এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “দারিদ্র্য আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনির যে লড়াই তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষার্থীদের এর উপর সঠিক ধারণা থাকা অপরিহার্য।
দারিদ্র্য আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনির যে লড়াই তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।
- কথামুখ – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কনকচাঁপা পাল। কোনির লড়াই ছিল একইসঙ্গে সংসারে দারিদ্র্যের সঙ্গে অন্যদিকে জলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে।
- স্বাভাবিক জড়তা – অভাবের সংসারে দাদার মৃত্যুর পর কোনির বুক ঠেলে একটিই প্রশ্ন ওঠে “এবার আমরা কী খাব?” আর এই খিদের যন্ত্রণাই কোনিকে সর্বত্র তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। কখনও তা নেহাতই বেঁচে থাকার খিদে কখনও-বা তা জেতার খিদে। গরিব ঘরে জন্ম হওয়ায় স্বাভাবিক একটা জড়তা অনেকের মধ্যেই থাকে। কোনিও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই অমিয়া বা হিয়ার মতো মেয়েদের কথাবার্তা আর কাজকর্মে সে সহজেই অপমানিত বোধ করে।
- শ্রেষ্ঠত্বের পদকপ্রাপ্তি – হিয়ার ‘আনস্পোর্টিং’ শব্দটা কোনিকে বিজয়িনীর মঞ্চে পৌঁছে দিয়েছে। কোনি জেদি, একরোখা, পরিশ্রমী আর কষ্টসহিষ্ণু। জীবনে ও জলে সর্বত্রই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সে জেতে। শত বঞ্চনা, অজস্র অপমানের পরও সাফল্যের পদক ঝোলে কোনিরই গলায়।
- লড়াকু ও পরিশ্রমী মানসিকতা – সমস্ত প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে, কঠোর জীবনযাপন করে কোনির জীবনে এসেছে সাফল্য। ক্লাবের রাজনীতি, চূড়ান্ত অপমান, অবহেলার বিপক্ষে সেশুধুই অনুশীলন চালিয়ে গেছে। লড়াকু, পরিশ্রমী মানসিকতা তাকে বিজয়িনী করে তুলেছে।
আরও পড়ুন – কোনির পারিবারিক জীবনের পরিচয় দাও।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠ “কোনি” থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “দারিদ্র্য আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনির যে লড়াই, তা সংক্ষেপে আলোচনা করো” নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার পড়াশোনায় সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, তবে টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। নিবন্ধটি উপকারী মনে হলে, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!