নবম শ্রেণি – বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি কবিতায় কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কলিঙ্গ দেশের এক ভয়ংকর ঝড়বৃষ্টির চিত্র তুলে ধরেছেন। ঈশান কোণ থেকে ঘন মেঘের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে ঝড়ের সূচনা হয়। বিদ্যুতের ঝলকানি, বজ্রের গর্জন এবং ঝড়ের তীব্রতায় আকাশ-বাতাস যেন কেঁপে ওঠে। মুষলধারে বৃষ্টিতে মাঠের ফসল নষ্ট হয়, গাছপালা ভেঙে পড়ে। ঝড়ের তাণ্ডবে মানুষ ও প্রাণীর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে।

Table of Contents

নবম শ্রেণি – বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি হল বাংলা শ্রেণি নামক পাঠ্যক্রমের একটি অংশ। এই পাঠ্যক্রমে কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এই পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয় যেন তারা ঝড়-বৃষ্টি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং সেই বিষয়টির বিভিন্ন দিক ও প্রভাব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এই পাঠ্যক্রমে সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে পরীক্ষা পাশ করতে সাহায্য করা হয়।

নবম শ্রেণি – বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর একটি বাংলা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নবম শ্রেণির ছাত্রদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই পাঠে কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই পাঠে ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন সামান্য প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। যা বাংলা ভাষা ও কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও বুঝতে সাহায্য করবে। সাধারণত এই প্রশ্নগুলি পাঠে পড়ানো বিষয়ের সারমর্ম বিশ্লেষণ করতে হয়। এছাড়াও পাঠের শেষে উত্তরগুলি উল্লেখ করা হয়েছে যা ছাত্রদের নির্দেশ করবে এবং তাদের বুঝতে সাহায্য করবে।

দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার। — কখন এবং কেন এরকম হয়েছিল?

প্রসঙ্গ – কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর আলোচ্য কবিতায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে এই ঘটনা ঘটেছিল।
কারণ – হঠাৎই কলিঙ্গদেশে ভয়ংকর প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়। আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে যায়। কালো মেঘের বুক চিরে ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। অন্ধকার এতটাই ঘন হয়ে ওঠে যে, তা ভেদ করে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না।

ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর। — ঈশান শব্দটির অর্থ লিখে উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

ঈশান শব্দের অর্থ – কবিকঙ্কণ রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়- বৃষ্টি কবিতায় উল্লিখিত ঈশান শব্দের অর্থ উত্তর-পূর্ব কোণ।
তাৎপর্য – কলিঙ্গদেশে আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয়। তৈরি হয় বন্যার আশঙ্কা। প্রবল ঝড়বৃষ্টি কলিঙ্গদেশে সর্বনাশ ডেকে আনে। ঈশান কোণে মেঘের ঘনঘটায় চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। প্রজারা সেই অন্ধকারে নিজেদেরকেও দেখতে পায় না। মেঘের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুতের ঝিলিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে। উদ্ধৃতাংশটিতে সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের বর্ণনা করা হয়েছে।

নিমিষেকে জোড়ে মেঘ গগন-মণ্ডল। — নিমিষেকে কথাটির অর্থ কী? গগনমণ্ডলে এর ফলে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হল?

নিমিষেকে কথার অর্থ – নিমিষেকে কথাটির অর্থ মুহূর্তের মধ্যে
সৃষ্ট পরিস্থিতি – কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশ থেকে নেওয়া পঙ্ক্তিটিতে কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ ঝড়বৃষ্টির বর্ণনা করা হয়েছে। অতি অল্পসময়ে কলিঙ্গের আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। ঈশান কোণে ঘন অন্ধকারের মধ্যে বিদ্যুতের ঝলকে আকাশ কেঁপে ওঠে। মেঘের গর্জন শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যে কালো মেঘ ছেয়ে গিয়ে চারিদিক অন্ধকারে ঢেকে দেয়।

চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল। — মুশলধারে জলবর্ষণের কারণ কী?

