এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

জুপিটারের যে সভায় ক্ষিতীশ সিংহ চিফ ট্রেনারের পদ ছেড়েছিলেন সেই সভার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

“জুপিটারের যে সভায় ক্ষিতীশ সিংহ চিফ ট্রেনারের পদ ছেড়েছিলেন সেই সভার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।” এই প্রশ্নটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “জুপিটারের যে সভায় ক্ষিতীশ সিংহ চিফ ট্রেনারের পদ ছেড়েছিলেন সেই সভার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস “কোনি”র তৃতীয় পরিচ্ছেদে জুপিটার ক্লাবের সভার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এই সভা আহ্বান করা হয়েছিল ক্লাবের প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের বিরুদ্ধে সাঁতারুদের অভিযোগগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য।

ক্ষিতীশ সভায় উপস্থিত হয়ে জানান যে চিঠিতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি স্পষ্ট নয়। হরিচরণ, ক্লাবের একজন প্রভাবশালী সাঁতারু, জানান যে ক্ষিতীশ অনেক প্রতিভাবান সাঁতারুকে অকারণে অপমান করেছেন, যার ফলে তারা ক্লাব ছেড়ে দিয়েছে।

ক্ষিতীশ প্রতিবাদ করে বলেন যে সাঁতারুরা কঠোর পরিশ্রমের পরিবর্তে আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করে। হরিচরণ ক্ষিতীশের কথা না শুনেই অভিযোগের তালিকা তুলে ধরেন। বদু চাটুজ্জে, ক্লাবের আরেক সদস্য, বলেন যে সাঁতারুদের ক্ষিতীশের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা বা বিশ্বাস নেই। তিনি আরও বলেন যে ক্ষিতীশ কোনো প্রতিযোগিতায় মেডেল জিতেননি, যেখানে হরিচরণ ভারতের চ্যাম্পিয়ন ছিলেন এবং অলিম্পিকেও অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ক্ষিতীশ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মেনে নেন এবং বলেন যে তিনি ক্লাবের সাঁতারুদের প্রতি কঠোর ছিলেন কারণ তিনি চেয়েছিলেন জুপিটার ভারতের সেরা ক্লাব হয়ে উঠুক। তিনি স্বীকার করেন যে ক্লাবের সাঁতারুদের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং মনোযোগের অভাব রয়েছে। কিন্তু যখন হরিচরণ বলে যে এই সাঁতারুদের দিয়েই ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব এবং তিনি তা করতে পারেন, তখন ক্ষিতীশ মুখ্য প্রশিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত সকলেই ক্ষিতীশের পদত্যাগ চায়। ফলে কেউই তার পদত্যাগের বিরোধিতা করে না। এর ফলে ক্ষিতীশের জুপিটার ক্লাবের সাথে সম্পর্ক চিরতরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এই অংশটি ক্লাবের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং ক্ষিতীশের আদর্শবাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের চিত্র তুলে ধরে। ক্ষিতীশ একজন কঠোর প্রশিক্ষক ছিলেন যিনি ক্লাবের উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু তার কঠোর নীতি এবং আদর্শবাদ ক্লাবের অনেক সাঁতারুর কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। ফলে ক্ষিতীশকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়।

জুপিটারের যে সভায় ক্ষিতীশ সিংহ চিফ ট্রেনারের পদ ছেড়েছিলেন সেই সভার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

জুপিটারের যে সভায় ক্ষিতীশ সিংহ চিফ ট্রেনারের পদ ছেড়েছিলেন সেই সভার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

  • প্রাককথন – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের তৃতীয় পরিচ্ছেদে জুপিটার ক্লাবের সভাটির বর্ণনা আছে। জুপিটারের সাঁতারুদের ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য এই সভা ডাকা হয়।
  • অভিযোগগুলির অস্পষ্টতা – সভায় পৌঁছে ক্ষিতীশ সকলকে জানান, চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো স্পষ্ট নয়। হরিচরণ জানান ক্লাবের যে সাঁতারুরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় মেডেল পেয়ে ক্লাবকে সম্মানিত করেছে, তাদের অনেককেই ক্ষিতীশ সিংহ অকারণে অপমান করায় তারা ক্লাব ছেড়েছে।
  • ক্ষিতীশের প্রতিবাদ – ক্ষিতীশ প্রতিবাদ করে বলেন, সাঁতারুরা কঠোর পরিশ্রমের পরিবর্তে আড্ডা দিয়ে বৃথা সময় নষ্ট করে।
  • অভিযোগের তালিকা প্রদর্শন – হরিচরণ ক্ষিতীশের কথাগুলো না শুনেই অভিযোগের তালিকা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। বদু চাটুজ্জে বলেন, ক্ষিতীশের প্রতি সাঁতারুদের শ্রদ্ধা বা বিশ্বাস নেই। ক্ষিতীশ কোনো প্রতিযোগিতায় মেডেল পাননি, কিন্তু হরিচরণ ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, অলিম্পিকে গিয়েছিলেন।
  • ক্ষিতীশের মূল লক্ষ্য – ক্ষিতীশ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মেনে নিয়ে জানান যে সাঁতারুদের প্রতি কঠোর হয়েছেন শুধু এই আশায় যে জুপিটার ভারতসেরা হয়ে উঠুক। ক্লাবের সাঁতারুদের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং মনোযোগের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। কিন্তু হরিচরণ যখন বলেন যে, এই সাঁতারুদের দিয়েই ভালো ফল সম্ভব এবং তিনি তা পারেন তখন ক্ষিতীশ মুখ্য প্রশিক্ষকের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ায় কথা বলেন।
  • ক্লাবের সঙ্গে চিরবিচ্ছেদ – সকলেই চেয়েছিল ক্ষিতীশ তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে যান। তাই কেউই কোনো আপত্তি তোলেননি। ফলে ক্লাবের সঙ্গে ক্ষিতীশের চিরবিচ্ছেদ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন, কতকগুলো স্বার্থপর লোভী মূর্খ আমায় দল পাকিয়ে তাড়িয়েছে বলে শত্রুর ঘরে গিয়ে উঠব? – কে, কখন এ কথা বলেছে? উদ্ধৃত উক্তিটি থেকে বক্তার কোন্ মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়?

উপন্যাসের এই অংশে, ক্ষিতীশ সিংহের জুপিটার ক্লাবের প্রশিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগের ঘটনাটি দেখা যায়। ক্লাবের সাঁতারুরা ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে তিনি তাদের প্রতি কঠোর ও অযৌক্তিক আচরণ করেন। ক্ষিতীশ এই অভিযোগগুলি মেনে নেন এবং বলেন যে তিনি ক্লাবের উন্নতির জন্য এসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

তবে, ক্লাবের সদস্যরা ক্ষিতীশের আদর্শবাদ ও কঠোর নীতি মেনে নিতে পারে না। তারা হরিচরণের মতো একজন প্রশিক্ষক চায় যিনি তাদের প্রতি নরম ও সহনশীল হবেন।

ক্ষিতীশ বুঝতে পারেন যে ক্লাবের সাথে তার আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই, তাই তিনি পদত্যাগ করেন। এই ঘটনাটি ক্লাবের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও ক্ষিতীশের আদর্শবাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের চিত্র তুলে ধরে।

এই অংশ থেকে আমরা ক্ষিতীশের চরিত্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জানতে পারি। ক্ষিতীশ একজন আদর্শবাদী ব্যক্তি যিনি ক্লাবের উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। তিনি একজন কঠোর প্রশিক্ষকও, যিনি সাঁতারুদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটা আদায় করতে চান।

তবে, ক্ষিতীশের কঠোর নীতি ও আদর্শবাদ ক্লাবের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এর ফলে তাকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়।

Share via:

মন্তব্য করুন