এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কৃষক আন্দোলনগুলির প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব কীরূপ ছিল?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “কৃষক আন্দোলনগুলির প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব কীরূপ ছিল?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের ষষ্ট অধ্যায় “বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

কৃষক আন্দোলনগুলির প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব কীরূপ ছিল?
জাতীয় কংগ্রেসের কৃষক আন্দোলনে ভূমিকা
জাতীয় কংগ্রেসের কৃষক আন্দোলনের ভূমিকা –
শ্রমিক ও কৃষকরা জাতীয় আন্দোলনে অংশ না নিলে তা দুর্বল হয়ে পড়বে, জাতীয় আন্দোলন সর্বাত্মক করতে হলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের যোগদান প্রয়োজন এই চিন্তা করেই মহাত্মা গান্ধি জাতীয় কংগ্রেসে যোগদানের পর শ্রমিক ও কৃষকদের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেসের দূরত্ব হ্রাসের চেষ্টা করেন, প্রসঙ্গত প্রতিষ্ঠার পর থেকে কংগ্রেস কৃষক বা শ্রমিকদের জন্যে কোনো আন্দোলনই করেনি।

জাতীয় কংগ্রেসের কৃষক আন্দোলনে গান্ধিজির ভূমিকা –
জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান ও ভারতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের ঠিক পরেই গান্ধিজি সফলভাবে বিহারের চম্পারণ ও গুজরাটের খেদায় সফলভাবে আন্দোলন সংঘটিত করেন, এবং নীলচাষি ও কৃষকদের এই আন্দোলনের ফলে দেশের অন্যান্য স্থানের কৃষকেরা উৎসাহিত হয়।
জাতীয় কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের ভূমিকা –
কৃষক আন্দোলন নিয়ে কংগ্রেসের অপর নেতাদের কোনো নির্দিষ্ট বক্তব্য ছিল না, এদের অন্যতম দোষ ছিল সিদ্ধান্তহীনতা। নেহরু, প্যাটেল, মদনমোহন মালব্য, আবুল কালাম আজাদ – এঁরা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকলেও এরা কৃষকদের কর বয়কটকে সমর্থন জানাননি, জমিদার শ্রেণির ক্ষোভের কারণ হতে চাননি এবং মহাজনদের হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করার জন্যেও এদের কোনো ভূমিকা ছিল না।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
স্বাধীনতা আন্দোলনে কৃষকদের গুরুত্ব সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল?
জাতীয় কংগ্রেসের প্রাথমিক পর্যায়ে কৃষকদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়নি। তবে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস বুঝতে পারে যে জাতীয় আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে কৃষক ও শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
গান্ধীজীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণের উদাহরণ কী?
গান্ধীজী চম্পারণ (বিহার) ও খেদা (গুজরাট) আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে সরাসরি সংগ্রামে অংশ নেন। এই আন্দোলনগুলি কৃষকদের উপর অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল।
কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা কি কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন?
জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই প্যাটেল, মদনমোহন মালব্য প্রমুখ নেতারা কৃষক আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন, তবে তারা জমিদার ও মহাজনদের বিরাগভাজন হতে চাননি। ফলে কৃষকদের কর বয়কট বা ঋণমুক্তির মতো র্যাডিকাল দাবিগুলোকে পুরোপুরি সমর্থন করেননি।
কংগ্রেস কি কৃষকদের স্বার্থে কোনো আইনি সংস্কার চেয়েছিল?
হ্যাঁ, কংগ্রেস কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করত এবং কিছু ক্ষেত্রে জমিদারি প্রথার অবসান ও কৃষিঋণ মওকুফের দাবি তুলেছিল। তবে ব্রিটিশ শাসনকালে এসব দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
কংগ্রেসের কৃষক নীতির সমালোচনা কী ছিল?
সমালোচকরা বলেন, কংগ্রেস জমিদার ও ধনিক শ্রেণির প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। ফলে কৃষকদের র্যাডিকাল দাবিগুলো (যেমন – জমি দখল, সম্পূর্ণ কর বন্ধ) পূর্ণ সমর্থন পায়নি।
কৃষক আন্দোলন কি কংগ্রেসের স্বাধীনতা সংগ্রামকে শক্তিশালী করেছিল?
হ্যাঁ, গান্ধীজীর নেতৃত্বে কৃষকদের অংশগ্রহণ অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন ও ভারত ছাড়ো আন্দোলন-কে গণআন্দোলনে পরিণত করেছিল, যা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করেছিল।
কংগ্রেস ও অন্যান্য কৃষক সংগঠনের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল?
কংগ্রেসের বাইরে নিখিল ভারত কিষান সভা-র মতো সংগঠনগুলি আরও র্যাডিকাল কৃষক আন্দোলন করত। কংগ্রেস এদের সঙ্গে সহযোগিতা করলেও সবসময় একমত ছিল না।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কৃষক আন্দোলনগুলির প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব কীরূপ ছিল?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “কৃষক আন্দোলনগুলির প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব কীরূপ ছিল?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের ষষ্ঠ অধ্যায় “বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন