এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ করো।
অথবা, গ্রাবরেখা কীভাবে সৃষ্টি হয়।
সংজ্ঞা – উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে ক্ষয়জাত নুড়ি, পাথর, শিলাখণ্ড প্রভৃতি হিমবাহ দ্বারা বাহিত হয়ে বিভিন্নভাবে সঞ্চিত হয়ে যে সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ গঠন করে, তাকে বলে গ্রাবরেখা।

গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ –
অবস্থান ও প্রকৃতি অনুসারে গ্রাবরেখাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা –
- প্রান্ত গ্রাবরেখা
- ভূমি গ্রাবরেখা
- পার্শ্ব গ্রাবরেখা
- মধ্য গ্রাবরেখা
- হিমাবদ্ধ গ্রাবরেখা
- হিমতল গ্রাবরেখা প্রভৃতি

গ্রাবরেখার সৃষ্টি –
মূলত গ্রাবরেখা তিন প্রকারের দেখতে পাওয়া যায়, যথা –
পার্শ্ব গ্রাবরেখা –
হিমবাহের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের ঢাল থেকে আবহবিকারজাত পদার্থ, তুষারপাত জাত পদার্থ প্রভৃতি হিমবাহের দুপাশে সঞ্চিত হয়ে পার্শ্ব গ্রাবরেখা সৃষ্টি হয়।
মধ্য গ্রাবরেখা –
দুটি পার্শ্ব গ্রাবরেখা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে মধ্য গ্রাবরেখা গঠন করে।
প্রান্ত গ্রাবরেখা –
হিমবাহের সম্মুখভাগে সঞ্চিত গ্রাবরেখাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে। তিস্তা নদীর উচ্চ অববাহিকায় লাচুং এবং লাচেন নামক স্থানে বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখা লক্ষ করা যায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
গ্রাবরেখা কী?
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে ক্ষয়প্রাপ্ত নুড়ি, পাথর, শিলাখণ্ড প্রভৃতি হিমবাহ দ্বারা বাহিত হয়ে বিভিন্নভাবে সঞ্চিত হয়ে যে সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ গঠন করে, তাকে গ্রাবরেখা বলে।
গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ কী?
অবস্থান ও প্রকৃতি অনুসারে গ্রাবরেখাকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায় –
1. প্রান্ত গ্রাবরেখা
2. ভূমি গ্রাবরেখা
3. পার্শ্ব গ্রাবরেখা
4. মধ্য গ্রাবরেখা
5. হিমাবদ্ধ গ্রাবরেখা
6. হিমতল গ্রাবরেখা
গ্রাবরেখা কীভাবে সৃষ্টি হয়?
গ্রাবরেখা মূলত তিন প্রকারের হতে পারে –
1. পার্শ্ব গ্রাবরেখা – হিমবাহের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের ঢাল থেকে আবহবিকারজাত পদার্থ, তুষারপাতজাত পদার্থ প্রভৃতি হিমবাহের দুপাশে সঞ্চিত হয়ে পার্শ্ব গ্রাবরেখা সৃষ্টি হয়।
2. মধ্য গ্রাবরেখা – দুটি পার্শ্ব গ্রাবরেখা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে মধ্য গ্রাবরেখা গঠন করে।
3. প্রান্ত গ্রাবরেখা – হিমবাহের সম্মুখভাগে সঞ্চিত গ্রাবরেখাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।
প্রান্ত গ্রাবরেখা কী?
হিমবাহের সম্মুখভাগে সঞ্চিত গ্রাবরেখাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে। এটি সাধারণত হিমবাহের শেষ প্রান্তে দেখা যায়।
পার্শ্ব গ্রাবরেখা কীভাবে গঠিত হয়?
হিমবাহের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের ঢাল থেকে আবহবিকারজাত পদার্থ, তুষারপাতজাত পদার্থ প্রভৃতি হিমবাহের দুপাশে সঞ্চিত হয়ে পার্শ্ব গ্রাবরেখা সৃষ্টি হয়।
মধ্য গ্রাবরেখা কী?
দুটি পার্শ্ব গ্রাবরেখা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে মধ্য গ্রাবরেখা গঠন করে। এটি হিমবাহের মধ্যভাগে দেখা যায়।
গ্রাবরেখার উদাহরণ দিতে পারেন?
তিস্তা নদীর উচ্চ অববাহিকায় লাচুং এবং লাচেন নামক স্থানে বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখা লক্ষ করা যায়।
হিমাবদ্ধ গ্রাবরেখা কী?
হিমাবদ্ধ গ্রাবরেখা হলো হিমবাহের নিচে বা ভিতরে সঞ্চিত গ্রাবরেখা, যা হিমবাহের গতিবিধির সাথে সাথে সঞ্চিত হয়।
হিমতল গ্রাবরেখা কী?
হিমতল গ্রাবরেখা হলো হিমবাহের তলদেশে সঞ্চিত গ্রাবরেখা, যা হিমবাহের নিচে অবস্থিত ভূমির সাথে সম্পর্কিত।
গ্রাবরেখা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
গ্রাবরেখা ভূমিরূপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা হিমবাহের গতিবিধি এবং ভূমির গঠন প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করে। এটি ভূতাত্ত্বিক গবেষণা এবং পরিবেশগত পরিবর্তন বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ করো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।