেটে সংলগ্ন অঞ্চলে সারাবছর জলসেচ করা হয়,
- বর্ষার অতিরিক্ত জল জলাধারে সঞ্চয় করে রাখা হয়, ফলে নদী উপত্যকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়,
- জলাধার থেকে কৃত্রিম জলপ্রপাত সৃষ্টি করে তার সাহায্যে টারবাইন ঘুরিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়,
- নদীতে ও খালে সারাবছর জল থাকে বলে জলপথে পরিবহণ করা যায়,
- জলাধারে মাছচাষ করা হয়,
- জলাধারের জল পরিস্রুত করে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়,
- জলাধার-সংলগ্ন অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ করা হয়, এর ফলে ভূমি সংরক্ষণ হয়,
- জলাশয়গুলি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয় বলে পর্যটন কেন্দ্রও গড়ে ওঠে। এ ছাড়া,
- বাঁধগুলি নদীর ওপর সেতুর কাজ করে। ভারতের দামোদর, শতদ্রু, মহানদী, কৃষ্ণা, গোদাবরী প্রভৃতি নদীতে বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা রূপায়িত হয়েছে।
এই ব্লগ পোস্টে, আমরা বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা (এমভিআরভিপি) এর ধারণা এবং উদ্দেশ্যগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা জানতে পেরেছি যে এমভিআরভিপি হল একটি সমন্বিত উন্নয়নমূলক কর্মসূচি যা নদী এবং এর উপত্যকার সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এমভিআরভিপির লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে সেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নৌচলাচল এবং জল সরবরাহ উন্নত করা।