আজকের আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের দ্বাবিংশ অধ্যায় ‘নাটোরের কথা’ নিয়ে আলোচনা করবো, যেখানে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর উপস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রশ্নগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এসব প্রায়ই আসে।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি বইয়ের নাম হল – ‘ক্ষীরের পুতুল’ ও ‘বুড়ো আংলা’।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কোন্ সম্পর্কে সম্পর্কিত?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতা গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র হলেন অবনীন্দ্রনাথ। অর্থাৎ তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতুষ্পুত্র এবং রবীন্দ্রনাথ তাঁর সম্পর্কে পিতৃব্য বা কাকা হন।
লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী, তখনকার নাটোরের মহারাজার নাম কী ছিল?
লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী তখনকার নাটোরের মহারাজার নাম ছিল জগদিন্দ্রনাথ।
তিনি কোন্ ‘রিসেপশন কমিটি’র প্রেসিডেন্ট ছিলেন?
নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ নাটোরে অনুষ্ঠিত প্রভিনসিয়াল কনফারেন্স বা প্রাদেশিক সম্মেলনের যে রিসেপশন কমিটি তৈরি হয়েছিল তার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
সারাঘাট থেকে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা কোন্ নদীতে স্টিমারে চড়েছিলেন?
সারাঘাট থেকে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা পদ্মানদীতে স্টিমারে চড়েছিলেন।
নাটোরে প্রোভিন্সিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন গানটি পরিবেশন করেছিলেন?
নাটোরে অনুষ্ঠিত প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি পরিবেশন করেছিলেন।
পিসেমশাই-এর নাম – (জোনাকিনাথ ঘোষাল/জানকীনাথ ঘোষাল/জীমূতনাথ ঘোষাল)
পিসেমশাই-এর নাম জানকীনাথ ঘোষাল।
লেখক (ধুতি/পাঞ্জাবি/চোগাচাপকান) পরে যাওয়ার জন্য তৈরি হলেন।
লেখক চোগাচাপকান পরে যাওয়ার জন্য তৈরি হলেন।
ট্রেন থেকে সকলে যে স্টেশনে নামলেন তার নাম – (সারাঘাট/সারঘাট/সরাইঘাট)।
ট্রেন থেকে সকলে যে স্টেশনে নামলেন তার নাম সারাঘাট।
নাটোরের বাড়িটি যেন – (যমপুরী/ইন্দ্রপুরী/যক্ষপুরী)।
নাটোরের বাড়িটি যেন ইন্দ্রপুরী।
হালুইকর খাবার ঘরের দরজায় বসে তৈরি করে দিল গরম গরম – (রসগোল্লা/রাবড়ি/সন্দেশ)।
হালুইকর খাবার ঘরের দরজায় বসে তৈরি করে দিল গরম গরম সন্দেশ।
নাটোরের কনফারেন্সে ___ ভাষা প্রথম প্রচলিত হল।
নাটোরের কনফারেন্সে বাংলা ভাষা প্রথম প্রচলিত হল।
নাটোর যাবার সময় লেখক ও অন্যান্যরা ট্রেন থেকে নেমে ___ চাপলেন।
নাটোর যাবার সময় লেখক ও অন্যান্যরা ট্রেন থেকে নেমে স্টিমারে চাপলেন।
___ গানটি নাটোরের কনফারেন্সে গাওয়া হয়েছিল।
সোনার বাংলা গানটি নাটোরের কনফারেন্সে গাওয়া হয়েছিল।
স্টিমারে খাবার টেবিলে ___ লেখকের পাশে বসলেন।
স্টিমারে খাবার টেবিলে দীপুদা লেখকের পাশে বসলেন।
লেখক গরম সন্দেশ ___ -এর সঙ্গে খাবার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন।
লেখক গরম সন্দেশ চা -এর সঙ্গে খাবার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন।
নাটোরের সম্মেলনে ঠাকুরবাড়ির লোকেরা ছাড়া আর কোন্ দলের সদস্যরা গিয়েছিলেন?
নাটোরের সম্মেলনে ঠাকুরবাড়ির লোকেরা ছাড়া ন্যাশনাল কংগ্রেস দলের লোকেরা গিয়েছিলেন।
নাটোরে পৌঁছে কী পোশাক পরবেন বলে লেখক বাক্সে নিয়েছিলেন?
নাটোরে পৌঁছে লেখক ধুতি-পাঞ্জাবি পরবেন বলে বাক্সে নিয়েছিলেন।
ভোরবেলা চাকর এসে হাতে কী গুঁজে দিল?
ভোরবেলা চাকর এসে হাতে গড়গড়ার নল গুঁজে দিল।
নাটোরের রানির নাম কী?
নাটোরের রানির নাম ভবানী।
লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাধারণভাবে কী নামে পরিচিত?
লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাধারণভাবে ‘অবন ঠাকুর’ নামে পরিচিত।
রাউন্ডটেবিল কনফারেন্সে বসার ব্যবস্থা কেমন হয়েছিল?
কনফারেন্সে একটি গোলটেবিলকে ঘিরে সকলে বসলেন। মেজো জ্যাঠামশাই প্রিসাইড করছিলেন। জানকীনাথ ঘোষাল রিপোর্ট লিখছিলেন আর কলম ঝাড়ছিলেন। তাঁর পাশে বসেছিলেন নাটোরের ছোটো তরফের রাজা আর পাশে ন-পিসেমশাই।
নাটোরের কথা গল্পে লেখক কী কী স্কেচ করলেন?
নাটোরের কথা গল্পে নাটোরের পুরাতন বাড়িঘর-মন্দির দেখে লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্কেচ করছিলেন। তাতে খুশি হয়ে রাজা তাঁকে অন্দরমহলে রানি ভবানীর ঘরে নিয়ে যান সেখানে ইটের উপর নানা কাজ দেখেও তিনি স্কেচ করেন।
কনফারেন্সে বাংলা ভাষা প্রচলনের চেষ্টা করা হল কেন?
আমাদের দেশে তখন ইংরেজদের রাজত্ব। ইংরেজি ভাষাটাও বিদেশি ভাষা। দেশে তখন ইংরেজ তাড়িয়ে স্বদেশি ভাষা ও দ্রব্য ব্যবহারের চেষ্টা চলছিল। তাতেই অনুপ্রাণিত হয়ে লেখক, রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্যরা দেশীয় কনফারেন্সে বিদেশি ভাষা বর্জন করে নিজ ভাষা বাংলা প্রচলনের প্রয়াস করেছিলেন।
আজকের এই নিবন্ধে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের দ্বাবিংশ অধ্যায় ‘নাটোরের কথা’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি, যা আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। এই প্রশ্নগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় আসে, তাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি, এই পোস্টটি আপনার কাজে লেগেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তা প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের সঙ্গেও এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!