এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “হঠাৎ কোনির দুচোখ জলে ভরে এল।” – কোনির দু-চোখ জলে ভরে এল কেন? এরপর কী ঘটেছিল? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর বিশ্লেষণ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ভালো ফল করতে সহায়ক হবে।
“হঠাৎ কোনির দুচোখ জলে ভরে এল।” – কোনির দু-চোখ জলে ভরে এল কেন? এরপর কী হয়েছিল?
কোনির দু-চোখ জলে ভরে আসার কারণ –
- তার প্রতি ব্যঙ্গ – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসে রবীন্দ্র সরোবরের এক মাইল সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনি সবার শেষে নির্দিষ্ট সীমায় পৌঁছায়। এজন্য “পরের বছরের কম্পিটিশনে প্রথম প্লেস পেত যদি আর একটু দেরিতে পৌঁছত।’ -এরকম টিপ্পনীও তাকে হজম করতে হয়। বোনের জন্য এতক্ষণ ধরে চিৎকার করতে থাকা কমল এ কারণে অপমানিত বোধ করে।
- ক্ষিতীশের সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব – এই সময়েই ক্ষিতীশ কোনিকে দ্বিতীয়বারের জন্য সাঁতার শেখার প্রস্তাব দেন। সাঁতার শিখলেই যে সাফল্য সম্ভব ক্ষিতীশ সেটা বুঝিয়ে দেন। এবার ক্ষিতীশের কথায় ভিতরের অপমানটাই কোনির চোখের জল হয়ে বেরিয়ে আসে।
পরবর্তী ঘটনা – ক্ষিতীশ জেনে নেন যে নীল শার্ট পরা লোকটি এতক্ষণ কোনির জন্য চিৎকার করছিল সে কোনির দাদা কমল। ক্ষিতীশ কমলের কাছে প্রস্তাব দেন যে, তিনি কোনিকে সাঁতার শেখাতে চান। কমল সাঁতারের প্রতি তার ভালোবাসার কথা ক্ষিতীশকে জানালেও অভাবের কারণে কোনিকে সাঁতার শেখানোর সামর্থ্য যে তার নেই সে-কথাও স্পষ্ট করে দেয়। সে মোটর গ্যারাজে কাজ করে। নিজের নামকরা সাঁতারু হওয়ার স্বপ্ন কমলকে বিসর্জন দিতে হয়েছে অভাবের জন্য। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালিয়ে কোনির সাঁতারের প্রশিক্ষণের জন্য খরচ করতে পারবে না বলে জানায় কমল। কোনির মধ্যে সাফল্যের সম্ভাবনা খুঁজে পেয়ে ক্ষিতীশ জানিয়ে দেন যে, কোনির সমস্ত দায়িত্বই তিনি গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন, চিৎকারটা হতাশায় ভেঙে পড়ল। – কার চিৎকার? সেই চিৎকার হতাশায় ভেঙে পড়ার কারণ কী?
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন“হঠাৎ কোনির দুচোখ জলে ভরে এল।” – কোনির দু-চোখ জলে ভরে এল কেন? এরপর কী হয়েছিল? তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, তবে টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। পাশাপাশি, আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!