এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নীলদর্পণ নাটকে নাট্যকারের চরিত্র, চিত্রণ ও দক্ষতা আলোচনা করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “নীলদর্পণ নাটকে নাট্যকারের চরিত্র, চিত্রণ ও দক্ষতা আলোচনা করুন। নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “নীলদর্পণ নাটকে নাট্যকারের চরিত্র, চিত্রণ ও দক্ষতা আলোচনা করুন।“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় “সংস্কার – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

নীলদর্পণ নাটকে নাট্যকারের চরিত্র, চিত্রণ ও দক্ষতা আলোচনা করুন।
Contents Show

নীলদর্পণ নাটকে নাট্যকারের চরিত্র, চিত্রণ ও দক্ষতা আলোচনা করো।

বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে এক অবিস্মরণীয় নাট্যব্যক্তিত্ব দীনবন্ধু মিত্র। তিনি প্রধানত সমাজ সচেতন, বস্তুনিষ্ঠ ও মানব চরিত্র অভিজ্ঞ নাট্যকার হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন। ‘নীলদর্পণ’ তার প্রথম নাটক, যা বাংলা সাহিত্যের সর্বাপেক্ষা স্মরণীয় নাটকগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উৎকৃষ্ট সৃষ্টি। নীলকরদের অত্যাচারে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের যে অসহায় করুণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছি, তারই বাস্তব চিত্র অঙ্কিত হয়েছে এতে।

নাটকটিতে কাহিনী বাস্তবতা গুণের সাথে সাথে নাট্যকারের চরিত্র চিত্রণের পারঙ্গমতায়ও ফুটে উঠেছে সুন্দরভাবে। বাঙালি সমাজ জীবনে সকল স্তরের মানুষের সাথে তার গভীর আন্তরিকতার সুসম্পর্ক বজায় ছিল। এই বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে চরিত্র সৃষ্টি করলেও,উচ্চশ্রেণীর চরিত্র সৃষ্টিতে বেশি কৃতিত্ব দেখাতে পারেন নি।

উচ্চশ্রেণীর অপেক্ষা নিম্নশ্রেণির চরিত্র চিত্রণে তিনি পারঙ্গমতা প্রদর্শন সক্ষম হয়েছেন। ফলে নাটকে নিম্নশ্রেণির চরিত্রগুলো হয়ে উঠেছে বাস্তব, জীবন্ত, স্বাভাবিক ও শিল্প সফল চরিত্রের মূর্ত প্রতীক। এখানে স্থূলভাবে ‘নীলদর্পণ’ নাটকের চরিত্রকে দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা হলো। প্রথম ভাগে থাকবে উচ্চশ্রেণীর চরিত্র, দ্বিতীয় ভাগে থাকবে নিম্ন বা প্রান্তিক শ্রেণির চরিত্র।

গোলকচন্দ্র বসু –

নীলদর্পণ নাটকের অভিজাত চরিত্রগুলোর মধ্যে সর্বাগ্রে যার নাম আসে তিনি গোলকচন্দ্র নাথ বসু। তিনিই পরিবারের কর্তা। তিনি অত্যন্ত নিরীহ ও ধর্মপ্রাণ কায়স্থ সন্তান। তিনি প্রতিবেশীপরান হিসেবে নিজেকে আভিজাত্যের খোলসে ঢেকে না রেখে, সাধুচরণ এর সাথে প্রাণ খুলে মিশেছে। নীলকর শোষক তাকে অত্যাচারিত করলেও সে বিপদে কখনো কৌশলী হতে পারে নি, কখনো তার প্রতিবাদ করে নি। এর মাধ্যমে তার চরিত্রের সরলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি সরল স্বামী ও স্নেহশীল পিতা হিসেবে স্ত্রী-পুত্রের কখনো সাথে অন্যায় আচরণ করেন নি। তার চরিত্রের মাঝে প্রাচীন মূল্যবোধ বজায় ছিল। ফলে সে পরজাতির হতে জলপান না করে আত্মঘাতী’ হয়েছেন। তার চরিত্রে সরলতা, দয়া ও পরোপকারীতা ছিল, কিন্তু চারিত্রিক দৃঢ়তা ছিল না।

নবীন মাধব –

নবীনমাধব এই নাটকের মুখ্য চরিত্র। তার চরিত্র মাঝে বহুমুখী সৎগুণাবলী সমাহার লক্ষ্য করা যায়। সে পিতা-মাতার অনুগত, পত্নীপ্রাণ, পরোপকারী, ন্যায়নিষ্ঠ ও দরিদ্র চাষীকূলের রক্ষার্থে জীবন উৎসর্গকারী। রাইচরণকে যখন ধরে নিয়ে যায় নবীন তখন ছুটে যায় তাকে উদ্ধার করতে। আবার সাধুচরণ কে উড সাহেব যখন শ্যামাচাদ দিয়ে প্রহার করে তখন নবীন বলে –

“হুজুর গরীব, ছাপোষা লোকটাকে একেবারে মেরে ফেলিলেন।”

তার চরিত্রে সাহসিকতার পরিচয় ও পরিস্ফুট হয়েছে। নীলকর সাহেব যখন নীল চাষ করার জন্য ভয় দেখায় তখন সে নির্ভীকভাবে বলেছেন আমার গত সনের 50 বিঘা নীলের দাম চুকাইয়া না দিলে এ বছর এক বিঘাও নীল চাষ করিব না। তার চরিত্রের এই সৎগুণের সমাহার দেখে তাকে স্বর্গের দেবতা বলে মনে হয় রক্ত মাংসের মানুষ বলে মনে হয় না।

সাবিত্রী –

নারী চরিত্রের মধ্যে অন্যতম প্রধান চরিত্র হলো সাবিত্রী। তিনি বসু পরিবার কর্তী। অভিজাত পরিবারের স্ত্রী হয়েও অতিথি সৎকার, সংসার পরিচালনা তার চরিত্রকে উজ্জলতা দান করেছে। তার চরিত্রের মাঝে প্রতিবেশীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ পেয়েছে। তাই তো ক্ষেত্রমণিকে অপহরন করা হলে, কিংকর্তব্যবিমূঢ় না হয়ে নবীন কে দিব্যি দিয়েছে তাকে উদ্ধার করার জন্য। নীলকরদের অত্যাচার চরম হলে সে পুত্রকে বলেন –

“লাঙ্গল গরু সব বিক্রি করে ব্যবসা কর, তাতে যে আয় হবে তাতে সুখে ভোগ করা যাবে। এই যাতনা সহ্য হয় না।”

এই বক্তব্যে সামন্তবাদ থেকে বাণিজ্যনির্ভর অর্থনীতিতে উত্তীর্ণ হওয়ার ইঙ্গিত আছে। স্বামী সন্তানের প্রতি অপরিসীম মমতা ভালোবাসার কারণে তাদের প্রতি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি উন্মাদ হয়ে যান।

তোরাপ –

তোরাপ চরিত্রটি নাট্যকারের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। চরম দ্বন্দ সংঘাত প্রকাশ করার বিশেষ উদ্দেশ্যে তাকে চিত্রণ করা হয়েছে। সে গরীব কৃষক, সত্যবাদী, সাহসী ও পরোপকারী। সে শত্রুর প্রতি নির্মম কিন্তু মিত্রের প্রতি সকৃতজ্ঞ। নবীনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বললে সে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বলে ওঠে –

“ম্যারে ক্যান ফ্যালায় না, মুই নিমোক্ষ্যারামি কত্তি পারবো না।”

সে মুসলিম হলেও তার মাঝে সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি ছিল না। ক্ষেত্রমণি অপহৃত হলে নবীনের সাথে তোরাপও বিশেষে অভিযানে অংশ নেয়। তোরাপ চরিত্রের মাঝে উপস্থিত বুদ্ধি ছিল প্রবল। সে রোগ সাহেবের শ্যামাচাদের আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সে তৎক্ষণাৎ বলে উঠেছে –

“এখন তো নাজি হই, ত্যাকন যা জানি তা করব।”

রাইচরণ –

রাইচরণ কৃষক, সে নিজ হাতে লাঙ্গল ঠেলে জমি চাষ করে। জমির সাথে তার রয়েছে নাড়ির টান। তাই তাদের জমিতে যখন নীল চাষের জন্য দাগ দেয়া হয় তখন সে বলে উঠেছে, সে দাগ যেন আমার বুকে পড়েছিল। এই উক্তির মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের স্বাভাবিকতা ফুটে উঠেছে। তাছাড়া তার মধ্যে সামান্য বোধ শক্তিও ছিল। তাই সে তাদের জমিতে খুটিপুতলে ক্রোধের বশে আইন হাতে তুলে না নিয়ে কর্তব্যবোধে বড় ভাইকে ব্যাপারটা জানিয়েছে।

ক্ষেত্রমণী –

কৃষক কন্যা ক্ষেত্রমণী ভারতীয় নারীর প্রতীক। স্বামী প্রেমই তার একমাত্র ধর্ম। তাইতো অর্থ, স্বর্ণ, পোশাক কোন কিছু দিয়েই কেউ তাকে সাহেবের বিছানায় যেতে প্রলুব্ধ করতে পারে নি। তার শক্তি ছিল সহজাত। এই সহজাত সাহসের কারণেই সে জীবন আত্মত্যাগ করেছে কিন্তু নিজের সতীত্বে কোন কলঙ্কের কোন দাগই লাগতে দেয় নি।

আদুরী –

‘নীলদর্পণ’ নাটকে আদুরী গ্রামীণ ছোট পাখির মতো। তার কোনো কুটিলতা নেই, নেই কোনো আন্তঃবিশৃঙ্খলা। গ্রামীণ সরলতা ও চপলতা অঙ্গে ধারণ করে চরিত্রটি নাটকের গতি বৃদ্ধি করেছে।

রেবতী –

এক মমতাময়ী মায়ের নাম রেবতী। একমাত্র কন্যার আশু বিপদ আশঙ্কায় সর্বদাই দিশেহারা থাকত সে। একমাত্র কন্যা অপহৃত হলে প্রথমেই বসুপরিবারের কর্তীকে জানায়। সে জানত তাকে কেবল বসুপরিবারই রক্ষা করতে পারে। এখানে তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়।

পদী –

নীলদর্পণ নাটকে পদী বিগতযৌবনা এক গ্রাম্য নারী। সে রোগ সাহেবের উপপত্নী এবং সাহেবের কামনার ইন্দন যোগাতে বহু কুলবালার সর্বনাশ করেছে। তবে তার মাঝে নারীসত্তা একেবারে লোপ পায় নি। তাই সে নবীন মাধব কে দেখে লজ্জায় ঘোমটা টেনে দেয়, আবার ক্ষেত্রমণির চোখে জল দেখে, তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।

উড সাহেব ও রোগ সাহেব –

‘নীলদর্পণ’ নাটকে উড সাহেব ও রোগ সাহেবের চরিত্র দ্বয়কে একসাথে আলোচনা করা যায়। কারণ নীলকর এই চরিত্রদ্বয় আসলে একই চরিত্রের খণ্ডিতরূপ। এরা নাটকের খল চরিত্র। নারী সম্ভোগ, মিথ্যা মামলা সাজানো, উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে বিচারককে স্বপক্ষে আনা ইত্যাদি ছিল তাদের চরিত্রের নিত্যনৈমত্তিক বৈশিষ্ট্য। এর চেয়ে বড় কথা শত্রু চিনতে তারা কখনো ভুল করে নি। নবীন মাধবই যে তাদের বড় শত্রু উডের উক্তি থেকে তা বোঝা যায়। –

উড – “তোর দাদনের জন্য দশখানা গ্রামের দাদন বন্ধ রয়েছে।”

এই কারণে গোলক বসুর নামে মিথ্যা মামলা দেয়, যাতে নবীন এতে জড়িয়ে পড়ে।

পরিসমাপ্তি –

পরিশেষে বলা যায় যে, দীনবন্ধু মিত্র উচ্চশ্রেণীর চরিত্রগুলোকে বিভিন্ন মহৎ গুণাবলি দ্বারা চিত্রিত করেছেন। আর নিম্নশ্রেণির চরিত্রের মাঝে দিয়েছেন দোষ-গুণের মিশ্রণ। বলা বাহুল্য, ভালো-মন্দ দোষ-গুণের মিশ্রণেই মানব চরিত্রের বিকাশ ঘটে। তাই আলোচ্য ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অভিজাত শ্রেণী অপেক্ষা নিম্নশ্রেণির চরিত্র গুলোই রক্তে মাংসে গড়া জীবন্ত ও প্রাণবন্ত চরিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

নীলদর্পণ নাটকের রচয়িতা কে?

নীলদর্পণ নাটকের রচয়িতা হলেন বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র।

নীলদর্পণ নাটকের মূল বিষয়বস্তু কী?

নীলদর্পণ নাটকের মূল বিষয়বস্তু হলো নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে বাংলার কৃষক সমাজের সংগ্রাম। নাটকে নীলকরদের অত্যাচারে কৃষকদের দুর্দশা, তাদের অসহায়ত্ব এবং সামাজিক অবিচারের চিত্র ফুটে উঠেছে।

নীলদর্পণ নাটকের প্রধান চরিত্রগুলি কারা?

নীলদর্পণ নাটকের প্রধান চরিত্রগুলি হলো –
1. গোলকচন্দ্র বসু – নাটকের অভিজাত চরিত্র, সরল ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি।
2. নবীন মাধব – নাটকের মুখ্য চরিত্র, সাহসী ও ন্যায়নিষ্ঠ যুবক।
3. সাবিত্রী – গোলকচন্দ্রের স্ত্রী, মমতাময়ী ও সংসারধর্মী নারী।
4. তোরাপ – সাহসী ও সত্যবাদী কৃষক।
5. ক্ষেত্রমণী – কৃষক কন্যা, সতীত্বের প্রতীক।

নীলদর্পণ নাটকে নারী চরিত্রগুলির ভূমিকা কী?

নীলদর্পণ নাটকে নারী চরিত্রগুলি যেমন সাবিত্রী, ক্ষেত্রমণী, আদুরী, রেবতী এবং পদী নাটকের গতিশীলতা ও বাস্তবতা বৃদ্ধি করেছে। তারা নাটকে নৈতিকতা, সাহস, মমতা ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষেত্রমণীর চরিত্রে ভারতীয় নারীর সতীত্ব ও সাহসের চিত্র ফুটে উঠেছে।

নীলদর্পণ নাটকে নিম্নশ্রেণির চরিত্রগুলির বিশেষত্ব কী?

নীলদর্পণ নাটকে নিম্নশ্রেণির চরিত্রগুলি যেমন তোরাপ, রাইচরণ, ক্ষেত্রমণী প্রমুখ চরিত্রগুলি খুবই বাস্তব ও জীবন্ত। তাদের চরিত্রে দোষ-গুণের মিশ্রণ রয়েছে, যা তাদের মানবিক ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। নাট্যকার নিম্নশ্রেণির চরিত্রগুলিকে খুবই সফলভাবে চিত্রিত করেছেন।

নীলদর্পণ নাটকে নীলকর সাহেবদের চরিত্র কীভাবে ফুটে উঠেছে?

নীলকর সাহেবদের চরিত্র, যেমন উড সাহেব ও রোগ সাহেব, নাটকের খল চরিত্র হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। তারা নারী সম্ভোগ, মিথ্যা মামলা সাজানো, উৎকোচ প্রদান এবং কৃষকদের শোষণের মাধ্যমে তাদের নিষ্ঠুরতা ও স্বার্থপরতা প্রকাশ পেয়েছে।

নীলদর্পণ নাটকের ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী?

নীলদর্পণ নাটকটি বাংলার নীল বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত হয়েছিল। এটি নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও কৃষকদের দুর্দশার বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। নাটকটি সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং নীলকরদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

নীলদর্পণ নাটকে দীনবন্ধু মিত্রের চরিত্র চিত্রণের দক্ষতা কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?

দীনবন্ধু মিত্র নীলদর্পণ নাটকে উচ্চশ্রেণি ও নিম্নশ্রেণির চরিত্রগুলিকে খুবই সূক্ষ্ম ও বাস্তবভাবে চিত্রিত করেছেন। বিশেষ করে নিম্নশ্রেণির চরিত্রগুলিকে তিনি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। তার চরিত্র চিত্রণে মানবিক দোষ-গুণের মিশ্রণ এবং সামাজিক বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেছে।

নীলদর্পণ নাটকের ভাষা ও শৈলীর বিশেষত্ব কী?

নীলদর্পণ নাটকের ভাষা সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল। নাট্যকার গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে গ্রাম্য ভাষা ও উপমার ব্যবহার করেছেন। নাটকের সংলাপগুলি খুবই প্রাণবন্ত এবং চরিত্রগুলির মানসিকতা ও সামাজিক অবস্থানকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

নীলদর্পণ নাটকের সামাজিক প্রভাব কী ছিল?

নীলদর্পণ নাটকটি নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে বাংলার কৃষক সমাজের সংগ্রামকে তুলে ধরেছিল। এটি সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং নীলকরদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। নাটকটি বাংলার নীল বিদ্রোহের পটভূমিতে লেখা হয়েছিল এবং এটি সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছিল।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “নীলদর্পণ নাটকে নাট্যকারের চরিত্র, চিত্রণ ও দক্ষতা আলোচনা করুন।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “নীলদর্পণ নাটকে নাট্যকারের চরিত্র, চিত্রণ ও দক্ষতা আলোচনা করুন।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় “সংস্কার – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন