এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “কোনির পারিবারিক জীবনের পরিচয় দাও।” মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর সঠিক উত্তরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো নম্বর অর্জন করতে সক্ষম হবে।
কোনির পারিবারিক জীবনের পরিচয় দাও।
- শুরুর কথা – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনি। উপন্যাসে তাদের দারিদ্র্যপীড়িত পারিবারিক জীবনের করুণ কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে।
- অভাবী সংসার – পিতার মৃত্যুর পর কোনির দাদা কমল তাদের সংসারের হাল ধরেছে। একটা গারেজে মাসে দেড়শো টাকা মাইনেতে কমল কাজ করে। এই সামান্য আয়েই মা আর ভাই-বোনদের মুখে সে খাবার তুলে দেয়।
- বাসস্থান – থাকার জন্য উপযুক্ত ঘরও কোনিদের নেই। একটামাত্র তক্তাপোশ, তাতেও তোশক নেই। শুধু চিটচিটে ছোটো কয়েকটা বালিশ। দেয়ালের দড়িতে টাঙানো জামা-প্যান্ট। তাদের খোলার চালের ঘরে একটিমাত্র জানালা। তার নীচে থকথকে পাঁকে ভরা নর্দমা।
- দারিদ্র্যের চাপ – কমল নিজেও স্বপ্ন দেখত একদিন সে বড়ো সাঁতারু হবে। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর দারিদ্র্যের চাপে তার সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। সে জানে কোনির ভিতর লুকিয়ে আছে প্রতিভা। কিন্তু সাধ থাকলেও কমলের সাধ্য নেই। দু-বেলা দু-মুঠো খাবার জোগাড় করাই তারপক্ষে কঠিন। কঠিন রোগে আক্রান্ত কমলের লড়াইও মৃত্যুতে শেষ হয়ে গিয়েছে।
- রোজগারহীন সংসারে সাহায্যের হাত – সম্পূর্ণ রোজগারহীন কোনিদের সংসারে এরপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ক্ষিতীশ। ‘প্রজাপতি’ দোকানে কাজ করে কোনি পায় চল্লিশ টাকা। অপরদিকে ছাঁট কাপড় কেটে কোনির মায়ের সামান্য আয় হয়। এভাবেই দারিদ্র্যকে নিত্যসঙ্গী করে নিয়ে কোনিদের সংসার চলতে থাকে।
এই নিবন্ধে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে “কোনির পারিবারিক জীবনের পরিচয় দাও” প্রশ্নটি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার পড়াশোনায় সহায়ক হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা অতিরিক্ত সহায়তা প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!