দার কমিশন কী? দার কমিশন (1948 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?

Souvick

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “দার কমিশন কী? দার কমিশন (1948 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “দার কমিশন কী? দার কমিশন (1948 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

দার কমিশন কী? দার কমিশন (1948 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?

দার কমিশন কী?

স্বাধীনতার পর ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি জোরালো হয়ে উঠলে এর যৌত্তিকতা বিচারের জন্য গণপরিষদের নির্দেশে ভারত সরকার 1948 খ্রিস্টাব্দের 17 জুন বিচারপতি এস. কে. দারের সভাপতিত্বে “ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন” (Linvuistic Provinces Commission) গঠন করে যা “দার কমিশন” বা “ধর কমিশন” নামে পরিচিত।

  • দার কমিশন 1948 খ্রিস্টাব্দের 10 ডিসেম্বর তার রিপোর্টে প্রশাসনিক সুবিধার ভিত্তিতে রাজ্যে গঠনের কথা বলে, ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের তীব্র আপত্তি জানায়।
  • ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠিত হলে ভারতের জাতীয় ঐক্য বিঘ্নিত হবে।
  • ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠিত হলে প্রাদেশিক জটিলতা দেখা দেবে, প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হবে।

দার কমিশন (1948 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?

স্বাধীনতার পর থেকেই ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের দাবী জোরালো হয়ে উঠলে এর যৌক্তিকতা বিচারের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার 1948 খ্রিস্টাব্দে বিচারপতি এস. কে. দার -এর নেতৃত্বে ‘ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন’ গঠন করে, যা ‘দার কমিশন’ নামে পরিচিত। এই কমিশন তার রিপোর্টে ভাষা ভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের তীব্র আপত্তি জানায়। কারণ তারা মনে করতেন, ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠিত হলে দেশের জাতীয় ঐক্য ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

দার কমিশনের প্রধান সুপারিশ কী ছিল?

1948 সালের 10 ডিসেম্বর কমিশন তার রিপোর্ট জমা দেয় এবং ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করে। তাদের যুক্তিগুলো ছিল –
1. এটি ভারতের জাতীয় ঐক্য নষ্ট করতে পারে।
2. প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
3. রাজ্যগুলোর মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পেতে পারে।

দার কমিশনের বিকল্প প্রস্তাব কী ছিল?

কমিশন ভাষার বদলে প্রশাসনিক সুবিধাকে রাজ্য গঠনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করার পরামর্শ দেয়।

ভারত সরকার কি দার কমিশনের সুপারিশ মেনে নেয়?

প্রথমদিকে সরকার ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে ইতস্তত করলেও, পরবর্তীতে শ্রীরামুলুর আন্দোলন (তেলুগু ভাষাভিত্তিক অন্ধ্রপ্রদেশের দাবি) এবং জনদাবির চাপে 1953 সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করে এবং 1956 সালে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠন করা হয়।

দার কমিশনের সভাপতি কে ছিলেন?

বিচারপতি এস. কে. দার এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন।

দার কমিশনের প্রভাব কী ছিল?

যদিও কমিশন প্রথমে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করেছিল, কিন্তু জনআন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত 1956 সালের রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয় এবং ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠন শুরু হয়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “দার কমিশন কী? দার কমিশন (1948 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “দার কমিশন কী? দার কমিশন (1948 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল? ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন এর ভিত্তিগুলি লেখো।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল? ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন এর ভিত্তিগুলি লেখো।

জে. ভি. পি. কমিটি কী বিষয়ে গঠিত হয়েছিল? জে. ভি. পি. কমিটি সম্পর্কে লেখো।

জে. ভি. পি. কমিটি সম্পর্কে টিকা লেখো।

পোট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন? পোট্টি শ্রীরামালু কেন স্মরণীয়?

পোট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন? পোট্টি শ্রীরামালু কেন স্মরণীয়?

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ভারতের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আলোচনা করো।

ভারতের কৃষির ওপর মৌসুমি বায়ুর প্রভাব লেখো।

ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের ওপর মৌসুমি বায়ুর প্রভাব উদাহরণসহ আলোচনা করো।

ভারতের মৃত্তিকার ওপর মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আলোচনা করো।

ভারতের জলবায়ু অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।