কন্যা ইন্দিরাকে পিতা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির বিষয়বস্তু

Gopi

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কন্যা ইন্দিরাকে পিতা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির বিষয়বস্তু আলোচনা করো। নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “কন্যা ইন্দিরাকে পিতা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় “ইতিহাসের ধারণা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

কন্যা ইন্দিরাকে পিতা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।
Contents Show

কন্যা ইন্দিরাকে পিতা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।

পত্রসাহিত্যে বিশ্ব ইতিহাসের এক অনন্য নজির কন্যা ইন্দিরাকে লেখা পিতা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলি।

  • প্রকাশ – 1928 খ্রিস্টাব্দে মুসৌরিতে অবস্থানরত দশম বর্ষীয়া কন্যা ইন্দিরাকে পিতা জওহরলাল নেহরু এলাহাবাদ থেকে যে 30টি চিঠি পাঠন, তা ‘Letters From A Father to His Daughter’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে (1929)। পরবর্তীকলে একাধিক ভাষায় অনুদিত হয়ে এই পত্রসংকলন আধুনিক ভারত ইতিহাসের অন্যতম আকড় উপাদানে পরিণত হয়েছে।
  • উদ্দেশ্য – জাতীয় আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারী জওহরলাল নেহরু তাঁর ব্যস্ত রাজনৈতিক জীবনে কন্যাকে সঙ্গদান এবং সেই সঙ্গে দেশ-বিদেশ, প্রকৃতি, বিজ্ঞান প্রভৃতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করানোর উদ্দেশ্যে পত্র রচনায় ব্রতী হন।
  • বিষয়বস্তু – এই পত্র সংকলনে তিনি পৃথিবীর উৎপত্তি, প্রাণের সঞ্চার, জীবের বিবর্তন, মানুষের আবির্ভাব, প্রাচীন প্রস্তর যুগে মানুষের জীবনযাত্রা, ভাষা-লিপি-শিল্প-সংস্কৃতির উদ্ভব, আগুনের আবিষ্কার, ভারতে আর্যদের আগমন, সভ্যতার প্রসার, নগর সৃষ্টি, ব্যাবসা-বাণিজ্য-সমুদ্রযাত্রা নিয়ে সহজ সাবলীল আলোচনা করেছেন। কীভাবে বিনিময় ব্যবস্থার বদলে মুদ্রা-ব্যবস্থার আবির্ভাব ঘটল, কীভাবে বিবর্তিত হল শাসনতন্ত্র, রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তনই বা কীভাবে ঘটতে থাকল তারও ধারণা পাওয়া যায় এই সংকলন থেকে।
  • ঐতিহাসিক গুরুত্ব – নেহরুর চিঠিগুলি কেবলমাত্র ব্যক্তিগত স্তরে আবদ্ধ না থেকে ‘দেশ-কাল-সীমানার গণ্ডী’ অতিক্রম করে ইতিহাস শিক্ষার্থীর অন্যতম সহায়ক পুস্তকে পরিণত হয়েছে। একেবারে ঘরোয়া ভাষায়, গল্পের ছলে ইতিহাস শিক্ষার এহেন নজির বিশ্ব ইতিহাসে খুবই বিরল।
  • মন্তব্য – স্বয়ং জওহরলাল নেহরুর বক্তব্য উদ্ধৃত করেই আলোচনার ইতি টানা যায় – ‘অন্যান্য ছেলেমেদের মধ্যে যারাই এই চিঠিগুলি পড়বে তারা আস্তে আস্তে আমাদের এই পৃথিবীকে বিভিন্ন দেশ দিয়ে গড়া একটি বৃহৎ পরিবার বলে ভাবতে শিখবে।’

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

জওহরলাল নেহরু কন্যা ইন্দিরাকে চিঠিগুলি কখন লিখেছিলেন?

