এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড কী? অম্লরাজ কী? এর একটি ব্যবহার লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড কী?
গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিডে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড গ্যাস দ্রবীভূত থাকলে সাধারণ উষ্ণতাতে ওই নাইট্রিক অ্যাসিড থেকে সব সময় ধোঁয়া নির্গত হয়। তাই এই নাইট্রিক অ্যাসিডকে ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড বলে।
অম্লরাজ কী? এর একটি ব্যবহার লেখো।
এক আয়তন গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড এবং তিন আয়তন গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মিশ্রিত করলে যে মিশ্রণ পাওয়া যায় তাকে অম্লরাজ বলে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড কাকে বলে?
গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিডে (HNO₃) যখন নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO₂) গ্যাস দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে, তখন সাধারণ তাপমাত্রায় এটি থেকে বাদামি বর্ণের ধোঁয়া নির্গত হয়। এই ধোঁয়াটে আচরণের কারণেই একে ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড বলে।
ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিডে কোন গ্যাস দ্রবীভূত থাকে?
ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিডে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO₂) গ্যাস দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড থেকে কী রঙের ধোঁয়া বের হয়?
ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড থেকে বাদামি বা লালচে-বাদামি বর্ণের ধোঁয়া নির্গত হয়। এই রং আসে দ্রবীভূত NO₂ গ্যাস থেকে।
ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিডের একটি ব্যবহার লিখ।
ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড একটি শক্তিশালী জারক। এটি অনেক ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে সংশ্লিষ্ট ধাতুর নাইট্রেট গঠন করে এবং জৈব রসায়নে নাইট্রেশন বিক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয়।
অম্লরাজ কাকে বলে?
গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) এবং গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) এর একটি বিশেষ মিশ্রণকে অম্লরাজ বলে। সাধারণত 3 আয়তন HCl এবং 1 আয়তন HNO₃ মিশিয়ে এটা তৈরি করা হয়।
অম্লরাজ তৈরির রাসায়নিক বিক্রিয়াটি লেখো।
অম্লরাজ তৈরির সময় নিম্নলিখিত রাসায়নিক বিক্রিয়াটি ঘটে:
3HCl (ঘন) + HNO₃ (ঘন) → NOCl (নাইট্রোসিল ক্লোরাইড) + Cl₂ (ক্লোরিন গ্যাস) + 2H₂O (পানি)
উৎপন্ন NOCl এবং Cl₂ গ্যাসই মূলত সোনা বা প্লাটিনাম দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে।
অম্লরাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার কী?
অম্লরাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হল সোনা (Au) এবং প্লাটিনাম (Pt) এর মতো মহামূল্যবান ধাতু দ্রবীভূত করা, যা সাধারণত কোনো একক অ্যাসিডে দ্রবীভূত হয় না।
অম্লরাজের নামকরণ করা হয়েছে কেন?
এটি “রাজার অ্যাসিড” বা “অম্লরাজ” নামে পরিচিত কারণ এটি সোনা (যাকে ধাতুর রাজা বলা হয়) কেও দ্রবীভূত করতে পারে।
অম্লরাজ থেকে নির্গত গ্যাসের রং কেমন?
অম্লরাজ তৈরি করলে বা এটি যখন কোনো ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে তখন হলুদ-সবুজ বর্ণের ক্লোরিন (Cl₂) গ্যাস এবং কমলা বর্ণের নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO₂) গ্যাস নির্গত হতে দেখা যায়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড কী? অম্লরাজ কী? এর একটি ব্যবহার লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন