বারুণী কী? বারুণীর দিনে গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা লেখো।

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব— “বারুণী কী? বারুণীর দিনে গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা লেখো।” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বারুণী কী? বারুণীর দিনে গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা লেখো।

বারুণী কী? বারুণীর দিনে গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা লেখো।

অথবা, আজ বারুণী। গঙ্গায় আজ কাঁচা আমের ছড়াছড়ি। – বারুণী কী? গঙ্গাতীরের বর্ণনা পাঠ্যাংশে যেভাবে পড়েছ, গুছিয়ে লেখো।

বারুণীর পরিচয় – শতভিষা নক্ষত্রে কৃষ্ণাচতুর্দশী তিথিতে পুণ্যস্নান ইত্যাদির দ্বারা পালনীয় বিশেষ প্রথা হল বারুণী। এই দিন মনস্কামনা পূরণের ইচ্ছায় গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে কাঁচা ফল দান করা হয়।

গঙ্গাতীরের বর্ণনা –

  • গঙ্গাকে নিবেদিত কাঁচা আম – বারুণী প্রথায় সকলেই গঙ্গাকে কাঁচা আম নিবেদন করেছিলেন। ফলে, গঙ্গার ঘাটে প্রচুর কাঁচা আম ভেসে যাচ্ছিল। মহা উৎসাহের সঙ্গে একদল ছেলেমেয়ের সেই আম কুড়োচ্ছিল।
  • স্নানযাত্রী ও বামুনদের কার্যকলাপ – ভাটার ফলে জল কিছুটা দূরে সরে যাওয়ায় কাদা-মাখা পায়ে স্নান সেরে ফেরা লোকেদের মুখে ছিল বিরক্তির ছাপ। স্নান সেরে ফেরার পথে অনেকে যাচ্ছিল ঘাটের মাথায় বসে থাকা বামুনদের কাছে। এই বামুনরা, সকলের জামাকাপড় জমা রাখে, সরষের তেল বা নারকেল তেল দেয়, আর স্নান সেরে লোকেরা এলে দক্ষিণা নিয়ে কপালে চন্দনের ছাপ এঁকে দেয়।
  • বহুবিধ দোকান ও মন্দির – এ ছাড়া গঙ্গার ধারে ছিল নানারকম জিনিসের দোকান, ছোটো ছোটো একাধিক মন্দির। বারুণীর দিন বলেই হয়তো গঙ্গার পাড়ে ভিখিরিদের আনাগোনা ছিল বেশি।
  • বিষ্টুচরণের আদবকায়দা – এই গঙ্গারই ধারে সাড়ে তিন মন ওজনের বিশালাকার বিষ্টুচরণ ধর একটা ছেঁড়া মাদুরের উপর শুয়ে মালিশ করাচ্ছিলেন এবং বিরক্তি নিয়ে গঙ্গার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সাদা লুঙ্গি, গেরুয়া পাঞ্জাবি এবং চোখে মোটা লেন্সের চশমা পরা পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন বছরের ক্ষিতীশ সিংহ বিষ্টুচরণকে দেখে হাসছিলেন। মালিশ ওয়ালাকে ‘তানপুরা’, ‘তবলা’, ‘সারেগামা’ ইত্যাদি বিচিত্র ভঙ্গিতে মালিশ করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন বিষ্টুচরণ ধর।
  • ক্ষিতীশ সিংহের ব্যঙ্গপ্রবণতা – এই দৃশ্যে মজা পেয়ে ক্ষিতীশ সিংহ বিষ্টুচরণ ধরের শরীর নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলেন যে, তিনি নিজে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। নানান অঙ্গভঙ্গি করে যখন ক্ষিতীশ সিংহ মজা করতে শুরু করেন তখন বিষ্টুচরণ ধরের রাগের বদলে কৌতূহল হয়। ক্রমশ তাঁদের দুজনের মধ্যে আলাপ জমে ওঠে।

আরও পড়ুন, বিষ্টু হতভম্ভ হয়ে লোকটির জগ করা দেখতে লাগল। – বিষ্টুর এই হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল লেখো।

এই নিবন্ধে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, “বারুণী কী? বারুণীর দিনে গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা লেখো,” নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। আশা করি, নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার আরও প্রশ্ন থাকে বা সহায়তার প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গেও এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও-মাধ্যমিক ভূগোল

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য লেখো

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করো।

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব

মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখা কী? মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখার মধ্যে পার্থক্য

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান – পরিবেশের জন্য ভাবনা – স্থিতিশীল উন্নয়নে শক্তি উৎসের ব্যবহার