এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “গ্যাসের বাষ্পঘনত্বকে আপেক্ষিক ঘনত্ব বলা হয় কেন? উষ্ণতার পরিবর্তনে কোনো গ্যাসীয় পদার্থের বাষ্পঘনত্বের কীরূপ পরিবর্তন ঘটবে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “গ্যাসের বাষ্পঘনত্বকে আপেক্ষিক ঘনত্ব বলা হয় কেন? উষ্ণতার পরিবর্তনে কোনো গ্যাসীয় পদার্থের বাষ্পঘনত্বের কীরূপ পরিবর্তন ঘটবে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

গ্যাসের বাষ্পঘনত্বকে আপেক্ষিক ঘনত্ব বলা হয় কেন?
একই চাপ ও উষ্ণতায় কোনো গ্যাসের ভর সম-আয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের ভরের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই তুলনামূলক সংখ্যাটিকে ওই গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব বলে। যেহেতু, নির্দিষ্ট চাপ ও উষ্ণতায় গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব ওই একই চাপ ও উষ্ণতায় রাখা সম-আয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের সাপেক্ষে নির্ণয় করা যায়, তাই গ্যাসের বাষ্পঘনত্বকে আপেক্ষিক ঘনত্ব বলে।
উষ্ণতার পরিবর্তনে কোনো গ্যাসীয় পদার্থের বাষ্পঘনত্বের কীরূপ পরিবর্তন ঘটবে?
একই চাপ ও উষ্ণতায় কোনো গ্যাসের ভর সম-আয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের ভরের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাটিই হল গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব। এখন উষ্ণতার বৃদ্ধি বা হ্রাসের ফলে সম-আয়তন হাইড্রোজেন এবং যে-কোনো গ্যাসের আয়তন সমানুপাতে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। ফলে উষ্ণতার পরিবর্তনে এই অনুপাতটি অপরিবর্তিত থাকে। তাই উষ্ণতার পরিবর্তনে গ্যাসের বাষ্পঘনত্বের মানের কোনো পরিবর্তন হয় না।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
বাষ্পঘনত্ব নির্ণয়ের সময় হাইড্রোজেন গ্যাসকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয় কেন?
হাইড্রোজেন হলো সবচেয়ে হালকা গ্যাস (আণবিক ভর = 2)। অন্যান্য গ্যাসের ঘনত্ব হাইড্রোজেনের সাপেক্ষে তুলনা করলে বাষ্পঘনত্বের হিসাব সহজ ও সার্বজনীন হয়।
বাষ্পঘনত্ব ও আণবিক ভরের মধ্যে সম্পর্ক কী?
আণবিক ভর (M) = 2 × বাষ্পঘনত্ব (D), যেহেতু হাইড্রোজেনের আণবিক ভর 2, তাই অন্য গ্যাসের আণবিক ভর বাষ্পঘনত্বের দ্বিগুণ হয়।
চাপের পরিবর্তনে বাষ্পঘনত্বের কি পরিবর্তন হয়?
চাপের পরিবর্তনে বাষ্পঘনত্বের পরিবর্তন হয় না, চাপের পরিবর্তনে বাষ্পঘনত্ব অপরিবর্তিত থাকে, কারণ চাপ বাড়লে বা কমলে গ্যাসের ভর ও আয়তন সমানুপাতিকভাবে পরিবর্তিত হয়, ফলে অনুপাত স্থির থাকে।
বাষ্পঘনত্বের একক কী?
বাষ্পঘনত্ব একটি আপেক্ষিক রাশি, তাই এর কোনো একক নেই। এটি একটি সংখ্যা (যেমন: O2 -এর বাষ্পঘনত্ব 16)।
উষ্ণতার পরিবর্তনে গ্যাসের বাষ্পঘনত্বের কী পরিবর্তন হয়?
উষ্ণতা বাড়লে বা কমলে গ্যাসের আয়তন পরিবর্তিত হয়, কিন্তু হাইড্রোজেন ও অন্যান্য গ্যাসের আয়তন একই অনুপাতে পরিবর্তিত হয়। ফলে, ভরের অনুপাত (বাষ্পঘনত্ব) অপরিবর্তিত থাকে। তাই উষ্ণতার পরিবর্তনে গ্যাসের বাষ্পঘনত্বের কোনো পরিবর্তন হয় না।
বাষ্পঘনত্ব শুধুমাত্র গ্যাসের জন্য প্রযোজ্য কেন?
বাষ্পঘনত্বের সংজ্ঞা অনুযায়ী, এটি গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থের ঘনত্ব হাইড্রোজেনের সাপেক্ষে মাপা হয়। তরল বা কঠিন পদার্থের বাষ্পীভবন না ঘটলে তাদের গ্যাসীয় আকারে পরিমাপ করা যায় না, তাই বাষ্পঘনত্ব সাধারণত গ্যাস বা বাষ্পীয় পদার্থের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “গ্যাসের বাষ্পঘনত্বকে আপেক্ষিক ঘনত্ব বলা হয় কেন? উষ্ণতার পরিবর্তনে কোনো গ্যাসীয় পদার্থের বাষ্পঘনত্বের কীরূপ পরিবর্তন ঘটবে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “গ্যাসের বাষ্পঘনত্বকে আপেক্ষিক ঘনত্ব বলা হয় কেন? উষ্ণতার পরিবর্তনে কোনো গ্যাসীয় পদার্থের বাষ্পঘনত্বের কীরূপ পরিবর্তন ঘটবে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন