আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার ষষ্ঠ পাঠের প্রথম বিভাগ, ‘সিন্ধুতীরে’ – এর উপর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন ও উত্তর
ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
‘সিন্ধুতীরে’ পদ্যাংশটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে –
- পদ্মাবতী
- তোহফা
- সেকেন্দারনামা
- সতীময়না ও লোরচন্দ্রাণী
উত্তর – 1. পদ্মাবতী
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটির লেখক –
- সৈয়দ আলাওল
- মালিক মহম্মদ জায়সী
- মাগন ঠাকুর
- সিকন্দর শাহ
উত্তর – 1. সৈয়দ আলাওল
পদ্মাবতী কাব্যের মূল গ্রন্থটির রচয়িতা –
- মালিক মহম্মদ জায়সী
- থদো-মিনতার
- মজলিশ কুতুব
- সৈয়দ আলাওল
উত্তর – 1. মালিক মহম্মদ জায়সী
পদ্মাবতী কাব্যটি যে কাব্যের অনুবাদ, সেটি হল –
- পদুমাবৎ
- সয়ফুলমুলক বদিউজ্জমাল
- সেকেন্দারনামা
- লোরচন্দ্রাণী
উত্তর – 1. পদুমাবৎ
আলাওল বর্তমান ছিলেন –
- সপ্তদশ শতকে
- চতুর্দশ শতকে
- পঞ্চদশ শতকে
- অষ্টাদশ শতকে
উত্তর – 1. সপ্তদশ শতকে
কবি সৈয়দ আলাওলের প্রথম রচনা –
- তোহফা
- সয়ফুলমুলক বদিউজ্জমাল
- সপ্তপয়কর
- পদ্মাবতী
উত্তর – 4. পদ্মাবতী
পদ্মাবতী কাব্যটি রচিত হয় –
- 1645থেকে 1652 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
- 1660 খ্রিস্টাব্দে
- 1662 খ্রিস্টাব্দে
- 1672 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 1. 1645থেকে 1652 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? –
- লোরচন্দ্রাণী
- পদ্মাবতী
- সতীময়না
- তোহফা
উত্তর – 2. পদ্মাবতী
নীচের যে রচনাটি সৈয়দ আলাওলের নয় –
- তোহফা
- নাগাষ্টক
- সেকেন্দারনামা
- সতীময়না ও লোরচন্দ্রাণী
উত্তর – 2. নাগাষ্টক
‘সিন্ধুতীরে’ শীর্ষক কাব্যাংশটি পদ্মাবতী কাব্যের যে খণ্ড থেকে নেওয়া হয়েছে –
- রত্নসেন-বন্ধনখণ্ড
- বাদশাহ-আক্রমণখণ্ড
- পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড
- পদ্মাবতী-রত্নসেন ভেটখণ্ড
উত্তর – 3. পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড
‘পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড’-টি জায়সীর কাব্যে ছিল –
- লক্ষ্মী-সমুদ্রখণ্ড নামে
- লক্ষ্মী-রত্নসেনখণ্ড নামে
- রাজা-বাদশাহ সন্ধিখণ্ড নামে
- রত্নসেন সাথীখণ্ড নামে
উত্তর – 1. লক্ষ্মী-সমুদ্রখণ্ড নামে
“কন্যারে ফেলিল যথা…” – এই ‘কন্যা’ হলেন –
- রত্নসেনের কন্যা
- রত্নসেনের স্ত্রী পদ্মাবতী
- পদ্মাবতীর পঞ্চম সখী
- সমুদ্রকন্যা পদ্মা
উত্তর – 2. রত্নসেনের স্ত্রী পদ্মাবতী
“জলের মাঝারে তথা …” – জলের মধ্যে রয়েছে –
- সাপ
- নগরী
- পাহাড়
- রাক্ষস
উত্তর – 2. নগরী
‘অতি মনোহর দেশ’ বলতে বোঝানো হয়েছে –
- সমুদ্রকে
- চিতোরকে
- সিংহলকে
- সমুদ্রের পাশে পার্বত্য অঞ্চলকে
উত্তর – 4. সমুদ্রের পাশে পার্বত্য অঞ্চলকে
‘সমুদ্রনৃপতি সুতা’ কে? –
- লক্ষ্মী
- পদ্মা
- উমা
- বারুণী
উত্তর – 2. পদ্মা
“সিন্ধুতীরে দেখি দিব্যস্থান…” – সিন্ধুতীরে দিব্যস্থান দেখেছেন –
