এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কালীপ্রসন্ন সিংহ কে ছিলেন? কালীপ্রসন্ন সিংহ কেন ‘হুতোম’ ছদ্মনাম গ্রহণ করেছিলেন?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “কালীপ্রসন্ন সিংহ কে ছিলেন? কালীপ্রসন্ন সিংহ কেন ‘হুতোম’ ছদ্মনাম গ্রহণ করেছিলেন?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় “সংস্কার – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

কালীপ্রসন্ন সিংহ কে ছিলেন?
কালীপ্রসন্ন সিংহ ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক ও সমাজসেবক। বাংলা সাহিত্যে তার দুই অমর অবদানসমূহের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। সেগুলো হল, বৃহত্তম মহাকাব্য মহাভারতের বাংলা অনুবাদ এবং ব্যাঙ্গাত্মক রচনা হুতোম প্যাঁচার নকশা। তিনি ঊনবিংশ শতকের বাংলা-সাহিত্য আন্দোলনের একজন অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। মাত্র উনত্রিশ বছরের জীবনে তিনি সাহিত্য ও সমাজের উন্নয়নের জন্য অসংখ্য কাজ করেছেন।
কালীপ্রসন্ন সিংহ কেন ‘হুতোম’ ছদ্মনাম গ্রহণ করেছিলেন?
হুতোম নিশাচর এবং সে কারণেই রাতের অন্ধকারে ঘটে চলা মনুষ্য, সমাজের যাবতীয় অপকর্মের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। সাহিত্যসেবী কালীপ্রসন্ন ‘হুতোম’ ছদ্মনাম গ্রহণের অন্তরালে ভদ্রবেশী মানব সমাজের আপাত ভালো মানুষীর আড়ালে লুকিয়ে থাকা কদর্য রূপটিকেই ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তুলে ধরতে চেয়েছেন। বস্তুতপক্ষে, এহেন ছদ্মনাম গ্রহণ লেখকের গভীর সমাজ-সচেতনতাবোধের পরিচায়ক।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
কালীপ্রসন্ন সিংহের সাহিত্যিক অবদান কী?
তিনি মহাভারতের বাংলা অনুবাদ এবং “হুতোম প্যাঁচার নকশা” নামক ব্যাঙ্গাত্মক রচনার জন্য বিখ্যাত। এই রচনাগুলো বাংলা সাহিত্যে তার স্থায়ী প্রভাব রেখেছে।
কালীপ্রসন্ন সিংহ কেন ‘হুতোম’ ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন?
কালীপ্রসন্ন সিংহ ‘হুতোম’ ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন সমাজের আপাত ভালো মানুষের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কদর্য রূপটি ব্যাঙ্গাত্মকভাবে তুলে ধরার জন্য। হুতোম নিশাচর প্রাণী হওয়ায় এটি রাতের অন্ধকারে ঘটে চলা অপকর্মের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
হুতোম প্যাঁচার নকশা কী ধরনের রচনা?
“হুতোম প্যাঁচার নকশা” একটি ব্যাঙ্গাত্মক রচনা, যেখানে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি, কপটতা এবং মানুষের আচরণের ত্রুটিগুলোকে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে।
কালীপ্রসন্ন সিংহের জীবনকাল কত ছিল?
কালীপ্রসন্ন সিংহের জীবনকাল ছিল মাত্র ২৯ বছর। এই স্বল্প সময়ে তিনি সাহিত্য ও সমাজসেবায় অসামান্য অবদান রেখেছিলেন।
কালীপ্রসন্ন সিংহের সাহিত্যকর্মের গুরুত্ব কী?
তার সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করে। বিশেষত, মহাভারতের অনুবাদ এবং হুতোম প্যাঁচার নকশা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
কালীপ্রসন্ন সিংহের সমাজসচেতনতা কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?
তার রচনায় সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি ও কপটতা ফুটে উঠেছে। বিশেষত, ‘হুতোম’ ছদ্মনামে তিনি সমাজের গোপন কদর্যতা প্রকাশ করেছেন, যা তার গভীর সমাজসচেতনতাবোধের পরিচয় দেয়।
কালীপ্রসন্ন সিংহের সাহিত্যকর্ম কেন গুরুত্বপূর্ণ?
তার সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তার রচনাগুলো সাহিত্যিক মান ও সমাজবোধের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কালীপ্রসন্ন সিংহ কে ছিলেন? কালীপ্রসন্ন সিংহ কেন ‘হুতোম’ ছদ্মনাম গ্রহণ করেছিলেন?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “কালীপ্রসন্ন সিংহ কে ছিলেন? কালীপ্রসন্ন সিংহ কেন ‘হুতোম’ ছদ্মনাম গ্রহণ করেছিলেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় “সংস্কার – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।