জওহরলাল নেহরু 1928 সালে তাঁর কন্যা ইন্দিরাকে 30টি চিঠি লিখেছিলেন, যখন ইন্দিরার বয়স ছিল মাত্র 10 বছর। এই চিঠিগুলি তিনি এলাহাবাদ থেকে মুসৌরিতে অবস্থানরত ইন্দিরাকে পাঠিয়েছিলেন।

জওহরলাল নেহরু কন্যা ইন্দিরাকে চিঠিগুলি কী শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে?

চিঠিগুলি ‘Letters From A Father to His Daughter’ শিরোনামে 1929 সালে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এটি একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

চিঠিগুলি লেখার উদ্দেশ্য কী ছিল?

জওহরলাল নেহরু তাঁর ব্যস্ত রাজনৈতিক জীবনে কন্যা ইন্দিরাকে সময় দিতে এবং তাকে বিশ্ব ইতিহাস, বিজ্ঞান, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে এই চিঠিগুলি লিখেছিলেন।

চিঠিগুলিতে কী কী বিষয় আলোচিত হয়েছে?

চিঠিগুলিতে পৃথিবীর উৎপত্তি, প্রাণের সঞ্চার, জীবের বিবর্তন, মানুষের আবির্ভাব, প্রাচীন যুগের জীবনযাত্রা, ভাষা-লিপি-শিল্প-সংস্কৃতির উদ্ভব, আগুনের আবিষ্কার, ভারতে আর্যদের আগমন, সভ্যতার প্রসার, নগর সৃষ্টি, ব্যাবসা-বাণিজ্য, মুদ্রা-ব্যবস্থা, শাসনতন্ত্রের বিবর্তন ইত্যাদি বিষয় সহজ ও সাবলীল ভাষায় আলোচিত হয়েছে।

কন্যা ইন্দিরাকে পিতা জওহরলাল নেহরুর এই চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী?

এই চিঠিগুলি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত চিঠি নয়, বরং এটি বিশ্ব ইতিহাস, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি ইতিহাস শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়। নেহরুর সহজ ও গল্পের ছলে ইতিহাস বর্ণনার পদ্ধতি বিশ্ব ইতিহাসে একটি অনন্য নজির।

চিঠিগুলি কীভাবে ইন্দিরাকে প্রভাবিত করেছিল?

চিঠিগুলি ইন্দিরাকে শুধু জ্ঞানই দেনি, বরং তার মধ্যে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। পরবর্তীতে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জওহরলাল নেহরু চিঠিগুলির মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চেয়েছিলেন?

নেহরু চেয়েছিলেন যে, ইন্দিরা এবং অন্যান্য শিশুরা এই চিঠিগুলি পড়ে পৃথিবীকে একটি বৃহৎ পরিবার হিসেবে দেখতে শিখবে এবং বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

চিঠিগুলি কীভাবে আধুনিক ভারত ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠল?

চিঠিগুলি শুধু ব্যক্তিগত চিঠি নয়, বরং এটি ভারতের আধুনিক ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি ভারতের জাতীয় আন্দোলনের সময়ের চিন্তাভাবনা ও মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।

চিঠিগুলি কীভাবে বিশ্ব ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠল?

চিঠিগুলি বিশ্ব ইতিহাস, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির একটি অনন্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং ইতিহাস শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কন্যা ইন্দিরাকে পিতা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “কন্যা ইন্দিরাকে পিতা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় “ইতিহাসের ধারণা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

শ্রীনিকেতন কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

শ্রীনিকেতন কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

তারকনাথ পালিত স্মরণীয় কেন?

তারকনাথ পালিত স্মরণীয় কেন?

বাংলা লাইনোটাইপ প্রবর্তনের গুরুত্ব কী?

বাংলা লাইনোটাইপ প্রবর্তনের গুরুত্ব কী?

About The Author

Gopi

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

শ্রীনিকেতন কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

তারকনাথ পালিত স্মরণীয় কেন?

বাংলা লাইনোটাইপ প্রবর্তনের গুরুত্ব কী?

চার্লস উইলকিনস্ কে ছিলেন? বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিন্সের ভূমিকা

ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করো। ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কেন?