এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “”ম্যাগনেশিয়াম ফিতাকে অক্সিজেন গ্যাসের মধ্যে পোড়ালে ছাই উৎপন্ন হয় তার ভর ম্যাগনেশিয়াম ফিতার অপেক্ষা বেশি।” এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ হয় কি?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ম্যাগনেশিয়াম ফিতাকে অক্সিজেন গ্যাসের মধ্যে পোড়ালে ছাই উৎপন্ন হয় তার ভর ম্যাগনেশিয়াম ফিতার অপেক্ষা বেশি।” এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ হয় কি?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

একটি ম্যাগনেশিয়াম ফিতাকে অক্সিজেন গ্যাসের মধ্যে পোড়ালে যে ছাই উৎপন্ন হয় তার ভর ম্যাগনেশিয়াম ফিতার ভরের থেকে বেশি হয়। এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ সূত্রটি লঙ্ঘিত হয় কি না ব্যাখ্যা করো।
ম্যাগনেশিয়াম ফিতাকে অক্সিজেন গ্যাসের মধ্যে পোড়ালে ম্যাগনেশিয়াম অক্সিজেনের সঙ্গে রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয়ে ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড (MgO) উৎপন্ন করে।
2Mg + O2 → 2MgO
অর্থাৎ, ম্যাগনেশিয়াম ফিতার ভর ম্যাগনেশিয়ামের সঙ্গে যুক্ত অক্সিজেনের ভর = উৎপন্ন ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইডের ভর।
সুতরাং, বিক্রিয়ার আগে ও পরে মোট ভরের কোনো পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ, ভরের সংরক্ষণ সূত্রটি লঙ্ঘিত হয় না।
পরীক্ষায় দেখা যায় ম্যাগনেশিয়াম ফিতার ভর অপেক্ষা ছাই-এর (ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড) ভর বেশি হয়। তাহলে কি ভরের সংরক্ষণ সূত্র (Law of Conservation of Mass) ভঙ্গ হয়?
না, ভরের সংরক্ষণ সূত্র ভঙ্গ হয় না। ভর বেড়ে যাওয়ার কারণ হল বিক্রিয়ায় ম্যাগনেশিয়াম ফিতার সাথে অক্সিজেন গ্যাস (O₂) যুক্ত হয়। উৎপন্ন ছাই (MgO) এর ভর = মূল ম্যাগনেশিয়ামের ভর + যুক্ত হওয়া অক্সিজেনের ভর। যেহেতু অক্সিজেন গ্যাস দৃশ্যমান ও ওজন করার সময় প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয় না, তাই মনে হয় ভর বেড়ে গেছে। কিন্তু অক্সিজেনের ভর সহ সমস্ত বিক্রিয়কের মোট ভরই উৎপন্ন MgO-এর ভরের সমান। তাই মোট ভর আগে ও পরে একই থাকে।
যদি একটি বদ্ধ পাত্রে (Closed System) এই বিক্রিয়াটি করা হয়, তাহলে কি পর্যবেক্ষণ করা যাবে?
হ্যাঁ, একটি বদ্ধ পাত্রে (যেখানে কোন পদার্থ ঢুকতে বা বের হতে পারে না) এই বিক্রিয়া করলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। পাত্রের ভর বিক্রিয়ার আগেও যত থাকবে, বিক্রিয়ার পরেও ঠিক ততই থাকবে। কারণ, বদ্ধ পাত্রে বিক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সমস্ত বিক্রিয়ক (Mg এবং O₂ গ্যাস) এবং উৎপন্ন সমস্ত উৎপাদ (MgO) পাত্রের ভেতরেই থাকে। কোন ভরই পাত্রের বাইরে যেতে পারে না বা বাইরে থেকে আসতে পারে না। এখানে স্পষ্টভাবে ভরের সংরক্ষণ সূত্র প্রমাণিত হবে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “একগাদা খড় বাতাসে পোড়ালে সামান্য ছাইমাত্র অবশিষ্ট থাকে – এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ হয় কি? – ব্যাখ্যা করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “একগাদা খড় বাতাসে পোড়ালে সামান্য ছাইমাত্র অবশিষ্ট থাকে – এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ হয় কি? – ব্যাখ্যা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন