এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “E-waste (Electronic waste) সম্পর্কে টীকা লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “E-waste (Electronic waste) সম্পর্কে টীকা লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় “বর্জ্য ব্যবস্থাপনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

E-waste (Electronic waste) সম্পর্কে টীকা লেখো।
ই-বর্জ্যের ধারণা – বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিকস যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। এগুলির মধ্যে কিছু পরিবেশ দূষণকারী পদার্থ থাকে। কিছু সীমিত ব্যবহার, পুরোনো বা অব্যবহার্যের কারণে ই-বর্জ্যে পরিণত হয়।
ই-বর্জ্যের উদাহরণ – পুরোনো কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, টিভি, রেডিয়ো, সিডি প্লেয়ার, ক্যাথোড রে টিউব, হাউস ওয়্যারিং -এর দ্রব্যসামগ্রী প্রভৃতি E-waste বা বৈদ্যুতিন বর্জ্যের উদাহরণ।

ই-বর্জ্যের ক্ষতিকারক প্রভাব – E-waste -এ উপস্থিত ক্ষতিকারক পদার্থগুলি হল –
ই-বর্জ্য | ক্ষতিকারক পদার্থ | শরীরে প্রভাব |
সার্কিড বোর্ড। | ক্যাডমিয়াম, সিসা। | সিসা মানব শরীরে বিষক্রিয়া ঘটায়। |
ক্যাথড রে টিউব। | লেড অক্সাইড। | মস্তিষ্কের সমস্যা, কিডনির সমস্যা ঘটায়। |
কম্পিউটার মনিটর। | পারদ, কার্বন ডাইঅক্সাইড। | স্নায়ুঘটিত রোগ, শাসকষ্ট ইত্যাদি ও মিনামাটা রোগ সৃষ্টি করে। |
কম্পিউটার ব্যাটারি। | ক্যাডমিয়াম, সিসা। | ইটাই ইটাই রোগ সৃষ্টি করে। |
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ই-বর্জ্য (E-Waste) কী?
ই-বর্জ্য হলো পরিত্যক্ত বা ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন – কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, টিভি, রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি, যেগুলো আর ব্যবহারযোগ্য নয় এবং এগুলিতে বিষাক্ত পদার্থ থাকায় পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
ই-বর্জ্যের প্রধান উদাহরণ কী কী?
1. পুরোনো কম্পিউটার ও ল্যাপটপ।
2. ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও চার্জার।
3. টেলিভিশন, মনিটর, প্রিন্টার।
4. ব্যাটারি, ইলেকট্রিক বাল্ব, সিএফএল।
5. রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার।
ই-বর্জ্যে কী কী ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে?
1. সিসা (Lead) – কিডনি ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
2. ক্যাডমিয়াম (Cadmium) – হাড় ও কিডনির রোগ সৃষ্টি করে।
3. পারদ (Mercury) – স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে।
4. ক্রোমিয়াম (Chromium) – ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
ই-বর্জ্য পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি করে?
1. মাটি ও জলদূষণ ঘটায়।
2. বিষাক্ত পদার্থ মানবদেহে প্রবেশ করে ক্যান্সার, কিডনি রোগ, স্নায়ুবিক সমস্যা সৃষ্টি করে।
3. পোড়ালে বায়ুদূষণ হয় এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়।
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক উপায় কী?
1. পুনর্ব্যবহার (Recycling) – বিশেষায়িত কেন্দ্রে ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং করা।
2. পুনঃব্যবহার (Reuse) – কাজের অযোগ্য না হলে মেরামত করে ব্যবহার।
3. সঠিক নিষ্পত্তি – সরকারি বা স্বীকৃত ই-বর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্রে জমা দেওয়া।
4. সচেতনতা বৃদ্ধি – ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা।
ই-বর্জ্য থেকে কীভাবে আয় করা যায়?
ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং ব্যবসা বা স্ক্রাপ ডিলারের কাছে বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। কিছু কোম্পানি পুরোনো ইলেকট্রনিক্স কিনে নেয় বা রিসাইক্লিং করে মূল্যবান ধাতু পুনরুদ্ধার করে।
ই-বর্জ্য কমানোর উপায় কী?
1. ইলেকট্রনিক পণ্যের জীবনকাল বৃদ্ধি করা।
2. প্রয়োজন না হলে নতুন ডিভাইস না কেনা।
3. ই-বর্জ্য আলাদাভাবে সংগ্রহ করে রিসাইক্লিং করা।
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের ভূমিকা কী?
বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহার নীতি, 2021 অনুযায়ী ই-বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন এবং জনসচেতনতা কর্মসূচি চালু করা প্রয়োজন।
সাধারণ মানুষ কীভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখতে পারে?
1. স্থানীয় ই-বর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্রে জমা দেওয়া।
2. পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “E-waste (Electronic waste) সম্পর্কে টীকা লেখো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “E-waste (Electronic waste) সম্পর্কে টীকা লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় “বর্জ্য ব্যবস্থাপনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন