আজকের আর্টিকেলে আমরা দশম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়, “সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ” -এর বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব। এই অধ্যায়ের বিষয়বস্তু পড়ার সময় অধ্যায়টির কাঠামো ও প্রধান বিষয়াবলি বুঝতে সাহায্য করবে, যা আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই সংক্ষিপ্ত বিবেচনা আপনাদের প্রস্তুতি আরও ভালো করতে সাহায্য করবে।

1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের কারণসমূহ –

বিদ্রোহের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রসমূহ এবং নেতৃবৃন্দ –
কেন্দ্র | নেতৃবৃন্দ | নেতৃত্বের সময়কাল |
দিল্লি | দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ | 11 মে, 1857-20সেপ্টেম্বর, 1858 খ্রিস্টাব্দ। |
লখনউ | বেগম হজরত মহল | 20 মে, 1857-1 মার্চ, 1858 খ্রিস্টাব্দ। |
কানপুর | নানাসাহেব | 4 জুন, 1857-15 মার্চ, 1858 খ্রিস্টাব্দ। |
ঝাঁসি | রানি লক্ষ্মীবাঈ | 5 জুন, 1857-10 জুন, 1858 খ্রিস্টাব্দ। |
এলাহাবাদ | লিয়াকৎ খান | 20 জুন, 1857-4 এপ্রিল, 1858 খ্রিস্টাব্দ। |
বিহার | কুনওয়ার সিং | 15 জুলাই, 1857-20 জুন, 1858 খ্রিস্টাব্দ। |
বেরিলি | খান বাহাদুর খান | 20 জুলাই, 1857-27 জুন, 1858 খ্রিস্টাব্দ। |

বিদ্রোহের প্রথান ঘটনাবলি (10 মে, 1857-8 জুলাই, 1859) –
- 22 জানুয়ারি, 1857 – দমদম অস্ত্রাগারে কর্মরত এক ব্রাহ্মণ সিপাহিকে এক শ্রমিক সর্বপ্রথম জানাল শুকর ও গোরুর চর্বিতে তৈরি এনফিল্ড কার্তুজের কথা।
- 26 ফেব্রুয়ারি – বহরমপুরে 19 নং নেটিভ ইনফেন্ট্রির বিদ্রোহ।
- 29 মার্চ – ব্যারাকপুরে 34 নং নেটিভ ইনফেন্ট্রির সিপাহি মঙ্গল পাণ্ডে কর্তৃক বিদ্রোহের আহ্বান।
- 8 এপ্রিল – বিদ্রোহের অপরাধে মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসি।
- 21 এপ্রিল – মঙ্গল পাণ্ডের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য সিপাহি ঈশ্বরী পাণ্ডের ফাঁসি।
- 10 মে – মিরাটে কর্মরত সিপাহিদের বিদ্রোহ এবং দিল্লি অভিমুখে অভিযান।
- 12 মে – বিদ্রোহী সিপাহিদের সাফল্যের সঙ্গে দিল্লির অভ্যন্তরে প্রবেশ।
- 13 মে – দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে স্বাধীন মুঘল সম্রাট হিসেবে সিপাহিদের ঘোষণা।
- 16 মে – গভর্নর জেনারেল লর্ড ক্যানিং -এর ঘোষণাপত্রে বলা হয়, সরকার কোনোভাবে প্রজাদের জাতধর্মে হস্তক্ষেপ করবে না।
- 25 মে – উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে 35 নং নেটিভ ইনফেন্ট্রির বিদ্রোহ।
- 28 মে – রাজপুতানার নাসিরাবাদ-এ বিদ্রোহ।
- 31 মে – রোহিলখণ্ডের শাহজাহানপুর এবং বেরিলিতে সিপাহিদের বিদ্রোহ।
- 4 জুন – কানপুরে বিদ্রোহ, নেতৃত্বে নানাসাহেব।
- 6 জুন – এলাহাবাদে 6নং নেটিভ ইনফেন্ট্রির বিদ্রোহ।
- 8 জুন – বদলি-কি-সরাই-এর লড়াইতে বিদ্রোহীদের পরাজয়।
- 11 জুন – লখনউতে পুলিশদের বিদ্রোহ।
- 27 জুন – সতীচূড়া ঘাটের হত্যাকাণ্ড। স্যার হুইলারের মৃত্যু।
- 30 জুন – লখনউ রেসিডেন্সি ঘেরাও।
- 1 জুলাই – ইন্দোরে বিদ্রোহ। পিখরে নানাসাহেব পেশোয়া হিসেবে ঘোষিত।
- 2 জুলাই – বেরিলি থেকে বকৎ খানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দিল্লিতে প্রবেশ।
- 4 জুলাই – লখনউতে স্যার হেনরি লরেন্সের মৃত্যু।
- 5 জুলাই – কলেরাতে জেনারেল বার্নাড -এর মৃত্যু। লখনউয়ের বিদ্রোহীদের বিরজিস কাদেরকে অযোধ্যার রাজা হিসেবে ঘোষণা।
- 15 জুলাই – কানপুরে ‘বিবিঘর’-এর হত্যাকাণ্ড।
- 16 জুলাই – বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হ্যাভলক -এর কাছে কানপুরে নানাসাহেবের পরাজয়।
- 25 জুলাই – দানাপুরের বিদ্রোহী সিপাহিদের রাজা কুনওয়ার সিং -এর সঙ্গে হাত মেলানো।
- 13 আগস্ট – জেনারেল স্যার কলিন ক্যাম্পবেল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ নিযুক্ত হয়ে কলকাতায় এলেন।

- 16 আগস্ট – হ্যাভলক বিথুরে বিদ্রোহীদের পরাস্ত করলেন।
- 5 সেপ্টেম্বর – স্যার জেমস আউট্রাম কানপুরে এলেন।
- 20 সেপ্টেম্বর – ইংরেজ কর্তৃক দিল্লি পুনর্দখল।
- 24 নভেম্বর – কলেরায় আক্রান্ত হয়ে হ্যাভলক মারা গেলেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত হন।
- 26-27 নভেম্বর – কানপুরে তাঁতিয়া তোপি এবং গোয়ালিয়র বাহিনীর হাতে জেনারেল উইন্ডহ্যাম পরাস্ত হয়ে পশ্চাদপসরণ করেন।
- 6 ডিসেম্বর – তাঁতিয়া তোপি ক্যাম্পবেলের হাতে পরাস্ত হন এবং ইংরেজরা কানপুর পুনর্দখল করে।
- 2 জানুয়ারি, 1858 – খুদাগঞ্জ -এর লড়াইতে ক্যাম্পবেলের হাতে পরাজিত হলেন বকৎ খান।
- 2 মার্চ – ক্যাম্পবেল লখনউ দখলের অভিযানে নামলেন।
- 21 মার্চ – স্যার হিউরোজ-এর ঝাঁসিতে আগমন এবং ইংরেজদের লখনউ পুনর্দখল।
- 3 এপ্রিল – হিউরোজ ঝাঁসি দখল করলেও রানিকে বন্দি করতে ব্যর্থ হলেন, রানি কুলপিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
- 19 এপ্রিল – মেজর জেনারেল তুইটলক ভাওরাগড়ে বান্দার নবাবকে পরাস্ত করেন।
- 23 এপ্রিল – জগদীশপুরে ব্রিটিশের গুলিতে আহত হওয়া সত্ত্বেও কুনওয়ার সিং মৃত্যুর পূর্বে ক্যাপটেন লে গ্রান্ড -এর বাহিনীকে পরাস্ত করেন।
- 23 মে – কাল্পিতে ঝাঁসির রানি, বান্দার নবাব, রাও সাহেব এবং তাঁতিয়া তোপির সম্মিলিত শক্তির পরাজয়।

- 5 জুন – মৌলবি আহমদউল্লাহ শাহের মৃত্যু।
- 17 জুন – কোটা-কি-সরাই-এর যুদ্ধ ও ঝাঁসির রানির মৃত্যু।
- 19 জুন – গোয়ালিয়রের যুদ্ধ ও শহর পুনর্দখল।
- 2 আগস্ট – ‘ইন্ডিয়া বিল’ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে উপমহাদেশের শাসনের দায়িত্ব প্রত্যক্ষভাবে গ্রহণ করলেন মহারানি। ভিক্টোরিয়া। ব্রিটিশ সংসদের উভয়কক্ষ এই মর্মে বিলটি পাস করল।
- 1 নভেম্বর – সারা ভারতের সর্বত্র ঘোষিত হল আনুষ্ঠানিকভাবে মহারানির ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ভারতে কোম্পানির। শাসনের অবসান ঘটল এবং তার পরিবর্তে মহারানি তথা ব্রিটিশ সরকারের প্রত্যক্ষ শাসন বলবৎ হল।
- 4 জানুয়ারি, 1859 – হোপগ্রান্ট -এর হাতে পরাস্ত হয়ে বালা রাও এবং অযোধ্যার বিদ্রোহীরা নেপালের তরাই অঞ্চলে আশ্রয়। নিলেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন নানাসাহেব, বিরজিস কাদির, হজরত মহল, জোয়ালা প্রসাদ এবং খান বাহাদুর খান।
- 21 জানুয়ারি – কর্নেল হোমস শিকার-এর যুদ্ধে প্রিন্স ফিরোজ শাহ এবং তাঁতিয়া তোপিকে পরাস্ত করেন।
- 29 মার্চ – দিল্লির সম্রাটের বিচার ও শাস্তি।
- 18 এপ্রিল – তাঁতিয়া তোপির মৃত্যুদণ্ড।
- 8 জুলাই – বিদ্রোহের অবসান এবং লর্ড ক্যানিং কর্তৃক ‘রাষ্ট্রের শান্তি’-র ঘোষণা।
1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের বিভিন্ন অভিথা –
- আর রবার্টস – সিপাহি বিদ্রোহ।
- বেঞ্জামিন ডিসরেলি – জাতীয় বিদ্রোহ।
- সুরেন্দ্রনাথ সেন – গণবিদ্রোহ।
- স্যার জন লরেন্স এবং সিলি – সিপাহি বিদ্রোহ।
- ডঃ এস এস সেন – স্বাধীনতার। সংগ্রাম।
- বিনায়ক দামোদর সাভারকর – ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম।
- এল ই আর রিস – খ্রিস্টধর্মের বিরুদ্ধে ধর্মীয় যুদ্ধ।
- জেমস আউট্রাম – হিন্দু-মুসলিম ষড়যন্ত্র।
- অশোক মেহতা – পরিকল্পিত যুদ্ধ।
- কার্ল মার্কস – জাতীয় সংগ্রাম।
শিক্ষিত সমাজের মনোভাব –
1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব ফুটে উঠেছে এইসব লেখায় –
সংবাদ প্রভাকর -এর সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বিদ্রোহী নেতা নানাসাহেব সম্পর্কে লিখেছেন –
নানা পাপে পটু নানা নাহি শুনে না না।
অধর্ম্মের অন্ধকারে হইয়াছে কানা।
ভালো-দোষে ভালো তুমি ঘটালে প্রমাদ।
আগেতে দেখেছ ঘুঘু শেষে দেখ ফাঁদ।

কালীপ্রসন্ন সিংহ তাঁর ‘মালতিমাধব’ নাটকে ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে একটি গানে লিখেছেন –
“ভারতের কর্ত্রী যিনি ভিক্টোরিয়া মহারাণী;
চিরজীবী হোন তিনি, প্রিয় পুত্র-স্বামী সনে
দুরাত্মা বিদ্রোহী দল, যাক সবে রসাতল
রাজকরে হোক বল, দুর্জয় হউক রণে।”
1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সময়কালে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকা এবং তার সম্পাদকগণ –
সংবাদ প্রভাকর – ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
সংবাদ ভাস্কর – গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য।
অরুণোদয় – লালবিহারী দে।
উত্তরপাড়া পাক্ষিক – বিজয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়।
এডুকেশন গেজেট – ওব্রায়ন স্মিথ।
সমাচার সুধাবর্ষণ – শ্যামসুন্দর সেন।
মহারানির ঘোষণাপত্র (1858 খ্রিস্টাব্দ) –
1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের পর 1858 খ্রিস্টাব্দে মহারানি ভিক্টোরিয়া এক ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন। এতে বলা হয় –
- ব্রিটিশ সরকার আর ভারতীয়দের সামাজিক ও ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না।
- স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল করা হবে।
- অপুত্রক রাজারা দত্তকপুত্র গ্রহণ করতে পারবে।
- ব্রিটিশ সরকার সব পুরোনো সন্ধি মেনে চলবে।
- ভারতীয়রা যোগ্যতা অনুসারে চাকরি পাবে।
মহারানির ঘোষণাপত্র ছন্দে মনে রাখার সহজ উপায় হল –
1858/খ্রিস্টাব্দের 1লা (পয়লা)/নভেম্বর
মহারানি/ভিক্টোরিয়ার/ঘোষণা পত্তর –
ভারতের/সামাজিক ও/ধর্মীয় ব্যপারে
হস্তক্ষেপ/করবে না/ব্রিটিশ সরকারে।
স্বত্ববিলোপ/নীতিও/করছি বর্জন।
অপুত্রক/রাজা করুক/দত্তক গ্রহণ।
পুরোনো/সন্ধি সব/মানবে সরকার।
যোগ্য/ব্যক্তিরা পাবে/চাকরির অধিকার।
কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব –
- ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল (1833খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্ট অনুসারে) – উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক।
- ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল – লর্ড ক্যানিং।
- ভারতের প্রথম ভাইসরয় – লর্ড ক্যানিং।
- ভারতের শেষ ভাইসরয় – লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
- স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল – লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
- স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় গভর্নর জেনারেল – চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী।
- স্বাধীন ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল – চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী।
সভাসমিতির যুগ –
উনিশ শতকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটে। এই সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন বা বিভিন্ন সভাসমিতি গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা, জমিদার সভা, হিন্দুমেলা, ভারত। সভা প্রভৃতি। এই সভাসমিতি ও তার সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠাতাদের নাম মনে রাখার সহজ উপায় হল-
বকা
জরা
হিন
ভাসুরে
সভা ও সমিতি প্রতিষ্ঠা করে।
সভাসমিতি | প্রতিষ্ঠাতা | ছন্দে |
বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা | কালীনাথ রায়চৌধুরি | ব কা |
জমিদার সভা | রাধাকান্ত দেব | জ রা |
হিন্দু মেলা | নবগোপাল মিত্র | হি ন |
ভারত সভা | সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় | ভা সুরে |
1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের আগে বিভিন্ন সভাসমিতি –
সমিতি | প্রতিষ্ঠাকাল | প্রতিষ্ঠাতা |
বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা | 1836 খ্রিস্টাব্দ | টাকির জমিদার কালীনাথ রায়চৌধুরী, দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর। |
জমিদার সভা | 1838 খ্রিস্টাব্দ | রাধাকান্ত দেব (সভাপতি) ও দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (সম্পাদক)। |
ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি | 1839 খ্রিস্টাব্দ | উইলিয়ম অ্যাডাম। |
দ্য বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি | 1843 খ্রিস্টাব্দ | জর্জ টমসন (সভাপতি) ও প্যারিচাঁদ মিত্র (সম্পাদক)। |
ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন (জমিদার সভা + বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি) | 1851 খ্রিস্টাব্দ | রাধাকান্ত দেব (সভাপতি) ও দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (সম্পাদক)। |
বোম্বাই নেটিভ অ্যাসোসিয়েশন | 1852 খ্রিস্টাব্দ | জামসেদজি টাটা, জগন্নাথ শংকর প্রমুখ। |
মাদ্রাজ নেটিভ অ্যাসোসিয়েশন | 1852 খ্রিস্টাব্দ | গজালু লক্ষ্মীনারায়ণ চেট্টি। |

1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের পরে বিভিন্ন সভাসমিতি –
সমিতি | প্রতিষ্ঠাকাল | প্রতিষ্ঠাতা |
লন্ডন ইন্ডিয়া কমিটি (লন্ডন) | 1862 খ্রিস্টাব্দ | সি পি মুদালিয়র। |
দ্য লন্ডন ইন্ডিয়ান সোসাইটি (লন্ডন) | 1865 খ্রিস্টাব্দ | উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও দাদাভাই নৌরজি। |
ইস্ট ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (লন্ডন) | 1866 খ্রিস্টাব্দ | দাদাভাই নৌরজি। |
ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন (লন্ডন) | 1867 খ্রিস্টাব্দ | মেরি কার্পেন্টার। |
পুনা সার্বজনিক সভা (পুনা) | 1867 খ্রিস্টাব্দ | গোপালহরি দেশমুখ, শ্রীনিবাস রাও, পরশুরাম গ্যাডগিল প্রমুখ। |
হিন্দুমেলা (বাংলা) | 1867 খ্রিস্টাব্দ | নবগোপাল মিত্র। |
ইন্ডিয়ান সোসাইটি (লন্ডন) | 1872 খ্রিস্টাব্দ | আনন্দমোহন বসু। |
ইন্ডিয়ান লিগ (বাংলা) | 1875 খ্রিস্টাব্দ | শিশির কুমার ঘোষ ও কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। |
ভারতসভা (কলকাতা) | 1876 খ্রিস্টাব্দ | সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমোহন বসু ও শিবনাথ শাস্ত্রী। |
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কনফারেন্স (কলকাতা) | 1883 খ্রিস্টাব্দ | সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আনন্দমোহন বসু। |
মাদ্রাজ মহাজন সভা (মাদ্রাজ) | 1884 খ্রিস্টাব্দ | সুব্রহ্মণ্য আইয়ার ও আনন্দ চালু। |
বোম্বে প্রেসিডেন্সি অ্যাসোসিয়েশন (বোম্বে) | 1885 খ্রিস্টাব্দ | ফিরোজ শাহ মেহতা ও বদরুদ্দিন তায়েবজি। |
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (বোম্বে) | 1885 খ্রিস্টাব্দ | অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউম। |
1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ, রাজনৈতিক সমিতি ও জাতীয়তাবাদ সম্পর্কিত বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ও ভার লেখকগণ –
গ্রন্থ | লেখক |
The Sepoy Mutiny and the revolt of 1857 | ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার। |
Discovery of India | জওহরলাল নেহরু। |
Civil Rebellion in the Indian Mutinies | ডঃ শশীভূষণ চৌধুরী। |
A Nation in Making | সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। |
Poverty and Un-British Rule in India | দাদাভাই নৌরজি। |
আনন্দমঠ | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। |
বর্তমান ভারত | স্বামী বিবেকানন্দ। |
গোরা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। |
Eighteen Fifty Seven | সুরেন্দ্রনাথ সেন। |
The Great Rebellion | তালমিজ খালদুন। |
কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এবং তাঁদের উপাধি –
ব্যক্তিস্ব | উপাধি |
দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ | হিন্দুস্তানের সম্রাট। |
মহারানি ভিক্টোরিয়া | ভারত সম্রাজ্ঞী। ভারতেশ্বরী। |
দাদাভাই নৌরজি | Grand Old Man of India. |
স্বামী বিবেকানন্দ | খাপখোলা তলোয়ার। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের অগ্রদূত। |
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর | নব্যবঙ্গ চিত্রকলার জনক। রাষ্ট্রগুরু। |
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় | বাংলার মুকুটহীন রাজা। |
অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউম | জাতীয় কংগ্রেসের জনক। |
আজকের আর্টিকেলে আমরা দশম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়, “সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ” -এর বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছে। এই অধ্যায়ের বিষয়বস্তু পড়ার সময় অধ্যায়টির কাঠামো ও প্রধান বিষয়াবলি বুঝতে সাহায্য করবে, যা আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। যদি কোনো প্রশ্ন, মতামত বা সাহায্যের প্রয়োজন হয়, নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন কিংবা টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন—আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন