এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট ভূমিরূপ আলোচনা করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।
হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।

হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।

অথবা, পর্বতের পাদদেশে হিমবাহের সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির বর্ণনা দাও।

হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ –

গ্রাবরেখা –

উচ্চপার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যে সৃষ্ট বালি, নুড়ি শিলাখণ্ড হিমবাহ উপত্যকার বিভিন্ন অংশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় তাকে গ্রাবরেখা বলে। গ্রাবরেখাকে প্রধান দুভাগে ভাগ করা হয় –

বিচরণশীল গ্রাবরেখা –

  • পার্শ্ব গ্রাবরেখা।
  • মধ্য গ্রাবরেখা।
  • ভূমি গ্রাবরেখা।
  • পৃষ্ঠস্থ গ্রাবরেখা।

অবক্ষিপ্ত গ্রাবরেখা –

  • প্রান্ত গ্রাবরেখা।
  • বলয়ধর্মী গ্রাবরেখা।
  • অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা।
  • রোজেন গ্রাবরেখা।
  • সামুদ্রিক গ্রাবরেখা।
বহিঃধৌত সমভূমি, ড্রামলিন, কেম, এসকার
বহিঃধৌত সমভূমি, ড্রামলিন, কেম, এসকার

ড্রামলিন –

হিমবাহ বাহিত নুড়ি, প্রস্তরখণ্ড পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে উল্টানো নৌকা বা উল্টানো চামচের মতো যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাকে ড্রামলিন বলে।

সৃষ্টির কারণ – সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে একটি টিল ও তার ওপর পলি সঞ্চিত হয়ে ড্রামলিনের সৃষ্টি হয়। তাই ড্রামলিন কখনও এককভাবে গঠিত হয় না।

বৈশিষ্ট্য –

  • 1-2 কিমি দীর্ঘ।
  • 400-600 মিটার প্রশস্ত।
  • 15-30 মিটার উচু হয়।
  • কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক ড্রামলিন পাশাপাশি গঠিত হলে তাকে ডিমভার্ত্তি ঝুড়ি বলে।

প্রকারভেদ –

  • গ্রাবজনিত ড্রামলিন।
  • শিলা ড্রামলিন।

এস্কার –

হিমবাহবাহিত নুড়ি, বালি, কাদা ইত্যাদি পদার্থ সমূহ পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে অনুচ্চ আঁকা বাঁকা ও সংকীর্ণ শৈলশিরার মতো যে ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে এস্কার বলে।

বৈশিষ্ট্য –

  • এক কিমি থেকে শত শত কিমি দীর্ঘ হতে পারে।
  • 3-50 মিটার বা তারও বেশি উচু হতে পারে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

গ্রাবরেখা কী?

উচ্চপার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যে সৃষ্ট বালি, নুড়ি, শিলাখণ্ড ইত্যাদি উপকরণ হিমবাহ উপত্যকার বিভিন্ন অংশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রাবরেখা বলে। গ্রাবরেখা প্রধানত দুটি প্রকারের হয় – বিচরণশীল গ্রাবরেখা এবং অবক্ষিপ্ত গ্রাবরেখা।

ড্রামলিন কী এবং এটি কীভাবে সৃষ্টি হয়?

ড্রামলিন হল হিমবাহ বাহিত নুড়ি, প্রস্তরখণ্ড ইত্যাদি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে উল্টানো নৌকা বা উল্টানো চামচের মতো ভূমিরূপ। এটি সাধারণত হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্টি হয়। ড্রামলিনের দৈর্ঘ্য 1-2 কিমি, প্রস্থ 400-600 মিটার এবং উচ্চতা 15-30 মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

এস্কার কী এবং এর বৈশিষ্ট্য কী?

এস্কার হল হিমবাহবাহিত নুড়ি, বালি, কাদা ইত্যাদি পদার্থ পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে গঠিত অনুচ্চ, আঁকাবাঁকা ও সংকীর্ণ শৈলশিরার মতো ভূমিরূপ। এস্কারের দৈর্ঘ্য এক কিমি থেকে শত শত কিমি এবং উচ্চতা 3-50 মিটার বা তারও বেশি হতে পারে।

গ্রাবরেখার প্রকারভেদ কী?

গ্রাবরেখা প্রধানত দুটি প্রকারের হয় –
1. বিচরণশীল গ্রাবরেখা – যেমন পার্শ্ব গ্রাবরেখা, মধ্য গ্রাবরেখা, ভূমি গ্রাবরেখা, পৃষ্ঠস্থ গ্রাবরেখা।
2. অবক্ষিপ্ত গ্রাবরেখা – যেমন প্রান্ত গ্রাবরেখা, বলয়ধর্মী গ্রাবরেখা, অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা, রোজেন গ্রাবরেখা, সামুদ্রিক গ্রাবরেখা।

ড্রামলিনের প্রকারভেদ কী?

ড্রামলিন প্রধানত দুটি প্রকারের হয় –
1. গ্রাবজনিত ড্রামলিন – এটি হিমবাহের সঞ্চিত নুড়ি ও পলি দ্বারা গঠিত হয়।
2. শিলা ড্রামলিন – এটি শিলাখণ্ড দ্বারা গঠিত হয়।

এস্কার কীভাবে গঠিত হয়?

এস্কার গঠিত হয় হিমবাহবাহিত নুড়ি, বালি, কাদা ইত্যাদি পদার্থ পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে। এটি সাধারণত হিমবাহের গলনশীল জলের স্রোত দ্বারা সৃষ্টি হয়।

ড্রামলিনের বৈশিষ্ট্য কী?

ড্রামলিনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
1. দৈর্ঘ্য – 1-2 কিমি।
2. প্রস্থ – 400-600 মিটার।
3. উচ্চতা – 15-30 মিটার।
একাধিক ড্রামলিন পাশাপাশি গঠিত হলে তাকে ডিমভার্ত্তি ঝুড়ি বলে।

গ্রাবরেখা ও এস্কারের মধ্যে পার্থক্য কী?

1. গ্রাবরেখা – এটি হিমবাহের সঞ্চিত নুড়ি, বালি, শিলাখণ্ড ইত্যাদি দ্বারা গঠিত স্তূপাকার ভূমিরূপ।
2. এস্কার – এটি হিমবাহবাহিত নুড়ি, বালি, কাদা ইত্যাদি দ্বারা গঠিত অনুচ্চ, আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো ভূমিরূপ।

হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির গুরুত্ব কী?

হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলি ভূতাত্ত্বিক গবেষণা, ভূমিরূপ বিশ্লেষণ এবং পরিবেশগত পরিবর্তন বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি হিমবাহের গতিবিধি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

ড্রামলিন ও এস্কারের মধ্যে পার্থক্য কী?

1. ড্রামলিন – এটি উল্টানো নৌকার মতো ভূমিরূপ, যা হিমবাহের সঞ্চিত নুড়ি ও শিলাখণ্ড দ্বারা গঠিত হয়।
2. এস্কার – এটি অনুচ্চ, আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো ভূমিরূপ, যা হিমবাহবাহিত নুড়ি, বালি, কাদা ইত্যাদি দ্বারা গঠিত হয়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন