আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের তৃতীয় পাঠের প্রথম অধ্যায়, ‘হিমালয় দর্শন’ -এর কিছু রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
ভূমিকা – নামকরণ সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নামকরণের মাধ্যমে। বিষয়টি সম্পর্কে আগাম ধারণা পাওয়া যায়। নামকরণকে রচনার অভ্যন্তরে প্রবেশের সিংহদ্বার বলা যেতে পারে। নামকরণ নানাপ্রকার হতে পারে – বিষয়ভিত্তিক, চরিত্রভিত্তিক, ব্যঞ্জনাধর্মী ইত্যাদি। আমাদের পাঠ্য ‘হিমালয় দর্শন’ ভ্রমণকাহিনি অংশটির নামকরণ সার্থক কি না, সেটাই বিচার্য।
হিমালয় দর্শনের বর্ণনা – ভ্রমণকাহিনির শুরুতে আছে হিমালয় রেল রোড ধরে শিলিগুড়ি থেকে ছোটো রেলগাড়ি করে শৈলক্ষেত্রের উদ্দেশে যাত্রা। চড়াই উতরাই পথে কোথাও অতি উঁচু চূড়া আবার কোথাও নিবিড় অরণ্য, কোথাও বা কুয়াশা দেখে মনে হয় মেঘ। শ্যামল বনানী, আঁকাবাঁকা পথ, কোথাও জলপ্রপাত বা নির্ঝর-সত্যিই অবর্ণনীয়। প্রস্তরখণ্ডের চারপাশ দিয়েই রেলপথ। এভাবেই এগিয়ে চলা। হাজার ফিট ওপরেও শীত নেই। সেখানকার অধিবাসী ভুটিয়ানিদের সঙ্গে পরিচিতি, তাদের সৎ ও সাহসী বৈশিষ্ট্য রমণীদের ঐতিহ্যকে আরও বৃদ্ধি করে। পরমেশ্বরের অসাধারণ সৃষ্টি নির্ঝরের কলতান পার্বত্য পরিবেশে সুর মূর্ছনার সৃষ্টি করে। ঈশ্বরের কাছে মানুষ কৃতজ্ঞ। সমুদ্রের মতোই রয়েছে সুন্দর পাহাড়। বিশ্বসৃষ্টির অমোঘ বিস্তৃতিতে হিমালয়কে লেখিকার নিতান্তই ক্ষুদ্র বলে মনে হয়েছে। চিত্রকর যেন তার চিত্রাঙ্কনের নৈপুণ্যই প্রকাশ করেছেন। সমুদ্রতীরবর্তী বালুকণার ক্ষুদ্রতা থেকে শুরু করে সুউচ্চ হিমালয়ের মহত্ত্বই ভাস্বর হয়ে উঠেছে। আমাদের দর্শনেন্দ্রিয়কে তৃপ্ত করেছে, মন হয়েছে সৌন্দর্য দর্শনে ঋদ্ধ। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপলব্ধিতে বারবার মন চলে গেছে সুদূরপানে সুউচ্চ শিখর দেশে।
নামকরণ – আলোচ্য পাঠ্যাংশটি লেখিকা বেগম রোকেয়া উত্তম পুরুষে বর্ণনা করেছেন। শব্দচয়ন, বাক্যগঠন, উপমা উপস্থাপন, চিত্রকল্প নির্মাণ রচনাটিকে এমন প্রাঞ্জল করেছে যে ‘হিমালয় দর্শন’ কেবল লেখিকার একক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকেনি। তাঁর হিমালয় দর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনাগুণে পাঠকের মানসপটে আরও একটি সৌন্দর্যক্ষেত্র রচনা করেছে। রচনাটির সঙ্গে অন্বিত হয়ে পাঠকও যেন হিমালয় যাত্রার মনোরম অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করতে পেরেছে। লেখিকার এই সৃষ্টি যথার্থ অর্থেই পাঠকের সঙ্গে সাযুজ্য স্থাপন করতে পারায় নামকরণটি সার্থক হয়েছে।
ভ্রমণ সাহিত্য হিসেবে ‘হিমালয় দর্শন’ কতখানি সার্থকতা লাভ করেছে তা লেখো।
অথবা, ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশটি কোন্ শ্রেণির রচনা তা বিষয়বস্তু অনুসারে আলোচনা করো।
ভূমিকা – বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশটির শিরোনাম থেকেই মূলত এর প্রতিপাদ্য বিষয়বস্তুর একটা ইঙ্গিত মেলে। স্বাভাবিকভাবেই এরূপ ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, লেখিকার হিমালয় দর্শনজনিত অভিজ্ঞতাই এখানে স্থান পেয়েছে এবং লেখিকা হিমালয়কেন্দ্রিক কোনো অঞ্চলে ভ্রমণের ফলেই সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। সুতরাং বোঝা যায় যে এটি ভ্রমণবৃত্তান্তমূলক রচনা।
লেখিকার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা – লেখিকা বেগম রোকেয়া শিলিগুড়ি থেকে হিমালয় রেল রোডে এসে হিমালয়ান রেলগাড়ি চড়ে কার্সিয়াং -এর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এই পাহাড়ি রেলপথের অপূর্ব সৌন্দর্য যেন তাঁর লেখনীগুণে পাঠকের সামনে দৃশ্যায়িত হয়ে ওঠে। রাস্তার ধারে চা-বাগান, জলপ্রপাত, মেঘরৌদ্রের আলোছায়ার বর্ণনা যেমন তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন, তেমনই পাহাড়ি মানুষদের শ্রমনির্ভর জীবনযাপন, ভুটিয়া মহিলাদের স্বনির্ভর কর্মজীবন ও তাদের সততা, সারল্য ও সাহসের কথাও লেখিকা আলোচনা করেছেন। সুতরাং এই রচনায় হিমালয় পর্বতের বর্ণনাই শুধু নয়, হিমালয় কেন্দ্রিক জনজীবনের যেসব দিক লেখিকার অভিজ্ঞতায় ধরা পড়েছে তারও বিশদ উল্লেখ আমরা পাই এবং সেইজন্য এই রচনাকে একটি সম্পূর্ণ ভ্রমণবৃত্তান্তমূলক রচনার শ্রেণিভুক্ত করাই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করা যেতে পারে।
‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে লেখিকা হিমালয় দর্শনের যে অভিজ্ঞতা দিয়েছেন তা সংক্ষেপে লেখো।
অথবা, “সকলই মনোহর” – এটি কোন্ গদ্যাংশের উদ্ধৃতি? কার রচনা? মনোহর দৃশ্যের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
অথবা, ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে পার্বত্যপথে লেখিকার রেলগাড়িতে যাত্রার অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে লেখো।
রেলযাত্রা – বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে আমরা পার্বত্যপথে লেখিকার রেলগাড়িতে যাত্রার যে অপূর্ব বর্ণনা পাই তাতে মনে হয় পাঠকচিত্ত যেন একইসঙ্গে সেই পথের সহযাত্রী হয়ে উঠেছে। লেখিকা শিলিগুড়ি স্টেশনে পৌঁছে হিমালয় রেল রোড থেকে হিমালয়ান রেলগাড়ির আরোহী হয়ে হিমালয় দর্শনের জন্য যাত্রা শুরু করেছেন। ট্রেন ক্রমশ ‘কটাটটা’ ধ্বনি তুলতে তুলতে আঁকাবাঁকা পথ ধরে যতই এগিয়েছে, ততই লেখিকার চোখে পড়েছে কখনও সুউচ্চ পর্বতচূড়া, কখনও নিবিড় অরণ্য বা সবুজ চা-বাগান। রেলগাড়িটিও আকারে এতই নীচু যে চলন্ত গাড়ি থেকেও ওঠানামা করা যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফিট উপরে উঠেও লেখিকার শীত বোধ হয় না, কিন্তু চারপাশ মেঘ এসে ঘিরে রাখে। নীচু উপত্যকায় কুয়াশাকে লেখিকা নদী ভেবে ভুল করেন মাঝে মধ্যে। দূরে সারি সারি চা ক্ষেতগুলি প্রকৃতির মনোরম শোভাকে যেন বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। কখনো-কখনো মানুষের পায়ে চলা পথের রেখাও লেখিকার চোখে পড়ে সেগুলিকে মনে হয় ধরণির সিঁথি। পথে অনেকগুলি পাহাড়ি অরণ্যের অসামান্য সৌন্দর্য উপভোগের অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছে। কিন্তু যখন জল ভরে নেওয়ার জন্য একটি জলপ্রপাতের সামনে ট্রেনটি দাঁড়িয়েছে, তখন লেখিকা এবং তাঁর সহযাত্রীদের ঝরনা দর্শনের ইচ্ছাপূরণ হয়েছে। এইভাবে লেখিকার পার্বত্যপথে রেলযাত্রার অপূর্ব বর্ণনা ধরা পড়েছে।
কার্সিয়াং স্টেশনে পৌঁছোলে লেখিকাকে কীরূপ অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, সূত্রাকারে বর্ণনা দাও।
‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশের লেখিকা বেগম রোকেয়া শিলিগুড়ি থেকে হিমালয়ান রেলগাড়ির যাত্রী হয়ে পার্বত্যপথ ধরে 4864 ফিট উঁচুতে কার্সিয়াং স্টেশনে এসে পৌঁছেছিলেন। স্টেশনে আবহাওয়ায় ঠান্ডা না থাকলেও গরমের অস্বস্তিকরভাব থেকে লেখিকা মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু কার্সিয়াং-এ পৌঁছে লেখিকাকে কিছুটা বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। স্টেশন থেকে তাঁদের নির্ধারিত বাসাটি কাছাকাছিই ছিল। কিন্তু আসল সমস্যা ছিল অন্যরকম। তাঁরা কার্সিয়াং-এ পৌঁছালেও ভুল করার দরুন তাদের মালপত্র বোঝাই ট্রাঙ্কগুলি দার্জিলিং -এর ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছিল ভুল করে। সন্ধ্যার ট্রেনে সেগুলি ফেরত না আসা পর্যন্ত লেখিকারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে বেশ অসুবিধা বোধ করেছিলেন। কেন না, নিত্য প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যক জিনিসের অভাবে বাইরে বেড়াতে এসে তাঁদের ভালো রকম বিব্রত হতে হয়েছিল। অবশ্য তাঁরা নিজেরাই ব্যবস্থা করে সেইসব মালপত্র বোঝাই ট্রাঙ্কগুলি সন্ধ্যার ট্রেনে দার্জিলিং থেকে কার্সিয়াং-এ ফিরিয়ে আনতে পেরেছিলেন বলে এরপর সেই বিড়ম্বনা থেকে তাঁদের মুক্তি মেলে। এই ঘটনা থেকে লেখিকার এই উপলব্ধি হয় যে, কেবল ভালো জায়গায় আশ্রয়টুকু লাভ করলেই সুখ অনুভব করা যায় না। সঙ্গে আবশ্যকীয় জিনিসপত্রগুলি থাকলে তবেই সুখ ও স্বস্তিলাভ সম্ভব।
“এখানকার বায়ু পরিষ্কার ও হালকা।” – এখানকার বলতে লেখিকা কোথাকার কথা বুঝিয়েছেন? সেখানকার জল আবহাওয়ার পরিচয় দাও।
অথবা, “এ সময়কে পার্বত্য বসন্তকাল বলিলে কেমন হয়?” – লেখিকা কোন্ সময়কে, কেন পার্বত্য বসন্ত বলেছেন?
‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশের লেখিকা বেগম রোকেয়া শিলিগুড়ি থেকে হিমালয়ান রেলগাড়ির যাত্রী হয়ে কার্সিয়াং-এ এসে পৌঁছেছিলেন। ‘এখানকার’ বলতে এখানে সেইপার্বত্য অঞ্চল কার্সিয়াং -এর কথাই বলা হয়েছে।
কার্সিয়াং -এর জল-আবহাওয়া – কার্সিয়াং -এর জল-আবহাওয়া লেখিকাকে অত্যন্ত মুগ্ধ করেছিল। শুধু তাই নয়, তিনি এই জায়গায় এসে খুব আরাম ও শান্তি পেয়েছিলেন। তাঁর লেখা থেকে জানতে পারি যে, সেখানে খুব বেশি শীতও নেই, গরমও নেই। তাঁর মনে হয়েছে তিনি যেন ‘পার্বত্য বসন্তকাল’ -এর পরিবেশ লাভ করেছেন। বায়ু খুব স্বাস্থ্যকর হলেও জল কিন্তু তাঁরা ফিলটারে বিশুদ্ধ করে নিতেন। ঝরনার জল দেখতে খুব পরিষ্কার ও স্বচ্ছ এবং সেই জল স্পর্শেও আসে প্রশান্তি। স্নিগ্ধ শীতল বাতাসের স্পর্শও অত্যন্ত আরামদায়ক। হালকা বাতাসের ছোঁয়ায় মেঘ ভেসে যায় এবং অস্তগামী সূর্যের আলোয় পাহাড়ের গায়ে মেঘের শোভা লেখিকাকে আত্মহারা করে দেয়। সুতরাং কার্সিয়াং -এর জল এবং আবহাওয়া যে সবদিক থেকেই লেখিকাকে অত্যন্ত আনন্দ ও তৃপ্তি দিয়েছিল, তা তাঁর প্রদত্ত বর্ণনা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়।
‘হরিদ্বর্ণ চায়ের ক্ষেত্রগুলি প্রাকৃতিক শোভা আরও শতগুণ বৃদ্ধি করিয়াছে।’ – কোন্ প্রসঙ্গে লেখিকা এ কথা বলেছেন? ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধ অবলম্বনে অরণ্য প্রকৃতির বর্ণনা দাও।
অথবা, ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধে বর্ণিত অরণ্য প্রকৃতির বর্ণনা দাও।
সুপ্রসিদ্ধ লেখিকা বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে আমরা পার্বত্য অরণ্য প্রকৃতির অনবদ্য বর্ণনা পাই। এই বর্ণনাটি যদিও অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত, কিন্তু লেখিকার অসামান্য বর্ণনা নৈপুণ্যে তা যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
অরণ্য প্রকৃতির বর্ণনা – শিলিগুড়ি থেকে রেলপথে কার্সিয়াং-এ পৌঁছে লেখিকা পার্বত্য প্রকৃতির অসামান্য সৌন্দর্য দর্শন করে বিমোহিত হয়েছেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 4864 ফিট উপরে কার্সিয়াং -এর অবস্থান এবং সেখানে কোনো কোনো স্থানে বেশ নিবিড় অরণ্যেরও অস্তিত্ব লেখিকা লক্ষ করেছেন। এইসব অরণ্যের গভীরে লেখিকা ইচ্ছামতো ঘোরাফেরা করেছেন এবং সেখানে বাঘের অস্তিত্ব না থাকায় নিশ্চিন্ত চিত্তে বেড়াতে পেরেছেন। তবে অরণ্যে সাপ ও ছিনে জোঁকের প্রাদুর্ভাব আছে বলে লেখিকা উল্লেখ করেছেন। অবশ্য, সাপ থাকলেও লেখিকা সাপের সাক্ষাৎ পাননি, কিন্তু একাধিকবার ছিনে জোঁকের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ছিনে জোঁক তার রক্ত শোষণ করেছে। এইসব অরণ্যে তিনি প্রায় 20/25 ফিট উঁচু ঢেঁকিতরু ও লক্ষ করেছেন। কার্সিয়াং -এর অরণ্য প্রকৃতির এমনই দৃশ্যসৌন্দর্য বেগম রোকেয়ার রচনায় জীবন্তভাবে ফুটে উঠেছে।
“এদেশের স্ত্রীলোকেরা জোঁক দেখিলে ভয় পায় না।” – ‘এ দেশের’ বলতে লেখিকা কী বুঝিয়েছেন? এ দেশের স্ত্রীলোকেরা কী নামে পরিচিত? তাদের জোঁক দেখে ভয় না পাওয়ার কারণ কী?
‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে লেখিকা বেগম রোকেয়া ‘এ দেশের’ বলতে কার্সিয়াং নামক পার্বত্য প্রদেশের কথাই বলতে চেয়েছেন। এটি পার্বত্য অঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গের একটি বিশিষ্ট স্থানবিশেষ।
‘এ দেশের স্ত্রীলোকেরা’ নিজেদের ‘পাহাড়নি’ বলে উল্লেখ করে থাকে। লেখিকা অবশ্য এদের ‘ভুটিয়ানি’ও বলেছেন।
জোঁককে ভয় না পাবার কারণ – এই পার্বত্য অঞ্চলের স্ত্রীলোকেরা যেহেতু জন্মাবধি জোঁক সংকুল পরিবেশে লালিত, সেহেতু তারা স্বাভাবিকভাবেই জোঁক সম্পর্কে কোনো ভয় বা অস্বস্তি অনুভব করে না। বরং তার মনে করে রক্ত শোষণ শেষ হলে জোঁক যেহেতু আপনা-আপনিই চলে যায়, আর অন্য কোনো ক্ষতি করে না; সেহেতু জোঁক সম্পর্কে কোনোভাবে ভয় পাওয়া সম্পূর্ণ অমূলক। এই ধরনের মানসিকতায় অভ্যস্ত হওয়ার কারণেই তারা আর জোঁক দেখে ভয় পায় না।
“ইহারা উদরান্নের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী নহে;” – ‘ইহারা’ কারা? উদরান্নের জন্য তারা পুরুষদের প্রত্যাশী নয় – লেখিকার এমন মন্তব্যের কারণ কী?
‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশের লেখিকা বেগম রোকেয়া কার্সিয়াং অঞ্চলে ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার পাহাড়ি মহিলাদের অর্থাৎ যাদের তিনি ‘ভুটিয়ানি’ বলে উল্লেখ করেছেন, ‘ইহারা’ বলতে তাদের কথাই বুঝিয়েছেন।
মহিলাদের জীবনধারণ প্রক্রিয়া – সাধারণত সমাজজীবনে দেখা যায় পুরুষরাই কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করে এবং মহিলারা সেই জীবিকার ওপর নির্ভরশীল হয়। কিন্তু পাহাড়ি ভুটিয়ানিরা পুরুষদের সঙ্গে সমানভাবে পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করে। তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী, কেবল পুরুষের রোজগারের উপর নির্ভরশীল নয়। এই মহিলারা পিঠে দু-এক মন বোঝা নিয়ে অনায়াসে দুর্গম পাহাড়ি পথ বেয়ে উপরে উঠে যেতে পারে। পাথর বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজেও তারা যথেষ্ট পটু। এই মহিলারা যথেষ্ট পরিশ্রমী, কর্মঠ, সাহসী ও সত্যবাদী এবং একইসঙ্গে ভয়ানকভাবে স্বনির্ভর। এরা নিজেরাই উপার্জনক্ষম বলে কখনোই এরা উদরান্নের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী হয়ে পড়ে থাকে না।
‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধ অনুসারে ভুটিয়াদের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।
বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশের হিমালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সেখানকার অধিবাসীদের জীবনযাত্রা বর্ণনা করেছেন।
ভুটিয়াদের জীবনযাত্রা – হিমালয়ের পাহাড়ি মহিলারা, অর্থাৎ ভুটিয়ানিরা নিজেদের ‘পাহাড়নি’ বলে পরিচয় দেয়। ভুটিয়ানিরা সাত গজ লম্বা কাপড় ঘাগরার মতো করে পরে, কোমরেও একখণ্ড জড়িয়ে নেয় এবং গায়ে জ্যাকেট ও মাথায় বিলাতি শাল ঢাকা দিয়ে অনায়াসেই পিঠে দু-এক মন বোঝা নিয়ে কঠিন পাহাড়ি পথ বেয়ে ওপরে উঠে যায়। জীবনধারণের জন্য তারা পুরুষের উপর নির্ভরশীল নয়। পাথরের বোঝা এরা বয়ে নিয়ে যায় এবং রাস্তা তৈরির কাজে পুরুষদের সাহায্য করে। আবার অনেক বালক-বালিকারা ও এই কাজ করে।
মিশ্রণ – এরা সমতলের অধিবাসীদের ‘নীচেকা আদমি’ বলে। বর্তমানে তাদের সঙ্গে বিবাহ সম্পর্ক স্থাপন হওয়ায় ভিন্ন জনজাতির সঙ্গে এদের মিশ্রণ ঘটছে। ভুটিয়ারা সাধারণ পরিশ্রমী, কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী। তবে লেখিকার মনে হয়েছে ‘নীচেকা আদেমি’-দের সঙ্গে মেলামেশার ফলে এরা এদের মহৎগুণগুলিকে কিছুটা নষ্ট করে ফেলেছে। তবে আলোচ্য প্রবন্ধে ভুটিয়াদের জীবনযাত্রা বর্ণনা করতে গিয়ে লেখিকা মূলত এদের মহৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে সশ্রদ্ধচিত্রে উল্লেখ করেছেন।
“… এবং ঈশ্বরের নিকট কৃতজ্ঞ হইয়াছি।” – আলোচ্য প্রবন্ধে ঈশ্বরের মাহাত্ম্য কীভাবে বর্ণিত হয়েছে তা বিষয়বস্তু অবলম্বনে আলোচনা করো।
লেখিকার মুগ্ধতা – ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে লেখিকা বেগম রোকেয়া পার্বত্য প্রকৃতির অসামান্য সৌন্দর্য দর্শন করে এতই অভিভূত হয়েছেন যে, জগৎস্রষ্টা ঈশ্বরের প্রতি তাঁর আন্তরিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন না করে পারেননি। এই রচনার শেষাংশে ঈশ্বরের চরণে লেখিকা আপন চিত্তের সমস্ত ভক্তি ও শ্রদ্ধা উজাড় করে দিয়েছেন। কেন-না, পার্বত্য প্রকৃতির সৌন্দর্য মহিমা তাঁর হৃদয়কে আপ্লুত করেছে এবং এই প্রকৃতি রচনা করেছেন স্বয়ং ঈশ্বর।
ঈশ্বরের মাহাত্ম্য – পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে তাঁরা যে বাসায় ছিলেন, সেখান থেকে মাইল খানেক দূরে একটা বড়ো ঝরনার শুভ্র সফেন সৌন্দর্য এবং তার কল্লোলধ্বনি লেখিকার অন্তরে সুগভীর আধ্যাত্মিক অনুভবের জন্ম দেয়। তাঁর চিত্তও যেন ওই নির্ঝরস্রোতের মতো ঈশ্বরের চরণপ্রান্তে লুটিয়ে পড়তে চায়। পাহাড়ে এসে লেখিকার চিত্তে এক গভীর পূর্ণতা ও আনন্দ উপলব্ধি হয়েছে এবং এই সব কিছুর মধ্যেই তিনি ঈশ্বরের মাহাত্ম্য দর্শন করেছেন। পর্বতের স্বরূপ দর্শনের একান্ত আকাঙ্ক্ষা লেখিকার অন্তরে ছিল এবং হিমালয়ে এসে তাঁর সেই সাধটুকুও ঈশ্বর পূর্ণ করেছেন – এই ঘটনাকেও লেখিকা ঈশ্বরেরই মাহাত্ম্য হিসেবে অনুভব করেছেন।
“এখন সে সাধও পূর্ণ হইল।” – এখানে কোন্ সাধ পূর্ণ হওয়ার কথা বক্তা ব্যক্ত করেছেন? এর পরেই বক্তা কেন বলেছেন – “না সাধ তো মিটে নাই!”
‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশের লেখিকা বেগম রোকেয়া বলেছেন যে তিনি ইতিপূর্বে সমুদ্র দেখতে আগ্রহী ছিলেন। বঙ্গোপসাগর দর্শন করে তাঁর সেই সাধ মিটলেও এরপরে তাঁর ইচ্ছা ছিল পর্বত দর্শন করার। কার্সিয়াং-এ এসে তাঁর সেই সাধও পূর্ণ হয়েছে।
সাধ পরিতৃপ্ত না হওয়ার কারণ – লেখিকার হিমালয় দর্শনের সাধ আপাতদৃষ্টিতে পূর্ণ হয়েছে বলে মনে হলেও তিনি তবুও যেন পরিতৃপ্ত হতে পারেননি। কেন না, হিমালয়ের অপার্থিব সৌন্দর্য এমনই যে তা দর্শন করেও আশ মেটে না, অথচ এই বিপুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে গ্রহণ করার ক্ষমতা মানুষের সীমিত। লেখিকা সেইজন্যই এই বলে আক্ষেপ করেছেন যে, মানবদেহে দর্শনেন্দ্রিয়, অর্থাৎ চক্ষু মাত্র দুইটি এবং তা দিয়ে এই সৌন্দর্য দর্শন যেন সম্ভব নয় এবং তা ভাষায় ব্যক্ত করাও অসম্ভব। সেই কারণেই হিমালয়ে এসে অত্যন্ত কাছ থেকে খুব সুন্দরভাবে পার্বত্য সৌন্দর্য উপভোগ করা সত্ত্বেও লেখিকার মনে হয়েছে তাঁর পরিতৃপ্তিলাভের ক্ষেত্রে অপূর্ণতা থেকে গেছে। কেন না ঈশ্বরের এই বিশাল সৃষ্টির অপার সৌন্দর্যকে দর্শন ও ব্যক্ত করার ক্ষমতা তাঁর নেই।
“চিত্র দেখিয়া চিত্রকরের নৈপুণ্য বুঝা যায়।” – কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা এরূপ উক্তি করেছেন। চিত্র ও চিত্রকরের পরিচয় দাও।
‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে বেগম রোকেয়া তাঁর জীবনে প্রথমবার হিমালয় ভ্রমণ ও দর্শনের অপূর্ব আনন্দময় অভিজ্ঞতা ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধির প্রকাশ প্রসঙ্গে প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
প্রসঙ্গ – হিমালয়ের অপূর্ব পার্বত্য সৌন্দর্য লেখিকাকে যেন সম্মোহিত করে দিয়েছে। হিমালয়ের চারিপাশে অপূর্ব মেঘরাজি, পাহাড়ের বুকে নির্ঝরের অপরূপ দৃশ্য লেখিকার অন্তরকে যেন অপার আনন্দে আকুল করে তুলেছে। মনে হয়েছে এই বিপুল সৌন্দর্যের মাধুরী আস্বাদন করার বা ব্যক্ত করার উপযুক্ত ক্ষমতা বা যোগ্যতা যেন তাঁর নেই। সমগ্র পার্বত্য প্রকৃতিকে দেখে অভিভূত লেখিকা আপন অন্তরের বিস্ময়কে প্রকাশ করেছেন। এই বিশাল সৌন্দর্যের স্রষ্টার কথা উল্লেখ করতে গিয়েই লেখিকা এইরূপ উক্তি করেছেন।
চিত্র ও চিত্রকর – লেখিকার মনে হয়েছে সমগ্র হিমালয় ও চারপাশের প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য যেন একটি চিত্রস্বরূপ এবং চিত্রের চিত্রকর বা স্রষ্টা হলেন স্বয়ং ঈশ্বর। চিত্রে চিত্রিত সৌন্দর্য যেমন চিত্রকরের প্রতিভা এবং তাঁর শিল্পদক্ষতার পরিচয় বহন করে; তেমনই হিমালয়ের অসামান্য সৌন্দর্যকে যদি চিত্র হিসেবে গণ্য করা হয়, তবে তার চিত্রকর অর্থাৎ ঈশ্বরের সৃষ্টিক্ষমতার অসামান্যতা যে কী অপরিমেয়, সেকথাই লেখিকা অন্তরে উপলব্ধি করেছেন।
“আমাদের জন্য হিমালয়ের এই পাদদেশটুকু কত বৃহৎ কত বিস্তৃত-কী মহান!” – এই উপলব্ধির কারণ উল্লেখ করো।
সৌন্দর্য দর্শন – ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে লেখিকা বেগম রোকেয়া পার্বত্য প্রকৃতির অপার্থিব সৌন্দর্যের সাক্ষী হতে পেরে কেবল যে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন তাই নয়, তিনি এই অনন্ত সৌন্দর্যের স্রষ্টা ঈশ্বরের অপার মহিমা উপলব্ধি করে এক অসামান্য দার্শনিক চেতনা অনুভব করেছেন।
উপলব্ধি – বিশাল হিমালয়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য লেখিকার মনকে গভীরভাবে ঈশ্বরের মহিমা উপলব্ধির জগতে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন যে তাঁর মানবচক্ষুর মাধ্যমে এই বৃহৎ হিমালয়ের সৌন্দর্যকে দেখার যোগ্যতা শুধু যে নেই তা নয়, কারও পক্ষেই মাত্র দুইটি চক্ষুর সাহায্যে এই সৌন্দর্য আস্বাদন করা সম্ভব নয়। হিমালয়ের প্রতিটি শৃঙ্গ, প্রতিটি ঝরনা প্রভৃতির মধ্য দিয়ে জগৎস্রষ্টার সৃষ্টিনৈপুণ্যের কেবল অতি সামান্যতম পরিচয়টুকু মাত্র পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের কাছে হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চল নিঃসন্দেহে অত্যন্ত বৃহৎ ও বিস্তৃত হিসেবে গণ্য হতে পারে; কিন্তু এর স্রষ্টা সেই মহাশিল্পী, অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছে তা অতি তুচ্ছ বালুকণারই সমতুল্য বলে লেখিকা মনে করেছেন। মূলত, হিমালয়ের পরিব্যাপ্ত সৌন্দর্য মহিমা দর্শন করেই লেখিকার মনে হয়েছে যে মানুষ সামান্য বলেই তার কাছে হিমালয়ের পাদদেশটুকু কত বিরাট ও মহান বলে ধরা পড়ে, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে তা অতি নগণ্যই বটে।
“তিনিই ধন্য!” – ‘তিনি’ কে? লেখিকা তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন?
‘তিনি’ হলেন ঈশ্বর, অর্থাৎ সেই জগৎস্রষ্টা যিনি সমস্ত প্রাকৃতিক ও জাগতিক সৌন্দর্যের একমাত্র স্রষ্টা ও মূল শক্তিস্বরূপ।
স্বরূপ – ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশের লেখিকা বেগম রোকেয়ার জগৎস্রষ্টা ঈশ্বর সম্পর্কে এই পরম শ্রদ্ধাপূর্ণ বাক্যটি স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অন্তরের পরম আধ্যাত্মিক উপলব্ধির পরিচয়কে প্রকাশ করে। হিমালয়ের অসামান্য স্বর্গীয় সৌন্দর্যদর্শন করে লেখিকা পরম আনন্দে অভিভূত হয়ে পড়েছেন এবং একইসঙ্গে তাঁর অন্তরে জাগ্রত হয়েছে এই অপার সৌন্দর্যের স্রষ্টা জগদীশ্বরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার বোধ। হিমালয়ের প্রতিটি অংশে তিনি ঈশ্বরের অপার মহিমার প্রকৃত প্রকাশ লক্ষ করেছেন। পর্বতের প্রতিটি শৃঙ্গ, ঝরনা প্রভৃতি সব কিছু মিলিয়ে সমস্তের মধ্য দিয়েই জগৎস্রষ্টা ঈশ্বরের অনন্ত সৃষ্টি ক্ষমতার অপরিমেয় মহিমা ধরা পড়ে যা দর্শনে মানুষ মুগ্ধ হয়, পরিতৃপ্ত হয়। তখন স্বাভাবিকভাবেই সে ঈশ্বরের বন্দনা করে, তাঁর স্তব-স্তুতি করে। কিন্তু লেখিকা মনে করেন সেই বন্দনার কৃত্রিম আঙ্গিক ত্যাগ করে যদি অন্তরের উচ্ছ্বাসে মানুষ এই ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শন করে ঈশ্বরকে স্মরণ করে এবং তাঁর মহিমার কীর্তন করে, তবেই তা যথার্থ হবে। কেন-না সৃষ্টির প্রত্যেক উপাদানের মধ্য দিয়ে তাঁর স্বরূপ প্রকাশিত হওয়ায় ‘তিনিই ধন্য।’ তাই লেখিকা তাঁকেই আন্তরিক ধন্যবাদ ও প্রণাম জ্ঞাপন করেছেন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের তৃতীয় পাঠের প্রথম অধ্যায়, ‘হিমালয় দর্শন’ -এর কিছু রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন