আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের তৃতীয় বিভাগ ‘প্রলয়োল্লাস’ নিয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো পরীক্ষায় প্রায়শই দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।
প্রলয়োল্লাস কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
প্রলয়োল্লাস কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি 1922 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর (কার্তিক 1329 বঙ্গাব্দ) মাসে প্রকাশিত হয়।
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম অগ্নিবীণা, যা 1922 সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি কাকে উৎসর্গ করেন?
কাজী নজরুল ইসলাম অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি শ্রী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেন।
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদপটের পরিকল্পনা কে করেন?
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদপটের পরিকল্পনা করেছিলেন চিত্রকর অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রচ্ছদটি আঁকেন চিত্রশিল্পী বীরেশ্বর সেন।
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের উৎসর্গ কবিতাটি গ্রন্থে সংযুক্ত হওয়ার আগে কোথায় প্রকাশিত হয়েছিল?
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের উৎসর্গ কবিতাটি প্রথমে 1328 বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যায় মাসিক উপাসনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রলয়োল্লাস অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের কত সংখ্যক কবিতা?
প্রলয়োল্লাস কবিতাটি অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা।
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থে মোট কতটি কবিতা রয়েছে?
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থে মোট 12টি কবিতা রয়েছে — ‘প্রলয়োল্লাস’, ‘বিদ্রোহী’, ‘রক্তাম্বরধারিণী মা’, ‘আগমনী’, ‘ধূমকেতু’, ‘কামালপাসা’, ‘আনোয়ার’, ‘রণভেরী’, ‘শাত্-ইল-আরব’, ‘খেয়াপারের তরণী’, ‘কোরবাণী’, ‘মোহররম’।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর! – পঙ্ক্তিটিতে কাদের জয়ধ্বনি করতে বলা হয়েছে?
অথবা, তোরা সব জয়ধ্বনি কর! – কবি কাদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন?
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় কবি দেশের স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ তরুণ বিপ্লবীদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর। — কার জয়ধ্বনি করার কথা বলা হয়েছে?
কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’ – এ ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতা শিবের জয়ধ্বনি করার কথা বলা হয়েছে। এখানে শিব দেবতাকে বোঝানো হয়েছে, যিনি ধ্বংস ও সৃষ্টির প্রতীক।
ওই নূতনের কেতন ওড়ে – নূতনের কেতন ওড়ার সংবাদ কে বহন করে এনেছে?
কাজী নজরুল ইসলামের লেখা প্রলয়োল্লাস কবিতায় নূতনের কেতন ওড়ার সংবাদ কালবৈশাখীর ঝড় বহন করে এনেছে। এই ঝড় নতুন দিনের সূচনা ও পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে এসেছে।
নূতনের কেতন ওড়া বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
কাজী নজরুল ইসলাম প্রলয়োল্লাস কবিতায় নূতনের কেতন ওড়া বলতে বোঝাতে চেয়েছেন যে, পরাধীনতার বন্ধন থেকে মুক্তির দিন আসন্ন। এটি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং স্বাধীনতার প্রতীক।
আসছে এবার – কে, কীভাবে আসছেন?
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় প্রলয়ের নেশায় নৃত্যপাগল শিব সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে আঘাত করে আসছেন। শিবের এই প্রলয় নৃত্য ধ্বংসের এবং নতুন সৃষ্টির সূচনা।
সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল – সিন্ধুপারের সিংহদ্বার বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয়োল্লাস কবিতার আলোচ্য অংশে সিন্ধুপারের সিংহদ্বার বলতে সমুদ্রপারের আন্দামানের সেলুলার জেলের প্রবেশপথকে বোঝানো হয়েছে। এটি ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতীকী বন্ধনকে ভাঙার ইঙ্গিত দেয়।
মহাকালের চণ্ড-রুপে – চণ্ড-রূপ বলতে কী বোঝ?
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতার আলোচ্য অংশে চণ্ড-রূপ বলতে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ, ভীষণ, ভয়ানক, ভয়ংকর, উদ্ধত রূপকে বোঝানো হয়েছে। এই রূপটি ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে এসেছে।
আসছে ভয়ংকর। – প্রলয়োল্লাস কবিতায় ভয়ংকরের রূপটি কেমন?
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় ভয়ংকরের রূপটি অত্যন্ত ভীষণ ও উদ্ধত। তিনি বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে অবতীর্ণ হন, যা ধ্বংসের মাধ্যমে নতুন সৃষ্টির প্রতীক।
গগন দুলায় – গগন কীভাবে দুলে ওঠে?
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় ধ্বংসের দেবতা শিবের কেশরাশির ঝাপটায় গগন অর্থাৎ সারা আকাশ দুলে ওঠে বলে কবি কল্পনা করেছেন। এটি মহাপ্রলয়ের প্রতীক।
ধূমকেতু তার চামর ঢুলায়। – প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ধূমকেতু’র কী কী বিশেষণ প্রযুক্ত হয়েছে?
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় ধূমকেতুর ক্ষেত্রে সর্বনাশী ও জ্বালামুখী বিশেষণ দুটি প্রযুক্ত হয়েছে। ধূমকেতু এখানে ধ্বংসের দূত হিসেবে এসেছে।
বিশ্বপাতার বক্ষ-কোলে/রক্ত তাহার কৃপাণ ঝোলে/ দোদুল দোলে। – পঙ্ক্তিগুলোর অর্থ বুঝিয়ে লেখো।
আলোচ্য পঙ্ক্তিগুলোর অর্থ হল — ধ্বংসের দেবতার আগমনে সৃষ্টির বুকে রক্তের স্রোত বইছে, তার কৃপাণ ঝুলছে এবং তা দোল খাচ্ছে। এই দৃশ্য ধ্বংসের ভয়াবহ রূপকে তুলে ধরে।
ওরে ওই স্তব্ধ চরাচর! – চরাচর স্তব্ধ কেন?
প্রলয়োল্লাস কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ধ্বংসের দেবতা প্রলয়ংকর শিবের অট্টহাস্যের প্রচণ্ড শব্দে চরাচর অর্থাৎ গোটা পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বলে কল্পনা করেছেন।
দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা ভয়াল তাহার নয়নকটায় – দ্বাদশ রবি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
দ্বাদশ রবি বলতে সূর্যের বারোটি রূপ বা মূর্তির কথা বোঝানো হয়েছে। হরিবংশ অনুসারে, এই মূর্তিগুলি হল — সবিতা, আদিত্য, বিবস্বান, অর্যমা, পুষা, ত্বষ্টা, ভগ, ধাতা, বরুণ, মিত্র, পর্জন্য এবং বিষ্ণু।
দিগন্তরের কাঁদন লুটায় – কোথায় দিগন্তরের কাঁদন লুটিয়ে পড়ে?
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর প্রলয়োল্লাস কবিতায় যে রুদ্রদেবের কল্পনা করেছেন, তার ভয়াল আগুনরাঙা জটাজালে দিগন্তরের কাঁদন লুটিয়ে পড়ে।
সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে/কপোলতলে! – কার কপোলতলে সপ্ত মহাসিন্ধু দুলে ওঠে?
উদ্ধৃতাংশে ধ্বংসের দেবতা শিবের এক ফোঁটা চোখের জলে তাঁর গালে সপ্ত মহাসিন্ধু দুলে ওঠার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্বমায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর পর – উদ্ধৃতাংশের অর্থ পরিস্ফুট করো।
প্রলয়ংকর শিব হলেন সৃষ্টি ও রক্ষার কর্তা। তিনি বিশ্বমায়ের অস্তিত্বকে তাঁর বিপুল বাহুর সাহায্যে রক্ষা ও লালনপালন করে থাকেন। বিশ্বমায়ের আসন তাঁর বিশাল শক্তির উপর নির্ভরশীল।
হাঁকে ওই – কার হাঁক শোনা যাচ্ছে?
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতার আলোচ্য অংশে ধ্বংসের দেবতা প্রলয়ংকর শিবের হাঁক শোনা যাচ্ছে, যা ধ্বংসের সঙ্কেত বহন করছে।
জরায়-মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ-লুকানো ওই বিনাশে – পঙ্ক্তিটির অর্থ পরিস্ফুট করো।
প্রলয়োল্লাস কবিতায় ধ্বংসের প্রলয় শেষ হলে জরা ও জীর্ণতার অবসান ঘটিয়ে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে। কবি আশা করছেন, ধ্বংসের পর নতুন সৃষ্টির সূচনা হবে।
এবার মহানিশার শেষে – কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?
প্রলয়োল্লাস কবিতায় কবি আশা প্রকাশ করেছেন যে ধ্বংসের কালরাত্রির শেষে নতুন ভোরের সূর্য উদিত হবে এবং তা বিপুল সম্ভাবনার প্রতীক হিসেবে হাসবে।
দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু-চাঁদের কর – পঙ্ক্তিটির অর্থ বুঝিয়ে লেখো।
প্রলয়োল্লাস কবিতায় মহাদেবের জটায় ধৃত শিশু-চাঁদের কোমল আলো পৃথিবীকে আলোকিত করবে। কবি এই আলোর মধ্যে শান্তি ও সৃষ্টির প্রত্যাশা করেছেন।
বজ্রগানে ঝড়-তুফানে — কীসের শব্দ নিনাদিত হয়?
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় ঝড়-তুফানের সাথে বজ্রপাতে মহাকালের রথের ঘোড়ার হ্রেষাধ্বনি নিনাদিত হয়। এটি মহাপ্রলয়ের সঙ্কেত হিসেবে ধ্বনিত হচ্ছে।
উল্কা ছুটায় নীল খিলানে! – উল্কা কোথায় কীভাবে এসে পড়ে?
মহাকালের রথের ঘোড়ার খুরের দাপটে আকাশ থেকে জ্বলন্ত পাথর বা উল্কা এসে পড়েছে অন্ধকার কারাগারের বন্ধ ঘরগুলিতে, দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত যজ্ঞের হাড়িকাঠে এবং পাথরের স্তূপে।
এই তো রে তার আসার সময় – কীভাবে তা বোঝা যাচ্ছে?
প্রলয়ংকর মেঘের গর্জনে কবির মনে হয়েছে যেন মহাকালের রথের শব্দ তাঁর কানে আসছে। ধ্বংসের দেবতার আগমন এভাবেই কবিতায় সূচিত হয়েছে।
ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর? – ধ্বংস দেখে কেন ভয় করা উচিত নয় বলে কবি মনে করেন?
ধ্বংসের মধ্যেই নিহিত থাকে নতুন সৃষ্টির সম্ভাবনা। তাই প্রলয় বা ধ্বংসকে কবি সৃজন-বেদন বা নতুন সৃষ্টির যন্ত্রণারূপে দেখেছেন।
প্রলয় নূতন সৃজন-বেদন – কথাটির অর্থ কী?
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় আলোচ্য অংশটির অর্থ, ধ্বংসের মধ্য দিয়ে নবীনের আগমন ঘটে, যা নতুন সৃষ্টির জন্য যন্ত্রণা বহন করে।
প্রলয় বয়েও আসছে হেসে – প্রলয় বহন করেও হাসির কারণ কী?
প্রলয়োল্লাস কবিতায় প্রলয় অর্থাৎ ধ্বংসের বার্তা নিয়ে মহাকাল এসেছেন হাসিমুখে, কারণ তিনি যেমন ধ্বংস করবেন, তেমনই নতুন সৃষ্টিও করবেন।
আসছে নবীন। – নবীনের আসার উদ্দেশ্য কী?
কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রলয়োল্লাস কবিতায় জীবনহীন, প্রাণহীন, জড় ও অসুন্দরকে ধ্বংস করতেই নবীনের শুভাগমন ব্যক্ত করেছেন।
ওই ভাঙা-গড়া খেলা যে তার কিসের তবে ডর? – ভাঙা-গড়া খেলা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ভাঙা-গড়া খেলা বলতে মহাকালের রুদ্ররূপে জীর্ণ পুরাতন সৃষ্টিকে ধ্বংস করে নতুন সৃষ্টির সূচনা করাকে বোঝানো হয়েছে।
ভেঙে আবার গড়তে জানে সে চিরসুন্দর। — কী ভেঙে আবার নতুন করে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে?
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় জীর্ণ, পুরাতন ও গতানুগতিকতাকে ভেঙে, যাবতীয় প্রাণহীনতা ও নিশ্চলতা দূর করে নতুন সম্ভাবনাময় জীবন গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
বধূরা প্রদীপ তুলে ধর – বধূরা কার উদ্দেশে প্রদীপ তুলে ধরবে কেন?
কাজী নজরুল ইসলাম প্রলয়োল্লাস কবিতায় বধূদের প্রদীপ তুলে ধরার আহ্বান করেছেন, যাতে তারা প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ দিয়ে কাল-ভয়ংকরের রূপে আসা সুন্দরকে বরণ করে নিতে পারে।
ওই আসে সুন্দর। – সুন্দর কীভাবে আসে?
কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় সুন্দর আসে কাল-ভয়ংকরের বেশ ধারণ করে।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের তৃতীয় বিভাগ “প্রলয়োল্লাস” থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়শই দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাজে লেগেছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকে, তাহলে টেলিগ্রামে আমাকে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি সাহায্য করার চেষ্টা করবো। এছাড়া, পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ!