এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

ষষ্ঠ শ্রেণী – ইতিহাস – ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা (প্রথম পর্যায় : আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০-১৫০০ অব্দ) – পাঠ্যাংশের অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায়, ‘ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা (প্রথম পর্যায় : আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০-১৫০০ অব্দ)’ অধ্যায়ের পাঠ্যাংশের অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্যও সহায়ক। কারণ ষষ্ঠ শ্রেণী এবং চাকরির পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আসতে দেখা যায়।

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা
Contents Show

বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো

তামা, কাঁসা, পাথর, লোহা

উত্তর – পাথর

ঘোড়া, হাতি, গন্ডার, ষাঁড়

উত্তর – ঘোড়া

কালিবঙ্গান, মেহেরগড়, বানাওয়ালি, ধোলাবিরা

উত্তর – মেহেরগড়

নীচের বাক্যগুলির কোনটি ঠিক কোনটি ভুল লেখো

লিপির ব্যবহার সভ্যতার একটি বৈশিষ্ট্য।

উত্তর – ঠিক

মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন দয়ারাম সাহানি।

উত্তর – ভুল

হরপ্পা সভ্যতা প্রাক-ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতা।

উত্তর – ভুল

হরপ্পার মানুষ লিখতে জানতেন।

উত্তর – ঠিক

সঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো

হরপ্পা সভ্যতার বাড়িঘরগুলি তৈরি হত_____(পাথর দিয়ে/পোড়া ইট দিয়ে/কাঠ দিয়ে)।

উত্তর – পোড়া ইট দিয়ে

হরপ্পা সভ্যতা ছিল_____(পাথরের যুগের/ লোহার যুগের/তামা ও ব্রোঞ্জ যুগের) সভ্যতা।

উত্তর – তামা ও ব্রোঞ্জ যুগের

ভারতীয় উপমহাদেশে হরপ্পাতেই_____(প্রথম নগর/ প্রথম গ্রাম/দ্বিতীয় নগর) দেখা গিয়েছিল।

উত্তর – প্রথম নগর

নিজের ভাষায় ভেবে লেখো (তিন/চার লাইন)

তোমার জানা কোনো একটি শহরের সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার শহরের মিল-অমিলগুলি খুঁজে বার করো।

আমার জানা একটি শহর হল চন্দননগর।

হরপ্পা সভ্যতার শহরের সঙ্গে চন্দননগরের মিল

হরপ্পা সভ্যতার শহরের সঙ্গে চন্দননগরের যে মিল রয়েছে তার মধ্যে দুটি হল –

  • চওড়া রাস্তা ও সরু গলিপথ
  • উন্নত জলনিকাশি ব্যবস্থা।

হরপ্পা সভ্যতার শহরের সঙ্গে চন্দননগরের অমিল

যেদিক দিয়ে অমিল রয়েছে তার মধ্যে দুটি হল –

  • বিশাল শস্যের গোলা চন্দননগরে নেই
  • বড়ো স্নানাগারও চন্দননগরে নেই।

সিন্ধুনদের তীরে হরপ্পা সভ্যতার শহরগুলি কেন গড়ে উঠেছিল বলে তোমার মনে হয়?

সিন্ধুনদের তীরে হরপ্পা সভ্যতার শহরগুলি গড়ে ওঠার কারণসমূহ হল –

  • জলসেচের সুবিধা – শহরের নীচু এলাকায় কৃষিজমিতে জলসেচের সুবিধা।
  • পানীয় জলের ব্যবস্থা – পানীয় জলের সুবিধা।
  • যাতায়াতের সুবিধা – জলপথে সহজে যাতায়াতের সুবিধা।
  • বহন খরচ কম – পালতোলা নৌকো করে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার খরচ ছিল খুবই সস্তা।

হরপ্পা সভ্যতায় কী ধরনের বাড়িঘর পাওয়া গেছে? সেগুলিতে কারা থাকতেন বলে মনে হয়?

হরপ্পা সভ্যতায় পোড়া মাটির ইটের তৈরি নানা আকারের বাড়িঘর দেখা যায়, যেমন – বড়ো বাড়ি, যার অনেকগুলি তলা ছিল এবং ছোটো বাড়ি, যেগুলি সারিবদ্ধভাবে গড়ে উঠেছিল। বড়ো বড়ো ঘর বাড়িগুলি দেখে মনে হয়, সেগুলিতে ধনী মানুষেরা বসবাস করতেন এবং ছোটো বাড়িগুলিতে গরিব মানুষেরা থাকতেন।

তোমার কি মনে হয়, হরপ্পা সভ্যতার মানুষ স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন? তোমার স্থানীয় অঞ্চলে স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হরপ্পার মানুষের থেকে কোন্ কোন্ বিষয় তুমি শিখবে?

হরপ্পাবাসীরা যে স্বাস্থ্যসচেতন ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় এই সভ্যতার নগর পরিকল্পনা দেখে। যেমন –

  • প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে কুয়ো থাকত। তা থেকে তারা পানীয় জল খেত এবং স্নান করত।
  • ঘরে বায়ু চলাচলের জন্য ভেন্টিলেটারের ব্যবস্থা ছিল।
  • দূষণমুক্ত শহরের জন্য তারা সুন্দর নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। প্রত্যেক বাড়ির সামনে তারা আবর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিন রাখত।
  • শহরের রাস্তাঘাট ও বাড়িগুলি গড়ে তোলা হত পরিকল্পিতভাবে।

হরপ্পাবাসীরা শহরের নিয়মকানুন মেনে চলত, যেমন –

  • যেখানে-সেখানে ঘর বাড়ি বানাত না। আবর্জনা কেবল ডাস্টবিনেই ফেলত।
  • রাস্তাঘাটগুলি বানানো হত স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে। সেগুলি ছিল লম্বা ও চওড়া।
  • প্রধান রাস্তার ধারে বাড়ির দরজা রাখা হত না।
  • স্নানাগারগুলিতে শুধু জলের জন্য নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল।

হরপ্পাবাসীদের থেকে আমরা এইসব স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শিখতে পারি।

হাতেকলমে করো

হরপ্পা সভ্যতায় শহর ও মানুষের জীবন কেমন ছিল? তার ছবি দিয়ে চার্ট তৈরি করো।

হরপ্পা সভ্যতার শহর ও মানুষের জীবন ছিল খুব উন্নত। তারা পরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট, রাস্তাঘাটের পাশে আবর্জনা ফেলার স্থান, ঘরবাড়ি, জলনিকাশি ব্যবস্থা, স্নানাগার, বাটখারার প্রচলন করেছিল।

হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন প্রত্ননিদর্শনগুলি মাটি, পিচবোর্ড বা থার্মোকল দিয়ে বানাও। ওই প্রত্ননিদর্শনগুলি হরপ্পা সভ্যতার ইতিহাস জানতে কীভাবে সাহায্য করে?

হরপ্পার প্রত্নসামগ্রির বৈচিত্রতা – হরপ্পা সভ্যতায় প্রাপ্ত প্রত্ননিদর্শনগুলি সেই সভ্যতার শিল্পরুচির পরিচয় তুলে ধরে। এই সভ্যতায় শিল্পবস্তু নির্মাণে তামা, কাঁসা, মাটি, পাথর ও ধাতু ব্যবহৃত হত। এছাড়া সোনা, শাঁখ, দামি-কমদামি পাথর, হাতির দাঁত প্রভৃতিও ব্যবহৃত হত। ব্যাবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সিলমোহরের ব্যবহার জনপ্রিয় ছিল। মহেন-জো-দারোয় আবিষ্কৃত স্নানাগার ও শস্যাগার উন্নত নাগরিক সভ্যতার পরিচয় তুলে ধরে। উজ্জ্বল লাল-কালো মাটির পাত্র উন্নত কারিগরির নজির তুলে ধরে। সূক্ষ্ম ওজন মাপার বাটখারা সিন্ধুবাসিদের ব্যাবসায়িক প্রতিপত্তির দিকটি চিহ্নিত করে। পোড়ামাটির খেলনা এই সভ্যতার অধিবাসীদের অবসর সময়ের আমোদ-প্রমোদের কথা তুলে ধরে।

হরপ্পার বিভিন্ন প্রত্ননিদর্শন
হরপ্পার বিভিন্ন প্রত্ননিদর্শন

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায়, “ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা (প্রথম পর্যায় : আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০-১৫০০ অব্দ)” অধ্যায়ের পাঠ্যাংশের অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সহায়ক হবে, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় আসে। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ!

Share via:

মন্তব্য করুন