- চন্দ্রপ্রভা
- রোহিণী
- বিধুন্নলা
- পদ্মা
উত্তর – 4. পদ্মা
“তার পাশে রচিল উদ্যান…” – সমুদ্রতীরে উদ্যান রচনা করেছেন –
- বিজয়া
- লক্ষ্মী
- পদ্মা
- পদ্মাবতী
উত্তর – 3. পদ্মা
“তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি …” – ‘টঙ্গি’ শব্দের অর্থ –
- ছবি
- গাছপালা
- তিরধনুক
- প্রাসাদ
উত্তর – 4. প্রাসাদ
“হেমরত্বে নানা রঙ্গি…” – ‘হেম’ শব্দের অর্থ –
- উজ্জ্বল
- রঙিন
- সোনা
- নকল
উত্তর – 3. সোনা
“সিন্ধুতীরে রহিছে মাঞ্জস…” – ‘মাঞ্জস’ শব্দের অর্থ –
- এক ধরনের সুতো
- ভাঙা নৌকো
- ভেলা
- জাহাজ
উত্তর – 3. ভেলা
সিন্ধুতীরের ওপরের পর্বত ছিল –
- ঘর-বাড়িতে পূর্ণ
- ফল-ফুলে সজ্জিত
- পশুপাখিতে ভরা
- জল-মানুষে পূর্ণ
উত্তর – 2. ফল-ফুলে সজ্জিত
“মনেতে কৌতুক বাসি …” – পদ্মার মনে কৌতূহল জাগার কারণ –
- তিনি সমুদ্রতীরে কলরব শুনেছেন
- তিনি সমুদ্রতীরে হঠাৎ এক পর্বত লক্ষ করেছেন
- তিনি উদ্যানে বহু পাখির সমাগম লক্ষ করেছেন
- তিনি সমুদ্রতীরে একটি মাঞ্জস লক্ষ করেছেন
উত্তর – 4. তিনি সমুদ্রতীরে একটি মাঞ্জস লক্ষ করেছেন
“তুরিত গমনে আসি …” – ত্বরিত গমনে এসেছেন –
- রত্নসেন
- পদ্মাবতী
- হীরামন
- পদ্মা
উত্তর – 4. পদ্মা
“রূপে অতি রম্ভা জিনি” – রম্ভা হলেন –
- অপ্সরা
- দেবী
- দাসী
- সখী
উত্তর – 1. অপ্সরা
“মধ্যেতে যে কন্যাখানি রূপে অতি রম্ভা জিনি …” – মাঝখানের কন্যাটি হলেন –
- চন্দ্রপ্রভা
- বিজয়া
- পদ্মাবতী
- পদ্মা
উত্তর – 3. পদ্মাবতী
“নিপতিতা চেতন রহিত …” – পদ্মাবতী চেতনা হারিয়েছেন –
- সমুদ্রের ঝড়ঝঞ্ঝায়
- স্বামীর জন্য দুশ্চিন্তায়
- রাক্ষসের পীড়নে
- পিতার শোকে
উত্তর – 1. সমুদ্রের ঝড়ঝঞ্ঝায়
“… বিস্মিত হইল বালা” – পদ্মা বিস্মিত হয়েছে –
- কীভাবে সেই কন্যা তার রাজ্যে ওই স্থানে এল সে-কথা ভেবে
- চার সখীর সঙ্গে পদ্মাবতীকে চিনতে পেরে
- পদ্মাবতীর রূপের ছটা দেখে
- পদ্মাবতীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে
উত্তর – 3. পদ্মাবতীর রূপের ছটা দেখে
“ইন্দ্রশাপে বিদ্যাধরি…” – ‘বিদ্যাধরি’ হলেন –
- স্বর্গের গায়িকা অপ্সরা
- ইন্দ্রের স্ত্রী
- কুবেরের স্ত্রী
- দেবী সরস্বতী
উত্তর – 1. স্বর্গের গায়িকা অপ্সরা
“বেকত দেখিয়ে আঁখি তেন স-বসন সাক্ষী/বেথানিত হৈছে কেশ বেশ।” – ‘বেথানিত’ শব্দের অর্থ –
- ব্যক্ত
- বিস্থানিত বা অসম্বৃত
- সিক্ত
- ছিন্ন
উত্তর – 2. বিস্থানিত বা অসম্বৃত
“বুঝি সমুদ্রের নাও ভাঙ্গিল প্রবল বাও/মোহিত পাইয়া সিন্ধু-ক্লেশ।” – এ কথা মনে হয়েছে –
- রত্নসেনের
- পদ্মাবতীর
- বিধুন্নলার
- পদ্মার
উত্তর – 4. পদ্মার
“চিত্রের পোতলি সমা নিপতিত মনোরমা …” – এখানে ‘চিত্রের পোতলি সমা’ হলেন –
- পদ্মাবতী
- পদ্মা
- নাগমতী
- বিজয়া
উত্তর – 1. পদ্মাবতী
“বিধি মোরে না কর নৈরাশ।” – পদ্মা এমন প্রার্থনা জানিয়েছেন, কারণ –
- তিনি চান না সমুদ্রে কেউ কষ্ট পাক
- তিনি চান পদ্মাবতীর প্রাণ রক্ষা করতেন
- তিনি চান না তার সখীরা দ্রুত প্রাসাদে ফিরে যাক
- তিনি আর সামুদ্রিক ঝড়ঝঞ্ঝা চান না
উত্তর – 2. তিনি চান পদ্মাবতীর প্রাণ রক্ষা করতেন
“পিতার পুণ্যের ফলে মোহর ভাগ্যের বলে/বাহরক কন্যার জীবন।” – ‘বাহুরক’ শব্দের অর্থ –
- বেরিয়ে যাক
- ফিরে আসুক
- স্বস্তি পাক
- সফল হোক
উত্তর – 2. ফিরে আসুক
“কপা কর …” – পদ্মা কৃপা প্রার্থনা করেছেন
- সমুদ্রের কাছে
- নিরঞ্জনের কাছে
- ব্রাহ্মণের কাছে
- শিবের কাছে
উত্তর – 2. নিরঞ্জনের কাছে
“সখী সবে আজ্ঞা দিল …” – সখীদের কী আদেশ দিল? –
- তারা যেভাবেই হোক যেন পদ্মাবতীর প্রাণ রক্ষা পড়ে করে
- তারা যেন পদ্মাবতীর স্বামীর সন্ধানে বেরিয়ে
- তারা যেন পদ্মাবতীর সঙ্গে কোনো কথা না বলে
- তারা যেন পদ্মাবতীকে বাগানে নিয়ে যায়
উত্তর – 4. তারা যেন পদ্মাবতীকে বাগানে নিয়ে যায়
“পঞ্চজনে বসনে ঢাকিয়া …” – বসনে ঢেকে পাঁচ জন কী করল? –
- পদ্মাবতীকে প্রাসাদে নিয়ে গেল
- পদ্মাবতীকে স্বামীর নৌকোয় তুলে দিল
- পদ্মাবতীর চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেল
- পদ্মাবতীকে উদ্যানে নিয়ে গেল
উত্তর – 4. পদ্মাবতীকে উদ্যানে নিয়ে গেল
ক-টি দণ্ডের মধ্যে পঞ্চকন্যা চেতন পেয়েছিল? –
- তিন
- চার
- পাঁচ
- সাত
উত্তর – 2. চার
চেতনাহীন কন্যাকে দেখে পদ্মার মনে কীসের উদয় হয়েছিল? –
- দ্বেষ
- মমতা
- স্নেহ
- করুণা
উত্তর – 3. স্নেহ
“শ্রীযুক্ত মাগন” হলেন –
- ইন্দ্র
- পদ্মার পিতা
- আলাওলের পৃষ্ঠপোষক
- মোহন্ত
উত্তর – 3. আলাওলের পৃষ্ঠপোষক
দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও।
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি কার রচনা?
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি সপ্তদশ শতাব্দীর কবি সৈয়দ আলাওলের রচনা।
কবি সৈয়দ আলাওল কোন্ রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন?
কবি সৈয়দ আলাওল আরাকান রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন।
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি পদ্মাবতী কাব্যের কোন্ খণ্ডের অংশ?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি পদ্মাবতী কাব্যের ‘পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড’ -এর অংশ।
পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থটি কোন্ সময়ে রচিত?
কবি সৈয়দ আলাওলের লেখা পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থটি 1645 থেকে 1652 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত।
পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অনুসরণে রচিত?
পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থটি হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সী রচিত পদুমাবৎ কাব্যগ্রন্থের অনুসরণে রচিত।
জায়সীর পদুমাবৎ কাব্য রচনাকালে দিল্লির সুলতান কে ছিলেন?
জায়স নগরে বসবাসকারী সিদ্দিকি বংশোদ্ভূত কবি মালিক মুহম্মদ জায়সীর পদুমাবৎ কাব্য রচনাকালে দিল্লির সুলতান ছিলেন শেরশাহ।
পদুমাবৎ কাব্যটি কোন্ সময়ের রচনা?
কবি মালিক মহম্মদ জায়সী রচিত পদুমাবৎ কাব্যটি ‘সন নব সৈ সেতালিস অহা’ অর্থাৎ 947 হিজরি বা 1540 খ্রিস্টাব্দের রচনা।
পদ্মাবতী কাব্যে চিতোর দুর্গের অধিপতি কে ছিলেন?
পদ্মাবতী কাব্যে চিতোর দুর্গের অধিপতি ছিলেন রাজা রত্নসেন।
রাজা রত্নসেন কার মুখে পদ্মাবতীর রূপের কথা শুনেছিলেন?
চিতোরের রাজা রত্নসেন এক শুকপাখির মুখে পদ্মাবতীর রূপের কথা শুনেছিলেন।
রাজা রত্নসেন কীভাবে পদ্মাবতীর কাছে পৌঁছোন?
শুকপাখির মুখে পদ্মাবতীর রূপের প্রশংসা শুনে চিতোররাজ রত্নসেন ষোলোশো রাজকুমারকে সঙ্গে নিয়ে যোগীবেশে সিংহল-রাজকন্যা পদ্মাবতীর কাছে পৌঁছেছিলেন।
সিংহলে যাত্রাকালে কে রত্নসেনকে সাহায্য করেছিলেন?
ষোলোশো রাজকুমার-সহ চিতোররাজ রত্নসেন সিন্ধুতীরে পৌঁছোলে রাজা গজপতি তাঁকে সিংহলে যাবার জন্য নৌকো দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।
চিতোররাজ রত্নসেনের প্রথমা স্ত্রীর নাম কী?
চিতোররাজ রত্নসেনের প্রথমা স্ত্রীর নাম ছিল নাগমতী।
আরাকান রাজ্যটি কোথায় অবস্থিত?
আরাকান রাজ্যটি ব্রহ্মদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমায় এবং বাংলাদেশের পূর্বে চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত একটি সমুদ্রতীরবর্তী স্থান।
আরাকান রাজ্যের প্রাচীন নাম কী?
আরাকান রাজ্যের প্রাচীন নাম রক্ষতুঙ্গ বা রোসাঙ। আইন-ই-আকবরী-তে একে ‘আখরঙ’ বলা হয়েছে। বাহারিস্তান গারী-তে মীর্জা নাথান এই দেশকে বলেছেন ‘আর খঙ’ -এর থেকেই ‘আরাকান’ নামটি এসেছে।
আরাকানের অধিবাসী মগেরা কোন্ ধর্মাবলম্বী ছিলেন?
আরাকানের অধিবাসী মগেরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলেন।
আলাওল কোন্ কোন্ রাজার রাজত্বকালে আরাকানে ছিলেন?
সপ্তদশ শতাব্দীর কবি সৈয়দ আলাওল থদো-মিন্ডারের পুত্র সান্দ-যু-ধম্মা বা চন্দ্রসুধর্মার রাজত্বকালে আরাকানে ছিলেন।
আরাকানে কার রাজত্বকালে আলাওল তাঁর পদ্মাবতী কাব্যটি রচনা করেন?
আরাকানে থদো-মিনতারের রাজত্বকালে কবি সৈয়দ আলাওল তাঁর পদ্মাবতী কাব্যটি রচনা করেন।
আলাওলের পদ্মাবতী কাব্যের মূল কাহিনি কয়টি?
কবি সৈয়দ আলাওলের পদ্মাবতী কাব্যের মূল কাহিনি দুটি – একটি নাগমতী-পদ্মাবতী রত্নসেনের মিলনান্তক কাহিনি, আর অন্যটি হল রত্নসেন-আলাউদ্দিন-পদ্মাবতীর ত্রিভুজপ্রেমের কাহিনি, যাতে যুদ্ধের উত্তেজনাই প্রধান।
পদ্মাবতী কাব্যে সিংহল-রাজকন্যা পদ্মাবতীর প্রিয় শুকপাখিটির নাম কী ছিল?
পদ্মাবতী কাব্যে সিংহল-রাজকন্যা পদ্মাবতীর প্রিয় শুকপাখিটির নাম ছিল হীরামন।
পদ্মাবতীর পিতার নাম কী?
পদ্মাবতী কাব্যে পদ্মাবতীর পিতার নাম ছিল গন্ধর্বসেন।
পদ্মাবতীকে বিবাহ করে দেশে ফেরার সময় রত্নসেন কীভাবে বিপর্যস্ত হন?
পদ্মাবতীকে বিবাহ করে স্বদেশে ফেরার সময় নিজ অহংকারের জন্য রাজা রত্নসেন সমুদ্রের দ্বারা বিপর্যস্ত হন এবং অবশেষে বহু দুর্যোগ ও দুর্বিপাক পেরিয়ে দেশে ফেরেন।
পদ্মাবতী কাব্যে অলৌকিকতা কীভাবে স্থান পেয়েছে?
পদ্মাবতী কাব্যে ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশধারী সমুদ্রের রত্নসেনকে পরীক্ষা, সমুদ্রে নৌকাডুবি, পদ্মাবতীর পাতালপুরীতে যাওয়া এবং সমুদ্রের কৃপায় আবার ধনরত্ন-সহ রত্নসেনকে ফিরে পেয়ে চিতোরে পৌঁছোনো-প্রভৃতি অলৌকিক বা রূপকথাধর্মী বিবরণ রয়েছে।
পদ্মাবতী কাব্যের ‘পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড’ মূল পদুমাবৎ কাব্যে কোন্ নামে ছিল?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত পদ্মাবতী কাব্যের ‘পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড’ মালিক মুহাম্মদ জায়সী রচিত পদ্মাবৎ কাব্যে ‘লক্ষ্মী-সমুদ্রখণ্ড’ নামে ছিল।
জায়সীর কাব্যে সমুদ্রকন্যার নাম কী ছিল?
মালিক মুহাম্মদ জায়সী রচিত পদ্মাবৎ কাব্যে সমুদ্রকন্যার নাম ছিল লক্ষ্মী, যা আলাওলের কাব্যে হয়েছে ‘পদ্মা’।
‘পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড’-টির অন্তর্গত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি কোন ছন্দে রচিত?
‘পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড’-টির অন্তর্গত সিন্ধুতীরে কাব্যাংশটি ত্রিপদী ছন্দে রচিত।
“কন্যারে ফেলিল যথা …” – কন্যাটি এক্ষেত্রে কে?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত পদ্মাবতী কাব্যের অন্তর্গত ‘পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড’ থেকে নেওয়া ‘সিন্ধুতীরে’ শীর্ষক কাব্যাংশে উল্লিখিত ‘কন্যা’-টি হলেন সিংহলরাজ গন্ধর্বসেনের কন্যা তথা চিতোররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতী।
“… দিব্য পুরী সমুদ্র মাঝার” – ‘দিব্য পুরী’-র অর্থ কী?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত সিন্ধুতীরে কাব্যাংশ থেকে নেওয়া আলোচ্য অংশে দিব্য পুরীর অর্থ অলৌকিক স্বর্গীয় নগরী।
সমুদ্রনৃপতি সুতা কে?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া আলোচ্য অংশে ‘সমুদ্রনৃপতি সুতা’ হলেন পদ্মা।
“তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ” – কার, কোথায় থাকার কথা বলা হয়েছে?
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে সমুদ্ররাজকন্যা পদ্মার পাহাড়ের পাশে ফুল-ফলে ভরা, বিচিত্র প্রাসাদময় এক বাগানে থাকার কথা বলা হয়েছে।
“যদি হৈল সময় প্রত্যুষ” – সকাল হতে পদ্মা কী দেখলেন?
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে বর্ণিত কাহিনি অনুযায়ী সকাল হতে পদ্মা দেখলেন সমুদ্রের ধারে একটি মান্দাস রয়েছে।
“কন্যারে ফেলিল যথা” – কন্যাকে কোথায় ফেলা হল?
কন্যা অর্থাৎ সিংহল রাজকন্যা পদ্মাবতীকে সমুদ্রের মধ্যে এক দিব্যপুরীতে ফেলা হয়।
“সিন্ধুতীরে রহিছে মাঞ্জস” – কে এই মাঞ্জস দেখেছিলেন?
সমুদ্রকন্যা পদ্মা এই মাঞ্জস দেখেছিলেন।
“মধ্যেতে যে কন্যাখানি রূপে অতি রম্ভা জিনি” – রম্ভানিন্দিত রূপটি কার?
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া আলোচ্য অংশে রম্ভানিন্দিত রূপটি হল চিতোররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতীর।
“বিস্মিত হইল বালা” – বিস্মিত হওয়ার কারণ কী?
সমুদ্রতীরে অচেতন কন্যার সৌন্দর্য দেখে সমুদ্রকন্যা পদ্মা বিস্মিত হয়েছিলেন।
“অনুমান করে নিজ চিতে …” – পদ্মা কী অনুমান করলেন?
অথবা, “দেখিয়া রূপের কলা/বিস্মিত হইল বালা/অনুমান করে নিজ চিতে।” – ‘বালা’ কী অনুমান করেছিল?
সমুদ্রের তীরে অপূর্ব সুন্দরী পদ্মাবতীকে দেখে সমুদ্ররাজকন্যা পদ্মা অনুমান করলেন যে ইন্দ্রের অভিশাপে স্বর্গের অপ্সরা বিদ্যাধরি স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে অচেতন অবস্থায় সেখানে পড়ে রয়েছেন।
“বেথানিত হৈছে কেশ বেশ” – ‘বেথানিত’ শব্দের অর্থ কী?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ শীর্ষক কাব্যাংশ থেকে নেওয়া আলোচ্য অংশে বেথানিত শব্দের অর্থ অসম্বৃত বা বিস্থানিত, অর্থাৎ আলুথালু।
“… ভাঙ্গিল প্রবল বাও” – প্রবল বাতাস কী ভেঙে দিয়েছে?
আলোচ্য অংশে প্রবল বাতাস পদ্মাবতীর মান্দাস ভেঙে দিয়েছে।
পদ্মাবতী কীভাবে মূর্ছিত হয়ে পড়েছেন?
‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া আলোচ্য অংশে চিতোররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতী সমুদ্রে প্রবল বাতাসে মান্দাস ভেঙে পড়ায় ভয়ে ও কষ্টে মূর্ছিত হয়ে পড়েন।
“কিঞ্চিৎ আছয় মাত্র শ্বাস” – কার কথা বলা হয়েছে?
সমুদ্রতীরে অচেতন পদ্মাবতীর কথা বলা হয়েছে।
“বিধি মোরে না কর নৈরাশ।” – বক্তা কোন্ বিষয়ে নিরাশ হতে চান না?
সমুদ্রকষ্টে মূর্ছিতা পদ্মাবতীর প্রাণ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সমুদ্রকন্যা পদ্মা নিরাশ হতে চান না।
“বাহুরক কন্যার জীবন” – বক্তা কীভাবে কন্যার প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেছেন?
আলোচ্য অংশে বক্তা সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাঁর সখীদের নিয়ে আগুন জ্বেলে পদ্মাবতীর শরীরে সেঁক দিয়ে, মন্ত্রতন্ত্র ও মহৌষধ প্রয়োগ করে চার দণ্ড ধরে সেবাযত্ন করে তাঁর প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেছেন।
“কৃপা কর …” – পদ্মাবতীর প্রাণরক্ষায় পদ্মা কার কৃপা প্রার্থনা করেছেন?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে পদ্মাবতীর প্রাণরক্ষার জন্য পদ্মা নিরঞ্জনের কৃপা প্রার্থনা করেছেন।
“সখী সবে আজ্ঞা দিল” – বক্তা তার সখীদের কী আজ্ঞা দিয়েছিলেন?
অথবা, “সখী সবে আজ্ঞা দিল …” – তাঁর সখীদের কী আজ্ঞা দিয়েছিলেন?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত সিন্ধুতীরে কাব্যাংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাঁর সখীদের পদ্মাবতীকে বস্ত্রে ঢেকে উদ্যানে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা ও শুশ্রূষার আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
“পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন” – ‘পঞ্চকন্যা’ কে কে?
কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া আলোচ্য অংশে পঞ্চকন্যা হলেন চিতোররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতী এবং তাঁর চার সখী – চন্দ্রপ্রভা, রোহিণী, বিজয়া ও বিধুন্নলা।
“পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।” – পঞ্চকন্যা কীভাবে চেতনা ফিরে পেল?
সমুদ্রকন্যা পদ্মার সখীদের সেবাশুশ্রূষায় পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পেলেন।
“শ্রীযুত মাগন গুণী” – মাগন গুণীর পরিচয় দাও।
মাগন গুণী ছিলেন আরাকানরাজ থদো-মিনতারের অমাত্যপ্রধান, যিনি আলাওলকে গ্রন্থ রচনায় উৎসাহ দেন।
আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার ষষ্ঠ পাঠের প্রথম বিভাগ ‘সিন্ধুতীরে’ থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকে, টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া, এই পোস্টটি আপনার পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার করুন যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন