এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ধর্মীয় ভাবাবেগ মুণ্ডা বিদ্রোহকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল? মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ কী ছিল?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ধর্মীয় ভাবাবেগ মুণ্ডা বিদ্রোহকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল? মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ কী ছিল?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায় “প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ – বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ধর্মীয় ভাবাবেগ মুণ্ডা বিদ্রোহকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল?
ইতিহাস সূত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অন্যান্য আদিবাসী-উপজাতি বিদ্রোহের মতো মুণ্ডা বিদ্রোহও ধর্মীয় ভাবাবেগ দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। আন্দোলনের নেতা বিরসা মুণ্ডা স্বয়ং নিজেকে ‘ধরতি আবা’ বা ধরণীর পিতা বলে ঘোষণা করেন এবং মুণ্ডাদের কাছে ‘বিরসা ভগবান’ হিসেবে পুজিত হতে থাকেন। ‘সিং বোঙা’ প্রদত্ত স্বপ্নাদেশ – ‘স্বাধীন মুণ্ডা রাজ্য প্রতিষ্ঠা’ মুণ্ডাদের বিদ্রোহের পথে ঠেলে দিয়েছিল। এ ছাড়া খ্রিস্টান মিশনারিদের বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধেও মুণ্ডারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ কী ছিল?
মুণ্ডা জনগণ ঔপনিবেশিক শাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়েছিল। তারা তাদের জমিতে পুরানো যৌথমালিকানা বা ‘খুঁৎ কাঠি’ প্রথা ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করে। এক স্বাধীন মুণ্ডা রাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়েছিলেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
বিরসা মুণ্ডা কে ছিলেন?
বিরসা মুণ্ডা ছিলেন মুণ্ডা বিদ্রোহের নেতা, যিনি আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করেছিলেন এবং ধর্মীয় নেতা হিসাবে শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।
মুণ্ডা বিদ্রোহ কখন হয়েছিল?
মুণ্ডা বিদ্রোহ (1899 – 1900) ব্রিটিশ ভারতে সংঘটিত হয়েছিল, বিশেষত ছোটনাগপুর অঞ্চলে।
উলগুলান বলতে কী বোঝায়?
উলগুলান অর্থ “মহাবিদ্রোহ”। এটি মুণ্ডাদের ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের প্রতীকী নাম।
খুঁৎকাঠি প্রথা কী?
এটি মুণ্ডাদের ঐতিহ্যবাহী যৌথ কৃষি ব্যবস্থা, যেখানে সম্প্রদায়ের সদস্যরা সম্মিলিতভাবে জমি চাষ করত। ব্রিটিশ ও জমিদাররা এই ব্যবস্থা ভেঙে দেয়।
ব্রিটিশরা কীভাবে মুণ্ডা বিদ্রোহ দমন করেছিল?
ব্রিটিশ সেনাবাহিনী কঠোর দমননীতি প্রয়োগ করে, বিরসা মুণ্ডাকে গ্রেফতার করে (1900 সালে তাঁর মৃত্যু হয়) এবং বিদ্রোহ নির্মূল করে।
মুণ্ডা বিদ্রোহের ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী?
এটি আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের মাইলফলক। পরবর্তীতে ছোটনাগপুর টেনান্সি অ্যাক্ট (1908) পাস করে মুণ্ডাদের কিছু অধিকার দেওয়া হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ধর্মীয় ভাবাবেগ মুণ্ডা বিদ্রোহকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল? মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ কী ছিল?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “ধর্মীয় ভাবাবেগ মুণ্ডা বিদ্রোহকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল? মুণ্ডা বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ কী ছিল?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায় “প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ – বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।