জলবর্ষণের কারণ – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশের আকাশ হঠাৎ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। গাঢ় অন্ধকারে নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখতে পান না কলিঙ্গবাসী। ঈশান কোণে ঘন মেঘের জমায়েতে চারদিক অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়। প্রবল মেঘের গর্জন, ঘনঘন বিদ্যুতের ঝিলিকে পৃথিবী কেঁপে ওঠে। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সারা আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। তারপরই মেঘে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয় কলিঙ্গদেশে।

কলিঙ্গে উড়িয়া মেঘ ডাকে উচ্চনাদ। — কলিঙ্গের অবস্থান উল্লেখ করে উদ্ধৃতাংশটির ব্যাখ্যা করো।

কলিঙ্গের অবস্থান – বর্তমান ওড়িশার বেশির ভাগ অংশ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর ভাগ এবং মধ্যপ্রদেশের কিছুটা অংশ জুড়ে ছিল প্রাচীন এই কলিঙ্গদেশ।
ব্যাখ্যা – কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্লাবনের বর্ণনা করা হয়েছে। কলিঙ্গের আকাশ আচমকা ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ঈশান কোণে ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গেই কালো মেঘরাশিতে আকাশ ঢেকে যায়। মেঘের প্রবল গর্জনের সঙ্গে শুরু হয় মুশলধারায় বৃষ্টি। সমগ্র কলিঙ্গ মেঘের গুরুগম্ভীর শব্দে কেঁপে ওঠে।

প্রলয় গণিয়া প্ৰজা ভাবয়ে বিষাদ। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রজাদের বিষাদের কারণ আলোচনা করো।

প্রসঙ্গ – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিটিতে কলিঙ্গদেশের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে।
বিষাদের কারণ – কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে। ঈশান কোণে জমাটবাঁধা মেঘ সারা আকাশ ঢেকে ফেললে সর্বত্র অন্ধকার নেমে আসে। উত্তরের প্রবল বাতাসে দূর থেকে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ ভেসে আসে। মেঘের প্রবল গর্জন ও ঘনঘন বিদ্যুৎচমকের সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত। মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় প্রজারা আতঙ্কিত ও বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়। — রড় শব্দের অর্থ কী? কোথাকার প্রজারা কী কারণে বিপাকে পড়েছিল?

রড় শব্দের অর্থ – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে উল্লিখিত রড় শব্দের অর্থ পালিয়ে যাওয়া।
বিপাকে পড়ার কারণ – দেবী চণ্ডীর ইচ্ছা অনুযায়ী কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টি বিপর্যয় ডেকে আনে। আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে যায়। ঘন অন্ধকারে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গম্ভীর গর্জন ও ঝড়ের তাণ্ডবে সেখানকার প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

জলে মহী একাকার পথ হইল হারা। — কোথাকার পথ কেন হারিয়ে গিয়েছে?

উদ্দিষ্ট পথ – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে কলিঙ্গদেশের পথ হারিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পথ হারানোর কারণ – কলিঙ্গের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘরাশি জমাট বাঁধে আর মেঘের প্রবল গর্জনের সঙ্গে শুরু হয় ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি আর মুশলধারায় বৃষ্টি। মনে হয়, আটটি হাতি যেন প্রবলবেগে জল বর্ষণ করে পৃথিবীকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে সমগ্র কলিঙ্গদেশ জলে ডুবে যায়। জল-স্থলের পার্থক্য মুছে গিয়ে কলিঙ্গদেশে পথ হারিয়ে যায়।

পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী। — পরিচ্ছিন্ন শব্দের অর্থ কী? কবি এরকম বলেছেন কেন?

পরিচ্ছিন্ন কথার অর্থ – কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় পাওয়া পরিচ্ছিন্ন শব্দটির অর্থ হল বিভেদ বা পার্থক্য।
কবির এরকম বক্তব্যের কারণ – দেবী চণ্ডীর ইচ্ছায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। সমগ্র আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিদ্যুৎ চমক আর মেঘগর্জনের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সবুজ শস্যের খেত ধুলোয় ঢেকে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে জল-স্থল একাকার হয়ে পথ হারিয়ে যায়। অন্ধকার এতটাই নিবিড় হয়ে যায় যে দিন এবং রাত্রিকেও কেউ আলাদা করতে পারে না।

চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ। — উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

তাৎপর্য – কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় দেবী চণ্ডীর নির্দেশে কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। প্রবল মেঘগর্জনে প্রজারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। ঝড়ের তাণ্ডবে তারা ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। সবুজ শস্যের খেত ধুলোয় ঢেকে যায়। বৃষ্টি এতটাই তীব্র হয় যে কবি মনে করেন, আটটি দিকের পাহারাদার আটটি হাতি—ঐরাবত, পুণ্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম এবং সুপ্রতীক যেন তাদের শুঁড়ের সাহায্যে চারমেঘে জল দিচ্ছে। আর তার ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাতে চারপাশ জলে ডুবে গেছে।

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি। — জৈমিনি কে? কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কী? 

