এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব ঠিক কী ছিল, তাই নিয়ে আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব ঠিক কী ছিল, তাই নিয়ে আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব নিয়ে আলোচনা করো।
স্বাধীনতার পূর্বে ভারতের সংলগ্ন যে দেশীয় রাজ্যগুলি ছিল তারা স্বাধীনতা লাভের পর ভারতবর্ষ বা পাকিস্তানে যোগ দেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বির্তক ছিল, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতে যোগ দেওয়ার সপক্ষে মত দান করে।
হরিপুরা অধিবেশন – 1938 খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের হরিপুরা অধিবেশনে কংগ্রেস ঘোষণা করে দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতেরই অংশ এবং এই রাজ্যগুলিকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব।
গান্ধিজির বক্তব্য – গান্ধিজি মনে করতেন ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর দেশীয় রাজ্যগুলি যদি স্বাধীনতা ঘোষণা করে তবে হবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান।
জওহরলাল নেহরুর বক্তব্য – ভারতবর্ষের ভৌগোলিক সীমারেখার ভিতরে অবস্থিত দেশীয় রাজ্যগুলির কোনো স্বাধীন অবস্থান থাকবে না বলে ঘোষণা করে জওহরলাল নেহরু।
কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত – 1947 খ্রিস্টাব্দের 15 জুন ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার পরবর্তী কালে দেশীয় রাজ্যগুলির আর কোনো স্বাধীন অস্তিত্ব থাকবে না এমনই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে জাতীয় কংগ্রেস।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
স্বাধীনতার সময় দেশীয় রাজ্যগুলির অবস্থান কী ছিল?
ব্রিটিশ শাসনকালে ভারত দুটি অংশে বিভক্ত ছিল – ব্রিটিশ ভারত (সরাসরি ব্রিটিশ শাসনে) এবং দেশীয় রাজ্য (স্থানীয় রাজাদের শাসনে, তবে ব্রিটিশ কর্তৃত্বে)। 1947 সালে স্বাধীনতা লাভের সময়, এই রাজ্যগুলিকে ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।
জাতীয় কংগ্রেস দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে কী ভাবত?
জাতীয় কংগ্রেসের দৃঢ় মত ছিল যে দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের আলাদা স্বাধীন অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়।
হরিপুরা অধিবেশনে (1938 সাল) কংগ্রেসের অবস্থান কী ছিল?
1938 সালে হরিপুরা অধিবেশনে কংগ্রেস ঘোষণা করে যে দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতেরই অংশ এবং তাদের ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব।
মহাত্মা গান্ধী দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে কী বলেছিলেন?
গান্ধীজির মতে, স্বাধীন ভারতের পর দেশীয় রাজ্যগুলি যদি স্বাধীন থাকতে চায়, তা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান হবে।
দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করতে কে প্রধান ভূমিকা নেন?
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং বি. পি. মেনন প্রধানত ভারতীয় ইউনিয়নে দেশীয় রাজ্যগুলির একীভূতকরণের (Integration) দায়িত্বে ছিলেন।
কোন পদ্ধতিতে দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতভুক্ত হয়?
ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন (যোগদান পত্র) এর মাধ্যমে রাজ্যগুলি ভারতীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়। কিছু রাজ্য বাধ্য হয় (যেমন – হায়দ্রাবাদ), আবার কিছু স্বেচ্ছায় যোগ দেয় (যেমন – ত্রাভাঙ্কর)।
কোন দেশীয় রাজ্য ভারতভুক্ত হতে অস্বীকার করেছিল?
জুনাগড়, হায়দ্রাবাদ ও কাশ্মীর প্রথমে ভারতভুক্ত হতে অস্বীকার করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন উপায়ে এগুলোকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দেশীয় রাজ্যগুলির একীভূতকরণের গুরুত্ব কী ছিল?
দেশীয় রাজ্যগুলির একীভূতকরণের ফলে ভারতের ভৌগোলিক ঐক্য বজায় থাকে এবং বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। এটি আধুনিক ভারত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব ঠিক কী ছিল, তাই নিয়ে আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব ঠিক কী ছিল, তাই নিয়ে আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন