মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান অধ্যায়ে পরিবেশ তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ এবং পরিবেশদূষন এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো।
পরিবেশ হলো আমাদের আশ্রয়স্থল, যেখানে আমরা বাস করি এবং সব জীবনধারী প্রাণীগুলির বাসস্থান। পরিবেশের সম্পদগুলো হলো সবকিছু যা আমাদের জীবনকে সমর্থন করে এবং আমাদের জীবনধারী প্রাণীগুলির জন্য প্রয়োজনীয়। এরমধ্যে জল, মাটি, বায়ু, সুর্যের আলো এবং জৈব সম্পদগুলো উল্লেখযোগ্য।
জল হলো পৃথিবীতে পানির একটি মৌলিক উপাদান। এটি প্রায়ই নদী, সাগর, হ্রদ এবং জলাবদ্ধ অঞ্চলগুলিতে পাওয়া যায়। জল জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্পদগ্রহণ করা উচিত।
বাতাস কীসের দ্বারা সবথেকে বেশি দূষিত হয়?
বাতাস সবচেয়ে বেশি দূষিত হয় গাড়ির ধোঁয়া ও রাসায়নিক শিল্পকেন্দ্র থেকে নির্গত ধোঁয়ার দ্বারা।
আগ্নেয়গিরি থেকে কোন্ গ্যাস নির্গত হয়?
আগ্নেয়গিরি থেকে সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়।
বায়ুদূষকরূপে হাইড্রোকার্বনের উৎস কী?
বায়ুদূষকরূপে হাইড্রোকার্বনের উৎস হল — জীবাশ্ম জ্বালানির দহন ও কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া।
COPD কথাটির সম্পূর্ণ নাম কী?
COPD কথাটির সম্পূর্ণ নাম হল — ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ।
কার্বন মনোক্সাইড মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলে?
কার্বন মনোক্সাইড মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর যে প্রভাব ফেলে তা হল — শ্বাসকষ্ট, ঝিমুনি ও মাথা ধরা।
কলকাতা ও মুম্বাই শহরের প্রধান বায়ুদূষক দুটি কী কী?
কলকাতা ও মুম্বাই শহরের প্রধান বায়ুদূষক হল হাইড্রোকার্বন ও অ্যারোসল।
ভূপাল দুর্ঘটনায় নির্গত গ্যাসটির নাম কী ছিল?
ভূপাল দুর্ঘটনায় নির্গত গ্যাসটির নাম মিথাইল আইসোসায়ানেট (MIC)।
অম্লবৃষ্টির জন্য দায়ী দুটি গ্যাসের নাম লেখো।
অম্লবৃষ্টির জন্য দায়ী দুটি গ্যাস হল সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2) ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2)।
তৈল শোধনাগার থেকে অসম্পূর্ণ দহনের ফলে উদ্ভূত কণাকে কী বলে?
তৈল শোধনাগার থেকে অসম্পূর্ণ দহনের ফলে উদ্ভূত কণাকে পেট্রোলিয়াম কোপ বা পেটকোক কণা বলে।
বাতাসে ভাসমান বস্তুকণা (SPM) মানুষের শরীরের শ্বাসতন্ত্রে কী প্রভাব ফেলে?
বাতাসে ভাসমান বস্তুকণা মানুষের শরীরে শ্বাসতন্ত্রের জ্বালা ও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে।
SPM-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
SPM-এর সম্পূর্ণ নাম হল — সাসপেনডেড পারটিকুলেট ম্যাটার।
মেট্রো শহরগুলিতে বায়ুদূষণের মূল কারণ কী?
মেট্রো শহরগুলিতে বায়ুদূষণের মূল কারণ হল – মোটরগাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া।
দুটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখো।
দুটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম হল — ক্লোরোফ্লুরোকার্বন- সমূহ (CFCs) এবং মিথেন (CH4)।
DDT-এর সম্পূর্ণ নাম লেখো।
DDT-এর সম্পূর্ণ নাম হল — ডাইক্লোরোডাইফিনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন।
বায়ুদূষণ নির্দেশক উদ্ভিদের নাম লেখো।
বায়ুদূষণ নির্দেশক উদ্ভিদ হল — লাইকেন।
কোন্ গ্যাস ফুসফুসের ক্যানসার সৃষ্টি করে?
সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস ফুসফুসের ক্যানসার সৃষ্টি করে।
কার্বন ডাইঅক্সাইডের তুলনায় মিথেন গ্যাস কত গুণ বেশি তাপধারণ করতে সক্ষম?
কার্বন ডাইঅক্সাইডের তুলনায় মিথেন গ্যাস প্রায় 21 গুণ বেশি তাপধারণ করে।
ধূমপানের ফলে নির্গত ধোঁয়ায় উপস্থিত ক্ষতিকারক একটি পদার্থের নাম লেখো?
ধূমপানের ফলে নির্গত ধোঁয়ায় উপস্থিত ক্ষতিকারক পদার্থের নাম ক্লোরোবেঞ্জিন।
পেট্রোল চালিত যানবাহন থেকে নির্গত কোন্ দূষক পদার্থ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বাধা দেয়?
পেট্রোল চালিত যানবাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকর সিসা, রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি হওয়াতে বাধা দেয়।
উদ্ভিদে ক্লোরোফিলের পরিমাণ হ্রাস করে কোন্ দূষক পদার্থ?
উদ্ভিদে ক্লোরোফিলের পরিমাণ হ্রাস করে এমন দূষক পদার্থ হল — সালফার ডাইঅক্সাইড।
বায়ুদূষণের ফলে, কয়লাখনিতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে কী রোগ দেখা যায়?
বায়ুদূষণের ফলে, কয়লাখনিতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে ব্ল্যাক লাং নামক রোগ দেখা যায়।
প্রধান তিন প্রকার রাসায়নিক কীটনাশকরে নাম লেখো।
প্রধান তিন প্রকার রাসায়নিক কীটনাশকের নাম হল — অর্গ্যানোক্লোরিন, অর্গ্যানোফসফরাস ও কার্বামেট।
দুটি অর্গ্যানোক্লোরিন কীটনাশকরে নাম লেখো।
দুটি অর্গ্যানোক্লোরিন কীটনাশকের নাম হল — DDT ও বেঞ্জিন হেক্সাক্লোরাইড (BHC)।
দুটি অর্গ্যানোফসফরাস কীটনাশকের নাম লেখো।
দুটি অর্গ্যানোফসফরাস কীটনাশকের নাম হল – প্যারাথিয়ন ও ম্যালথিয়ন।
দুটি কার্বামেটজাতীয় কীটনাশকের নাম লেখো।
দুটি কার্বামেটজাতীয় কীটনাশকের নাম হল — কার্বারিল ও অ্যালডিকার্ব।
ইউট্রোফিকেশনের জন্য দায়ী দুই ধরনের সারের নাম লেখো।
ইউট্রোফিকেশনের জন্য দায়ী দুই ধরনের সার হল — ফসফেটজাতীয় ও নাইট্রেজাতীয় সার।
জলে উপস্থিত কয়েকটি অদ্রবীভূত জৈবদূষকের নাম লেখো।
জলে উপস্থিত কয়েকটি অদ্রবীভূত জৈবদূষকের নাম — শুকনো পাতা, শৈবাল, পাট এবং ব্যাকটেরিয়া।
সিউয়েজ কী?
গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারের পরে উদ্ভূত এবং পৌর নির্গমনে নিষ্কাশিত বর্জ্যসমূহকে সিউয়েজ বলে।
জলবাহিত, ভাইরাসঘটিত দুটি রোগের নাম লেখো।
জলবাহিত, ভাইরাসঘটিত দুটি রোগ হল — হেপাটাইটিস-A, এবং পোলিওমায়েলাইটিস বা পোলিও।
জলবাহিত, ব্যাকটেরিয়াঘটিত দুটি রোগের নাম লেখো।
জলবাহিত, ব্যাকটেরিয়াঘটিত দুটি রোগ হল—কলেরা এবং রক্ত-আমাশা।
জলবাহিত, প্রোটোজোয়াঘটিত দুটি রোগের নাম লেখো।
জলবাহিত, প্রোটোজোয়াঘটিত দুটি রোগ হল — আমাশয় এবং জিয়ার্ডিয়াসিস।
জলবাহিত, কৃমিজাতীয় দুটি রোগের নাম লেখো।
জলবাহিত, কৃমিজাতীয় দুটি রোগ হল — টিনিয়াসিস, অ্যাসক্যারিয়াসিস।
পৃথিবীতে জলের চক্রাকার আদানপ্রদানকে কী বলে?
পৃথিবীতে জলের চক্রাকার আদানপ্রদানকে জলচক্র বলে।
ভারতে পানীয় জলে ফ্লুরাইডের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা কত?
ভারতে পানীয় জলে ফ্লুরাইডের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্ৰা 1.2 mg/L
সমুদ্রজলে কোন্ লবণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
সমুদ্র জলে সাধারণ লবণের (সোডিয়াম ক্লোরাইড) পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
ইউট্রোফিকেশন কখন ঘটে থাকে?
জল দূষণজনিত কারণে জলাশয়ে অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান সৃষ্টির মাধ্যমে অ্যালগি-জাতীয় উদ্ভিদ বেশি জন্মালে ইউট্রোফিকেশন ঘটে।
মানবসৃষ্ট কারণে জলাশয়ে শৈবাল বৃদ্ধির ঘটনাকে কী বলে?
মানবসৃষ্ট কারণে জলাশয়ে শৈবাল বৃদ্ধির ঘটনাকে বলে কালচারাল ইউট্রোফিকেশন।
জলদূষণ বাড়তে থাকার দরুন, অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে কোন্ গ্যাসটির অভাব দেখা দেবে?
জলদূষণ বাড়তে থাকার দরুন জলজ প্রাণীর জন্য জলে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেবে।
ইউট্রোফিকেশনে জলে দ্রবীভূত 02-এর মাত্রার কী পরিবর্তন ঘটে?
ইউট্রোফিকেশনের সময়ে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়।
আর্সেনিক দূষণ কোন্ জাতীয় দূষণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?
আর্সেনিক দূষণ জলদূষণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গে কোন্ জলদূষণটির ক্ষতিকর প্রভাব সর্বাধিক।
পশ্চিমবঙ্গে আর্সেনিক জলদূষণটির ক্ষতিকর প্রভাব সর্বাধিক ৷
কত ফুট গভীরতার নলকূপগুলিতে আর্সেনিক থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে?
500-600 ফুট গভীরতার নলকূপগুলিতে আর্সেনিক থাকার সম্ভাবনা নেই।
টাইফয়েড রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো।
টাইফয়েড রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম হল- সালমোনেল্লা টাইফি (Salmonella typhi)।
কলেরা রোগের জীবাণুটির নাম লেখো।
কলেরা রোগের জীবাণুটি হল ভিব্রিও কলেরি (Vibrio cholerae) নামক ‘কমা’ আকৃতির ব্যাকটিরিয়া।
শৈবাল দ্বারা উৎপাদিত দুটি ক্ষতিকর টক্সিনের নাম লেখো যা জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটায়।
শৈবাল দ্বারা উৎপাদিত দুটি ক্ষতিকর টক্সিন, যা জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটায়, সেগুলি হল — নিউরোটক্সিন ও হেপাটোটক্সিন।
ভারতে অবস্থিত দুটি সৌধের নাম লেখো যেখানে অম্ল-বৃষ্টির প্রভাব দেখা যায়।
তাজমহল (আগ্রা) ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (কলকাতা) হল ভারতে অবস্থিত এমন দুটি সৌধ সেখানে অম্লবৃষ্টির প্রভাব দেখা যায়।
বাস্তুতন্ত্রে একটি পুষ্টিস্তরে দূষক সঞ্চয়কে কী বলে?
বাস্তুতন্ত্রে একটি পুষ্টিস্তরে দূষক সঞ্চয়কে জৈবসঞ্চয় বলে।
কোন্ প্রাণীকলায় দূষক সঞ্চয় ঘটে?
অ্যাডিপোজ কলায় দূষক সঞ্চয় বা জৈবসঞ্চয় ঘটে।
দুটি জৈব পেস্টনাশকের নাম লেখো।
দুটি জৈব পেস্টনাশক হল — অ্যালড্রিন, DDT।
দুটি অজৈবপেস্টনাশকের নাম লেখো।
দুটি অজৈব পেস্টনাশক হল — প্যারিস গ্রিন, লেডআর্সিনেট।
জীববিবর্ধনের ফলে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্মকে কী বলে?
জীববিবর্ধনের ফলে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্মকে টেরাটোজেনেসিস বলা হয় ৷
সীসার দূষণের ফলে হয়, এমন একটি রোগের নাম লেখো।
সীসার দূষণের ফলে হয়, এমন একটি রোগের নাম হল — ডিসলেক্সিয়া।
জলে ক্যাডমিয়াম দূষণের ফলে কোন্ রোগ দেখা দেয়?
জলে ক্যাডমিয়াম দূষণের ফলে ইটাই-ইটাই রোগ দেখা দেয়।
পারদ দূষণের ফলে সৃষ্ট রোগের নাম লেখো।
পারদ দূষণের ফলে সৃষ্ট রোগের নাম হল — মিনামাটা।
মানুষের দেহ থেকে নির্গত কোন্ কোন্ কৃমি মাটির দূষণ ঘটায়?
মানুষের দেহ থেকে নির্গত গোলকৃমি, হুক কৃমি প্রভৃতি মাটির দূষণ ঘটায়।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন কোন্ উপাদান মাটির দূষণ ঘটায়?
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন ‘ফ্লাই অ্যাশ’ মাটির দূষণ ঘটায় |
মাটির দূষণ কমানোর জন্য বর্জ্য পদার্থকে কোন্ পদ্ধতিতে ভস্মীভূত করা হয়?
মৃত্তিকার দূষণ কমানোর জন্য বর্জ্য পদার্থগুলিকে ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে ভস্মীভূত করা হয়।
জমিতে অতিরিক্ত হারে নাইট্রোজেনঘটিত সার ব্যবহার করলে মাটিতে কীসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়?
জমিতে অতিরিক্ত হারে নাইট্রোজেনঘটিত সার ব্যবহার করলে, মাটির অম্লতা বৃদ্ধি পায়।
অত্যধিক হারে জলসেচ জমিতে কী প্রভাব ফেলে?
অত্যধিক হারে জলসেচ জমিকে লবণাক্ত করে তোলে।
স্থলদূষণ বলতে আমরা সাধারণত কোন্ প্রকার দূষণকে বুঝি?
স্থলদূষণ বলতে আমরা সাধারণত মাটির দূষণকে বুঝি।
অ্যাসকারিয়েসিস নামক রোগ সৃষ্টিকারী কৃমির নাম লেখো।
অ্যাসকারিয়েসিস নামক রোগ সৃষ্টিকারী কৃমির নাম হল – অ্যাসকারিস লুন্ত্রিকয়ডিস (Ascaris lumbricoides)।
একটি ইউডেফিক প্যাথোজেনের নাম লেখো।
একটি ইউডেফিক প্যাথোজেনের নাম হল –অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস (Bacillus anthracis)।
মানুষের শ্রুতিগ্রাহক অঙ্গটির নাম কী?
মানুষের শ্রুতিগ্রাহক অঙ্গটির নাম অর্গান অফ কার্টি।
শব্দদূষণের ফলে আমাদের কোন্ রোগ ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে?
শব্দদূষণের ফলে আমাদের রক্তে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন নামক রোগ ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে।
শব্দদূষণ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমাদের কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার?
শব্দদূষণ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কানে ইয়ার প্লাগ, ইয়ারমাফ ইত্যাদি ব্যবহার করা দরকার।
অ্যাকাউস্টিক ট্রমা বলতে কী বোঝ?
অতি উচ্চপ্রাবল্যের শব্দ এককালীন আচম্বিতে শুনলে অন্তঃকর্ণের কক্লিয়ার স্থায়ীভাবে শ্রবণ ক্ষমতা নষ্ট হওয়াকে অ্যাকাউস্টিক ট্রমা বলে।
ভারতে গ্রহণযোগ্য শব্দের মান দিনের বেলায় কত?
ভারতে গ্রহণযোগ্য শব্দের মান দিনের বেলায় 65 ডেসিবেল (dB)।
গৃহস্থালির কোন্ কোন্ যন্ত্র থেকে শব্দদূষণ ঘটে?
ওয়াশিং মেশিন, মিক্সার-গ্রাইন্ডার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, টিভি-র সুউচ্চ শব্দ প্রভৃতি থেকে শব্দদূষণ ঘটে।
শব্দের প্রাবল্য কোন্ এককে পরিমাপ করা যায়?
শব্দের প্রাবল্য ডেসিবেল (dB) এককে পরিমাপ করা হয়।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্ধারিত মান অনুযায়ী যানবাহনজনিত শব্দদূষণ মাত্রা কত হওয়া উচিত?
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্ধারিত মান অনুযায়ী যানবাহনজনিত শব্দদূষণ মাত্রা 70 dB হওয়া উচিত।
শব্দের মাত্রা কত হলে সিস্টোলিক রক্তচাপ যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়?
শব্দের মাত্রা 90 dB-র ঊর্ধ্বে হলে সিস্টোলিক রক্তচাপ যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়।
উড়োজাহাজ ওঠা বা নামার সময় শব্দের মাত্রা কত ডেসিবেল (dB)-এর বেশি হয়?
উড়োজাহাজ ওঠা বা নামার সময় শব্দের মাত্রা 150 ডেসিবেল (dB)-এর বেশি হয়ে যায়।
অত্যন্ত শক্তিশালী বাজির থেকে যে শব্দদূষণ হয়, তার মাত্রা কত?
অত্যন্ত শক্তিশালী বাজির থেকে যে শব্দদূষণ হয়, তার মাত্রা প্রায় 150 ডেসিবেল (dB)-এর ঊর্ধ্বে হয়।
শব্দের মাত্রা কত হলে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীদের বধিরতা দেখা যায়?
শব্দের মাত্রা 85 dB-এর ঊর্ধ্বে হলে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীদের বধিরতা দেখা যায়।
NIHL-এর সম্পূর্ণ নাম লেখো।
NIHL-এর সম্পূর্ণ নাম — নয়েস ইনডিউস্ড হিয়ারিং লস।
পরিবেশ এবং তার সম্পদের সংরক্ষণ এবং পরিবেশদূষণ বিষয়ক মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান অধ্যায়টির সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরের সংকলনে সমাপ্তি রইল। এই অধ্যায়ে আমরা জানতে পেরেছি পরিবেশ এবং তার সম্পদের গুরুত্ব, যেমন জল, মাটি, বায়ু, সুর্যের আলো এবং জৈব সম্পদ। এছাড়া আমরা পরিবেশদূষণ এবং তার প্রকার সম্পর্কেও জানতে পেরেছি।
এই অধ্যায় আমাদের জ্ঞানের মাধ্যমে পরিবেশ এবং তার সম্পদগুলির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা জাগ্রত করেছে। এছাড়াও আমরা জানতে পেরেছি পরিবেশে অপব্যবহার এবং দূষণের পরিণতির কারণ এবং তার পরিণামপরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক জ্ঞান আমাদেরকে পরিবেশের সম্পদগুলির সাথে সচেতন থাকতে এবং তাদের উপযোগিতা বোধ করতে সাহায্য করবে।