জৈমিনির পরিচয় – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে উল্লিখিত জৈমিনি হলেন এক বাক্‌সিদ্ধ ঋষি। এঁনার নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয়ে যায়—এই বিশ্বাসে বজ্রপাতের সময় মানুষ এঁর নামকীর্তন করে।
কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ – কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘ জমে ওঠে। আকাশভাঙা মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে মুশলধারায়। মেঘের গম্ভীর গর্জন, ঘনঘন বজ্রপাত, ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবে কলিঙ্গবাসী ভীত হয়ে পড়ে। এই ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় তারা ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে।

না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ। — কারা, কেন রবির কিরণ দেখতে পায়নি? 

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ – উদ্ধৃতাংশটিতে ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলিঙ্গবাসীদের কথা বলা হয়েছে।
রবির কিরণ দেখতে না পাওয়ার কারণ – কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎই প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে শুরু হয় মুশলধারায় বৃষ্টি। কালো মেঘে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় কলিঙ্গবাসীর পক্ষে দিনরাত্রির পার্থক্যও বোঝা সম্ভব হয় না ৷ সাত দিন একটানা প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তারা একেবারেই সূর্যের আলো দেখতে পায় না।

ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল। — কীসের কথা বলা হয়েছে? মন্তব্যটির প্রসঙ্গ আলোচনা করো।

উদ্দিষ্ট বিষয় – কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির ফলে যে শিল পড়েছিল, এখানে তার কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গ – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে বর্ণনা করা হয়েছে যে আকাশ কালো-করা বিপুল মেঘরাশির সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা সৃষ্টি হয় কলিঙ্গে। টানা সাত দিনের একটানা বৃষ্টির সঙ্গে অনবরত শিলও পড়তে শুরু করে। ভাদ্র মাসে তাল পেকে যেমন গাছ থেকে পড়ে যায় ঠিক তেমনিভাবে অত্যন্ত বড়ো আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে মেঝেতে পড়ে প্রজাদের ঘরবাড়ি সব নষ্ট করে দেয়।

চণ্ডীর আদেশে ধায় নদনদীগণ। — এর ফলে কী হয়েছে?

ফলশ্রুতি – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে দেবী চণ্ডীর আদেশে কলিঙ্গের নদনদীগুলি ফুলে ফেঁপে উঠে প্রবাহিত হয়েছে।
দেবীর আদেশেই কলিঙ্গে কালো ঘন মেঘের রাশির সঙ্গে বিদ্যুতের ঝলকানি ডেকে আনে প্রচণ্ড বৃষ্টি। সাত দিনের একটানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয় সমগ্র কলিঙ্গদেশ, জল-স্থল সব একাকার হয়ে যায়। দেবীর নির্দেশেই আবার কলিঙ্গের সমস্ত নদনদী ফুলেফেঁপে ধেয়ে আসে। নদনদীর পাহাড়সমান ঢেউয়ের আঘাতে কলিঙ্গদেশের ঘরবাড়ি সব ভেসে গিয়ে ঢেউয়ের মাথায় টলমল করতে থাকে।

উপরের বিষয়গুলি অনুস্মারণ করে দেখা যায় যে কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি একটি মৌসুমী ঘটনা। এই ঘটনাটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপর্যস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই ঘটনার মৌলিক কারণ ও প্রভাব নিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আরো গভীর হতে হবে। এছাড়াও, এই বিষয়টি পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন তৈরী করা হয়। এই প্রশ্নের উত্তর লেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার নিজস্ব দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে।

কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা। কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর কাব্য প্রতিভার পরিচয় কবিতাটি থেকে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। কবিতাটি পাঠকদের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম ও প্রকৃতির বিপর্যয়ের প্রতি সচেতনতা জাগ্রত করে।

Share via:

মন্তব্য করুন