এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – ‘কোনি’ রচনার নামকরণ কতটা সার্থক হয়েছে বিচার করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোনি রচনার নামকরণ কতদূর সার্থক হয়েছে বিচার করো।
- প্রাককথন – বাংলা সাহিত্যে কেন্দ্রীয় চরিত্রের নামানুসারে গল্প-উপন্যাস নামকরণের রীতি বিশেষভাবে প্রচলিত। মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসটিও সেই চরিত্রকেন্দ্রিক নামকরণের রীতিকেই অনুসরণ করা হয়েছে।
- মূলকথা – কোনি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ের কাহিনি। কঠিন পরিশ্রম ও সমস্যার সাথে মোকাবিলা করে কীভাবে সে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছে, সেই কাহিনিই এই উপন্যাসটি জুড়ে আছে।
- সার্থকতা বিচার – পারিবারিক দারিদ্র্য বারবার কোনির স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। অসহায় মেয়েটিকে নামকরা সাঁতারু বানানোর প্রতিজ্ঞায় মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন ক্ষিতীশ সিংহ। “ফাইট কোনি, ফাইট” – এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে কোনির সঙ্গে তিনিও হয়ে উঠেছেন জীবনযুদ্ধের এক জন ‘ফাইটার’। শেষপর্যন্ত যাবতীয় অবহেলা, বঞ্চনা, ষড়যন্ত্র আর সীমাহীন দারিদ্র্যকে উপেক্ষা করে কোনি পৌঁছে গেছে সাফল্যের চূড়ায়। ক্ষিতীশও দেখেছেন দীর্ঘ আঁধার শেষে ভোরের লাল আলো ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর স্বপ্নের ভূমিতে। গঙ্গার ঘাট থেকে কুড়িয়ে আনা কোনি একদিন জাতীয় সাঁতারে বাংলাকে চ্যাম্পিয়ান করেছে। আর তার আড়ালে থেকেছে তার খিদের যন্ত্রণা, চোয়াল চাপা লড়াই, অজস্র ষড়যন্ত্র ইত্যাদি। সমগ্র উপন্যাসে কোনির জীবনসংগ্রামের এই বাস্তব গল্পটি সুসংহত প্লট তৈরি করেছে। তাই উপন্যাসটির নামকরণ যথাযথ ও সার্থক হয়েছে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কোনি রচনার নামকরণ কতদূর সার্থক হয়েছে তা নিয়ে বিচার করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!