মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় – প্রাণীদের সাড়াপ্রদান ও ভৌত সমন্বয় – স্নায়ুতন্ত্র – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” অধ্যায়ের ‘প্রাণীদের সাড়াপ্রদান ও ভৌত সমন্বয়‘ বিভাগের উপ-অধ্যায় ‘স্নায়ুতন্ত্র‘ -এর অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় – প্রাণীদের সাড়াপ্রদান ও ভৌত সমন্বয় - স্নায়ুতন্ত্র
Contents Show

স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়; স্নায়বিক পথ; স্নায়ুকোশ, নিউরোগ্লিয়া এবং স্নায়ু; স্নায়ুর প্রকারভেদ; স্নায়ুগ্রন্থি; স্নায়ুসন্নিধি

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

প্রাণীদেহের ভৌত সমন্বায়ক হল –

  1. হরমোন
  2. হৃৎপিণ্ড
  3. স্নায়ুতন্ত্র
  4. সংবহন তন্ত্র

উত্তর – 3. স্নায়ুতন্ত্র

যে বহুকোশী প্রাণীটির দেহে স্নায়ুতন্ত্র থাকে না, সেটি হল –

  1. ফিতাকৃমি
  2. গোলকৃমি
  3. তারামাছ
  4. সাইকন

উত্তর – 4. সাইকন

পরিবেশের যে বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন জীবদেহে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে সক্ষম, তাকে বলে –

  1. গ্রাহক
  2. সাড়া
  3. সংবেদন
  4. উদ্দীপনা

উত্তর – 4. উদ্দীপনা

একটি কারক অঙ্গ হল –

  • কান
  • পেশি
  • ত্বক
  • কোনোটিই নয়

উত্তর – 2. পেশি

স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একককে কী বলে?

  1. নেফ্রন
  2. নিউরোন
  3. অ্যাক্সন
  4. নিউরোগ্লিয়া

উত্তর – 2. নিউরোন

স্নায়ুকোশের নিউক্লিয়াসযুক্ত ও সবথেকে প্রশস্ত অংশকে বলে –

  1. কোশদেহ
  2. দেহকোশ
  3. অ্যাক্সন
  4. ডেনড্রাইট

উত্তর – 1. কোশদেহ

নিউরোনের বহির্মুখী শাখাকে কী বলে?

  1. ডেনড্রন
  2. অ্যাক্সন
  3. সাইটন
  4. নিসল দানা

উত্তর – 2. অ্যাক্সন

ডেনড্রন থেকে নির্গত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শাখাপ্রশাখাগুলিকে বলে –

  1. ডেনড্রাইট
  2. প্রান্তবুরুশ
  3. মায়েলিন সিদ্‌
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 1. ডেনড্রাইট

অ্যাক্সনস্থিত সাইটোপ্লাজমকে বলে –

  1. এক্টোপ্লাজম
  2. এন্ডোপ্লাজম
  3. অ্যাক্সোপ্লাজম
  4. নিউরোপ্লাজম

উত্তর – 3. অ্যাক্সোপ্লাজম

স্নায়ুকোশের সাইটোপ্লাজমকে বলা হয় –

  1. নিউরোপ্লাজম
  2. অ্যাক্সোপ্লাজম
  3. ডেনড্রোপ্লাজম
  4. অ্যাসিটাইলকোলিন

উত্তর – 1. নিউরোপ্লাজম

স্নায়ুকোশের যে অংশে নিসল দানা অনুপস্থিত, তা হল –

  1. ডেনড্রাইট
  2. অ্যাক্সন
  3. কোশদেহ
  4. সবকটি

উত্তর – 2. অ্যাক্সন

স্নায়ুকোশে প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে –

  1. গলগি বস্তু
  2. সোয়ান কোশ
  3. নিসল দানা
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 3. নিসল দানা

নিউরোনের কোন্ অংশে মায়েলিন সিদ্‌ বা মেডুলারি আবরণ থাকে?

  1. অ্যাক্সন
  2. ডেনড্রন
  3. কোশদেহ
  4. সবকটি

উত্তর – 1. অ্যাক্সন

কোনটি সোয়ান কোশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?

  1. ডেনড্রাইট
  2. অ্যাক্সন
  3. কোশদেহ
  4. সাইন্যাপস্ 

উত্তর – 2. অ্যাক্সন

যে কোশ মায়েলিন আবরণ তৈরি করে সেটি হল –

  1. নিউরোন
  2. অ্যাস্ট্রোসাইট
  3. সোয়ান কোশ
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 3. সোয়ান কোশ

অ্যাক্সোপ্লাজমকে ঘিরে যে আবরণী থাকে তাকে বলে –

  1. অ্যাক্সোলেমা
  2. নিউরিলেমা
  3. প্লাজমালেমা
  4. সবকটি

উত্তর – 1. অ্যাক্সোলেমা

নিউরিলেমা যাকে আবৃত করে থাকে, তার নাম –

  1. অ্যাক্সিস সিলিন্ডার
  2. কোশদেহ
  3. মেডুলারি আবরণ
  4. এন্ডোনিউরিয়াম

উত্তর – 2. কোশদেহ

র‍্যানভিয়ারের পর্ব দেখা যায় –

  1. সকল নিউরোনের অ্যাক্সনে
  2. কিছু নিউরোনের অ্যাক্সনে
  3. সকল নিউরোনের ডেনড্রনে
  4. কিছু নিউরোনের ডেনড্রনে

উত্তর – 2. কিছু নিউরোনের অ্যাক্সনে

স্নায়ুতন্ত্রে যে কোশগুলি ধারক কোশের কাজ করে, তাদের বলে –

  1. নিউরিলেমা
  2. অ্যাক্সোলেমা
  3. নিউরোগ্লিয়া বা গ্লিয়াল কোশ
  4. নিউরোন

উত্তর – 3. নিউরোগ্লিয়া বা গ্লিয়াল কোশ

নীচের কোন্ কোশ/কোশগুলি স্নায়ু উদ্দীপনা প্রেরণ করে না?

  1. অ্যাস্ট্রোসাইট
  2. অলিগোডেনড্রোসাইট
  3. মাইক্রোগ্লিয়া
  4. সবকটি

উত্তর – 4. সবকটি

স্নায়ুতন্ত্রের পুষ্টি ও প্রতিরক্ষায় সাহায্যকারী কোশটি হল –

  1. নিউরোন
  2. নিউরোগ্লিয়া
  3. হেপাটোসাইট
  4. সবকটি

উত্তর – 2. নিউরোগ্লিয়া

একটি স্নায়ুর বাইরের আবরণের নাম হল –

  1. এন্ডোনিউরিয়াম
  2. এন্ডোমাইসিয়াম
  3. পেরিনিউরিয়াম
  4. পেরিমাইসিয়াম

উত্তর – 3. পেরিনিউরিয়াম

আজ্ঞাবহ বা বহির্বাহী স্নায়ু হল –

  1. অপটিক
  2. অকিউলোমোটর
  3. ভেগাস
  4. অলফ্যাক্টরি

উত্তর – 2. অকিউলোমোটর

শুধুমাত্র চেষ্টীয় নার্ভটি হল –

  1. ভেগাস
  2. অকিউলোমোটর
  3. ফেসিয়াল
  4. ট্রাইজেমিনাল

উত্তর – 2. অকিউলোমোটর

অলফ্যাক্টরি স্নায়ু হল –

  1. মিশ্র স্নায়ু
  2. সংজ্ঞাবহ স্নায়ু
  3. চেষ্টীয় স্নায়ু
  4. স্নায়ু গ্রন্থি

উত্তর – 2. সংজ্ঞাবহ স্নায়ু

একটি মিশ্র স্নায়ু হল –

  1. অপটিক
  2. অডিটরি
  3. হাইপোগ্লসাল
  4. ভেগাস

উত্তর – 4. ভেগাস

স্নায়ুকোশের কোশদেহগুলি পুঞ্জীভূত হয়ে সৃষ্টি হয় –

  1. নিউরোগ্লিয়া
  2. স্নায়ুগ্রন্থি
  3. স্নায়ুতন্ত্র
  4. সাইন্যাপস্

উত্তর – 2. স্নায়ুগ্রন্থি

নীচের কোনটি দুটি নিউরোনের সংযোগস্থলের নাম নয়?

  1. সাইন্যাপসিস
  2. সাইন্যাপস্
  3. স্নায়ুসন্নিধি
  4. প্রান্তসন্নিকর্ষ

উত্তর – 1. সাইন্যাপসিস

পরপর দুটি নিউরোনের সংযোগস্থলে উপস্থিত থাকে যে উপাদান, তা হল –

  1. অ্যাকোয়াস হিউমর
  2. ভিট্রিয়াস হিউমর
  3. নিউরোট্রান্সমিটার
  4. অ্যাসিডিক হিউমর

উত্তর – 3. নিউরোট্রান্সমিটার

একটি নিউরোট্রান্সমিটার হল –

  1. গ্লাইকোজেন
  2. গ্লুকোজ
  3. লিপিড
  4. অ্যাসিটাইলকোলিন

উত্তর – 4. অ্যাসিটাইলকোলিন

অ্যাক্সন প্রান্ত থেকে কোন্ উপাদানটি ক্ষরিত হয়?

  1. গ্লাইকোজেন
  2. গ্লুকোজ
  3. লিপিড
  4. অ্যাসিটাইলকোলিন

উত্তর – 4. অ্যাসিটাইলকোলিন

শূন্যস্থান পূরণ করো

জীবদেহের যেসব অংশ পরিবেশের উদ্দীপনাকে গ্রহণ করে তাদের ____ বলে।

উত্তর – জীবদেহের যেসব অংশ পরিবেশের উদ্দীপনাকে গ্রহণ করে তাদের গ্রাহক বলে।

স্নায়ুকোশের ____ সক্রিয় নয় বলে এই কোশ বিভাজিত হয় না।

উত্তর – স্নায়ুকোশের সেন্ট্রোজোম সক্রিয় নয় বলে এই কোশ বিভাজিত হয় না।

কোশদেহ থেকে নির্গত ক্ষুদ্র ও সূক্ষ্ম সূত্রাকার প্রোটোপ্লাজমীয় প্রবর্ধক অংশগুলিকে ____ বলে।

উত্তর – কোশদেহ থেকে নির্গত ক্ষুদ্র ও সূক্ষ্ম সূত্রাকার প্রোটোপ্লাজমীয় প্রবর্ধক অংশগুলিকে ডেনড্রন বলে।

____ হল কোশদেহের সংজ্ঞাবহ প্রবর্ধক।

উত্তর – ডেনড্রন হল কোশদেহের সংজ্ঞাবহ প্রবর্ধক।

কোশদেহের যে অংশ থেকে অ্যাক্সন নির্গত হয়, তাকে ____ বলে।

উত্তর – কোশদেহের যে অংশ থেকে অ্যাক্সন নির্গত হয়, তাকে অ্যাক্সন হিলক বলে।

অ্যাক্সনের যে স্থানে মায়েলিন সিদ্‌ থাকে না তাকে ____ বলে।

উত্তর – অ্যাক্সনের যে স্থানে মায়েলিন সিদ্‌ থাকে না তাকে র‍্যানভিয়ারের পর্ব বলে।

মায়েলিন সিদ্‌ ও নিউরিলেমার মাঝে নিউক্লিয়াসযুক্ত ____ কোশ থাকে।

উত্তর – মায়েলিন সিদ্‌ ও নিউরিলেমার মাঝে নিউক্লিয়াসযুক্ত সোয়ান কোশ থাকে।

যোজক কলার আবরণী বেষ্টিত রক্তবাহ সমন্বিত নিউরোনগুচ্ছকে ____ বলে।

উত্তর – যোজক কলার আবরণী বেষ্টিত রক্তবাহ সমন্বিত নিউরোনগুচ্ছকে স্নায়ু বলে।

অ্যাস্ট্রোসাইট একপ্রকার ____ কোশ।

উত্তর – অ্যাস্ট্রোসাইট একপ্রকার নিউরোগ্লিয়া/গ্লিয়াল কোশ।

স্নায়ুতন্ত্রের কোশমষ্টির অধিকাংশই হল ____ কোশ।

উত্তর – স্নায়ুতন্ত্রের কোশমষ্টির অধিকাংশই হল নিউরোগ্লিয়া কোশ।

অ্যাস্ট্রোসাইট হল ____ আকৃতির নিউরোগ্লিয়া।

উত্তর – অ্যাস্ট্রোসাইট হল তারা আকৃতির নিউরোগ্লিয়া।

অ্যাক্সন দিয়ে গঠিত স্নায়ুর প্রধান কাজ হল ____ পরিবহণ করা।

উত্তর – অ্যাক্সন দিয়ে গঠিত স্নায়ুর প্রধান কাজ হল স্নায়ুস্পন্দন পরিবহণ করা।

সন্নিধি স্ফীতির কোশঝিল্লিকে ____ ঝিল্লি বলে।

উত্তর – সন্নিধি স্ফীতির কোশঝিল্লিকে প্রাকসন্নিধি ঝিল্লি বলে।

প্রাকসন্নিধি অঞ্চলে ____ পৌঁছোলে অ্যাক্সনের প্রান্ত থেকে অ্যাসিটাইলকোলিন নির্গত হয়।

উত্তর – প্রাকসন্নিধি অঞ্চলে স্নায়ুস্পন্দন পৌঁছোলে অ্যাক্সনের প্রান্ত থেকে অ্যাসিটাইলকোলিন নির্গত হয়।

দুটি নিউরোনের মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে অবস্থিত রাসায়নিক তরলকে ____ বলে।

উত্তর – দুটি নিউরোনের মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে অবস্থিত রাসায়নিক তরলকে নিউরোট্রান্সমিটার বলে।

সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো

স্নায়ুতন্ত্র হল জীবের রাসায়নিক সমন্বায়ক।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এই তন্ত্র জীবের ভৌত সমন্বায়ক।]

কারকের একটি উদাহরণ হল পেশি।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এটি আজ্ঞাবহ স্নায়ু-বাহিত উদ্দীপনা অনুযায়ী কাজ করে সাড়া প্রদানে সাহায্য করে।]

উদ্দীপনা গ্রহণের কাজ করে দেহে ছড়িয়ে থাকা গ্রাহকসমূহ।

উত্তর – সত্য [সূত্র – গ্রাহক বিশেষপ্রকার কোশবিশিষ্ট হওয়ায় তা বিভিন্নপ্রকার উদ্দীপনা গ্রহণে সক্ষম।]

স্নায়ুতন্ত্রে কেবলমাত্র নিউরোন নামক কোশ থাকে।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – নানাপ্রকার নিউরোগ্লিয়া কোশ নিউরোন ছাড়াও এই তন্ত্রেরই অংশ।]

নিসল দানা কেবলমাত্র পেশিকোশে থাকে।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – নিসল দানা স্নায়ুকোশে বিন্যস্ত কোশবিশেষ।]

নিউরোনের গলগি বডি নিষ্ক্রিয়।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – গলগি বডি সক্রিয় থাকে ও তা ক্ষরণ কাজ করে থাকে।]

স্নায়ুকোশ দ্রুত বিভাজিত হয়।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – সেন্ট্রোজোম নিষ্ক্রিয় বলে এই কোশ বিভাজিত হতে পারে না।]

নিউরোপ্লাজমে সেন্ট্রোজোম সক্রিয় থাকে।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – সেন্ট্রোজোম নিষ্ক্রিয় বলে স্নায়ুকোশ বিভাজিত হতে পারে না।]

ডেনড্রনের বাইরে সোয়ান কোশ বর্তমান।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – অ্যাক্সনের বাইরে এই কোশ থাকে।]

অ্যাক্সন হল চেষ্টীয় প্রবর্ধক।

উত্তর – সত্য [সূত্র – অ্যাক্সন বহির্বাহী প্রবর্ধক যা কোশদেহের থেকে বিশ্লেষিত তথ্য বহন করে। তাই তা চেষ্টীয় প্রবর্ধক।]

স্নায়ুকোশের নিউরিলেমা স্থানে স্থানে বিচ্ছিন্ন হয়ে র‍্যানভিয়ারের পর্ব গঠন করে।

উত্তর – সত্য [সূত্র – নিউরিলেমা বা সোয়ান কোশের বহিঃপর্দা ও মায়েলিন পর্দা স্থানে স্থানে বিচ্ছিন্ন হয়ে অ্যাক্সন পর্দা বা অ্যাক্সোলেমাকে উন্মুক্ত করে। ওই স্থানগুলিকে র‍্যানভিয়ারের পর্ব বলে।]

মায়েলিন আবরণী একটি নিরবিচ্ছিন্ন পর্দা।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এটি কিছু দূর অন্তর অ্যাক্সনকে নগ্ন রাখে যাকে র‍্যানভিয়ারের পর্ব বলে।]

র‍্যানভিয়ারের পর্বস্থলে মায়োলিন সিদ্‌ থাকে না।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এর ফলে ওই স্থান দিয়ে দ্রুত স্নায়ু পরিবহণ ঘটে থাকে।]

মায়েলিনেটেড স্নায়ুর তুলনায় নন্-মায়েলিনেটেড স্নায়ুতে দ্রুত স্নায়বিক আবেগ পরিবাহিত হয়।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – মায়েলিন আবরণী অন্তরক আবরণ সৃষ্টি করে দ্রুত উদ্দীপনা পরিবহণে সাহায্য করে।]

নিউরোগ্লিয়া কোশের আকার সাধারণত নিউরোনের থেকে বড়ো হয়।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – নিউরোগ্লিয়ার আকার তুলনামূলকভাবে ছোটো হয়।]

নিউরোগ্লিয়া কোশ উদ্দীপনা পরিবহণ করে থাকে।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এই কোশগুলি উদ্দীপনা পরিবহণ করে না, নিউরোনের পুষ্টি, প্রতিরক্ষায় সাহায্য করে।]

ভেগাস হল একটি মিশ্র স্নায়ু।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এটি সংজ্ঞাবহ ও আজ্ঞাবহ উভয় প্রকৃতির কাজ করে থাকে। তাই এটি মিশ্র স্নায়ু।]

সাইন্যাপসে সবসময় ডেনড্রন-অ্যাক্সন সমন্বয় থাকে।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – অ্যাক্সন-অ্যাক্সন, অ্যাক্সন-কোশদেহ, ডেনড্রন-ডেনড্রন সাইন্যাপসও গঠিত হয়।]

সাইন্যাপটিক ভেসিকল উদ্দীপনা পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এগুলি থেকে ক্ষরিত নিউরোট্রান্সমিটার স্নায়ু উদ্দীপনা প্রেরণে সাহায্য করে।]

মানবমস্তিষ্কে ও সুষুম্নাকাণ্ডে নিউরোন সংখ্যা কত।

মানবমস্তিষ্কে প্রায় 100 বিলিয়ন নিউরোন কোশ থাকে, সুষুম্নাকাণ্ডে থাকে 13.5 মিলিয়ন নিউরোন।

স্নায়ুতন্ত্রের ঠিকমতো কাজ করার জন্য কী কী থাকা প্রয়োজন?

স্নায়ুতন্ত্রের ঠিকমতো কাজ করার জন্য ভিটামিন B, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম আয়ন পর্যাপ্ত মাত্রায় থাকা প্রয়োজন।

কত বছর বয়সে দেহের 10% নিউরোন বিনষ্ট হয়ে যায়?

নিউরোন বিভাজিত হতে পারে না, তাই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিউরোন সংখ্যা দেহে হ্রাস পায়। 75 বছর বয়সে দেহের 10% নিউরোন বিনষ্ট হয়ে যায়।

সাইন্যাপটিক ডিলে কাকে বলে?

সাইন্যাপস্ -এর প্রি-সাইন্যাপটিক মেমব্রেন থেকে পোস্ট-সাইন্যাপটিক মেমব্রেনে স্নায়বিক উদ্দীপনা প্রেরণের সময়কালকে সাইন্যাপটিক ডিলে বলে। এর সময়কাল 0.5 মিলিসেকেন্ড।

“দর্পণ নিউরোন (mirror neurone) কী এবং এটি কীভাবে প্রাণীর আচরণকে প্রভাবিত করে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করুন।”

মানুষসহ বানরজাতীয় সমস্ত প্রাণীর মস্তিষ্কে ‘দর্পণ নিউরোন’ (mirror neurone) নামক বিশেষ নিউরোনগুচ্ছ থাকে। এগুলি কোনো প্রাণীর কাজের অনুকরণে কাজ করতে প্রাণীকে উদ্বুদ্ধ করে। যেমন – হাই তোলা।

অ্যাসিটাইলকোলিন ছাড়াও আরও কয়েকটি নিউরোট্রান্সমিটারের নাম লেখ?

অ্যাসিটাইলকোলিন ছাড়াও আরও কয়েকটি নিউরোট্রান্সমিটার হল ডোপামিন, অ্যাড্রেনালিন, গামাঅ্যামিনো বিউটারিক অ্যাসিড (GABA) ইত্যাদি।

স্তম্ভ মেলাও

ডানস্তম্ভবামস্তম্ভ
(1) স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক(A) অ্যাক্সোলেমা
(2) এন্ডব্রাশ(B) নিউরোন
(3) অ্যাক্সনের ভিতরের আবরণী(C) নিউরিলেমা
(4) অ্যাক্সনের বাইরের আবরণী(D) মেনিনজেস
(5) নিউরোনের সাইটোপ্লাজম(E) প্রান্তীয় নব
(6) অ্যাক্সন ও কোশদেহের সংযোগস্থল(F) অ্যাক্সোপ্লাজম
(G) অ্যাক্সন হিলক

উত্তর –

ডানস্তম্ভবামস্তম্ভ
(1) স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক(B) নিউরোন
(2) এন্ডব্রাশ(E) প্রান্তীয় নব
(3) অ্যাক্সনের ভিতরের আবরণী(A) অ্যাক্সোলেমা
(4) অ্যাক্সনের বাইরের আবরণী(C) নিউরিলেমা
(5) নিউরোনের সাইটোপ্লাজম(F) অ্যাক্সোপ্লাজম
(6) অ্যাক্সন ও কোশদেহের সংযোগস্থল(G) অ্যাক্সন হিলক

ডানস্তম্ভবামস্তম্ভ
(1) মেডুলেটেড স্নায়ুকোশ(A) নিউরোট্রান্সমিটার
(2) নন্-মেডুলেটেড স্নায়ুকোশ(B) সংজ্ঞাবহ স্নায়ু
(3) হাইপোগ্লসাল(C) স্নায়ুসন্নিধি
(4) ফেসিয়াল(D) চেষ্টীয় স্নায়ু
(5) অডিটরি(E) মস্তিষ্কের ধূসর বস্তুতে বর্তমান
(6) অ্যাসিটাইলকোলিন(F) মিশ্র স্নায়ু
(G) মস্তিষ্কের শ্বেত বস্তুতে বর্তমান

উত্তর –

ডানস্তম্ভবামস্তম্ভ
(1) মেডুলেটেড স্নায়ুকোশ(G) মস্তিষ্কের শ্বেত বস্তুতে বর্তমান
(2) নন্-মেডুলেটেড স্নায়ুকোশ(E) মস্তিষ্কের ধূসর বস্তুতে বর্তমান
(3) হাইপোগ্লসাল(D) চেষ্টীয় স্নায়ু
(4) ফেসিয়াল(F) মিশ্র স্নায়ু
(5) অডিটরি(B) সংজ্ঞাবহ স্নায়ু
(6) অ্যাসিটাইলকোলিন(A) নিউরোট্রান্সমিটার

বিসদৃশ শব্দাট বেছে লেখো

প্রশ্নউত্তর ও উত্তর-সূত্র
প্রাণীদেহ, উদ্ভিদদেহ, স্নায়ুকোশ, নিউরোগ্লিয়া।উদ্ভিদদেহ। [সূত্র – উদ্ভিদদেহ ছাড়া বাকিগুলি সম্পর্কযুক্ত। স্নায়ুকোশ ও নিউরোগ্লিয়া প্রাণীদেহে পাওয়া যায়।]
অ্যাক্সোলেমা, নিউরিলেমা, নিউরোপ্লাজম, র‍্যানভিয়ারের পর্ব।নিউরোপ্লাজম। [সূত্র – নিউরোপ্লাজম ছাড়া বাকিগুলি অ্যাক্সনের অংশ।]
নিউরোফ্রাইব্রিল, নিউরোপ্লাজম, নিউরোসাইটন, নিউরোগ্লিয়া।নিউরোগ্লিয়া। [সূত্র – নিউরোগ্লিয়া ছাড়া বাকিগুলি নিউরোনের অংশ।]
নিম্ন দানা, সক্রিয় সেন্ট্রোজোম, নিউরোফাইব্রিল, নিউক্লিয়াস।সক্রিয় সেন্ট্রোজোম। [সূত্র – বাকিগুলি স্নায়ুকোশের গঠনগত বৈশিষ্ট্য।]
র‍্যানভিয়ারের পর্ব, মায়েলিন আবরণী, অ্যাক্সোলেমা, ডেনড্রন।ডেনড্রন। [সূত্র – বাকিগুলি অ্যাক্সন-সংক্রান্ত বিষয়।]
ভেগাস নার্ভ, ফেসিয়াল নার্ভ, গ্লসোফ্যারেঞ্জিয়াল নার্ভ, অপটিক নার্ভ।অপটিক নার্ভ। [সূত্র – অপটিক নার্ভ ছাড়া বাকিগুলি মিশ্র স্নায়ু।]
অ্যাক্সোলেমা, নিউরিলেমা, পেরিনিউরিয়াম, মায়েলিন সিদ্‌।পেরিনিউরিয়াম। [সূত্র – বাকিগুলি নিউরোনের আবরণ, পেরিনিউরিয়াম স্নায়ু গঠনকারী স্তর।]

নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও।

নিউরোনের ক্ষুদ্র প্রবর্ধক : ডেনড্রন : : নিউরোনের দীর্ঘ প্রবর্ধক : ____

উত্তর – অ্যাক্সন।

অ্যাক্সনের সাইটোপ্লাজম : অ্যাক্সোপ্লাজম : : স্নায়ুকোশদেহের সাইটোপ্লাজম : ____

উত্তর – নিউরোপ্লাজম।

উদ্দীপনা গ্রহণ : ডেনড্রন : : উদ্দীপনা প্রেরণ : ____

উত্তর – অ্যাক্সন।

স্নায়ুকোশদেহ সমন্বয় : গ্যাংলিয়ন : : অ্যাক্সন সমন্বয় : ____

উত্তর – নার্ভ/স্নায়ু।

অপটিক : অন্তর্বাহী স্নায়ু : : অকিউলোমোটর : ____

উত্তর – বহির্বাহী স্নায়ু।

নিউরোট্রান্সমিটার : অ্যাসিটাইলকোলিন : : নিউরোহরমোন : ____

উত্তর – ভ্যাসোপ্রেসিন।

মিশ্র স্নায়ু : ভেগাস : : সংজ্ঞাবহ স্নায়ু : ____

উত্তর – অপটিক স্নায়ু।

দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও

পরিবেশের পরিবর্তন অনুভব করাকে কী বলে?

পরিবেশের পরিবর্তন অনুভব করাকে সংবেদন বলে।

গ্রাহক থেকে উদ্দীপনা স্নায়ু দ্বারা কোন্ অংশে বাহিত হয়?

গ্রাহক থেকে উদ্দীপনা স্নায়ু দ্বারা স্নায়ুকেন্দ্র বাহিত হয়।

কারক অঙ্গের কাজ কী?

স্নায়ু উদ্দীপনা স্নায়ু দিয়ে কারকে বাহিত হলে তা দেহে সাড়াপ্রদানে সাহায্য করে।

স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একককে কী বলে?

স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একককে নিউরোন বা স্নায়ুকোশ বলে।

বিভাজন ক্ষমতাবিহীন একটি প্রাণীকোশের নাম লেখো।

বিভাজন ক্ষমতাবিহীন একটি প্রাণীকোশের নাম নিউরোন বা স্নায়ুকোশ।

নিউরোনের প্রধান অংশগুলি নাম লেখো।

নিউরোনের প্রধান অংশগুলি হল – কোশদেহ, অ্যাক্সন ও ডেনড্রন।

স্নায়ুকোশের স্বল্প দীর্ঘ প্রবর্ধকের নাম কী?

স্নায়ুকোশের স্বল্প দীর্ঘ প্রবর্ধকের নাম ডেনড্রন।

স্নায়ুকোশের দীর্ঘ চেষ্টীয় প্রবর্ধকের নাম কী?

স্নায়ুকোশের দীর্ঘ চেষ্টীয় প্রবর্ধকের নাম অ্যাক্সন।

নিউরোনের কোশদেহের অপর নাম কী?

নিউরোনের কোশদেহের অপর নাম পেরিক্যারিয়ন বা নিউরোসাইটন।

নিউরোনের কোশদেহের মধ্যে অবস্থিত ঘন সাইটোপ্লাজমকে কী বলে?

নিউরোনের কোশদেহের মধ্যে অবস্থিত ঘন সাইটোপ্লাজমকে নিউরোপ্লাজম বলে।

সমগ্র নিউরোপ্লাজম জুড়ে অসংখ্য সূক্ষ্ম তন্তুর মতো যে অংশ ছড়িয়ে থাকে, তাদের কী বলে?

সমগ্র নিউরোপ্লাজম জুড়ে অসংখ্য সূক্ষ্ম তন্তুর মতো যে অংশ ছড়িয়ে থাকে, তাদের নিউরোফাইব্রিল বলে।

নিসল দানার ভৌত-রাসায়নিক প্রকৃতি কী?

নিসল দানা রাসায়নিক প্রকৃতিতে হল নিউক্লিওপ্রোটিন।

স্নায়ুকোশের কোন্ অংশ পূর্ববর্তী স্নায়ুকোশ থেকে স্নায়ুস্পন্দন গ্রহণ করে কোশদেহে পাঠায়?

স্নায়ুকোশের ডেনড্রন অংশ পূর্ববর্তী স্নায়ুকোশ থেকে স্নায়ুস্পন্দন গ্রহণ করে কোশদেহে পাঠায়।

স্নায়ুকোশের কোন্ অংশ কোশদেহ থেকে স্নায়ুস্পন্দন পরবর্তী স্নায়ুকোশে পৌঁছোতে সাহায্য করে?

স্নায়ুকোশের অ্যাক্সন অংশ কোশদেহ থেকে স্নায়ুস্পন্দন পরবর্তী স্নায়ুকোশে পৌঁছোতে সাহায্য করে।

অ্যাক্সন হিলক কোন্ অংশকে বলে?

নিউরোনের কোশদেহ ও অ্যাক্সনের সংযোগস্থলকে অ্যাক্সন হিলক বলে।

অ্যাক্সনের আবরণীগুলি কী কী?

অ্যাক্সোলেমা, মায়েলিন আবরণী ও নিউরিলেমা।

নিউরিলেমা কাকে বলে?

সোয়ান কোশের বাইরের পর্দা বা সোয়ান পর্দা যা অ্যাক্সনের সবচেয়ে বাইরে আবরণরূপে বিন্যস্ত থাকে, তাকে নিউরিলেমা বলে।

অ্যাক্সনের বাইরে অবস্থিত স্নেহপদার্থ (স্ফিনগোমায়েলিন) নির্মিত আবরণকে কী বলে?

অ্যাক্সনের বাইরে অবস্থিত স্নেহপদার্থ (স্ফিনগোমায়েলিন) নির্মিত আবরণকে মায়েলিন পর্দা বা মায়েলিন আবরণী বলে।

মায়েলিন বা মেডুলারি আচ্ছাদনযুক্ত নিউরোনকে কী বলে?

মায়েলিন বা মেডুলারি আচ্ছাদনযুক্ত নিউরোনকে মায়েলিনেটেড বা মেডুলেটেড নিউরোন বলে।

মায়েলিন আচ্ছাদন না থাকলে সেই নিউরোনকে তুমি কী বলবে?

নন্-মায়েলিনেটেড বা নন্-মেডুলেটেড নিউরন।

মায়েলিন আবরণীর একটি কাজ লেখো।

মায়েলিন আবরণীর কাজ হল অ্যাক্সনের ওপর অন্তরক আবরণ গঠন করে স্নায়ু উদ্দীপনা পরিবহণে সাহায্য করা ও অ্যাক্সনকে সুরক্ষা প্রদান করা।

নিউরোনে মায়েলিন আবরণ না থাকলে কী অসুবিধা হবে?

নিউরোনে মায়েলিন আবরণী না থাকলে স্নায়ু উদ্দীপনা দ্রুত ও কার্যকরীভাবে পরিবাহিত হতে পারবে না।

সোয়ান কোশের কাজ কী?

সোয়ান কোশের কাজ হল অ্যাক্সনের মায়েলিন আবরণ সৃষ্টি করা।

অ্যাক্সনের শেষ প্রান্ত সূক্ষ্ম শাখান্বিত হয়ে কী গঠন করে?

অ্যাক্সনের শেষ প্রান্ত সূক্ষ্ম শাখান্বিত হয়ে প্রান্তবুরুশ গঠন করে।

স্নায়ু কাকে বলে?

প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের অন্তর্গত রক্তবাহ সমন্বিত যোগকলা দ্বারা আবৃত অ্যাক্সনগুচ্ছ যা উদ্দীপনা বহন করে, তাকে স্নায়ু বা নার্ভ বলে।

দুটি চেষ্টীয় স্নায়ুর নাম লেখো।

দুটি চেষ্টীয় স্নায়ুর নাম ট্রকলিয়ার স্নায়ু এবং হাইপোগ্লসাল স্নায়ু।

ক্ষুদ্রতম করোটি স্নায়ুর নাম কী?

ক্ষুদ্রতম করোটি স্নায়ুর নাম অলফ্যাক্টরি স্নায়ু।

মানবদেহের দীর্ঘতম স্নায়ুর নাম কী?

মানবদেহের দীর্ঘতম স্নায়ুর নাম সায়াটিক স্নায়ু।

পরপর অবস্থিত দুটি নিউরোনের সংযোগস্থলকে কী বলা হয়?

