এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “জাতীয় শিক্ষা কী? জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য কী ছিল এবং এটি ব্যর্থ হয় কেন?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “জাতীয় শিক্ষা কী? জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য কী ছিল এবং এটি ব্যর্থ হয় কেন?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায় “বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

জাতীয় শিক্ষা কী?
1905 খ্রিস্টাব্দে কার্জন বাংলাকে দ্বি-খণ্ডিত করতে উদ্যত হলে এর বিরুদ্ধে শুরু হয় স্বদেশি আন্দোলন। শিক্ষার ক্ষেত্রেও এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিদেশি শিক্ষা ব্যবস্থাকে বর্জন করে স্বদেশি শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠা করার ও তাকে প্রসারিত করার যে বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তাকে বলা হয় জাতীয় শিক্ষা।
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য কী ছিল এবং এটি ব্যর্থ হয় কেন?
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য ছিল –
1906 খ্রিস্টাব্দে ‘জাতীয় শিক্ষা পরিষদ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠন স্থাপনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল-বিদেশি নিয়ন্ত্রণ-মুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন, জাতীয় বিদ্যালয় ও জাতীয় কলেজ প্রতিষ্ঠা, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার এবং জনমনে জাতীয় শিক্ষার আদর্শ প্রচার করা।
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার কারণ –
বিপুল উদ্দীপনা জাগিয়ে শুরু হলেও শেষপর্যন্ত চরম অর্থাভাব এবং সরকারি চাকুরিতে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ডিগ্রির মূল্যহীনতা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?
জাতীয় শিক্ষা পরিষদ 1906 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য কী ছিল?
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য ছিল –
1. বিদেশি নিয়ন্ত্রণমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা।
2. জাতীয় বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা।
3. বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
4. জনগণের মধ্যে জাতীয় শিক্ষার আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া।
জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কেন ব্যর্থ হয়?
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থ হয় কারণ –
1. অর্থাভাব – পর্যাপ্ত তহবিলের অভাব।
2. ডিগ্রির স্বীকৃতিহীনতা – সরকারি চাকরিতে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ডিগ্রির কোনো মূল্য ছিল না।
3. সরকারি বাধা – ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থাকে সমর্থন করেনি।
জাতীয় শিক্ষা আন্দোলনের পটভূমি কী?
এটি বাংলা বিভাগ (1905) ও স্বদেশি আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে শুরু হয়, যেখানে বিদেশি শিক্ষার পরিবর্তে স্বদেশি পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হয়।
জাতীয় শিক্ষা পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
জাতীয় শিক্ষা পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন – নেতাজি অরবিন্দ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়,
জাতীয় শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্ব কী?
জাতীয় শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্ব ছিল –
1. এটি ভারতীয় শিক্ষায় প্রথম বৃহৎ স্বদেশি প্রচেষ্টা।
2. রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন ও বঙ্গীয় জাতীয় বিদ্যালয় পরবর্তীতে বিকশিত হয়।
3. কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটায় (যেমন – বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, যা আজকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)।
4. স্বাধীনতা আন্দোলনে তরুণদের অনুপ্রাণিত করে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “জাতীয় শিক্ষা কী? জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য কী ছিল এবং এটি ব্যর্থ হয় কেন?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “জাতীয় শিক্ষা কী? জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্য কী ছিল এবং এটি ব্যর্থ হয় কেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায় “বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন