গলার স্বরে বোঝা গেল এর জন্য সে গর্বিত। – কে কীসের জন্য গর্ব অনুভব করেছেন? তাঁর এই গর্বের বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।

“গলার স্বরে বোঝা গেল এর জন্য সে গর্বিত।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “গলার স্বরে বোঝা গেল এর জন্য সে গর্বিত।’ – কে কীসের জন্য গর্ব অনুভব করেছেন? তাঁর এই গর্বের বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

দশম শ্রেণি – বাংলা – কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। বিষ্টু ধর ডায়েটিং-এর প্রতি অত্যধিক গর্ববোধ করেন। তিনি মনে করেন যে, তার ডায়েটিং-এর কারণেই তিনি সুস্থ ও রোগমুক্ত। তার এই গর্ববোধ তাকে কিছুটা হাস্যকর করে তুলেছে। তবে তার সংযম ও শারীরিক কষ্ট স্বীকার করার ক্ষমতা প্রশংসনযোগ্য।

  • বিষ্টু ধর নিজের ডায়েটিং-এর নিয়মকানুন খুব কঠোরভাবে মেনে চলেন।
  • তিনি মাছমাংস খান না কারণ তার বাড়িতে রাধাগোবিন্দের মূর্তি আছে।
  • বিষ্টু ধর তার ডায়েটিং-এর জন্য গর্ববোধ করেন এবং মনে করেন যে, তার এই গুণাবলী তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।
গলার স্বরে বোঝা গেল এর জন্য সে গর্বিত। - কে কীসের জন্য গর্ব অনুভব করেছেন? তাঁর এই গর্বের বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।

“গলার স্বরে বোঝা গেল এর জন্য সে গর্বিত।” – কে কীসের জন্য গর্ব অনুভব করেছেন? তাঁর এই গর্বের বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।

অথবা, খাওয়ার আমার লোভ নেই। ডায়েটিং করি। – কার খাওয়ার লোভ নেই? তাঁর ডায়েটিং-এর পরিচয় দাও।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ও তার গর্বের বিষয় – মতি নন্দীর লেখা কোনি উপন্যাসের প্রথম অধ্যায়ে বিষ্টু ধর তাঁর ডায়েটিং-এর জন্য গর্ব প্রকাশ করেছেন।

গর্বের বিষয়ের ব্যাখ্যা –

  • কথামুখ – সাড়ে তিন মন ওজনের বিষ্টু ধর তাঁর নিজের মতো করে ডায়েটিং করতেন। সেই কারণে তিনি যথেষ্ট গর্বিতও ছিলেন। বিষ্টু ধর গঙ্গার ধারে বসে ক্ষিতীশকে নিজের ডায়েটিংয়ের কথা বিস্তৃতভাবে জানিয়েছেন।
  • প্রতিদিনের আহারসামগ্রী – বিষ্টু ধর আগে রোজ আধ কিলো ক্ষীর খেতেন। এখন সেটা তিনশো গ্রাম হয়েছে। আগে জলখাবারে কুড়িটা লুচি খেতেন, এখন তা পনেরোটা হয়েছে। এখন নিয়ম করে মেপে তিনি আড়াইশো গ্রাম চালের ভাত খান। রাত্রে খান মাত্র বারোটা রুটি। ঘি খাওয়া তিনি প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। শুধু গরম ভাতের সঙ্গে তিনি চার চামচ ঘি খান। বিকেলে তাঁর খাবার তালিকায় রয়েছে দু-গ্লাস মিছরির শরবত আর কেবল চারটে কড়াপাকের সন্দেশ। প্রসঙ্গত বিষ্টু ধর জানিয়ে দেন যে, বাড়িতে রাধাগোবিন্দের মূর্তি থাকায় মাছমাংস তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
  • প্রতিক্রিয়া – এত কিছুর পরেও বিষ্টু ধর গর্বিতভাবে বলেন যে, সংযম ও শারীরিক কষ্ট স্বীকারে তিনি যথেষ্টই সক্ষম। তাঁদের বংশে কখনও কারও হার্টের অসুখ হয়নি।

আরও পড়ুন, বারুণী কী? বারুণীর দিনে গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা লেখো।

মতি নন্দীর লেখা “কোনি” উপন্যাসের প্রথম অধ্যায়ে বিষ্টু ধর চরিত্রটি তার ডায়েটিংয়ের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। সাড়ে তিন মন ওজনের বিষ্টু ধর নিজস্ব পদ্ধতিতে ডায়েটিং করে থাকেন এবং তাতে সফলও বটে।

তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা বেশ নিয়ন্ত্রিত। পূর্বে যেখানে তিনি প্রচুর পরিমাণে খাবার খেতেন, সেখানে এখন তিনি পরিমিত খাবার খান। রোজকার খাদ্য তালিকা, আহারের পরিমাণ, এবং খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি সতর্ক থাকেন।

বিষ্টু ধর গর্বিতভাবে জানান যে, তিনি সংযম ও শারীরিক কষ্ট সহ্য করতে পারেন। তার বংশে কারও হৃদরোগের ইতিহাস নেই, যা তার ডায়েটিংয়ের সাফল্যের প্রমাণ বলে মনে করেন তিনি।

এই অংশে মতি নন্দী বিষ্টু ধর চরিত্রের অহংকারী ও আত্মপ্রসাদী দিকটি তুলে ধরেছেন।

Share via:

মন্তব্য করুন