পরপর অবস্থিত দুটি নিউরোনের সংযোগস্থলকে স্নায়ুসন্নিধি বা সাইন্যাপস্ বলা হয়।

সাইন্যাপস্ -এর অবস্থান লেখো।

একটি নিউরোনের অ্যাক্সনের প্রান্তীয় নব ও অপর নিউরোনের ডেনড্রন বা কোশদেহ বা অ্যাক্সনের মধ্যবর্তী স্থানে সাইন্যাপস্ অবস্থিত।

সাইন্যাপস্ -এর দুটি নিউরোনের অন্তর্বর্তী ফাঁকা স্থানকে কী বলে?

সাইন্যাপস্ -এর দুটি নিউরোনের অন্তর্বর্তী ফাঁকা স্থানকে সাইন্যাপটিক ক্লেফট বলে।

সাইন্যাপস্ -এর কাজ কী?

একটি নিউরোন থেকে পরবর্তী নিউরোনে উদ্দীপনা প্রেরণের কাজ করে সাইন্যাপস্।

একটি উদ্দীপকধর্মী নিউরোট্রান্সমিটারের উদাহরণ দাও।

একটি উদ্দীপকধর্মী নিউরোট্রান্সমিটারের উদাহরণ অ্যাসিটাইলকোলিন।

নিউরোট্রান্সমিটার কোথায় থাকে?

অ্যাক্সনের শেষপ্রান্তে সাইন্যাপটিক নবের মধ্যে অবস্থিত সাইন্যাপটিক ভেসিকলে নিউরোট্রান্সমিটার থাকে।


স্নায়ুতন্ত্রের প্রকারভেদ; মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ড; প্রতিবর্ত ক্রিয়া ও প্রতিবর্ত পথ

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্নায়ুতন্তুতে যা অনুপস্থিত তা হল –

  1. নিউরিলেমা
  2. অ্যাক্সন
  3. অক্ষতন্তু
  4. ধূসর বস্তু

উত্তর – 1. নিউরিলেমা

কোন্ প্রাণীটির কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রটি ফাঁপা?

  1. আরশোলার
  2. জোঁকের
  3. মানুষের
  4. হাইড্রা-র 

উত্তর – 3. মানুষের

মানবদেহে করোটি স্নায়ুর সংখ্যা সঠিকভাবে নিরূপণ করো।

  1. 10 জোড়া
  2. 31 জোড়া
  3. 12 জোড়া
  4.  21 জোড়া

উত্তর – 3. 12 জোড়া

মানুষের সুষুম্নাস্নায়ুর সংখ্যা হল –

  1. 31 জোড়া
  2. 30 জোড়া
  3. 12 জোড়া
  4. 10 জোড়া

উত্তর – 1. 31 জোড়া

পরিণত মানুষের মস্তিষ্কের ওজন প্রায় –

  1. 0.36kg
  2. 1.36kg
  3. 2.36kg
  4. 3.36kg

উত্তর – 2. 1.36kg

মানব-মস্তিষ্কের ভেন্ট্রিকল বা প্রকোষ্ঠ সংখ্যা হল –

  1. 2টি
  2. 3টি
  3. 4টি
  4. 5টি

উত্তর – 3. 4টি

অগ্রমস্তিষ্কের সর্বাপেক্ষা বড়ো অংশ হল –

  1. সেরিবেলাম
  2. সেরিব্রাম
  3. থ্যালামাস
  4. হাইপোথ্যালামাস

উত্তর – 2. সেরিব্রাম

মস্তিষ্কের সবচেয়ে ছোটো অংশ হল –

  1. গুরুমস্তিষ্ক
  2. লঘুমস্তিষ্ক
  3. অক্ষিগোলক
  4. মধ্যমস্তিষ্ক

উত্তর – 4. মধ্যমস্তিষ্ক

কোনটি গুরুমস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়?

  1. স্মৃতি
  2. হৃৎস্পন্দন
  3. অক্ষিপল্লব সঞ্চালন
  4. দেহের ভারসাম্য

উত্তর – 1. স্মৃতি

গুরুমস্তিষ্কের দুটি সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ারের যোজক হল –

  1. পনস্
  2. করপাস
  3. ক্যালোসাম ভারমিস
  4. থ্যালামাস

উত্তর – 2. করপাস

দর্শন অনুভূতি মস্তিষ্কের যে অংশ নিয়ন্ত্রণ করে তা হল –

  1. হাইপোথ্যালামাস
  2. লঘুমস্তিষ্ক
  3. গুরুমস্তিষ্ক
  4. সুষুম্নাশীর্ষক

উত্তর – 3. গুরুমস্তিষ্ক

করপাস ক্যালোসাম মস্তিষ্কের কোন্ অংশে থাকে?

  1. গুরুমস্তিষ্কে
  2. রেখমস্তিষ্কে
  3. মধ্যমস্তিষ্কে
  4. পশ্চাদমস্তিষ্কে

উত্তর – 1. গুরুমস্তিষ্কে

দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত মস্তিষ্কের অংশ হল –

  1. সুষুম্নাশীর্ষক
  2. থ্যালামাস
  3. লঘুমস্তিষ্ক
  4. গুরুমস্তিষ্ক

উত্তর – 3. লঘুমস্তিষ্ক

দৈহিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত মানব মস্তিষ্কের অংশটি হল –

  1. থ্যালামাস
  2. লঘুমস্তিষ্ক
  3. হাইপোথ্যালামাস
  4. সুষুম্নাশীর্ষক

উত্তর – 3. হাইপোথ্যালামাস

রিলে কেন্দ্র বলা হয় –

  1. থ্যালামাসকে
  2. হাইপোথ্যালামাসকে
  3. সেরিব্রামকে
  4. সেরিবেলামকে

উত্তর – 1. থ্যালামাসকে

পশ্চাদমস্তিষ্কের অংশ হল –

  1. পনস্
  2. সেরিবেলাম
  3. সুষুম্নাশীর্ষক
  4. সবগুলি

উত্তর – 4. সবগুলি

লঘুমস্তিষ্কের যোজক হল –

  1. পনস্
  2. ভারমিস
  3. করপাস ক্যালোসাম
  4. থ্যালামাস

উত্তর – 2. ভারমিস

সুষুম্নাকাণ্ডের নালীটিকে বলে –

  1. অলিন্দ
  2. কেন্দ্রীয় নালী
  3. নিলয়
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 2. কেন্দ্রীয় নালী

সুষুম্নাস্নায়ুর চেষ্টীয় নিউরোন সুষুম্নাকাণ্ডের কোন্ অংশ থেকে নির্গত হয়?

  1. পৃষ্ঠীয় শৃঙ্গ
  2. অঙ্কীয় শৃঙ্গ
  3. পার্শ্বীয় শৃঙ্গ
  4. নিউরোসিল 

উত্তর – 2. অঙ্কীয় শৃঙ্গ

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বাইরের আবরণের নাম –

  1. প্লুরা
  2. পেরিকার্ডিয়াম
  3. পেরিটোনিয়াম
  4. মেনিনজেস

উত্তর – 4. মেনিনজেস

মেনিনজেসের একেবারে বাইরের স্তরের নাম –

  1. পিয়ামেটার
  2. ডুরামেটার
  3. অ্যারাকনয়েড মেটার
  4. গ্রে ম্যাটার

উত্তর – 2. ডুরামেটার

নীচের যেটি মেনিনজেস -এর অংশ নয়, সেটি হল –

(A) ডুরামেটার 
(B) গ্রে ম্যাটার
(C) অ্যারাকনয়েড মেটার 
(D) পিয়ামেটার

উত্তর – (B) গ্রে ম্যাটার

ভিতর থেকে বাইরের দিকে মেনিনজেস পর্দার স্তরগুলি হল –

  1. পিয়ামেটার-ডুরামেটার-অ্যারাকনয়েড মেটার
  2. অ্যারাকনয়েড মেটার-পিয়ামেটার-ডুরামেটার
  3. ডুরামেটার-অ্যারাকনয়েড মেটার-পিয়ামেটার
  4. পিয়ামেটার-অ্যারাকনয়েড মেটার-ডুরামেটার

উত্তর – 4. পিয়ামেটার-অ্যারাকনয়েড মেটার-ডুরামেটার

সুষুম্নাকাণ্ডের কেন্দ্রীয় নালীতে যে তরল পদার্থ থাকে, তা হল –

  1. লসিকা
  2. সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড
  3. নিউরোহিউমর
  4. সিরাম 

উত্তর – 2. সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডের পরিমাণ প্রায় –

  1. 100ml
  2. 150 ml
  3. 200 ml
  4. 250 ml

উত্তর – 2. 150 ml

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশে CSF উপস্থিত, সেটি হল –

  1. মস্তিষ্কের গহ্বর
  2. সুষুম্নাকাণ্ডের কেন্দ্রীয় নালী
  3. উভয়
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 3. উভয়

প্রতিবর্ত ক্রিয়ার নিয়ন্ত্রক হল –

  1. মস্তিষ্ক
  2. স্নায়ুগ্রন্থি
  3. নিউরোগ্লিয়া
  4. সুষুম্নাকাণ্ড

উত্তর – 4. সুষুম্নাকাণ্ড

সুস্বাদু খাবার দেখে লালাক্ষরণ হল একধরনের –

  1. অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া
  2. সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া
  3. মস্তিষ্কের ক্রিয়া
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 2. সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া

নীচের কোনটি শর্তাধীন প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণ?

  1. মানুষ দেখে গোল্ডফিশের অ্যাকোয়ারিয়ামের সামনে (খাদ্যের জন্য) চলে আসা
  2. গরম জল থেকে হাত সরিয়ে নেওয়া
  3. শিশুর স্তন্যপান
  4. পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখ থেকে জল পড়া

উত্তর – 1. মানুষ দেখে গোল্ডফিশের অ্যাকোয়ারিয়ামের সামনে (খাদ্যের জন্য) চলে আসা

নীচের কোনটি সঠিক প্রতিবর্ত পথ?

  1. গ্রাহক → কারক → বহির্বাহী স্নায়ু → স্নায়ুকেন্দ্র → অন্তর্বাহী স্নায়ু
  2. স্নায়ুকেন্দ্র → গ্রাহক → অন্তর্বাহী স্নায়ু → কারক → বহির্বাহী স্নায়ু
  3. বহির্বাহী স্নায়ু → গ্রাহক → অন্তর্বাহী স্নায়ু → স্নায়ুকেন্দ্র → কারক
  4. গ্রাহক → অন্তর্বাহী স্নায়ু → স্নায়ুকেন্দ্র → বহির্বাহী স্নায়ু → কারক 

উত্তর – 4. গ্রাহক → অন্তর্বাহী স্নায়ু → স্নায়ুকেন্দ্র → বহির্বাহী স্নায়ু → কারক

শূন্যস্থান পূরণ করো

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে নির্গত সমস্ত ____ নিয়ে গঠিত হয় প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র।

উত্তর – কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে নির্গত সমস্ত স্নায়ু নিয়ে গঠিত হয় প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র।

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্ফীত ও পরিবর্ধিত অগ্রাংশকে ____ বলে।

উত্তর – কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্ফীত ও পরিবর্ধিত অগ্রাংশকে মস্তিষ্ক বলে।

মেরুদণ্ডী প্রাণীর মস্তিষ্ক ____ গহ্বরে অবস্থান করে।

উত্তর – মেরুদণ্ডী প্রাণীর মস্তিষ্ক করোটি গহ্বরে অবস্থান করে।

মস্তিষ্কের সর্ববৃহৎ অংশটির নাম ____।

উত্তর – মস্তিষ্কের সর্ববৃহৎ অংশটির নাম গুরুমস্তিষ্ক।

গুরুমস্তিষ্কের বহির্দেশের ভাঁজগুলিকে ____ বলে।

উত্তর – গুরুমস্তিষ্কের বহির্দেশের ভাঁজগুলিকে জাইরাস বলে।

গুরুমস্তিষ্কের পরিধিসংলগ্ন বহির্ভাগকে ____ বলে।

উত্তর – গুরুমস্তিষ্কের পরিধিসংলগ্ন বহির্ভাগকে সেরিব্রাল কর্টেক্স বলে।

মানুষের উচ্চ মানসিক গুণাবলি নিয়ন্ত্রিত ____ হয় দ্বারা।

উত্তর – মানুষের উচ্চ মানসিক গুণাবলি নিয়ন্ত্রিত গুরুমস্তিষ্ক হয় দ্বারা।

লঘুমস্তিষ্কের গোলার্ধদ্বয় ____ নামক স্নায়ু-যোজক দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে।

উত্তর – লঘুমস্তিষ্কের গোলার্ধদ্বয় ভারমিস নামক স্নায়ু-যোজক দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে।

____ দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।

উত্তর – লঘুমস্তিষ্ক দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।

____ থেকে উৎপন্ন সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনাজাত অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়াকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।

উত্তর – সুষুম্নাকাণ্ড থেকে উৎপন্ন সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনাজাত অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়াকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।

জন্মলব্ধ প্রতিবর্ত ক্রিয়াগুলি হল ____ প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

উত্তর – জন্মলব্ধ প্রতিবর্ত ক্রিয়াগুলি হল সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

প্রতিবর্ত ক্রিয়ার স্নায়ুপথকে ____ বলে।

উত্তর – প্রতিবর্ত ক্রিয়ার স্নায়ুপথকে প্রতিবর্ত পথ বলে।

মানবমস্তিষ্কের তিনস্তরযুক্ত আবরণী স্তরগুলিকে একত্রে ____ বলে।

উত্তর – মানবমস্তিষ্কের তিনস্তরযুক্ত আবরণী স্তরগুলিকে একত্রে মেনিনজেস বলে।

সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো

সহযোগী নিউরোন কেবলমাত্র প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রে থাকে।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – সহযোগী বা ইনটারনিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ।]

আন্তরযন্ত্রের পেশির ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – আন্তরযন্ত্রের পেশির ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র।]

মধ্যমস্তিষ্ক থ্যালামাস ও হাইপোথ্যালামাস নিয়ে গঠিত।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এরা অগ্রমস্তিষ্কের অংশ, মধ্যমস্তিষ্কের অংশ হল টেকটাম ও সেরিব্রাল পেডাংকল।]

মস্তিষ্কের শেষ অংশটি হল মেডালা অবলংগাটা।

উত্তর – সত্য [সূত্র – মেডালা অবলংগাটা মস্তিষ্কের পনস অংশের সাথে সুষুম্নাকাণ্ডের সংযোগ ঘটায়।]

মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের বাইরের আবরণীকে মেনিনজেস বলা হয়।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এটি আবরণরূপে মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে।]

জন্মের সঙ্গে সঙ্গে স্তন্যপানের ইচ্ছা হল একপ্রকার অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এটি একটি জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।]

মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের বাইরের দিকে ধূসর বস্তু থাকে।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে বাইরের দিকে ধূসর বস্তু থাকে, সুষুম্নাকাণ্ডে তা কেন্দ্রে থাকে।]

কাশি হল অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এটি জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।]

মস্তিষ্ক নিলয় কাকে বলে?

মানব মস্তিষ্কের চারটি প্রকোষ্ঠ বর্তমান যারা পরস্পর বিভিন্ন ছিদ্র বা নালী দ্বারা যুক্ত এবং এদের মধ্যে মস্তিষ্ক মেরুরস অবস্থান করে। এই প্রকোষ্ঠগুলিকে মস্তিষ্ক নিলয় বলে।

ব্রেন স্টেম (brain stem) কাকে বলে?

মানব মস্তিষ্কের পশ্চাদভাগের যে অংশ সুষুম্নাকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকে, তাকে ব্রেন স্টেম (brain stem) বলে। এটি পনস্, মধ্যমস্তিষ্ক ও মেডালা অবলংগাটা-র সমন্বয়ে গঠিত।

স্তম্ভ মেলাও

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
(1) প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতিশক্তি, দর্শন, শ্রবণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা(A) থ্যালামাসের কাজ
(2) দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা(B) হাইপোথ্যালামাসের কাজ
(3) চাপ, তাপ, বেদনা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা(C) গুরুমস্তিষ্কের কাজ
(4) ক্ষুধা, তৃষ্না, খাদ্যগ্রহণ, নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা(D) লঘুমস্তিষ্কের কাজ
(5) প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা(E) মধ্যমস্তিষ্কের কাজ
(6) হৃৎস্পন্দন, শ্বাসক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা(F) পনসের কাজ
(G) সুষুম্নাকাণ্ডের কাজ

উত্তর –

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
(1) প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতিশক্তি, দর্শন, শ্রবণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা(C) গুরুমস্তিষ্কের কাজ
(2) দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা(D) লঘুমস্তিষ্কের কাজ
(3) চাপ, তাপ, বেদনা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা(A) থ্যালামাসের কাজ
(4) ক্ষুধা, তৃষ্না, খাদ্যগ্রহণ, নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা(B) হাইপোথ্যালামাসের কাজ
(5) প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা(G) সুষুম্নাকাণ্ডের কাজ
(6) হৃৎস্পন্দন, শ্বাসক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা(F) পনসের কাজ

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
(1) লঘুমস্তিষ্কের অঙ্কীয়তলে সুস্পষ্ট ছোটো উত্তল অংশ(A) করপাস ক্যালোসাম
(2) গুরুমস্তিষ্কের গোলার্ধ-দ্বয়ের যোজক(B) কেন্দ্রীয় নালী
(3) সুষুম্নাকাণ্ডের ভিতর যে গহ্বর থাকে(C) মধ্যমস্তিষ্ক
(4) মস্তিষ্কের ভিতর যে প্রকোষ্ঠ থাকে(D) পনস্
(5) পনস্ ও সুষুম্নাকাণ্ডের যোজক(E) মেডালা অবলংগাটা
(6) অগ্র ও পশ্চাদ্‌ মস্তিষ্কের যোজক(F) CSF
(G) ভেন্ট্রিকল

উত্তর –

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
(1) লঘুমস্তিষ্কের অঙ্কীয়তলে সুস্পষ্ট ছোটো উত্তল অংশ(D) পনস্
(2) গুরুমস্তিষ্কের গোলার্ধ-দ্বয়ের যোজক(A) করপাস ক্যালোসাম
(3) সুষুম্নাকাণ্ডের ভিতর যে গহ্বর থাকে(B) কেন্দ্রীয় নালী
(4) মস্তিষ্কের ভিতর যে প্রকোষ্ঠ থাকে(G) ভেন্ট্রিকল
(5) পনস্ ও সুষুম্নাকাণ্ডের যোজক(E) মেডালা অবলংগাটা
(6) অগ্র ও পশ্চাদ্‌ মস্তিষ্কের যোজক(C) মধ্যমস্তিষ্ক

নীচের চারটি বিষয়ের মধ্যে তিনটি একটি বিষয়ের অন্তর্গত। সে বিষয়টি খুঁজে বার করে নাম লেখো।

প্রশ্নউত্তর ও উত্তর-সূত্র
মস্তিষ্ক, সেরিব্রাল, সেরিবেলাম, পনস।মস্তিষ্ক। [সূত্র – বাকিগুলি মস্তিষ্কের নানা অংশ।]
থ্যালামাস, সেরিব্রাল কর্টেক্স, অগ্রমস্তিষ্ক, হাইপোথ্যালামাস।অগ্রমস্তিষ্ক। [সূত্র – বাকিগুলি অগ্রমস্তিষ্কের গঠনগত অংশসমূহ।]
পনস্, লঘুমস্তিষ্ক, সুষুম্নাশীর্ষক, পশ্চাদদ্মস্তিষ্ক।পশ্চাদদ্মস্তিষ্ক। [সূত্র – বাকিগুলি পশ্চাদ্মস্তিষ্কের গঠনগত অংশসমূহ।]
প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, শ্বাসকার্য নিয়ন্ত্রণ, সুষুম্নাশীর্ষকের কাজ, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ।সুষুম্নাশীর্ষকের কাজ। [সূত্র – বাকিগুলি সুষুম্নাশীর্ষকের বিভিন্ন কাজসমূহ।]
মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, সুষুম্নাকাণ্ড, করোটি স্নায়ু।স্নায়ুতন্ত্র। [সূত্র – বাকিগুলি স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত অংশসমূহ।]
ডুরামেটার, মেনিনজেস, পিয়ামেটার, অ্যারাকনয়েড মেটার।মেনিনজেস। [সূত্র – অপর তিনটি ক্ষেত্রে মেনিনজেস পর্দার গঠনগত স্তরগুলি উল্লিখিত হয়েছে।]
তীব্র আলোতে চোখ বোজা, আগুন থেকে হাত সরিয়ে নেওয়া, জন্মগত প্রতিবর্ত, পিন ফুটলে পা সরিয়ে নেওয়া।জন্মগত প্রতিবর্ত। [সূত্র – অপর তিনটি ক্ষেত্রে নানা প্রকার জন্মগত বা সহজাত প্রতিবর্তের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।]
রিফ্লেক্স আর্ক, সেনসরি নিউরোন, মোটর নিউরোন, অ্যাডজাস্টর নিউরোন।রিফ্লেক্স আর্ক। [সূত্র – বাকিগুলি রিফ্লেক্স আর্ক-এর উপাদানসমূহ।]

নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও।

সুষুম্নাকাণ্ড : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র : : সুষুম্না স্নায়ু : ____

উত্তর – প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র।

টেলেনসেফালন : অগ্রমস্তিষ্ক : : মেটেনসেফালন : ____

উত্তর – পশ্চাদমস্তিষ্ক।

করপাস ক্যালোসাম : গুরুমস্তিষ্ক : : ভারমিস : ____

উত্তর – লঘুমস্তিষ্ক।

মানুষের করোটি স্নায়ু : 12 জোড়া : : মানুষের সুষুম্না স্নায়ু : ____

উত্তর – 31 জোড়া।

বুদ্ধি ও স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ : সেরিব্রাম : : তৃষ্ণা ও খিদে নিয়ন্ত্রণ : ____

উত্তর – হাইপোথ্যালামাস।

শ্বাসকার্য নিয়ন্ত্রণ : পনস : : দেহ ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ : ____

উত্তর – সেরিবেলাম/লঘুমস্তিষ্ক।

দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও

দুটি কারকের নাম লেখো।

দুটি কারকের নাম পেশি ও গ্রন্থি।

ইনটারনিউরন কোথায় থাকে?

ইনটারনিউরন সুষুম্নাকাণ্ডে থাকে ও প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় সাহায্য করে।

CNS -এর পুরো কথাটি কী?

CNS -এর পুরো কথাটি হল সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম।

PNS -এর পূর্ণ নাম লেখো।

PNS -এর পূর্ণ নাম হল পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম।

ANS -এর সম্পূর্ণ নাম লেখো।

ANS -এর সম্পূর্ণ নাম হল অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম।

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র কী কী অংশ নিয়ে গঠিত?

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড নিয়ে গঠিত।

মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড থেকে উৎপন্ন স্নায়ুগুলি নিয়ে কোন্ প্রকার স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয়?

মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড থেকে উৎপন্ন স্নায়ুগুলি নিয়ে প্রান্তস্থ বা প্রান্তীয় বা পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয়।

দেহের বিভিন্ন আন্তরযন্ত্র, অনৈচ্ছিক পেশির ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে কোন্ প্রকার স্নায়ুতন্ত্র?

দেহের বিভিন্ন আন্তরযন্ত্র, অনৈচ্ছিক পেশির ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র।

মানবমস্তিষ্কের প্রধান তিনটি অংশগুলি কী কী?

মানবমস্তিষ্কের প্রধান তিনটি অংশ হল অগ্রমস্তিষ্ক, মধ্যমস্তিষ্ক এবং পশ্চাদমস্তিষ্ক।

মধ্যমস্তিষ্কের প্রধান অংশ দুটি কী কী?

মধ্যমস্তিষ্কের প্রধান অংশ দুটি হল সেরিব্রাল পেডাংকল ও টেকটাম।

পশ্চাদমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশগুলি কী কী?

পশ্চাদমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশগু হল লঘুমস্তিষ্ক, পনস্ ও মেডালা অবলংগাটা।

গুরুমস্তিষ্কের কোথায় ধূসর বস্তু ও শ্বেত বস্তু থাকে?

গুরুমস্তিষ্কের বহির্ভাগে ধূসর বস্তু ও অন্তর্ভাগে শ্বেত বস্তু থাকে।

মস্তিষ্কের গহ্বরগুলিকে কী বলে?

মস্তিষ্কের গহ্বরগুলিকে ভেন্ট্রিকল বা মস্তিষ্ক নিলয় বলে।

সুষুম্নাকাণ্ডের গহ্বরকে কী বলে?

সুষুম্নাকাণ্ডের গহ্বরকে নিউরোসিল বলে।

সালকাস ও জাইরাস কী?

গুরুমস্তিষ্কের বহির্ভাগে অবস্থিত নীচু খাঁজগুলিকে সালকাস এবং উঁচু ভাঁজগুলিকে জাইরাস বলে।

দেহের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

দেহের উষ্ণতা বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র হাইপোথ্যালামাস-এ অবস্থিত।

হাঁচি, কাশি, বমি নিয়ন্ত্রণকারী পশ্চাদমস্তিষ্কের অংশটি কী?

হাঁচি, কাশি, বমি নিয়ন্ত্রণকারী পশ্চাদমস্তিষ্কের অংশটি হল মেডালা অবলংগাটা।

সেরিব্রাল পেডাংকল কী?

মধ্যমস্তিষ্কের যে অংশ থ্যালামাসের সাথে পশ্চাদমস্তিষ্ক ও মধ্যমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের স্নায়বিক উদ্দীপনা প্রেরণের মাধ্যমে সংযোগ রক্ষা করে, তাকে সেরিব্রাল পেডাংকল বলে।

সুষুম্নাকাণ্ডের ধূসর বস্তু ও শ্বেত বস্তুর অবস্থান লেখো।

সুষুম্নাকাণ্ডের ভিতর দিকে ধূসর বস্তু ও বাইরের দিকে শ্বেত বস্তু থাকে।

কোন্ বিজ্ঞানী সহজাত ও অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেন?

বিজ্ঞানী ইভান প্যাভলভ।

মেরুদণ্ডী প্রাণীদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের চারপাশে যে রক্ষামূলক আবরণ থাকে তার নাম কী?

মেরুদণ্ডী প্রাণীদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের চারপাশে যে রক্ষামূলক আবরণ থাকে তার নাম মেনিনজেস।

মেনিনজেস গঠনকারী স্তরগুলির নাম লেখো।

ডুরামেটার, অ্যারাকনয়েড মেটার ও পিয়ামেটার।

মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের গহ্বরে যে রস থাকে তার নাম কী?

মস্তিষ্ক-সুষুম্না রস বা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF)।

প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা reflex action কথাটি কোন্ বিজ্ঞানী প্রথম ব্যবহার করেন?

বিজ্ঞানী শেরিংটন।

আন্তরযন্ত্রীয় প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি উদাহরণ দাও।

আন্তরযন্ত্রীয় প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি উদাহরণ হল পৌষ্টিকনালীর বিচলন।

হাঁচি ও কাশি কোন্ প্রকারের প্রতিবর্ত ক্রিয়া?

হাঁচি ও কাশি সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

হাঁটু ঝাঁকুনি (knee jerk) ও সাইকেল চালানো কোন্ ধরনের প্রতিবর্ত ক্রিয়া?

হাঁটু ঝাঁকুনি একটি সহজাত প্রতিবর্ত, সাইকেল চালানো একটি অর্জিত প্রতিবর্তক্রিয়া।


চোখ-মানুষের জ্ঞানেন্দ্রিয়; উপযোজন; দৃষ্টির ত্রুটি এবং সংশোধন পদ্ধতি

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

চক্ষুর স্বচ্ছ বহিরাবরণ অংশটি হল –

  1. কর্নিয়া
  2. কোরয়েড
  3. রেটিনা
  4. স্ক্লেরা

উত্তর – 1. কর্নিয়া

কোনটি চোখের প্রতিসারক মাধ্যম নয়?

  1. লেন্স
  2. কর্নিয়া
  3. স্কেরা
  4. অ্যাকুয়াস হিউমর

উত্তর – 3. স্কেরা

চোখের রং নীল, কালো বা খয়েরি হয় যে অংশটির বর্ণের জন্য, তা হল –

  1. কর্নিয়া
  2. আইরিস
  3. লেন্স
  4. কোরয়েড

উত্তর – 4. কোরয়েড

যে ছিদ্রের মাধ্যমে চোখে আলো প্রবেশ করে, সেটি হল –

  1. তারারন্ধ্র
  2. কর্নিয়া
  3. কোরয়েড
  4. ককলিয়া

উত্তর – 1. তারারন্ধ্র

চোখের স্নায়ুস্তরটি হল –

  1. স্ক্লেরা
  2. কোরয়েড
  3. রেটিনা
  4. কর্নিয়া

উত্তর – 4. কর্নিয়া

দর্শনের উৎকৃষ্টতম অঞ্চলটি হল –

  1. লেন্স
  2. কর্নিয়া
  3. ফোভিয়া সেন্ট্রালিস
  4. অপটিক ডিস্ক

উত্তর – 3. ফোভিয়া সেন্ট্রালিস

অক্ষিপটের রড কোশ ও কোন কোশবিহীন অঞ্চলটি হল –

  1. ব্ল‍্যাক স্পট
  2. ইয়েলো স্পট
  3. ফোভিয়া
  4. ব্লাইন্ড স্পট

উত্তর – 4. ব্লাইন্ড স্পট

রেটিনা ও অপটিক স্নায়ুর সংযোগস্থলকে বলে –

  1. পীতবিন্দু
  2. কোরয়েড
  3. চক্ষুবিন্দু
  4. অন্ধবিন্দু

উত্তর – 4. অন্ধবিন্দু

পীতবিন্দু হলদে হয় যে রঙ্গকের উপস্থিতির জন্য –

  1. রোডপসিন
  2. আয়োডপসিন
  3. লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 3. লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন

রোডপসিন থাকে –

  1. কোন কোশে
  2. রড কোশে
  3. দেহকোশে
  4. বাহক কোশে

উত্তর – 2. রড কোশে

মৃদু আলোতে দেখতে সাহায্য করে –

  1. কোন কোশ
  2. রড কোশ
  3. ধারক কোশ
  4. বাহক কোশ

উত্তর – 2. রড কোশ

দর্শন অনুভূতি গ্রহণ করে যে স্নায়ু, তা হল –

  1. অলফ্যাকটরি
  2. অডিটরি
  3. অপটিক
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 3. অপটিক

আলোক প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে –

  1. লেন্স
  2. আইরিস
  3. কোরয়েড
  4. রেটিনা

উত্তর – 1. লেন্স

মানুষের চোখের লেন্সের আকৃতি হল –

  1. অবতল
  2. উত্তল
  3. দ্বি-উত্তল
  4. দ্বি-অবতল

উত্তর – 3. দ্বি-উত্তল

মানব চক্ষুতে বর্তমান প্রতিস্থাপনযোগ্য তরল হল –

  1. অ্যাকুয়াস হিউমর
  2. ভিট্রিয়াস হিউমর
  3. উভয়ই
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 1. অ্যাকুয়াস হিউমর

চোখে কর্নিয়া ও লেন্সের মধ্যবর্তী প্রকোষ্ঠে অবস্থিত তরলকে বলে –

  1. পেরিলিম্ফ
  2. এন্ডোলিম্ফ
  3. অ্যাকুয়াস হিউমর
  4. ভিট্রিয়াস হিউমর

উত্তর – 3. অ্যাকুয়াস হিউমর

অশ্রুর মধ্যে পাওয়া যায় এমন একটি উৎসেচক হল –

  1. অ্যামাইলেজ
  2. মলটেজ
  3. লাইসোজাইম
  4. সুক্রেজ

উত্তর – 3. লাইসোজাইম

নিম্নলিখিত কোন্ প্রাণীর একনেত্র দৃষ্টি?

  1. প্যাঁচা
  2. বানর
  3. বাঘ
  4. ব্যাং

উত্তর – 4. ব্যাং

দূরের বস্তুর দেখার ক্ষেত্রে –

  1. লেন্স পুরু হয়
  2. লেন্স সরু হয়
  3. লেন্সের বক্রতা একই থাকে
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 2. লেন্স সরু হয়

নিকটবদ্ধ দৃষ্টি বলা হয় –

  1. প্রেসবায়োপিয়াকে
  2. হাইপারমেট্রোপিয়াকে
  3. মায়োপিয়াকে
  4. ক্যাটার‍্যাক্টকে

উত্তর – 3. মায়োপিয়াকে

তোমার অপটিমেট্রিস্ট তোমার চোখ দেখে −3 ডায়োপ্টার পাওয়ারের লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করতে বললেন। তোমার চোখের সম্ভাব্য ত্রুটিটি হল –

  1. হাইপেরোপিয়া
  2. প্রেসবায়োপিয়া
  3. মায়োপিয়া
  4. ক্যাটার‍্যাক্ট

উত্তর – 3. মায়োপিয়া

রেটিনার পশ্চাতে ফোকাস সৃষ্টি হয় চোখের যে সমস্যায়, তা হল –

  1. মায়োপিয়া
  2. হাইপেরোপিয়া
  3. ক্যাটার‍্যাক্ট
  4. প্রেসবায়োপিয়া

উত্তর – 2. হাইপেরোপিয়া

তোমার বন্ধু দূরের বস্তু দেখে, কিন্তু কাছের বস্তু ঝাপসা ও অস্পষ্ট দেখে। তাকে কোন্ প্রকারের লেন্সযুক্ত চশমা তুমি পড়তে পরামর্শ দেবে?

  1. উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা
  2. অবতল লেন্সযুক্ত চশমা
  3. উভয়েই সঠিক
  4. কোনোটিই সঠিক নয়

উত্তর – 1. উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা

হাইপেরোপিয়া বা প্রেসবায়োপিয়া-র ক্ষেত্রে কোন্ চশমার পাওয়ারটি প্রযোজ্য হতে পারে বলে তুমি মনে কর?

  1. − 2 ডায়োপ্টার
  2. − 4 ডায়োপ্টার
  3. + 1.5 ডায়োপ্টার
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 3. + 1.5 ডায়োপ্টার

যে দৃষ্টিতে নিকটের দৃষ্টি ব্যাহত হয় কিন্তু দূরের দৃষ্টি ঠিক থাকে, তাকে বলে –

(A) মায়োপিয়া
(B) প্রেসবায়োপিয়া
(C) ক্যাটার‍্যাক্ট
(D) নিকটালোপিয়া

উত্তর – (C) ক্যাটার‍্যাক্ট

ফেকো সার্জারি করা হয় মানুষের যে অঙ্গে, সেটি হল –

  1. কর্ণ
  2. চক্ষু
  3. চর্ম
  4. জিহ্বা

উত্তর – 2. চক্ষু

শূন্যস্থান পূরণ করো

করোটির যে দুটি গোলাকার গহ্বরে অক্ষিগোলক সুরক্ষিত থাকে ____ তাকে বলে।

উত্তর – করোটির যে দুটি গোলাকার গহ্বরে অক্ষিগোলক সুরক্ষিত থাকে অক্ষিকোটর তাকে বলে।

কর্নিয়ার ওপরের স্বচ্ছ পাতলা তন্তুময় পর্দাকে ____ বলে।

উত্তর – কর্নিয়ার ওপরের স্বচ্ছ পাতলা তন্তুময় পর্দাকে কনজাংটিভা বলে।

অক্ষিগোলকের সামনে তন্তুময় বহিস্তরের এক-ষষ্ঠাংশে যে স্বচ্ছ পর্দা থাকে, তাকে ____ বলে।

উত্তর – অক্ষিগোলকের সামনে তন্তুময় বহিস্তরের এক-ষষ্ঠাংশে যে স্বচ্ছ পর্দা থাকে, তাকে অচ্ছোদপটল বলে।

শ্বেতমণ্ডলের ঠিক নীচের স্তরটিকে ____ বলে।

উত্তর – শ্বেতমণ্ডলের ঠিক নীচের স্তরটিকে কৃষ্ণমণ্ডল বলে।

আইরিসের মধ্যবর্তী ছিদ্রকে ____ বলে।

উত্তর – আইরিসের মধ্যবর্তী ছিদ্রকে তারারন্ধ্র বলে।

পীতবিন্দুর কেন্দ্রে ____ নামক একটি অবতল খাঁজ বর্তমান।

উত্তর – পীতবিন্দুর কেন্দ্রে ফোভিয়া সেন্ট্রালিস নামক একটি অবতল খাঁজ বর্তমান।

রেটিনায় রড ও ____ নামক কোশ পাওয়া যায়।

উত্তর – রেটিনায় রড ও কোন নামক কোশ পাওয়া যায়।

উজ্জ্বল আলোতে বর্ণ নিরূপণে সাহায্য করে ____ কোশ।

উত্তর – উজ্জ্বল আলোতে বর্ণ নিরূপণে সাহায্য করে কোন কোশ।

রেটিনার যে অবতল ক্ষেত্র থেকে অপটিক স্নায়ু বের হয়, তাকে ____ বলে।

উত্তর – রেটিনার যে অবতল ক্ষেত্র থেকে অপটিক স্নায়ু বের হয়, তাকে অন্ধবিন্দু বলে।

লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী অংশ ____ প্রকোষ্ঠ নামে পরিচিত।

উত্তর – লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী অংশ ভিট্রিয়াস প্রকোষ্ঠ নামে পরিচিত।

অশ্রুগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত সামান্য লবণাক্ত জলীয় তরলকে ____ বলে।

উত্তর – অশ্রুগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত সামান্য লবণাক্ত জলীয় তরলকে অশ্রু বলে।

মানুষের চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য প্রয়োজনমতো পরিমার্জন করার পদ্ধতিকে ____ বলে।

উত্তর – মানুষের চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য প্রয়োজনমতো পরিমার্জন করার পদ্ধতিকে উপযোজন বলে।

____ রোগে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়।

উত্তর – মায়োপিয়া রোগে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়।

মায়োপিয়ার ক্ষেত্রে চক্ষুগোলকের আকার ____ পায়।

উত্তর – মায়োপিয়ার ক্ষেত্রে চক্ষুগোলকের আকার বৃদ্ধি পায়।

নিকটবদ্ধ দৃষ্টি সংশোধনের জন্য ____ লেন্স ব্যবহার করা হয়।

উত্তর – নিকটবদ্ধ দৃষ্টি সংশোধনের জন্য অবতল লেন্স ব্যবহার করা হয়।

____ লেন্স হাইপারমেট্রোপিয়ার রোগীর ক্ষেত্রে চশমাতে ব্যবহৃত হয়।

উত্তর – উত্তল লেন্স হাইপারমেট্রোপিয়ার রোগীর ক্ষেত্রে চশমাতে ব্যবহৃত হয়।

____ হল বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহীনতা।

উত্তর – ছানি/ক্যাটার‍্যাক্ট হল বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহীনতা।

সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো

চোখের বহিস্তরের সাদা অংশটির নাম হল কোরয়েড।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এই অংশটিকে বলে স্ক্লেরা বা শ্বেতমণ্ডল।]

পিউপিলের মাধ্যমে চোখে আলো প্রবেশ করে।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এটি ছোটো বা বড়ো হয়ে যথাক্রমে কম বা বেশি আলো প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে।]

আইরিস তারারন্ধ্রের সংকোচন-প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এর ফলে চোখে প্রয়োজন অনুসারে আলো প্রবেশ করতে পারে।]

অক্ষিগোলকের রেটিনায় ফোভিয়া সেন্ট্রালিস অবস্থিত।

উত্তর – সত্য [সূত্র – অক্ষিগোলকের অভ্যন্তরে রেটিনার কেন্দ্রে অবস্থিত পীতবিন্দুর কেন্দ্রস্থিত বেশিসংখ্যায় কোন কোশ সমন্বিত ফোভিয়া সেন্ট্রালিস অংশটি উজ্জ্বল আলোকে দর্শন, বর্ণ দর্শনে সাহায্য করে।]

পীতবিন্দুতে সর্বাধিক উজ্জ্বল প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এই অঞ্চলে সর্বাধিক ঘনত্বে কোন কোশ থাকে।]

মানুষের চোখের লেন্স দ্বি-অবতল প্রকৃতির।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এটি দ্বি-উত্তল প্রকৃতির।]

অশ্রুগ্রন্থি চোখের রক্ষণমূলক অংশ।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এর লাইসোজাইম ও লবণ ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু বিনাশ করে।]

মানুষের দৃষ্টি দ্বিনেত্র প্রকৃতির।

উত্তর – সত্য [সূত্র – দুটি চোখ একটি প্রতিবিম্ব তৈরি করে এবং চোখ মুখমণ্ডলের সামনে থাকে, তাই মানুষের চোখ দ্বিনেত্র প্রকৃতির।]

দূরের বস্তুর দেখার সময়ে লেন্স পুরু হয়।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – লেন্স উপযোজিত হয়ে সরু হয়।]

মায়োপিয়া ত্রুটির প্রতিকারে অবতল লেন্স ব্যবহৃত হয়।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এর ফলে প্রতিবিম্ব পুনরায় রেটিনাতে তৈরি হয়।]

অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিকের থেকে ছোটো হলে মায়োপিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – অক্ষিগোলক বড়ো হলে এই সমস্যা দেখা দেয়।]

চল্লিশ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো ব্যক্তি যখন বই পড়তে অসুবিধা বোধ করেন, সমস্যাটি সম্ভবত হাইপারমেট্রোপিয়াজনিত হয়।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এটি প্রেসবায়োপিয়াজনিত সমস্যার কারণে হয়।]

প্রেসবায়োপিয়ার ক্ষেত্রে উত্তল লেন্স ব্যবহার করা উচিত।

উত্তর – সত্য [সূত্র – প্রেসবায়োপিয়াতে নিকটবস্তু দেখার জন্য উত্তল লেন্স ব্যবহৃত হয়। যদি সঙ্গে মায়োপিয়া থাকে তবে সেই ক্ষেত্রে বাইফোকাল লেন্স (উত্তল – প্রেসবায়োপিয়া ও অবতল – মায়োপিয়া) ব্যবহৃত হয়।]

ক্যাটার‍্যাক্টের একটি কারণ চোখের উপযোজনক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – এই রোগে লেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়।]

অ্যাস্টিগমাটিজম কী?

মায়োপিয়া, হাইপারমেট্রোপিয়া ও ক্যাটারাক্ট ছাড়াও আরেক প্রকারের দৃষ্টির ত্রুটিজনিত রোগ হল অ্যাস্টিগমাটিজম। এই রোগে চোখের রেটিনাতে গঠিত প্রতিবিম্ব ঝাপসা হয়ে যায়। সাধারণত চোঙাকৃতি (cylindrical) লেন্স ব্যবহার করলে এই ত্রুটি দূর হয়।

চোখকে ভালো রাখার উপায় কী?

চোখকে ভালো রাখতে 20-20 নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে। সাধারণত একটানা পরিশ্রমের পর 20 মিনিট অন্তর 20 ফুট দূরত্বে থাকা কোনো বস্তুর দিকে 20 সেকেন্ড ধরে তাকিয়ে থাকলে, চোখ অনেকটা ভালো থাকে।

জন্মের সময় অক্ষিগোলকের আকার কত মিলিমিটার থাকে এবং বয়ঃসন্ধিতে এর আকার কত হয়?

বয়সবৃদ্ধির সাথে আমাদের অক্ষিগোলকের আকৃতিও বাড়তে থাকে। জন্মের সময় এর আকার থাকে 16mm, কিন্তু আমরা যখন বয়ঃসন্ধি অবস্থায় পৌঁছোই এই অক্ষিগোলকের আকার বেড়ে দাঁড়ায় 24mm। বিশেষত 55-65 বছর বয়সে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

স্তম্ভ মেলাও

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
(1) নিকটবদ্ধ দৃষ্টি বা দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হওয়া(A) হাইপেরোপিয়া
(2) বয়সজনিত কারণে উপযোজন ক্ষমতা হ্রাস(B) মায়োপিয়া
(3) দূরবদ্ধ দৃষ্টি(C) ক্যাটার‍্যাক্ট
(4) বয়সজনিত কারণে লেন্সের স্বচ্ছতা হ্রাস(D) প্রেসবায়োপিয়া
(5) ফেকোইমালসিফিকেশন(E) অন্ধত্ব
(6) দ্বিনেত্র দৃষ্টি(F) ছানি চিকিৎসা
(G) স্টিরিওস্কোপিক দৃষ্টি

উত্তর –

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
(1) নিকটবদ্ধ দৃষ্টি বা দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হওয়া(B) মায়োপিয়া
(2) বয়সজনিত কারণে উপযোজন ক্ষমতা হ্রাস(D) প্রেসবায়োপিয়া
(3) দূরবদ্ধ দৃষ্টি(A) হাইপেরোপিয়া
(4) বয়সজনিত কারণে লেন্সের স্বচ্ছতা হ্রাস(C) ক্যাটার‍্যাক্ট
(5) ফেকোইমালসিফিকেশন(F) ছানি চিকিৎসা
(6) দ্বিনেত্র দৃষ্টি(G) স্টিরিওস্কোপিক দৃষ্টি

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
(1) স্নায়ুকোশ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব গঠনকারী স্তর(A) অক্ষিপল্লব
(2) আলোক প্রতিসারক স্তর(B) রেটিনা
(3) চোখের বাহ্যিক প্রতিরক্ষাকারী অংশ(C) অক্ষিপেশি
(4) অক্ষিগোলকের সঞ্চালনে সহায়ক অংশ(D) কর্নিয়া
(5) যে অঞ্চলে বস্তুর সবচেয়ে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়(E) অশ্রুগ্রন্থি
(6) রেটিনার অপটিক নার্ভ নির্গমনস্থল(F) পীতবিন্দু
(G) অন্ধবিন্দু

উত্তর –

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
(1) স্নায়ুকোশ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব গঠনকারী স্তর(B) রেটিনা
(2) আলোক প্রতিসারক স্তর(D) কর্নিয়া
(3) চোখের বাহ্যিক প্রতিরক্ষাকারী অংশ(A) অক্ষিপল্লব
(4) অক্ষিগোলকের সঞ্চালনে সহায়ক অংশ(C) অক্ষিপেশি
(5) যে অঞ্চলে বস্তুর সবচেয়ে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়(F) পীতবিন্দু
(6) রেটিনার অপটিক নার্ভ নির্গমনস্থল(G) অন্ধবিন্দু

বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো

প্রশ্নউত্তর ও উত্তর-সূত্র
অ্যাকুয়াস হিউমর, লেন্স, কর্নিয়া, কনজাংটিভা অংশ।কনজাংটিভা। [সূত্র – বাকিগুলি অক্ষিগোলকে অবস্থিত আলোক প্রতিসারক।]
কর্নিয়া, অ্যাকুয়াস হিউমর, লেন্স, রেটিনা।রেটিনা। [সূত্র – বাকিগুলি চোখের প্রতিসারক মাধ্যম রূপে কাজ করে।]
গিরগিটির দৃষ্টি, বানরের দৃষ্টি, গোরুর দৃষ্টি, ঘোড়ার দৃষ্টি।বানরের দৃষ্টি। [সূত্র – বানরের দৃষ্টি ছাড়া বাকিগুলি একনেত্র দৃষ্টি।]
দূরদৃষ্টি, সিলিয়ারি পেশির সংকোচন, সিলিয়ারি পেশির শ্লথন, লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি।সিলিয়ারি পেশির সংকোচন। [সূত্র – বাকিগুলি দূরদৃষ্টি বা দূরের বস্তু দেখার সময় উপযোজন।]
লেন্সের পুরুত্ব বৃদ্ধি, নিকট দৃষ্টি, সিলিয়ারি পেশির সংকোচন, লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি।লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি। [সূত্র – নিকট দৃষ্টিতে লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়।]
মায়োপিয়া, প্রেসবায়োপিয়া, নিকটালোপিয়া, হাইপারমেট্রোপিয়া।নিকটালোপিয়া। [সূত্র – নিকটালোপিয়া বা রাতকানার কারণ ভিটামিন A -এর অভাব, বাকিগুলি চোখের দৃষ্টিগত সমস্যা।]

নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও।

মৃদু আলো : রড কোশ : : তীব্র আলো : ____

উত্তর – কোন কোশ।

অগ্রপ্রকোষ্ঠ : অ্যাকুয়াস হিউমর : : পশ্চাদ্‌প্রকোষ্ঠ : ____

উত্তর – ভিট্রিয়াস হিউমর।

অক্ষিপল্লব : চোখ প্রতিরক্ষা : : রেটিনা : ____

উত্তর – দর্শন।

মানুষ : দ্বিনেত্র : : গোরু : ____

উত্তর – একনেত্র দৃষ্টি।

মায়োপিয়া : অবতল লেন্স : : হাইপেরোপিয়া : ____

উত্তর – উত্তল লেন্স।

হাইপেরোপিয়া : দূরবদ্ধ দৃষ্টি : : মায়োপিয়া : ____

উত্তর – নিকটবদ্ধ দৃষ্টি।

দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও

অক্ষিগোলকের প্রধান তিনটি স্তর কী কী?

অক্ষিগোলকের প্রধান তিনটি স্তর হল – স্ক্লেরা, কোরয়েড ও রেটিনা।

সঠিক ক্রমে সাজাও – রেটিনা, কর্নিয়া, কনজাংটিভা, অপটিক স্নায়ু, লেন্স।

কনজাংটিভা → কর্নিয়া → লেন্স → রেটিনা → অপটিক স্নায়ু।

চোখের বহিরাবরকের নাম কী?

চোখের বহিরাবরকের নাম স্ক্লেরা ও কর্নিয়া।

চোখের কোন অংশ তারারন্ধ্রকে ছোটো ও বড়ো হতে সাহায্য করে?

আইরিস তারারন্ধ্রকে ছোটো ও বড়ো হতে সাহায্য করে।

কোন্ ছিদ্রের মাধ্যমে আলো চোখের ভিতর প্রবেশ করে?

পিউপিল বা তারারন্ধ্র -এর মাধ্যমে আলো চোখের ভিতর প্রবেশ করে।

তারারন্ধ্র বা পিউপিলের কাজ কী?

পিউপিল বা তারারন্ধ্র

তারারন্ধ্র ছোটো বা বড়ো হয়ে যথাক্রমে বেশি ও কম আলোকের প্রবেশ ঘটায়, অর্থাৎ চোখে আলোক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে তারারন্ধ্র বা পিউপিল।

চোখের কোন্ স্তরে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?

চোখের রেটিনা প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।

রেটিনার কোন্ অংশে উজ্জ্বল প্রতিবিম্ব তৈরি হয়?

ফোভিয়া বা পীতবিন্দুতে উজ্জ্বল প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।

চোখের ডাক্তারবাবু তারারন্ধ্র দিয়ে রেটিনার কোন্ অংশ দেখে থাকেন?

চোখের ডাক্তারবাবু তারারন্ধ্র দিয়ে রেটিনার ম্যাকুলা লুটিয়া বা পীতবিন্দু দেখে থাকেন।

অন্ধবিন্দুতে প্রতিচ্ছবি গঠিত হয় না কেন?

আলোকসুবেদী রড ও কোন কোশ থাকে না বলে অন্ধবিন্দুতে প্রতিচ্ছবি তৈরি হয় না।

রড ও কোন কোশের রঙ্গকের নাম লেখো।

রড কোশের রঙ্গকের নাম রোডপসিন ও কোন কোশের রঙ্গকের নাম আয়োডপসিন।

মানুষের অক্ষিগোলকের লেন্সের একটি কাজ উল্লেখ করো।

মানুষের অক্ষিগোলকের লেন্স প্রতিসারক মাধ্যমরূপে কাজ করে ও রেটিনাতে প্রতিবিম্ব তৈরি করে।

অক্ষিগোলকের লেন্স ও রেটিনার অন্তর্বর্তী প্রকোষ্ঠে অবস্থিত তরলটির কাজ কী?

অক্ষিগোলকের লেন্স ও রেটিনার অন্তর্বর্তী প্রকোষ্ঠে অর্থাৎ, ভিট্রিয়াস প্রকোষ্ঠে অবস্থিত তরল, ভিট্রিয়াস হিউমর আলোকরশ্মি প্রতিসৃত করে প্রতিবিম্ব গঠন করে এবং অক্ষিগোলকের নির্দিষ্ট আকার বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অক্ষিগোলককে যান্ত্রিক আঘাত থেকে রক্ষা করে কে?

নেত্রবর্ত্মকলা অক্ষিগোলককে যান্ত্রিক আঘাত থেকে রক্ষা করে।

বাইরের আঘাত ও ধূলিকণা থেকে কোন্ অংশ চোখকে রক্ষা করে?

বাইরের আঘাত ও ধূলিকণা থেকে অক্ষিপল্লব চোখকে রক্ষা করে।

অশ্রুর উপাদানগুলি লেখো।

জল, খনিজ লবণ, অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিবডি, লাইসোজাইম।

অশ্রুতে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উৎসেচকটির নাম কী?

অশ্রুতে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উৎসেচকটির নাম লাইসোজাইম।

দ্বিনেত্রবিশিষ্ট প্রাণীর নাম লেখো।

দ্বিনেত্রবিশিষ্ট প্রাণীর নাম মানুষ, প্যাঁচা।

লেন্সের কোন্ ক্ষমতার জন্য মানবচক্ষু দূরের ও কাছের বস্তুর প্রতিবিম্ব স্পষ্টভাবে দেখতে পায়?

লেন্সের উপযোজন ক্ষমতার জন্য মানবচক্ষু দূরের ও কাছের বস্তুর প্রতিবিম্ব স্পষ্টভাবে দেখতে পায়।

কত দূরত্বের বস্তু দূরদৃষ্টির আওতায় পড়ে?

6m -এর অধিক দূরত্বে থাকা বস্তু দূরদৃষ্টির আওতায় পড়ে।

মায়োপিয়ার ক্ষেত্রে কোন্ ধরনের লেন্সের ব্যবহারে ত্রুটি দূর হয়?

মায়োপিয়ার ক্ষেত্রে অবতল লেন্সের ব্যবহারে ত্রুটি দূর হয়।

হাইপারমেট্রোপিয়ায় কোন্ দৃষ্টি ব্যাহত হয়?

হাইপারমেট্রোপিয়ায় নিকট-দৃষ্টি ব্যাহত হয়।

প্রেসবায়োপিয়ায় লেন্সের কী গঠনগত পরিবর্তন ঘটে?

প্রেসবায়োপিয়ায় লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়, ফলস্বরূপ দূরের বস্তুর উপযোজনে সমস্যা দেখা দেয়।

প্রেসবায়োপিয়া সংশোধনে কীরূপ লেন্স ব্যবহার করা হয়?

প্রেসবায়োপিয়া সংশোধনে উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।

লেন্সের প্রোটিন বিনষ্ট হয়ে কোন্ রোগ সৃষ্টি হয়?

লেন্সের প্রোটিন বিনষ্ট হয়ে ছানি বা ক্যাটারাক্ট রোগ সৃষ্টি হয়।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” অধ্যায়ের ‘প্রাণীদের সাড়াপ্রদান ও ভৌত সমন্বয়‘ বিভাগের উপ-অধ্যায় ‘স্নায়ুতন্ত্র‘ -এর অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - প্রাণীদের সাড়াপ্রদান ও ভৌত সমন্বয় - স্নায়ুতন্ত্র - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় – প্রাণীদের সাড়াপ্রদান ও ভৌত সমন্বয় – স্নায়ুতন্ত্র – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

ভারতের দ্বীপ অঞ্চল-

ভারতের দ্বীপ অঞ্চল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

ভারতের পশ্চিম হিমালয়ের ভূপ্রকৃতি-

ভারতের পশ্চিম হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় – প্রাণীদের সাড়াপ্রদান ও ভৌত সমন্বয় – স্নায়ুতন্ত্র – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় – প্রাণীদের সাড়াপ্রদান ও ভৌত সমন্বয় – স্নায়ুতন্ত্র – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

ভারতের দ্বীপ অঞ্চল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

ভারতের পশ্চিম হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

মাধ্যমিক – জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় – প্রাণীদের সাড়াপ্রদান ও ভৌত সমন্বয় – স্নায়ুতন্ত্র – বিষয়সংক্ষেপ