আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় ‘বনভোজনের ব্যাপার’–এর অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো প্রায়শই পরীক্ষায় আসে।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের কোন্ বিখ্যাত চরিত্রের সৃষ্টিকর্তা?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে ‘টেনিদা’ চরিত্রের সৃষ্টিকর্তা।
তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।
তাঁর লেখা দুটি বিশিষ্ট উপন্যাস হল – ‘উপনিবেশ’ (তিনটি খণ্ড) ও ‘শিলালিপি’।
বনভোজনের উদ্যোগ কাদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল?
প্রখ্যাত লেখক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে হাবুল সেন, টেনিদা, প্যালা ও ক্যাবলাকে বনভোজনের উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছিল।
বনভোজনের জায়গা কোথায় ঠিক হয়েছিল?
শ্যামবাজার ইস্টিশান থেকে মার্টিন রেলে চড়ে বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরো চারটে ইস্টিশান দূরে ক্যাবলার মামার একটা বাগানবাড়িতে বনভোজনের জায়গা ঠিক হয়েছিল।
রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব কে নিয়েছিল?
টেনিদার নেতৃত্বে হাবুল সেন, ক্যাবলা, প্যালা মিলে একটি বনভোজনের উদ্যোগ নেয়। এতে প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
বনভোজনের বেশিরভাগ সামগ্রী কারা সাবাড় করেছিল?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পের পরিণতিতে দেখা যায়, কয়েকটা বানর বনভোজনের জন্য রেখে দেওয়া বেশিরভাগ সামগ্রী অর্থাৎ চাল-ডাল-আলু সাবাড় করেছিল।
বনভোজনের ব্যাপার গল্পটির লেখক হলেন – (প্রেমেন্দ্র মিত্র/বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়/নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়)।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের আসল নাম ছিল – (তারাশঙ্কর/তারকনাথ/সুনন্দ)।
তারকনাথ।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় যে ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন তা হল- (সুনন্দ/পরশুরাম/বিরূপাক্ষ)।
সুনন্দ।
বনভোজনে পোলাও, ডিমের ডালনা, রুই মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা হওয়ার কথা বলেছে – (টেনিদা/হাবুল সেন/ক্যাবলা)।
হাবুল সেন।
পশ্চিমে কুঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খায়। কথাটি বলেছিল – (প্যালা/ক্যাবলা/হাবুল সেন)
ক্যাবলা।
ট্যাঁক-খালির জমিদার সব-তোদের নিয়ে ভদ্দরলোকে পিকনিক করে! কথাটি বলেছিল – (টেনিদা/হাবুল সেন/প্যালা)।
টেনিদা।
রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব নিয়েছিল – (টেনিদা/ক্যাবলা/প্যালা)।
প্যালা।
দু-আনার পাঁঠার ঘুগনি আর ডজনখানেক ফুলুরি সাবড়ে তবে মুখ খুলল! – কথাটি বলা হয়েছে (ঘণ্টা-র/মন্টা-র/ভন্টা-র) প্রসঙ্গে।
ভন্টা-র প্রসঙ্গে।
এনেছিস রাজহাঁসের ডিম? কথাটা বলেছিল – (হাবুল সেন/প্যালা/টেনিদা)।
টেনিদা।
ডিমের ডালনার বারোটা বেজে গেল। কথাটি বলেছিল – (টেনিদা/ক্যাবলা/হাবুল সেন)।
ক্যাবলা।
এদিক-ওদিক তাকিয়ে টপ করে সেটা তুলে নিয়ে মুখে পুরে দিলাম। বক্তা মুখে পুরে দেয় – (রসগোল্লা/লেডিকেনি/আমের আচার)।
আমের আচার।
মাছের কালিয়ার তিনটে বেজে গেল। কথাটি বলেছিল – (ক্যাবলা/টেনিদা/হাবুল সেন)।
ক্যাবলা।
খিচুড়ির লিস্ট থেকে নাম কাটা যায় – (টেনিদার/ক্যাবলার/প্যালার)।
প্যালার।
তার চেয়ে বল-না _,_ আর _ ঝোল!
হিঞ্চে সেদ্ধ, গাঁদাল, শিঙি মাছের।
হাবুল সেন বললেন, আহা-হা _ _ কেন?
চৈইত্যা, যাইত্যাছ।
জুতসই লাগলে স্রেফ _ উড়ে যাবে।
গালপাট্টা।
ভন্টা _ বেঁকিয়ে বললে, নিজেরা _ সাঁটাবেন আর আমার বেলায় _ !
ঠোঁট, পোলাও-মাংস, আইসক্রিম।
_ টানে হাঁসের _ থেকে হাত ছাড়িয়ে _ দৌড় লাগালাম।
হ্যাঁচকা, ঠোঁট, চোঁচা।
ওই _ ঘুগনি আর _ শোধ তুলে ছাড়ব।
পাঁঠার, ফুলুরির।
ক্যাবলা আবার _ করলে, _ আচারের _ বেজে গেল।
ঘোষণা, আমের, একটা।
_ সাদা রসগোল্লাগুলো পাশের _ খানায় গিয়ে পড়ে একেবারে _ আচার।
ধবধবে, কাদাভরা, নেবুর।
উস-উস শব্দে নোলার জল টানল টেনিদা – টেনিদার এমন আচরণের কারণ কী?
