আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের ত্রয়োত্রিংশ অধ্যায় ‘সুভা’ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় আসে।
সুভা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন্ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত লিখতেন?
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী’ ও ‘বালক’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত লিখতেন।
ভারতের কোন্ প্রতিবেশী দেশে তাঁর লেখা গান জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়?
ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের লেখা – ‘আমার সোনার বাংলা/আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।
সুভার প্রকৃত নাম কী?
সুভার প্রকৃত নাম সুভাষিণী।
সুভার বাবা কে?
সুভার বাবা হলেন বাণীকণ্ঠ।
সুভা কোন্ গ্রামে বাস করত?
সুভা চণ্ডীপুর গ্রামে বাস করত।
গল্পে সুভার কোন্ কোন্ বন্ধুর কথা রয়েছে?
গোয়ালের দুটি গাভী ‘সর্বশী’ ও ‘পাঙ্গুলি’ ছিল সুভার অন্তরঙ্গ বন্ধু। এ ছাড়াও ছিল একটা ছাগল ও একটা বিড়ালছানা।
কে সুভাকে ‘সু’ বলে ডাকত?
গ্রামেরই গোঁসাইদের ছোটো ছেলে প্রতাপ সুভাকে ‘সু’ বলে ডাকত।
চণ্ডীপুর গ্রামের বর্ণনা দাও।
বাংলাদেশের এক ছোট্ট নদীর ধারে চণ্ডীপুর গ্রাম। নদীর কলতান, পাখির ডাক, মাঝির গান, গাছের মর্মরধ্বনি, ঝিল্লির রব পূর্ণ একটি ছোটো গ্রাম চণ্ডীপুর।
এইজন্য প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝিত – প্রতাপের কাছে সুভা কীভাবে মর্যাদা পেত, তা গল্প অবলম্বনে লেখো।
মাছ ধরার সময় বাক্যহীন সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। তাই প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝত। সে সুভাকে ‘সু’ বলে ডাকত। প্রতাপের একটা করে পান বরাদ্দ ছিল, সুভা নিজে তা সেজে এনে দিত।
প্রকৃতি যেন তাহার ভাষার অভাব পূরণ করিয়া দেয় – মানুষের ভাষার অভাব কীভাবে প্রকৃতি পূরণ করতে পারে তা আলোচনা করো।
প্রকৃতির বিবিধ শব্দ, বিচিত্র গতি বোবার ভাষার মতোই। প্রকৃতি নিজে কথা বলতে পারে না। কিন্তু প্রকৃতির সব ইঙ্গিত, ভঙ্গি, সংগীত এমনকি দীর্ঘনিশ্বাসও মানুষের ভাষার অভাব পূরণ করে দেয়।
সুভার প্রকৃত নাম ছিল – (সুভাষিণী/সুকেশিনী/সুহাসিনী)।
সুভার প্রকৃত নাম ছিল সুভাষিণী।
সুভাদের গ্রামের নাম ছিল – (পলাশপুর/চণ্ডীপুর/রাজপুর)।
সুভাদের গ্রামের নাম ছিল চণ্ডীপুর।
সুভার পোষ্য গাভী ছিল – (একটি/দুটি/তিনটি)।
সুভার পোষ্য গাভী ছিল দুটি।
সুভার মানুষ বন্ধুর নাম ছিল – (সজল/প্রকাশ/প্রতাপ)।
সুভার মানুষ বন্ধুর নাম ছিল প্রতাপ।
প্রতাপের প্রধান শখ ছিল – (মাছ ধরা/ঘুড়ি ওড়ানো/বল খেলা)।
প্রতাপের প্রধান শখ ছিল মাছ ধরা।
পিতামাতার মনে সে সর্বদাই _____ ছিল।
পিতামাতার মনে সে সর্বদাই জাগরুক ছিল।
সে নির্জন _____ মতো শব্দহীন এবং সঙ্গীহীন।
সে নির্জন দ্বিপ্রহরের মতো শব্দহীন এবং সঙ্গীহীন।
গোয়ালের দুটি গাভী, তাহাদের নাম সর্বশী ও _____।
গোয়ালের দুটি গাভী, তাহাদের নাম সর্বশী ও পাঙ্গুলি।
মাছ ধরার সময় _____ সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
মাছ ধরার সময় বাক্যহীন সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
বর _____ কাজ করে।
বর পশ্চিমে কাজ করে।
সুভার দুটি বড়ো বোনের নাম কী?
সুভার দুটি বড়ো বোনের নাম হল সুকেশিনী এবং সুহাসিনী।
সুভার পিতার নাম কী?
সুভার পিতার নাম হল বাণীকণ্ঠ।
সুভার গ্রামের নাম কী?
সুভার গ্রামের নাম হল চণ্ডীপুর।
গোঁসাইদের ছোটোছেলের নাম কী?
গোঁসাইদের ছোটোছেলের নাম প্রতাপ।
প্রতাপের প্রধান শখ কী ছিল?
প্রতাপের প্রধান শখ ছিল ছিপ ফেলে মাছ ধরা।
সুভার বর কতদিন পরে বুঝতে পারল যে সুভা বোবা?
বিবাহের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সুভার বর বুঝতে পারল যে সুভা বোবা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার পান? তাঁর লেখা দুটি ছোটোগল্পের নাম লেখো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার পান।
তাঁর লেখা দুটি ছোটোগল্পের নাম হল – ‘একরাত্রি’ এবং ‘ছুটি’।
সুভার মা সুভার বাকহীনতাকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন কেন?
মা ছেলের চেয়ে মেয়েকেই নিজের অংশরূপে দেখেন – তার কোনো অসম্পূর্ণতা নিজের লজ্জার কারণ বলে মনে করেন, তাই এটিকে তিনি নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন।
সাধারণ বালক-বালিকারা সুভাকে কেন ভয় পেত বলে লেখক মনে করেছেন?
বাক্যহীন মানুষের মধ্যে বৃহৎ প্রকৃতির মতো একটা বিজন মহত্ব আছে। সাধারণ বালক-বালিকারা তাই সুভাকে ভয় পেত।
বাণীকন্ঠের বাড়ির কী কী নৌকাবাহীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে?
বাণীকন্ঠের বাড়ির বাখারির বেড়া, আটচালা, গোয়ালঘর, ঢেঁকিশালা, খড়ের স্তূপ, তেঁতুলতলা, আম-কাঁঠাল এবং কলার বাগান নৌকাবাহী মাত্রেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ত্রয়োত্রিংশ অধ্যায় ‘সুভা’ এর অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রায়ই এসব প্রশ্ন পরীক্ষায় আসে। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও তথ্য প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!