বড়োলোকরা গরিবদের ঘেন্না করে। — কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এ কথা বলেছেন? এই ঘটনা থেকে ক্ষিতীশ সিংহ কী উপলব্ধি করেছিলেন?

“বড়োলোকরা গরিবদের ঘেন্না করে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “বড়োলোকরা গরিবদের ঘেন্না করে।” — কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এ কথা বলেছেন? এই ঘটনা থেকে ক্ষিতীশ সিংহ কী উপলব্ধি করেছিলেন? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।


মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসে, কোনি এক রবিবার ক্ষিতীশ সিংহের সাথে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যায়। চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরির পর, কোনি তৃষ্ণার্ত হয়ে জলের জন্য একটি শিক্ষিকার কাছে যায়। কিন্তু শিক্ষিকা তাকে অপমান করে ফিরিয়ে দেন। কোনি হতাশ হয়ে ফিরে এসে বড়োলোকদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে।

এই সময়, ওই স্কুলেরই ছাত্রী হিয়া মিত্র কোনির জন্য জল নিয়ে আসে। কিন্তু কোনি জলের গ্লাস ফেলে দিয়ে সকলকে অবাক করে দেয়। হিয়ার কাছে কোনির হয়ে ক্ষিতীশ সিংহ ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বুঝতে পারেন যে হিয়া মিত্রই কোনির ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বী। কোনির এই আক্রোশ, ক্রোধ ও উত্তেজনা যথাসময়ে কাজে লাগবে। তাই কোনির ভিতরে প্রতিযোগিতার এই আগুন জ্বালিয়ে রাখার জন্য ক্ষিতীশ সিংহ তাকে আরও তাতিয়ে দেন।

এই ঘটনাটি কোনির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কোনির মনে জেতার প্রবল ইচ্ছা জাগ্রত হয় এবং সে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ওঠে।

বড়োলোকরা গরিবদের ঘেন্না করে। — কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এ কথা বলেছেন? এই ঘটনা থেকে ক্ষিতীশ সিংহ কী উপলব্ধি করেছিলেন?

“বড়োলোকরা গরিবদের ঘেন্না করে।” — কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এ কথা বলেছেন? এই ঘটনা থেকে ক্ষিতীশ সিংহ কী উপলব্ধি করেছিলেন?

বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিত – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসে কোনি ক্ষিতীশ সিংহের সঙ্গে এক রবিবার চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়েছিল। রবিবার সকালে তিন ঘণ্টা মতো চিড়িয়াখানায় ঘোরার পর খেতে বসে কোনি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে। একটি নামি স্কুলের কিছু মেয়েও সেদিন শিক্ষিকাদের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছিল। কোনি জলের ড্রামের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষিকার কাছে জল চাইলে তিনি তাকে অপমান করে ফিরিয়ে দেন। অপ্রতিভ হয়ে ফিরে এসে কোনি ঘৃণার সঙ্গে জানায় বড়োলোকরা গরিবদের ঘেন্না করে।

ক্ষিতীশের উপলব্ধি – কোনি জল চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হলেও ওই স্কুলেরই ছাত্রী হিয়া মিত্র কোনি এবং ক্ষিতীশ সিংহের জন্য জল এনে দিয়েছিল। কিন্তু কোনি জলের গ্লাসটা ফেলে দিয়ে ক্ষিতীশ এবং হিয়া দুজনকেই অবাক করে দেয়। হিয়ার কাছে কোনির হয়ে ক্ষিতীশ সিংহ ক্ষমা চেয়ে নেন। কোনিকে এই আচরণের জন্য বকবেন মনে করেও তিনি তা করেননি। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন হিয়া মিত্রই কোনির ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বী। কোনির এই আক্রোশ, ক্রোধ ও উত্তেজনা যথাসময়ে কাজে লাগবে। তাই কোনির ভিতরে প্রতিযোগিতার এই আগুন জ্বালিয়ে রাখার জন্য ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে আরও তাতিয়ে দেন। অভিজ্ঞ এবং বিচক্ষণ ক্ষিতীশ সিংহের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে এর প্রভাব কোনির জেতার অদম্য ইচ্ছাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

আরও পড়ুন, মানুষের ক্ষমতার সীমা নেই রে, ওরা পাগলা বলছে, বলুক। – বক্তা কে? তার উক্তি কতটা যুক্তিযুক্ত লেখো।

মতি নন্দীর রচিত কোনি উপন্যাসে চিড়িয়াখানায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি কোনির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বড়োলোকদের অপমানজনক আচরণ কোনির মনে তীব্র ঘৃণা ও ক্রোধের সঞ্চার করে। এই ঘটনা কোনিকে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করে এবং তাকে জীবনে সফল হবার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তোলে।

ক্ষিতীশ সিংহ কোনির প্রতিভা ও সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করেন এবং তাকে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি কোনির মনের ভেতরের আগুনকে আরও জ্বালাতে সাহায্য করেন। হিয়া মিত্রের সাথে কোনির প্রতিযোগিতা তাকে আরও উদ্যমী করে তোলে এবং তাকে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

চিড়িয়াখানার ঘটনাটি কোনির জীবনের একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত। এই ঘটনার পর থেকেই কোনি একজন সফল লেখিকা হবার জন্য লড়াই শুরু করে। তার জেতার অদম্য ইচ্ছা এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে শেষ পর্যন্ত তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

উপসংহারে বলা যায়, চিড়িয়াখানায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি কোনির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ঘটনা তাকে একজন সফল লেখিকা হতে অনুপ্রাণিত করে এবং তার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়।

Share via:

মন্তব্য করুন