হাবুল সেনের মুখে বনভোজনে পোলাও, ডিমের ডালনা, রুই মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা ইত্যাদি খাবারের কথা শুনে টেনিদা লোভে নোলার জল টানল।
বনভোজনের আলোচনায় কে কে ছিল?
বনভোজনের আলোচনায় ছিল হাবুল সেন, প্যালা, ক্যাবলা ও সর্বাধিনায়ক টেনিদা।
টেনিদা তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে কী বলেছিল?
টেনিদা তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে বলেছিল – ‘কাঁচা লঙ্কা আর ছোলার ছাতু আরও ভালো লাগে না? তবে তাই খা-গে যা। তোদের মতো উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলোচনাও ঝকমারি!
বনভোজনের প্রথম লিস্টে খাওয়ার কী কী পরিকল্পনা হয়?
বনভোজনের প্রথম লিস্টে খাওয়ার আয়োজন ছিল – বিরিয়ানি পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা, কাবাব (দু-রকম) ও মাছের চপ।
বেশ ডাঁটের মাথায় কে কী বলেছিল?
বেশ ডাঁটের মাথায় প্যালা বলেছিল – ‘দূর-দূর। হাঁসের ডিম খায় ভদ্দরলোক! খেতে হলে রাজহাঁসের ডিম। রীতিমতো রাজকীয় খাওয়া!
কে কীসের পর মুখ খুলেছিল?
ভন্টা দু-আনার পাঁঠার ঘুগনি আর ডজন খানেক ফুলুরি সাবাড় করে তবে মুখ খুলেছিল।
রাজহাঁসের বাক্সে কে হাত ঢোকায় এবং তার পরিণতি কী হয়?
রাজহাঁসের বাক্সে প্যালা হাত ঢোকায়। রাজহাঁস খটাং করে হাত কামড়ে ধরে। সে কী কামড়। হাঁই-মাই করে প্যালা চেঁচিয়ে ওঠে।
পরদিন সকালে শ্যামবাজার ইস্টিশানে পৌঁছে কী দেখা যায়?
পরদিন সকালে শ্যামবাজার ইস্টিশানে পৌঁছে প্যালা দেখতে পায় – টেনিদা, ক্যাবলা আর হাবুল মার্টিনের রেলগাড়িতে চেপে বসে আছে। সঙ্গে একরাশ হাঁড়ি-কলশি, চালের পুঁটলি ও তেলের ভাঁড়।
পৌঁছোবার আগেই যে সাফহয়ে যাবে? – বক্তা কে? উত্তরে টেনিদা কী বলেছিল?
উদ্ধৃতাংশের বক্তা ক্যাবলা।
উত্তরে টেনিদা বলে, ‘সাফ হবে কেন, দুটো-একটা চেখে দেখব শুধু। আমার বাবা ট্রেনে চাপলেই খিদে পায়। এই এক ঘণ্টা ধরে শুধু শুধু বসে থাকতে পারব না। বের কর হাঁড়ি-চটপট।
ডিমের ডালনার বারোটা বেজে গেল। – বক্তা কে? এ কথা বলার কারণ কী?
উদ্ধৃতাংশের বক্তা ক্যাবলা।
বনভোজনে যাওয়ার সময় ট্রেন থেকে কাঁচারাস্তায় নেমে একখানা রামআছাড় খায় হাবুল। সারা গায়ে কাদা মেখে সে উঠে দাঁড়ায়। হাতের ডিমের পুঁটলিটা তখন কুঁকড়ে এতটুকু – হলদে রস গড়াচ্ছে তা থেকে। ডিমগুলো সব ভেঙে গেছে জেনে বক্তা এ কথা বলেছিল।
মাছের কালিয়ার তিনটে বেজে গেল। – কে, কেন এমন ঘোষণা করেছিল?
ক্যাবলা আদালতের পেয়াদার মতো উচ্চকণ্ঠে উদ্ধৃত কথাটি ঘোষণা করে। প্যালা কাঁচা তেলে মাছ ঢেলে দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে কড়াই-ভরতি ফেনা। অতগুলো মাছ তালগোল পাকিয়ে যায় একসঙ্গে। এ মাছের কালিয়া নয়, একেবারে হালুয়া হয়ে যাওয়ায় ক্যাবলা উদ্ধৃত কথাটা মজা করে বলেছিল।
সেই মুহূর্তেই হাবুল সেনের আবিষ্কার। – হাবুল সেন কী আবিষ্কার করেছিল?
হাবুল, সেন সেই মুহূর্তেই কলম্বাসের মতো আবিষ্কার করে যে – বাগানের একটা জলপাই গাছে জলপাই পেকে আছে, যা খিদের সময় অমৃততুল্য।
চোখের পলকে বানরগুলো কাঁঠাল গাছের মাথায়। – বানরগুলো গাছের মাথায় উঠে কী করে?
বনভোজনের জন্যে আনা চাল-ডাল-আলুর পুঁটলি নিয়ে কয়েকটা বানর কাঁঠাল গাছের মাথায় উঠে যায়। টেনিদা, ক্যাবলা, প্যালা ও হাবুলদের দেখিয়ে দেখিয়ে তরিবত করে খেতে থাকে – সেইসঙ্গে বিচ্ছিরি ভেংচি দেখায়।
আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় ‘বনভোজনের ব্যাপার’ – এর অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় আসে। আমি আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, দয়া করে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারা উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!